এই প্রথম আব্বু আমার গায়ের উপরে হাত
তুলেছে। তাও আবার একটি মেয়ের কারনে।
মনে হচ্ছিল মাটি ফেটে যদি দু'ভাগ হত আমি নীচে
চলে যেতাম।
কখনো ভাবিনি একটা মেয়ের জন্য আমাকে আজ
বাবার সামনে এই ভাবে উপস্থিত হতে হবে। আমি
মাথা নীচু করে দাড়িয়ে ছিলাম, আব্বু আবার
বলতেছে তুই আমার চোখের সামনে থেকে
এখন যা। বেরিয়ে এলাম মাথা নীচু করে।
.
আমি ফারজানাকে ভালবাসি, বড্ড বেশী ভালবাসি। তাই
রোজ দাড়িয়ে থাকতাম পথে, ফারজানাকে এক নজর
দেখার জন্য। সকাল সাতটায় ফারজানা প্রাইভেট
পড়তে যেত, আমি সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে
অপেক্ষা করতাম। ফারজানা আসলে ওর পিছন পিছন
যেতাম। ফারজানা খুব ভাল করেই জানত আমি একমাত্র
তার জন্যই পিছু নিতাম। প্রতিদিন একটি ছেলে রাস্তায়
দাড়িয়ে থেকে একটি মেয়ের জন্য অপেক্ষা
করে, আবার তারই পেছন পেছন সারা রাস্তা কেন
হেটে যায় সেটা একটি মেয়ে ভাল করেই বুঝে।
তবুও কখনো কিছু বলতনা। আমিও কিছুতেই ভালবাসি
কথাটা বলতে পারিনি।
.
এক বুক সাহস নিয়ে পথ আগলে দাড়িয়েছি। ফারজানা
থমকে দাড়িয়েছে..
--- কি ব্যাপার পথ আগলে দাড়ালেন কেন?
--- ফারজানা আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।
--- কি বলবেন আপনি আমি ভাল করেই জানি। এটা
সম্ভবনা
--- কেন সম্ভবনা?
--- সে কৈফিয়ত তো আমি আপনাকে দিবনা
--- না বললে আমি জানব কি করে আমার অপরাধ কি?
--- আপনাকে আমার পছন্দনা
--- কেন পছন্দনা?
--- দেখুন, পথ ছাড়ুন। আমি পড়তে যাব।
বলেই ফারজানা হাটা শুরু করল। আমি পেছন পেছন
যাচ্ছি দেখে ফারজানা কিছু দূর গিয়ে আবার পিছন
ফিরে দাড়িয়ে বলতেছে,
--- আপনার সমস্যা কি?
--- ভালবাসি
--- বললামতো সম্ভবনা।
--- কিন্তু কেন?
--- আপনি একটা ভাদাইম্মা। লেখাপড়াও করেননা, কাজ
কর্মও কিছু করেননা।
--- ফারজানা, পড়ালেখা আমাকে দিয়ে হবেনা। আমার
মাথায় কিছুই ঢুকেনা। তুমি আমাকে একবার ভালবেসে
দেখো আমি কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের
দোকানে বসব।
--- বললামতো আপনাকে আমার পছন্দনা। যাকে
ভালবাসব তাকে যদি পছন্দ না হয়, যাকে জীবন
সঙ্গী করব তাকে যদি ভাল না লাগে তাহলে আমি কি
করব?
--- কেন পছন্দ হয়না? আমি কালো বলে? চেহারা
দিয়ে সবকিছু হয়না ফারজানা।
--- তাহলে আপনিও কালো চেহারার কাউকে
ভালবাসুন, আমার পিছনে লাগলেন কেন? দেখুন,
রাস্তার মধ্যে কোন ঝামেলা করবেননা, তাহলে
আপনার বাড়িতে আমি বিচার দিব।
.
আজ সকালে যখন আবার দাড়িয়ে ছিলাম তখন ফারজানা
আসছিল। ওর পিছনে আমাদের এলাকারই রাকিব
আসতেছে আর কি যেন বলতেছে। বুঝাই
যাচ্ছে ফারজানা বিরক্ত হচ্ছে, মাথায় রক্ত ওঠে
গেল। আমি গিয়ে রাকিবের শার্টেল কালারে ধরছি,
--- তুই ফারজানাকে কি বলছস?
--- যা খুশি বলছি, তোর সমস্যা কি?
--- আমার সমস্যা কি মানে? তুই জানোসনা আমি
ফারজানাকে ভালবাসি?
--- এহ, তোরে তো কোন পাত্তাই দেয়না।
কুকুরের মত পিছন পিছন গেলেই ভালবাসা হয় নাকি?
আর সহ্য হয়নি, শুরু করলাম কিল ঘুষি। ফারজানাও দাড়িয়ে
ছিল। এলাকার দুইজন এসে আমাদের মারামারি থেকে
আলাদা করে জানতে চাইল কি হইছে?
আমার আগে রাকিব বলতেছে, "রাতুইল্লায় ফারজানার
পিছন পিছন কুত্তার মত ঘুরে, পিছন পিছন সারা রাস্তা যায়,
আর আমি বাসা থেকে এই পর্যন্ত আসাতে আমাকে
মারতেছে আর বলতেছে ফারজানা নাকি তার
ভালবাসা।"
যেভাবেই হোক ঝগড়া মীমাংসা হল, তবে বিপত্তি
দেখা দিল ফারজানা তার বাবাকে নিয়ে আব্বুর কাছে
বিচার দিয়ে গেল আমি ফারজানাকে রাস্তা ঘাটে বিরক্ত
করি। রাস্তা ঘাটে মানুষের সামনে ভালবাসি বলে
চিল্লাই, আমার জন্য কি পড়া লেখা ছেড়ে দিতে
হবে নাকি? এলাকায় ওদের কোন মান সম্মান নেই?
আব্বু আমাকে ডেকে এনে ফারজানা আর তার বাবার
সামনেই মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে পিটাল। খুব ব্যাথা
লাগছিল, তবুও চুপ করে ছিলাম। সত্যিই আমি অপরাধী,
বড্ড বেশী অপরাধ করে ফেলেছি।
.
মাসখানেকের মত হবে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত
ছেড়ে দিয়েছি। ফারজানা যেন আমাকে আর
দেখতে না পারে সেভাবেই চলাফেরা করি। যে
রাস্তা ছিল আমার নিত্য সঙ্গী, সে রাস্তাটা বড্ড
বেশী অসহ্য লাগে এখন। মাথার মধ্যে একটা
জিনিসই ঘুরপাক খেত যে ফারজানা আমাকে
ভালবাসেনা, কেন তাকে প্রতিদিন বিরক্ত করব?
জোর করেতো আর ভালবাসা সম্ভবনা।
.
সিয়ামকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছি।
জরুরী প্রয়োজনে রিক্সাও পাওয়া যায়না। সিয়াম
ফারজানার আপন ছোট ভাই। একটু আগে একটা সি এন
জি এসে সিয়ামকে ধাক্কা মেরে রাস্তার নীচে
ফেলে দিয়ে ধাক্কা মেরে চলে গেল। মাথা
ফেটে গেছে, গাল আর ঠোটও কেটে
গেছে, কনুই ছিলে গেছে।
অবশেষে রিক্সা পেয়ে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট
জেলা হাসপাতালে উপস্থিত হলাম। ডাক্তারনা চিকিৎসা শুরু
করল।
একটু পরে ডাক্তার বেরিয়ে জানিয়ে গেল তারাতারি
এক ব্যাগ বি নেগেটিভ রক্ত জোগাড় করার জন্য।
মাথাটা গরম হয়ে গেল, আমার রক্তের গ্রুপ "ও"
পজেটিভ। এই মূহূর্তে আমি কি করব? ফারজানার বাবা
এখনও হাসপাতালে আসেনি। ফোন নাম্বারও নেই, কি
যে করি।
হঠাৎ মনে পড়ল টুটুলের রক্তের গ্রুপতো বি
নেগেটিভ। তারাতারি ফোন দিলাম, আমার বিশ্বাস টুটুল
আমার কথা ফেলতে পারবেনা।
.
ফারজানার বাবা এসে হাসপাতালে উপস্থিত, সাথে ফারজানা
আর তার মা। ফারজানার বাবা এসে আমার হাত ধরলেন,
--- বাবা রাতুল আমার ছেলে কোথায়? কেমন
আছে সে?
--- আঙ্কেল আপনি উত্তেজিত হবেননা, সে ভাল
আছে।
ডাক্তার বের হল, সাথে টুটুলও...
--- আঙ্কেল, সিয়ামের জন্য রক্ত প্রয়োজন ছিল,
টুটুল দিছে।
এই কথা শুনে সিয়ামের বাবা টুটুলের সাথে
কোলাকোলি করল। এটা ওটা বলতেছে, তারপর
টুটুল আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফিরে এল।
আমার বারবার মনে হচ্ছিল ফারজানা মনে হয় আমাকে
আড়চোখে দেখছে। তবুও ঐদিকে তাকানোর
বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ করলামনা। যতক্ষন ছিলাম,
ইচ্ছে করে ফারজানার দিকে তাকাইনি।
.
বাড়িতে ফেরার সাথে সাথে আব্বু আম্মু জানতে
চেয়েছে সিয়ামের কি অবস্থা। বিষয়টা জানার বাকি
রইলনা যে আমি যে সিয়ামকে হাসপাতাল নিয়ে গেছি,
এটা মোটামোটি এলাকার সবাই জানে।
পরের দিন ফারজানার মা, বাবা আর ফারজানা আমাদের
বাড়িতে উপস্থিত। কেন এসেছে সেটা জানারও
বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে
পড়লাম। এমন একটা ভাব করলাম যে আমার বিশাল কাজ
পড়ে আছে, জরুরী যাওয়া দরকার। ফারজানার সামনে
দাড়িয়ে থাকাটা ভাল লাগবেনা, তাই বেরিয়ে
পড়েছিলাম।
পরে অবশ্য রাতের বেলা আম্মুর কাছে জানতে
পেরেছি, আমার প্রশংসা করতে আর একটু সৌজন্য
দেখাতে এসেছিল।
.
আমি আজ দুদিন হল আব্বুর সাথে দোকানে বসি।
আব্বুর সাথে বললে ভুল হবে, আব্বু বসে
মনিহারী পট্টীর দোকানটায় আর আমি কাপড়ের
দোকানে। নরসিংদী বাজারে আমাদের একটি
প্রাইকারী মনিহার সামগ্রীর দোকান, আরেকটা
কাপড়ের দোকান।
আমি দোকানে বসাতে আব্বু আম্মু অনেক খুশি।
অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম, কয়দিন আর
ভাদাইম্মা থাকব? আমি থাকতে শুধু কর্মচারী দিয়ে
দোকান চলবে এটা কেমন।
.
ফারজানা বাবাকে ঘন ঘন আব্বুর সাথে এদিক সেদিক
যেতে দেখতাম। আর ফারজানার মাকে প্রায়ই
আমাদের বাড়িতে আসতে দেখতাম। এখন মনে
হচ্ছে শুধু ওনাদের ছেলে সিয়ামকে একটু
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারনে ওনারা এমন মিশতে
চাচ্ছে আমাদের সাথে। অথচ কিছুদিন আগেও আমি
ছিলাম তাদের দুই চোখের বিষ।
তবুও এর পিছনে যে অন্য কোন কারনও থাকতে
পারে তেমন সন্দেহ ছিল। তবে ঘটনা এভাবে প্যাঁচ
খাবে ভাবিনি। আব্বু হঠাৎ একদিন সকালে বলতেছে,
"তুমি বাবুরহাট কাপড় আনতে যাবা বিকালে, এখন
দোকানে যেতে হবেনা। অারেকটা কথা,
ফারজানাকে আমারও পছন্দ। তোমার মাও চায় ফারজানা
আমাদের পুত্রবধূ হয়ে আসুক। তাই ফারজানার বাবাকে
পাকা কথা দিয়ে দিছি। সামনের মাসে যে কোন একটা
ভাল দিন দেখে বিয়ের আয়োজন করব।
মানষিকভাবে প্রস্তুতি নাও। "
বাবার সামনে দাড়িয়ে কিছু বলার সাহস নেই আমার, তাই
মায়ের কাছে বললাম,
--- আম্মু আমি এই বিয়ে করতে পারবনা।
--- কি বলতেছিস উল্টাপাল্টা?
---আম্মু আমি ঠিকই বলছি। যদি তোমরা জোর করো
তাহলে আমি আর বাড়িতেই আসবনা, দূরে কোথাও
চলে যাব।
--- কিন্তু কেন? যে ফারজানার জন্য এতকিছু করলি,
আজ তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছিস
কেন?
---আম্মু তুমি ওসব বুঝবানা, তুমি শুধু আব্বুকে বলে
দিও, আমি এই বিয়ে করতে পারবনা।
বলেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছি। কিছুটা কষ্ট
লাগতেছে, যাকে ভালবাসি তাকে বিয়ে করবনা বলে
দিলাম। তবে আমি মনে করি আমার সিদ্ধান্ত সঠিক।
কারন জোর করেতো আর ভালবাসা পাওয়া যায়না।
আমার স্পষ্ট মনে আছে ফারজানা বলেছিল,
আমাকে ভালবাসা তার পক্ষে সম্ভবনা। আমাকে তার
পছন্দ নয়। আজ হয়তো ফারজানা তার বাবার কথায়
বিয়েতে রাজী হবে, তবে আমাকে তো আর
ফারজানা ভালবাসবেনা। তাই না করে দিয়েছি, করবনা এই
বিয়ে।
.
ফারজানাদের বাড়িতে বসে আছি। আব্বুকে আমি
প্রচুর ভয় পাই, আব্বু আম্মু বড় চাচা, দুই মামা আর মামী
সাথে এসেছে আমার। আজকে নাকি বিয়ের দিন
তারিখ ঠিক করবে। আমাকে সিয়ামের সাথে খেলা
করতে পাশের রুমে পাঠানো হয়েছে।
মুরব্বীরা কথা বলবে, তাই নাকি আমাকে সামনে থাকা
যাবেনা। আমি কি করব বুঝতে পারতেছিনা, এদিক
সেদিক পায়চারী করতেছি। সিয়াম বসে আছে,
বসে থাকুক। আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে খেলা
করব? নিজের চিন্তায়ই ভাল লাগতেছেনা।
.
ফারজানা এল সিয়ামের রুমে, আমি অন্যদিকে তাকিয়ে
আছি। কি বলব বুঝে ওঠতে পারছিনা। হঠাৎ বলেই
ফেললাম,
--- কিছু একটা করো, আজ কিন্তু বিয়ের দিন তারিখ পাকা
করবে, বিয়ে কিন্তু আজ হবেনা। আমি কিন্তু এই
বিয়ে করবনা।
--- মানে কি? ওখানে বিয়ের কথা পাকা হচ্ছে আর
আপনি এসব কি বলছেন?
--- ঠিকই বলছি
--- কিন্তু কেন?
--- এমনি?
---আপনি না আমাকে ভালবাসেন?
---তো?
--- তো মানে? ভালবাসেন তাহলে বিয়ে করবেননা
কেন?
--- তুমিতো আর আমাকে ভালবাসনা।
কিছুক্ষন নীরব থেকে আমার দিকে আসল
ফারজানা, তারপর আবার বলতে শুরু করল,
--- আপনি কেমন প্রেমিক? আপনি যাকে ভালবাসেন
তার চোখের ভাষাও বুঝেননা সে আপনাকে
ভালবাসে কিনা?
--- সাত মাস হয়ে গেছে তোমার দিকে তাকাইনা,
চোখের ভাষা বুঝব কি করে? সাত মাস আগে তুমি
পড়তে যেতে আর আমি পিছন পিছন যেতাম,
তোমার পিছনের দিকে নিশ্চয় আর চোখ নেই।
যেদিন তোমাকে ভালবাসার কথা জানাইলাম সেদিন
নীচের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলাম। আর তুমিতো
আমাকে বলেই দিয়েছো আমি ভাদাইম্মা, আমাকে
তোমার পছন্দ নয়, আমাকে ভালবাসা তোমার
পক্ষে সম্ভব নয়।
--- শেষ হয়েছে আপনার কথা? এবার কি আমি কিছু
বলব?
--- হ্যাঁ বলো
--- আমি বলেছি আপনি ভাদাইম্মা, আপনাকে আমার
পছন্দ নয়। কেন বলেছি? ভাদাইম্মা ছিলেন
বলেইতো বলেছি। আমি মনে করেছি আপনি
আমার কথা শুনে জিদ করে যে কোন কাজে
লেগে যাবেন। অলস মস্তৃষ্ক শয়তানের বড় ভাই,
আমি চেয়েছিলাম আপনি কাজ করুন তবুও আড্ডায়
যেন না মিশেন।যাকে ভালবাসি তার এইটুকু চাইতেই
পারি।
--- হা হা
--- হাসলেন যে?
--- তুমি আমাকে ভালবাসো সেই কথা শুনে
--- আপনার কি মনে হচ্ছে আমি মিথ্যে বলতেছি?
--- তাহলে আমাদের বাড়িতে আমার নামে বিচার
দিয়েছিলে কেন?
--- আব্বু আমাকে নিয়ে গিয়েছিল, আপনাকে মারামারি
করা থেকে যে দুইজন ফিরিয়েছিল তারা এসে বাবার
কাছে সব বলেছে, তারপর বাবা আমাকে নিয়ে
গিয়েছিল আপনাদের বাড়িতে। ঐদিন আপনাকে
আপনার আব্বু মারছিল, মনে হচ্ছিল আমার শরীরে
মারতেছে। আমি বাড়িতে এসে অনেক কান্না করছি।
আপনি সেই রাস্তাই ছেড়ে দিলেন, হাসপাতালে
দেখে আমি প্রায় সারাক্ষনই আপনার দিকে তাকিয়ে
ছিলাম, আপনি একবার ফিরেও তাকাননি।
--- সত্যি ভালবাসো আমায়?
---তাকান আমার দিকে, আমার চোখের দিকে তাকান।
চোখ কখনো মিথ্যে বলেনা।
ঘুরে তাকালাম ফারজানার দিকে, ছল ছল করা ঐ
চোখের দিকে, মনে হচ্ছে এখনি কেঁদে
দিবে। আমি আরেকটু কাছে গিয়ে বললাম,
--- সারাটি জীবন ভালবাসবেতো?
এবার ফারজানা সত্যি সত্যি কেঁদে দিল। আমার বুকে
মাথা আর মুখ লুকিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতেছে,
আপনারা ছেলেরা কখনো বুঝবেননা
মেয়েদের। আমরা মুখে বলতে পারিনা, তাই
বলেকি আমরা ভালবাসিনা? না বলা কথাগুলো বুঝে
নিতে পারেননা?
কান্না করার সময় কাউকে জড়িয়ে ধরে কান্না করলে
মনে হয় কেঁদেও সুখ পাওয়া যায়। এবার আমিও
ফারজানাকে জড়িয়ে ধরেছি, তবে আমি কাঁদছিনা,
আনন্দে আপ্লুতো হয়েছি। বিয়েটা আর না করে
পারলামনা। তবে চিন্তা করতেছি কয়দিন আর না বলা কথা
বুঝে নিব, মাঝে মাঝেতো ইচ্ছে হয় শুনতে,
ভালবাসিগো তোমায়, বড্ড বেশী ভালবাসি।
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ