āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3917 (1)

গল্প: ঠিকানা
পর্ব:০১
লেখা: Mishu Moni
.
ইফতি আর আমার বন্ধুত্ব আট বছরের।বন্ধুত্ব থেকে থেকে অন্য কোনো সম্পর্ক হয়েছিল কিনা জানিনা,তবে দুই পরিবারের সম্মতি তেই আমাদের বিয়েটা হলো।
এই দীর্ঘ সময়ে সবসময় ই ইফতির সাথে আমার ঝগড়া, খুনসুটি লেগেই ছিল।আজ বিয়ের রাতেও তার ব্যতিক্রম হলোনা।যদিও ঝগড়া হওয়ার কোনোই কারণ ছিল না।
ইফতি ঘরে ঢুকতে ই আমি বলেছি,আজ তোকে একদম তাহসানের মত লাগছে।
- তুই ও কি মিথিলার মত আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবি নাকি?
এই একটা বাক্যই আমাকে রাগানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।দাত কটমট করে তাকালাম।
ও বলল,তুই খুব ভাগ্য করে জন্মেছিস বলে আমার মত বর পেলি।তুই তো হাফ টিকেট, তোর মত খাটো মেয়েকে বাংটু, মটু আর কানা খোরা ছাড়া কেউ বিয়ে করত না বুঝলি?
- কি বললি? তাহলে তুই বিয়ে করলি ক্যান? কে বলছিল তোকে বিয়ে করতে?
- বাপ রে,তুই নিজেই তো বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলি।
- হু,আমি চাইনি।আর আমি চাইলেই বা তোর কি?
- আমি তোর বন্ধু না? তোর চাওয়া পাওয়ার গুরুত্ব দিতে হবেনা?
আমি রেগে তাকিয়ে আছি।নাচতে নাচতে বিয়ে করে এখন আবার কথা শুনানো হচ্ছে।
ইফতি বলল,তোকে শাড়ি একদম মানায় না।কাল থেকে থ্রি পিচ পড়ে থাকবি।
আমার রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।
ইফতি বলল,প্যাচার মত মুখ করে থাকিস না।আজ আমাদের বাসর রাত।
বলেই চোখ মাড়ল। আমি দাত করমর করে বললাম,রাখ তোর বাসর।মেজাজ টাই বিগড়ে দিয়েছিস।
- কই রাখবো?  আমার পাঞ্জাবীর পকেট নাই।
বলেই আবারো চোখ মাড়ল। আমার ভয়ানক রাগ হচ্ছে।ওর এটা বদঅভ্যাস,কথায় কথায় চোখ মাড়ে। অন্য কারো ক্ষেত্রে এমন করেনা,শুধু আমার সাথেই এটা করে।অনেক টা ফেসবুকের চ্যাটিং এর মত।প্রতি মেসেজের পাশে একটা করে চোখ মাড়া ইমো।
ইফতি হাই তুলে বলল,ঘুম পাচ্ছে রে খুব।ঘুমাবো। তুই কস্ট করে দাত ব্রাশ করে আয়।
- কেন?
- তোর মুখের যা বিশ্রী গন্ধ,আমার ঘুম আসবে না তোর পাশে।প্লিজ ব্রাশ করে আয়।
আমি চেঁচিয়ে বললাম,বের হ ঘর থেকে।আমার পাশে তোকে ঘুমাতে হবেনা।
- যাক বাবা,আমার বাড়ি, আমার ঘর আর আমাকেই বলে বের হয়ে যেতে।
- হ্যা যা,তোর সাথে এক ঘরে থাকা সম্ভব না।
- সাধে কি আর বললাম,তুই মিথিলার মত আমাকে ছেড়ে চলে যাবি।আমার সাথে এক ঘরে ঘুমাতেই তোর আপত্তি,আর তুই করবি সংসার? ভুতের মুখে রাম নাম!
আমি রেগে গিয়ে ওর গলাটা টিপে ধরে বললাম,তোকে মেরেই ফেলবো একদম।
ইফতি কাশি শুরু করে দিয়েছে।আমি ছেড়ে দিয়ে তাকিয়ে আছি।
ও কাশি থামতেই বলল,তুই তো রে লেডি কুত্তা।রাক্ষসী রানী কটকটি।নিজের স্বামী কে মেরে ফেলতে চাইছিস? নাহ,তুই হচ্ছিস ফেরাউন।ওহ নো,ফেরাউন তো লম্বা।আচ্ছা গালি টা পরে দিচ্ছি। এই মুহুর্তে কোনো খাটো ডাইনীর নাম মনে পড়ছে না।
ইফতির উপর খুব রাগ হচ্ছে।আজকের রাতেও ওকে এভাবে ঝগড়া করতে হবে?
রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেলকুনিতে চলে আসলাম।
.
ইফতির সাথে বন্ধুত্ব টা হয়েছিল ঝগড়া দিয়েই।
সেই আট বছর আগের কথা।একদিন ক্লাসে স্যার আমার বান্ধবী সামিনা কে একটা প্রশ্ন করলেন। সামিনা উত্তর দিতে পারছিল না।আমি পাশ থেকে আস্তে করে উত্তর টা ওকে বলে দিলাম।
সামিনার উত্তর পেয়ে স্যার ওকে ধন্যবাদ দিয়ে বসতে বললেন। ঠিক তখন ই ইফতি বলে উঠল, স্যার ধন্যবাদ টা তো মিশুর প্রাপ্য।
স্যার জিজ্ঞেস করলেন কেন?
- মিশু তো সামিনার হেল্পিং ভার্ব স্যার।হেল্পার বান্ধবী।
- মানে?
- উত্তর টা মিশুই বলে দিলো তো তাই বললাম।
আমরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে আছি।স্যার আমাকে দাড়াতে বললেন।
আমি দাঁড়িয়ে মুখ কাচুমাচু করে আছি।
স্যার বললেন, তুমি ওকে বলে দিয়েছ?
আমি আমতা আমতা করে বললাম,হ্যা স্যার।
- খুব পন্ডিত হয়ে গেছ না? ক্লাসে বসে শুধু গল্প করো আর কেউ পড়া না পারলে তাকে বলে দেয়া হয়?
- সরি স্যার।
- চুপ করো। তোমার পন্ডিতি দেখবো এবার।
স্যার বকা দিয়েই চলেছেন। আমি রেগে বাকা চোখে ইফতির দিকে তাকালাম।ইফতি শয়তানি হাসি হেসে একবার চোখ মাড়ল। আমি তো একদম হতভম্ব! আমাকে বকা শুনিয়ে নিয়ে আবার চোখ মাড়া হচ্ছে?
স্যার আমাকে একনাগারে দশ টা প্রশ্ন করলেন। ভাগ্যিস উত্তর গুলা আমার জানা ছিল।নয়ত সেদিন আরো অনেক গালি খেতাম।
স্যার বেড়িয়ে যেতেই ইফতির সাথে তুমুল ঝগড়া বাধিয়ে দিলাম।বেচারা প্রতিটা লজিকের পর একটা করে শয়তানি মার্কা হাসি দেয় আর চোখ টিপ মাড়ে। আমি হতভম্ব হয়ে যাই আর রাগের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এভাবে ই বন্ধুত্ব হয়েছিল আমাদের।
একদিন ক্লাস পার্টির ব্যাপারে কথা বলার জন্য ইফতি আমার নাম্বার টা নিয়েছিল।সেই থেকে শুরু এসএমএস এ ঝগড়া।স্কুলে সারাদিন নানান ভাবে আমাকে জব্দ করত,আর বাড়ি ফেরার পর শুরু হত এসএমএস এ ঝগড়া।
এভাবে একসাথে কলেজ টাও শেষ করি।
ভার্সিটি তে দুজন আলাদা ডিপার্টমেন্ট হলেও প্রতিদিন ই দেখা হত।আর সাথে থাকত আনলিমিটেড ঝগড়া আর খুনসুটি।
দেখতে দেখতে অনার্স কমপ্লিট করলাম।বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করে ফেললো আমার।
ইফতিকে হেসে হেসে বিয়ের দাওয়াত দিলাম।বললাম,আমার বিয়েতে সব কাজ তোকে সামাল দিতে হবে।ডেকোরেশন থেকে শুরু করে,সব।
ইফতি হাসি মুখে বলল,যথা আজ্ঞা মহারানী। তোর বিয়ে মানে আমার বিয়ে।
বলেই চোখ মাড়ল।
আমিও খুব খুশি মনে বিয়ের পরিকল্পনা করতে লাগলাম।কিন্তু যতই বিয়ের দিন এগিয়ে আসতে লাগল,ততই ইফতির সাথে কথা কমে যেতে লাগল।একটা সময় সারাদিনে একবার ও ইফতির সাথে কথা হলোনা।
তিন দিন ওর সাথে কথা হয়নি।খুব খারাপ সময় কাটালাম,খাওয়াদাওয়া করিনি,গোসল করিনি,সারাক্ষণ আনমনা আর এলোমেলো হয়ে ছিলাম।কোথায় যেন একটা শুন্যতা আর হাহাকার।ইফতির সাথে সারাক্ষণ ই আমার ঝগড়া হত,কিন্তু তবুও যেকোনো বিপদে একে অপরের পাশে ছিলাম।ওকে ছাড়া আমার একটা দিন কিভাবে কাটবে!?
সারাক্ষণ ইফতিকে মিস করতাম।
বাবা আমাকে ডেকে বলল,তোর কি বিয়েতে মত নেই মা?
- মত থাকবে না কেন? তোমরা যোগ্য ছেলেই বেছে নিয়েছ।
- ছেলে ভালো কিন্তু তোর কি অন্য কোথাও সম্পর্ক আছে?
- না আব্বু,নেই।
- কিন্তু কোথাও একটা সমস্যা তো আছেই।যখন বিয়ের আলাপ হচ্ছিল,তখন ও তুই হাসিখুশি ছিলি।কিন্তু ডেট ঠিক হওয়ার পর থেকেই দেখছি কেমন বদলে গেছিস।কি সমস্যা আমাকে বল?
- আব্বু,আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।
- বাবাকে বল? আমি বুঝতে পারবো। তুই কি ইফতি কে...
আমি আব্বুকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলাম। এই কয়েকদিনে একবার ও কাদিনি।সাধারণত সহজেই আমার কান্না আসেও না।কিন্তু সেদিন খুব কাঁদলাম আর বাবাকে বললাম,
- আমি জানিনা ওকে ভালোবাসি কিনা।কিন্তু ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।ওকে ছাড়া নিজেকে মানতে ও পারছি না।ও আমার অস্তিত্বের সাথে মিশে গেছে।
বাবাকে আর কিছুই বলতে হয়নি।আমাকে না জানিয়েই আব্বু ইফতির বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেছে।যদিও ইফতি এখন কোনো কাজই করেনা,সার্টিফিকেট প্রাপ্ত বেকার।তবুও বাবার আপত্তি ছিলনা।ইফতির পরিবার ও আমাকে অনেক ভালোবাসত,তারাও খুশি হয়ে বিয়েতে সম্মতি হলেন।
অতঃপর বিয়েটা হয়েই গেলো।
.
বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলাম।নিজেকে খুব পূর্ন মনে হচ্ছে।
হঠাৎ পিছন ফিরতেই দেখি একটা সাদা পোশাক পড়া ভুত,দুই হাত নাড়িয়ে ডান্স করছে।মুখ টা কালো, পাতিলের তলার মত।জিভ বের করে ভেংচি কাটছে আর ডান্স করছে।
আমার সারা শরীর কাটা দিয়ে উঠল। ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।
.
জ্ঞান ফিরতেই দেখি ইফতি আমার মুখের উপর উপুর হয়ে হাসছে।আমি উঠে বসলাম।
ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেছে।ইফতি হেসে বলল,কি রে ভিতু ঘোড়ার ডিম!
আমি ভয়ে কথা বলতে পারছি না।
ইফতি হা হা করে হেসে বলল,ভুত দেখছিস? আমাদের বাসায় কিন্তু ভুত আছে।
- হু,ভুত দেখছি।ও বাবা গো!
বাবা গো, মা গো বলে চেঁচিয়ে ইফতিকে জড়িয়ে ধরলাম।
চোখ মেলেই দেখি ইফতির পিছনে একটা সাদা কাপড় আর একটা কালো মুখোশ!
আমি চোখ বড় বড় করে তাকালাম।
ইফতি আমাকে ছেড়ে দিয়ে সেগুলো এক হাতে ধরে বলল,এইগুলা ভুতের ড্রেস।তাইনা?
আমি একবার ইফতির দিকে তাকাচ্ছি,আরেকবার পোশাক টার দিকে তাকাচ্ছি।
ইফতি বলল,ভুতের নাম কি জানো বউ? ভুত টার নাম হচ্ছে ইফতানা,ইফতির ফিমেল ভার্সন।
বলেই চোখ মাড়ল।
আমি রেগে দাত কটমট করে তাকালাম।
ইফতি বলল,এত রাগিস না।তুই রাগলে তোকে আরো কালো দেখায়।এমনি তেই তো ব্লাক বেংগল ছাগল,রাগলে একেবারে পাতিলের তলার মত লাগে।
আমি ভয়ানক রেগে ইফতির চুল টেনে ধরলাম।ইফতি চেঁচাতে লাগলো।
( চলবে...)

গল্প: ঠিকানা
পর্ব:০২
লেখা: মিশু মনি
.
ইফতির চুল টানতে গিয়ে হাতে অনেক চুল উঠে আসল।বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দিয়ে বললাম,
- এখন মাথায় কোনো আইডিয়া আসছে না।কিন্তু এর পেনাল্টি তোক আমি দিবো ই।
ইফতি দাত বের করে হেসে বলল,তোর ব্রেইনে মরিচা ধরেছে।এক মিনিট দাড়া।
কথাটা বলেই একটা চুইংগাম নিয়ে এসে আমার হাতে দিয়ে বলল,এটা চিবোতে থাক।মস্তিষ্ক সচল হবে আর ভালো ভালো আইডিয়া আসবে।
বলেই চোখ মাড়ল। আমি হাসবো  না রাগ করবো বুঝতে পারলাম না।চুইংগাম মুখে দিয়ে চিবোতে লাগলাম।
ইফতি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েছে।আমার রাগ কমে গেছে।ভাবলাম বিছানায় গিয়ে আমিও শুয়ে পড়ি।
কিন্তু সেটা আর হলোনা।বিছানাত কাছে যেতেই ইফতি বলল,থাম বলছি।বিছানায় উঠবি না।
- কেন?
- দাত ব্রাশ করে এসে শুবি।তোর মুখে বিশ্রী গন্ধ বলেছি না?
আমার আবারো রাগ উঠে গেলো। হনহন করে এগিয়ে এসে মুখ থেকে চুইংগাম টা বের করে ওর চুলে লাগিয়ে দিলাম।
এবার বুঝুক কেমন লাগে?
ইফতি চেঁচিয়ে বলল,এভাবে পেনাল্টি দিলি? ওকে,ইফতির ডাবল পেনাল্টি খাবি তুই।
- কি করবি শুনি?
- দেখতেই পাবি।মহিলা ফেরাউন কোথাকার।
- খবর দার,উলটা পাল্টা গালি দিবি না বলে দিচ্ছি।
- একশবার দিবো,
এরপর আরো কিছু বলতে গিয়েও কি যেন ভেবে ইফতি থেমে গেলো। মিষ্টি সুরে বলল,আচ্ছা বাদ দে এসব। আমরা তো স্বামী স্ত্রী তাইনা? আজ আমাদের বিয়ের রাত।আজকের রাতে ঝগড়া করাটা অশুভ।
আমি মুখ বাকা করে তাকিয়ে আছি।ওর কথায় এত মধু ঢালছে কেন? নিশ্চয় ই নতুন কোনো ফন্দি আটছে।
কিছু বললাম না।চুপচাপ গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
ইফতি বলল,ব্রাশ করলি না?
আমি অগ্নি দৃস্টিতে তাকাতেই আর কিছু বলল না।মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল।
.
বাকি রাত টা ঝগড়া ছাড়া ই সিনেম্যাটিক ভাবে কেটে গেলো।
.
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম।ইফতিকে ও জোর করে ডেকে তুলে নামাজ পড়তে বললাম।ও নামাজ আদায় করেই আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
.
নাস্তার টেবিলে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু সাজগোজ ঠিক আছে কিনা দেখছিলাম। ইফতি পিছনে দাঁড়িয়ে আমার পিঠে কি যেন করছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি করছিস?
- তোর পিঠে শাড়ি টা একটু কেমন ভাজ হয়ে গেছে।ঠিক করে দিচ্ছি।
- আচ্ছা,থ্যাংকু।
ইফতির দিকে তাকাতেই ও মিষ্টি করে হাসি দিলো। আমি বের হয়ে রান্নাঘরে চলে আসলাম।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে,সবাই আমাকে দেখে খিলখিল করে হাসছে।হাসির কারণ টা ঠিক বুঝতে পারছিনা।আমি তো আয়নায় নিজেকে দেখেই বের হলাম।তাহলে সমস্যা টা কোথায়?
অনেক্ষন ধরেই খেয়াল করলাম সবাই আমাকে দেখার পর মুখ টিপে হাসছে।সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে শ্বাশুরি মাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলাম।
উনি হেসে বললেন, তোমাকে কোনো কাজ করতে হবেনা।
- দিন না আন্টি আমি ও একটু করি?
- আন্টি না,মা বলবা।
- আচ্ছা বলবো কিন্তু একটু হেল্প করি আপনাকে?
- না,তুমি টেবিলে গিয়ে বসো।
এমন সময় ইফতির ভাবী এসে হাতে দুটো প্লেট নিয়ে বলল,মা এগুলা টেবিলে নিয়ে যাই?
আমিও উৎসুক হয়ে বললাম,ভাবী আমাকে দিন।
ভাবী হেসে বলল,তোমাকে কাজ করতে হবেনা।
ভাবীর হাসি দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।সবাই হাসছে কেন আমাকে দেখে? সন্দেহ জাগছে,নিশ্চয় ই ইফতি বাসায় কিছু একটা বলেছে।আমাকে জব্দ করতে তো ওর জুড়ি নেই।মুখ কাচুমাচু করে খাবার টেবিলে আসলাম।
আমার শ্বশুর মশাই হেসে বললেন, মিশু মা তোমাকে আমরা কোনো কাজ করতে দিবো না।
- কেন আব্বু?
উত্তরে আব্বু শুধু হাসলেন।আমার মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে।এ কেমন মুশকিলে পড়া গেলো!
ইফতি এসে খাবার টেবিলে আমার মুখোমুখি বসে পড়ল।আমি জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢালতে যাবো এমন সময় মা বললেন, আমি ঢেলে দিচ্ছি।
আমি একেবারে হতভম্ব!
কেউ আমাকে কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না।আবার হাসাহাসি ও করছে।ইফতির উপর রাগ গর্জে উঠছে।নিশ্চয় ই কোনো ঘাপলা আছে!
আমি ইফতির দিকে তাকালাম। ও একবার শয়তান মার্কা হাসি দিয়ে চোখ মাড়ল।
এবার আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, একটা গোল বাধিয়ে ফেলেছে ইফতি।কোনোমতে খাওয়া শেষ করে ভাবিকে ডেকে নিয়ে এসে কারণ জিজ্ঞেস করলাম।
উত্তরে ভাবি হেসে বলল,মিশু,তোমার পিঠে একটা কাগজ ঝুলছে।তাতে লেখা "আমি খুব অলস,দয়া করে আমাকে কেউ কোনো কাজের কথা বলবেন না"
বলেই ভাবী ফিক করে হেসে ফেললো। আমি তো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলাম।এত বড় পেনাল্টি দিয়ে দিলো!!
ভাবি কাগজ টা খুলে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,দুনিয়ায় এত ছেলে থাকতে এই বান্দর টার লেজে ঝুলে পরলা কেন?
আমি কিছু বললাম না।ভয়াবহ রাগ হচ্ছে।
ঘরে পায়চারি করতে করতে চিন্তা করতে লাগলাম কিভাবে এর বদলা নিবো?
কিছুতেই রাগ কমছে না।প্রতিবেশিরা নতুন বউকে দেখার জন্য এসেছে।তাদের সামনে পুতুল সেজে বসে আছি আর ভাবছি কিভাবে ওকে নাচানো যাবে!
মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি এসে গেলো।আজ বিকেলবেলা হবে আসল খেলা,কে কাকে কয়টা গোল দেয় সেটা ই দেখা যাবে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ইফতির মুখের অবস্থা কেমন হবে সেটা ভেবেই হাসি পাচ্ছে!
.
রুমে এসে দেখি ইফতি মশাই ছবি ইডিট করছে।
ওকে দেখে রাগে ফুঁসতে লাগলাম।
ইফতি বলল,কিরে লেডি কুত্তা।দেখছিস আর জ্বলছিস, লুচির মত ফুলছিস।ব্যাপার কি?
- হারামি,তোকে মজা দেখাবো।
- হি হি,কচু করবি তুই।মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
- কি বললি? আমি মোল্লা?
- মোল্লা হয় ছেলেরা।তুই হচ্ছিস ফিমেল মোল্লা।
- ইফু,ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি।
- খারাপ ও হবেনা।এখন চোখের সামনে থেকে দূর হ,কাজ করছি।

এই কথা শুনে রাগের মাত্রা আরো বেড়ে যাচ্ছে।কিন্তু আগের মত বাকযুদ্ধ ও করতে পারছি না,আবার ওকে জব্দ করতে ও পারছিনা।আগে এসব ব্যাপারে অনেক এক্সপার্ট ছিলাম।বিয়ের পর মগজে সত্যিই মরিচা ধরল না তো?
ইফতি আমার হাতে একটা চাটনি দিয়ে বলল,নে খা।
ইফতির প্রতি অনেক রাগ থাকলে ও চাটনির লোভ এড়ানো গেলো না।চাটনি টা নিয়েই মুখে দিলাম।কিন্তু মুখে লাগানোর সাথে সাথেই দুই ঠোট কেমন যেন জোড়া লেগে গেলো।কথা বলার চেষ্টা করেও বলতে পারছি না।মুখ খোলাই যাচ্ছেনা।চাটনি টার দিকে তাকিয়ে দেখি আঠা লাগানো!
সর্বনাশ!  আমার মুখ সেলাই করে দিলো আঠা দিয়ে! এবার কথা বলবো কি করে!
অগ্নিদৃস্টিতে তাকালাম ইফতির দিকে।
ইফতি বলল,কথা বলতে পারবি না।দেখবি আর জ্বলবি,লুচির মত ফুলবি।হা হা হা..
ইফতি হা হা করে হেসেই চলেছে।আমি এক ছুটে বাথরুমে এসে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেললাম।তবুও আঠা যাচ্ছেনা।সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়েছে কিনা কে জানে!
.
হতভম্ব হয়ে রুমে আসলাম। ইফতি আমাকে দেখে চোখ মাড়ল, দ্যাখ কেমন লাগে?
- চুপ থাক কুত্তা।
- তুই লেডি কুত্তা।আমার চুলের চুইংগাম এখনো ছারে নাই।বদলা নিবো না?
- সকালে আমার পিঠে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিলি কেন?
- যাতে আমার বউ টাকে দিয়ে কেউ কোনো কাজ করিয়ে না নেয়।
বলেই চোখ মাড়ল।আমাকে রীতিমত সবার চোখে হাসির পাত্র বানিয়ে দিয়েছে।এখন আবার ঢপ মাড়া হচ্ছে?
আজ বিকেলে তোকেও নাচাবো ইফতি।বুঝবি কত পানিতে কত জল!
( চলবে..)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ