āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3939 (1)

বিবাহ বিভ্রাট
পর্ব:০১
লেখা: মিশু মনি

- "লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া, মজনু গো আখি খোলো...... "
.
ঘুমের সময় কানের কাছে এই প্যানপ্যানানি কার ভাল্লাগে?
প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে তাকালাম। সাথে সাথে কয়েকশ শকুনের ডানা ঝাপটানি শুনতে পেলাম! একি! আমার সামনে সাদিয়া ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে আছে!
সাদিয়া আমার এক্স গার্ল ফ্রেন্ড। এক বছর আগে আমাদের ব্রেক আপ হয়ে গেছে।এক বছর আমাদের কোনোরকম যোগাযোগ হয়নি।দুদিন পর আমার বিয়ে।আর এই সময়ে সাদিয়া আমার বাসায় এসে হাজির!
ভাবতেই আমার পিলে চমকানো শুরু হয়ে গেল।এই মেয়ে কি জন্য হামলা করেছে আমার বাসায়? বিয়ের দাওয়াত খেতে নাকি আমাকে আজীবনের মত বিপত্নীক বানাতে?
আমি হা করে তাকিয়ে আছি।
সাদিয়া বলল,কি হয়েছে মিনার?  ভুত দেখার মত তাকিয়ে আছো কেন? তোমার লাইলি ফিরে এসেছে।
আমি ঢোক গিলে বললাম,কি চাও আমার কাছে?
- মিনার,আমি তোমার সাদিয়া।
- আমার সাদিয়া! কিভাবে হলে?
- গিলে খেয়ে ফেলবো একদম। ঢং করবা না বলে দিচ্ছি।
- আচ্ছা।কি জন্য এতদিন পরে? তাও আমার বাসায়?
- তোমার নাকি বিয়ে হচ্ছে? আমি বেচে থাকতে অন্য কাউকে বিয়ে করতে দিবো?  মগের মুল্লুক পাইছো?
আমার গলা শুকাতে শুরু করেছে।এই মেয়ে আমার বাসায় হয়ত উলটা পাল্টা কিছু বলেছে।বিয়ে তো দুরের কথা,বাপের হোটেল থেকে বিনা নোটিশে বের করে দেয় কি না কে জানে!
বললাম,এই এক বছর কই ছিলা? আজ আমার গায়ে হলুদ হবার কথা।
- গায়ে হলুদ ও হবে,বিয়েও হবে।কিন্তু সেটা আমার সাথে।
হায় হায়!  কি বলে এই মাইয়া! আমার হবু বউ রশ্মি শুনলে তো হার্ট এটাক করে মরবে।মেয়েটা অলরেডি আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ও দেখে ফেলেছে।এর মধ্যে এই বিভ্রাট আবার কোথ থেকে এসে হাজির!
আমার এতদিনের হেফাজতে রাখা ইজ্জত টা এইবার ধুলায় মিশে যাবে,বুঝতে পারছি।আব্বু যদি বাড়ি থেকে বের করে দেয়,কই আশ্রয় নিবো? হরেক রকমের টেনশন হানা দিচ্ছে।
সাদিয়া বলল,কি ভাবছ?
- তুমি আমার বিয়ের আগের দিন এসে হামলা করলা ক্যান?  আগে আসতে পারলা না?
- তোমার বিয়ের কথাটা তো কালই শুনলাম।
- এসেছ ভালো করেছ।এখন বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বিদেয় হও।
- ওই কুত্তা,কি বললি?
বাবাগো!  কি ভাষা!  আমার হাটু কাঁপুনি শুরু হয়ে গেল।সাদিয়া যে সাংঘাতিক মেয়ে,যা বলবে তাই করে ছাড়বে।না জানি কি অঘটন ঘটায়!
সাদিয়া বলল,ভালোবাসছ আমাকে আর বিয়া করবা অন্য মেয়েকে? এটা কি আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ পাইছো? 
সাদিয়ার কণ্ঠ কিছুক্ষনের মধ্যেই বারির সব রুমে পৌছে যাবে।তারপর কি যে হবে!
বললাম,সে তো এক বছর আগের কথা।
- এক বছর কথা হয়নি বলে ভেবেছ অন্য কাউকে বিয়া করবা? এই সাদিয়া সেটা হতে দেবে?
- এক বছর অনেক দীর্ঘ সময়।আমিতো তোমাকে প্রায় ভুলেই গেছিলাম।
- কিহ! হারামির বাচ্চা,আজ তোকেও বানাবো, তোর বাপকেও বানাবো।
- প্লিজ আস্তে কথা বলো।এইসব ল্যাংগুয়েজ ইউজ করিও না।আব্বু আমাকে কুত্তা পেটা করবে তাহলে।
- করুক।এক বছর কথা হয়নি বলে উনি অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে আর আমি বসে বসে হাত তালি দিবো?
- দোষ টা কার? তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছিলা ক্যান?
- আমি গেছি? ছাগল কোথাকার,আমি ছেড়ে গেছি? তুমিই তো হঠাত এভোয়েড করা শুরু করছিলা।
- সে জন্য ছেড়ে চলে যাবা?
- কই যাইনি তো। তুমি এভোয়েড করেছ,আমি রাগ করে এক বছর কথা বলিনি।এখন আসছি,আমায় বিয়ে করবা।
আমার গলা পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে।আর একটু শুকালে হয়ত পানির অভাবে জীবন টা অকালে চলে যাবে।বললাম,পানি খাবো।
- দাড়াও,এনে দিচ্ছি।
সাদিয়া দৌড়ে গিয়ে পানি এনে দিলো। পানি খেয়ে হাফাতে লাগলাম।
সাদিয়া বলল,ঘামছ কেন?
- তুমি কখন এসেছ?
- দেড় ঘণ্টা আগে।
- এতক্ষণ কি করলা?
- তোমার আম্মুর সেবা করছিলাম।
- সেরেছে রে,আব্বু তোমায় দেখেছে?
- জ্বি।বলেছে,তুমি নাস্তা খেয়ে বসে টিভি দেখো। সবাই ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করুক।তারপর বসে আলোচনা করবো
- সর্বনাশ!  আমার কপালে যে আজ কি আছে।
- গায়ে হলুদ আছে।
- সাদিয়া,রশ্নি খুব কষ্ট পাবে।
- রশ্নি কে?
- যার সাথে আমার বিয়ে।
- কিহ! এর জন্য এত দরদ? মাত্র এক সপ্তাহেই এত দরদ? আর আমার সাথে তিন বছরের সম্পর্ক,আমাকে ভালোবাসছ।আমি কিচ্ছু না? বানের জলে ভেসে আসছি আমি?
কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা।এই মেয়েটাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালবেসেছি আমি।ব্রেকাপের পর কয়েক মাস পাগলের মত হয়ে গিয়েছিলাম।সাদিয়া কে বিয়ে করতে পারলে আমার মত খুশি কেউ হবেনা।কিন্তু রশ্নি মেয়েটাও আমাকে অনেক ভালবাসে।কালকের পর যে আমার বউ হতে চলেছে,অনেক স্বপ্ন দেখেছে মেয়েটা।ও খুব কষ্ট পাবে।অন্যদিকে আব্বুর একটা সম্মান আছে।বিয়ের কার্ড পৌছে গেছে সকলের বাসায়।আত্মীয় স্বজন এসেছে অনেকে।মেয়ের বাবার ও একটা সম্মান আছে।তিনি আমার বাবাকে ছেড়ে দিয়ে কথা বলবেন না।আসন্ন বিপদের আশংকায় আমি টেনশনে কাপছি,ব্লাড প্রেশার বাড়ছে আমার।
সাদিয়া বলল,ওই রশ্নিকে আমি অতিবেগুনি রশ্নি বানিয়ে ফেলবো। আমার ভালবাসাকে কেড়ে নিবে? এই সাদিয়াকে তো চেনে না।হুহ।
আমি মুখ কাচুমাচু করে তাকিয়ে আছি।
( চলবে.....)

বিবাহ বিভ্রাট
পর্ব:০২
লেখা: মিশু মনি

আমি মুখ কাচুমাচু করে বসে আছি।
সাদিয়া আমার ঘরের সাজসজ্জা দেখছে।আর আমি অবাক হয়ে ওকে দেখছি।অনেক দীর্ঘ সময় পড়ে এই পরিবেশে,এভাবে ওর সাথে দেখা হবে এটা কল্পনাও করিনি।
সাদিয়া বলল,আচ্ছা মিনার তুমি উপরে ফিটফাট আর ভিতরে সদরঘাট কেন?
- তুমি আবার আমার ভিতরের কি দেখলা?
- এই যে রুমের কি অবস্থা করে রেখেছ।নিজে তো ফুলবাবু চাকচিক্য মণিমাণিক্য সেজে বেড়াও। আর রুমের এ কি দশা!
- আমি যে গোছাতে পারিনা।এ জন্যই তো বিয়ে করছি,
- বুঝেছি।তোমার আর এ বাড়ির কাজ করতে করতে আমি বুড়ি হয়ে যাবো।এত লোকজনের রান্না করতে করতে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে বাবাহ!
আমি অবাক হয়ে গেলাম।মেয়েটা এখনো বাচ্চা স্বভাবের ই আছে।আমার বিয়ে পরশুদিন, আর ও কি না নিজেকে এ বাড়ির বউ বানিয়ে বসে আছে।
- মিনার,
- হুম বলো।
- সব কিছু বাইরে বের করতে হবে।আমি নিজে আবার রুম টা সাজাবো। আর শোনো,বিছানার ঠিক উপরে তোমার আর আমার বাধাই করা বিশাল একটা ছবি রাখবো।
- তুমি কি ধরেই নিয়েছ আমার সাথে তোমার বিয়েটা হচ্ছে?
- তাহলে কি মশকরা করতেছি?
সাদিয়া রেগে গেল।
- দেখো দিয়া,আমার এংগেজ হয়ে গেছে।রশ্নির ফ্যামিলির একটা ব্যাপার আছে।
- এত রশ্নি রশ্নি করছ কেন হুম? কয়েকদিনেই এত দরদ আসলো কই থেকে?
- বিয়ে ঠিক হবার পর থেকেই আমরা ফোনে ফোনে প্রেম করছি।একসাথে শপিং,ঘুরাফেরা,অনেক সময় কাটিয়েছি।
- ওওও এই ব্যাপার!  ডেটিং করেছ বলে এখন এত ফিলিংস?
- দিয়া প্লিজ এটা ভেবো না।দায়িত্বের একটা ব্যাপার আছে।
- বাব্বাহ! এত দায়িত্ববান পুরুষ কবে হলে?
- দেখো, ওই বাড়িতে কয়েকবার গিয়েছি।ওনারা আমাকে জামাই আদর করেছে।
- ভালই হয়েছে।বিয়ের আগেই জামাই আদর পেয়েছ।সৌভাগ্যবান তুমি।আর রশ্নির ব্যাপার টা ভুলে যাও।ওরকম অনেক গার্ল ফ্রেন্ড ই জীবনে আসে।
- মানে কি? তুমিও তো গার্ল ফ্রেন্ড ছিলে।
- কুত্তা,তুই রশ্নির সাথে আমার কম্পেয়ার করছিস?
- আস্তে।
- ওকে ফাইন,আস্তে।কিন্তু ওর সাথে কম্পেয়ার করবা ক্যান?  আমাদের রিলেশন টাইম পাস টুইম পাস ছিলনা।আমরা একে অপরকে সত্যিকার ভালবাসতাম। আর রিয়েল লাভ এর কম্পেয়ার চলেনা বুঝলা?
- এগুলা কিন্তু লজিক না।
- তাই নাকি? তুমি যা বলবা সেইটা লজিক?  ওই রশ্নি তোমার বউ হবে সেইটাই উচিৎ?  আর আমি তুমি দুজনে ভিতরে ভিতরে পুড়ে কয়লা হয়ে যাবো।কয়লা থেকে আগুন ধরবে,সেটা? 
আমি সাদিয়া কে থামিয়ে দিয়ে বললাম,এতদিন পর অধিকার খাটাতে এসেছ? এতদিন কই ছিল তোমার ভালবাসা?
- দোষ টা তোমারই ছিল।কে বলছিল আমাকে এভোয়েড করতে?
- বাহ এখন আমার দোষ? আমি যখন বলতাম, ব্যস্ততার কারনে কথা বলতে পারছিনা তখন তো বিশ্বাস ই করতা না।ছেড়ে চলে গেলা।এখন আবার ক্যান? যত্তসব ফালতু....
এক নিশ্বাসে কথা গুলা অন্যদিকে তাকালাম।
সাদিয়া কাঁদছে।
কি যন্ত্রনায় পড়লাম রে বাবাহ! ও কাঁদলে তো সহ্য ও করতে পারিনা।
বললাম,আচ্ছা বাবা সরি।অনেকদিনের জমানো রাগ।তাই.... প্লিজ কেদোনা।
- হুম।আগে বলো ওই অতিবেগুনি রশ্নিকে ভুলে যাবা? এক্ষুনি ভুলে যাবা?
- এখুনি ভুলে যেতে হবে?
- হ্যা এখুনি।
- চেষ্টা করবো। এবার চোখ মুছো।
সাদিয়া চোখ মুছে বলল,তুমি এখনো কিছু খাওনি।ক্ষুধা লাগছে তাইনা? এই সিচুয়েশনে তো বাইরে গিয়ে খেতেও পারবে না।দাড়াও,আমি খাবার নিয়ে আসছি।
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সাদিয়া বেড়িয়ে গেল।
মেয়েটা পাগলী পাগলী।কি যে করবো বুঝতে পারছি না।একসময় এই মেয়েটাকেই প্রচণ্ড ভালবেসেছি।মনে প্রানে চেয়েছি ও আমার জীবনে ফিরে আসুক।আজ ও ফিরেছে,আমার তো খুব খুশি হওয়ার কথা।কিন্তু টেনশনে ব্লাড প্রেশার বাড়ছে।
আজ যদি রশ্নিকে বিয়ে করি,সাদিয়াকে অপমান করে ফিরিয়ে দেয়া হবে।আমি কখনোই আর নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।বাকি জীবন টা সাদিয়াকে ফিরিয়ে দেয়ার যন্ত্রনা তাড়া করে বেড়াবে আমাকে।অন্যদিকে যদি সাদিয়াকে গ্রহণ করি,রশ্নি আর ওর পরিবারের অভিশাপ লাগবে আমার জীবনে।ওরাও পারবে না আমাকে ক্ষমা করতে।
কি করা উচিৎ এখন আমার? যদি চুপ করে থাকি,আব্বু হয়ত সাদিয়াকে তাড়িয়ে দেবে।বাড়ির সকলেই রশ্নিকে পছন্দ করেছে।কেউই সাদিয়ার হয়ে কথা বলবে না,একমাত্র আমি ছাড়া।কিন্তু আমিও তো দোটানায় পড়ে গেছি।মনে হচ্ছে দু নৌকায় পা দিয়ে টলছি। কোন নৌকায় যাওয়া উচিৎ বুঝতে পারছি না।
সাদিয়া খাবার নিয়ে এসে সামনে বসল।
- এই, হা করো,খাইয়ে দিই..
আমি হা করলাম।ও মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে।
- মিনার,
- হুম,
- যদি তোমার বাবা আমাকে তাড়িয়ে দেয়?
- সেটাই ভাবছি।
- তুমি তো বলতে,আজীবন আমাকে আগলে রাখবা।বাসায় না মানলে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবা,
- সেটা এক বছর আগের কথা।এই বছরে আমার জীবন টা বদলে গেছে।
হঠাত সাদিয়া রেগে বলল,হারামির বাচ্চা হারামি।একাই খাচ্ছিস।আমি কাল থেকে না খেয়ে আছি,একবার খেতেও বলছে না।কুত্তা,
- এইগুলা কি ভাষা!  আব্বু শুনলে  আমাকে তক্তা বানাবে।
- বানাক,আমি তক্তায় ভেসে ভেসে অন্যদেশে চলে যাবো।
- এখন ফিল্ম করিও না।নিজেও খাও।আর এতক্ষণ ধরে আমার রুমে আছ,না জানি কি শনি আছে  আজ কপালে!
- খাও আগে,চলে যাবো এখুনি।
- বাসায় যাবা?
সাদিয়া ভয়ানক রেগে গেল- সবকিছু ছেড়ে চলে আসছি।
এমন সময় আম্মুর গলা শুনতে পেলাম - মিনার,সবাই ওয়েট করছে তোর জন্য।বাইরে আয়..
আমার হার্ট বিট লাফাতে শুরু করেছে।এত জোরে লাফাচ্ছে মনে হয় ফেটে যাবে।
সাদিয়া বলল,কি বলবা যদি ডিসিশন নিতে বলে?
- জানিনা...
সাদিয়া খাবারের প্লেট রেখে এগিয়ে এসে দুহাতে আমার গলা চেপে ধরল।এমন ভাবে ধরল যেন আরেকটু হলেই জিভ টা একহাত বাইরে বেড়িয়ে আসবে।এমন সময়ে ছেড়ে দিলো।
আমি কাশি শুরু করে দিলাম।
সাদিয়া বলল,আরও বলবা জানো না?
আমি যে গলাচিপা খাইছি,এক সপ্তাহ আর গলা দিয়ে মেয়বি কথাই বের হবেনা।
- শোনো,আংকেল কে বলেছি আমরা একে অপরকে ভালবাসি।
- সর্বনাশ!  ( মনে মনে)
- বলেছি,আমি আর এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।
- খুব ভালো বলেছ।বাশ নিশ্চিত। ( মনে মনে)
- বলেছি,যদি মেনে না নেন আমরা বাড়ি ছেড়ে দূরে গিয়ে ঘর বাধবো।
এইবার চেঁচিয়ে উথলাম,কি বললা? আব্বু আজই আমাকে বাড়ি থেকে ঘার ধরে বের করে দিবে।
আম্মুউউউউ.... কই তুমি? আমারে বাচাও...
.
সবাই বসে আছে।আমি একাই দারিয়ে।আসামী হয়েছি,বসার যোগ্যতা নেই।কিন্তু কে বিচারক সেটা ঠিক বুঝতে পারছি না।
আব্বু বলল,সাদিয়া বলো কি বলতে চাও?
সাদিয়া দেড়ি না করেই শুরু করল,আমি ও মিনার একে অপরকে প্রচণ্ড ভালবাসি। আমাদের মাঝে ঝগড়া হয়েছিল বলে কিছুদিন যোগাযোগ ছিলনা।কিন্তু আমরা অন্য কাউকে বিয়ে করলে কখনোই সুখী হবোনা।মিনার হয়ত হবে।কিন্তু আমি ওকে ছাড়া অন্য কাউকে গ্রহণ করতে পারবো না।
আমি অবাক হয়ে শুনছি।সাদিয়ার স্পষ্ট জবান।এবার আমার জবান নেয়া হবে।আমি নিজেও জানিনা কি বলবো? 
আব্বু আমার দিকে তাকাল।আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।আজ হয়ত এখানেই আমার অক্কা হয়ে যাবে।আমি কি বলবো ভেবেই পাচ্ছিনা।
টেনশনে কাঠ হয়ে যাচ্ছিলাম।কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে আব্বু বলল,বিয়ে সাদিয়ার সাথেই হবে।
আমি চমকে উঠলাম। নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছি না!
সকলে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আব্বু বলল,কোনো অঘটন ঘটালে সম্মান থাকত না।কেউ জানেনা কিছু।বিয়েটা সাদিয়ার সাথেই হবে।কিন্তু শর্ত আছে।
আমি ভয়ে ভয়ে তাকালাম আব্বুর দিকে।আবার কি শর্ত?
আব্বু বলল,কালকের মধ্যেই ছেলে জোগার করে দিতে হবে মিনার কে।রশ্নির বিয়েটা তার সাথেই হবে।অবশ্যই যোগ্যতাসম্পন্ন ছেলে।যদি জোগার করে দিতে না পারে,তাহলে মিনার ই রশ্নিকে বিয়ে করবে।আর যদি কোনোরকম পালানোর মত কাজ করে,তাহলে পিতা পুত্র সম্পর্ক এখানেই শেষ।
.
আমি হা করে তাকিয়ে আছি! একদিনেই পাত্র কোথায় পাবো আমি?
সাদিয়া হঠাত এসে এ কোন বিভ্রাট সৃস্টি করলো...??
( চলবে...)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ