রহস্যময় মন্দির
পর্ব -৪
মঞ্জুরুল করিম
ফাহিম,,, দীপুর বুকে হাত দিয়ে বললো,,,, তার শ্বাস-প্রশ্বাস এখনো চলছে।তার মানে সে হয়তো বেঁচে আছে। সবাই দীপুকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই পিছন থেকে কার যেনো অট্টহাসি শুনা যাচ্ছে। কিন্তু,,, পিছনে ফিরে কে হাসছে??? সেটা দেখার কারো সাহস হয়না। তাছাড়া দীপুকে এই মূহুর্তে বাড়িতে না নিয়ে গেলে তাকে হয়তো বাঁচানো যাবে না।
তাই পিছনে কে হাসছে তা আর সে রাতে দেখা হয়নি। বাড়িতে এসে দীপুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু দীপু তখনও বেহুঁশ। তার শরীরে যখম খুব বেশি। সারা শরীরে বড় বড় নখের আচড় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।কিসের আঁচড় এগুলা?? বুঝা মুশকিল। সবাই ভাবতেছে দীপু নিশ্চয় ভূতের কবলে পড়েছে,,,,কিন্তু,, ফাহিমের ভাবনা অন্যরকম এটা কোন বন্য জীবজন্তুর আক্রমণেও হতে পারে।তবে দীপু কেনো বন্য জীব জন্তুর কবলে পড়বে??? এর কোন উত্তর কারো জানা নেই।
কিছুক্ষণের মধ্যে দীপুর জ্ঞান ফিরে আসে।কিন্তু সে পুরোপুরিভাবে কথা বলতে পারতেছেনা। তার প্রচুর বিশ্রাম দরকার।
ভোর হবার কিছুক্ষণ আগে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। তবে আজ সকাল ৯ টা বেজে গেলো কিন্তু "অর্ণব " আজ নাস্তা নিয়ে আসছে না। অন্যান্য দিন অর্ণব খুব সকালেই নাস্তা নিয়ে হাজির হতো কিন্তু আজ তার কোন খবর নেই। ফাহিম,,,,রুম থেকে বেরিয়ে আসে। সে সরাসরি অর্নবের রুমে চলে যায়।
অর্ণবের "মা" কাঁদতেছেন । অর্ণব নাকি হারিয়ে গেছে,,,, গতরাত থেকে তার কোন খুঁজ নেই।ফাহিম,, কিছুটা শংকিত হয়। অর্ণব তাদের সাথে ছিলোনা বা মন্দিরের রহস্য উদঘাটনে অর্ণবের কোন হাত নেই। কিন্তু,, অর্ণবকে কেউ কেনো নিখোঁজ করবে?? নাকি অর্ণব নিজে নিখোঁজ হবার অভিনয় করতেছে???
এসব কিছুই ফাহিমের মাথায় আসেনা। এবার সে তাদের রুমে চলে আসে। সকলের সাথে "অর্ণব " এর নিখোঁজ হবার ঘটনা শেয়ার করে। কেউই এই কথায় বিশ্বাস করেনি। কারণ,,, কিছুক্ষণ আগে দীপু ঘুম থেকে উঠেছে।সে সেদিন রাতের ঘটনা সবাইকে খুলে বলেছে,,,
"" সেদিন রাতে বাকি সবাই যখন মন্দিরের ভিতরে যাবার ছোট রাস্তা নিয়ে ব্যস্ত তখন দীপু নাকি "অর্ণব "কে দেখতে পায়। অর্ণব লুকিয়ে লুকিয়ে কার সাথে যেনো কথা বলতেছে,,,,দীপু এসব কথার কিছুই শুনতে পায়নি। তবে হঠাৎ করে অর্ণব,,, দীপুকে দেখে ফেলে। তাকে কাছে ডেকে নেয়,,,,, দীপু অর্ণবের কাছে গেলে কে যেনো তাকে পিছন দিক দিয়ে মাথায় আগাত করে,,,, তারপর সে অজ্ঞান হয়ে যায়। যখন দীপুর জ্ঞান ফিরে তখন সে নিজেকে একটা ছোট্ট ঘরে বন্দি হিসেবে দেখতে পায়। কিছুক্ষণ পরে সেই ঘরের আলো নিভে হয়ে যায়। ঘরটি পুরো অন্ধকার ঠিক তখনি কেউ তার উপর লাটি আর চিকন লোহা দিয়ে আঘাত করতে থাকে আর জোরে জোরে হাসতে থাকে। তার পর সে বেহুঁশ হয়ে যায় আর আজই তার জ্ঞান ফিরেছে।"""
দীপুর পুরো কাহিনীটি শুনে সকলের মনেই অর্নবকে নিয়ে সন্দেহ জাগে। তাহলে কি এই" মন্দির রহস্যে " অর্নবের হাত আছে??? কিন্তু,, অর্নব একা এসব কিছুই করতে পারবে না। নিশ্চয় তার কোন সহযোগী আছে।
সারাটা দিন সবাই দীপুর সেবা করতে থাকে,, যার ফলে দীপু খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠে। তবে তার পুরো সুস্থ হতে আরো কয়েকদিন লাগবে।।
রাতে দীপুকে বাড়িতে রেখে সবাই চলে যায় সেই মন্দিরের দিকে। এবার মন্দিরের ভিতরে কি আছে তা তারা দেখেই ছাড়বে। কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই চলে যায় মন্দিরের পিছনে। আজ রাতে খুব বেশি অন্ধকার,,, কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে আন্দাজ করা যাচ্ছে অনেক কিছু। সুফিয়ান তার টর্চ লাইটটা আনতে ভুলে গেছে। এত অন্ধকার রাতে মোবাইলের আলোই শেষ সম্বল তাদের।
সবাই সেই ছোট্ট রাস্তা অনুসরণ করে মন্দিরের দিকে আস্তে আস্তে এগুচ্ছে। কারোর মুখে কোন কথা নেই। ফাহিম আস্তে করে সবাইকে সচেতন ও সিরিয়াস থাকতে বলে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই ছোট্ট রাস্তাটির শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে সকলে। মন্দিরের পিছনে থাকা বড় বটগাছের নিচ দিয়ে রাস্তাটি সোজা মন্দিরের ভিতরে গিয়ে শেষ হয়েছে।
বটগাছের নিচ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটা অনেকটা গুহার মতোন। যেমনটা আদিম কালের গোহা হতো,,,,,গোহা সম্পর্কে অনেকগুলা কাহিনী পড়েছে,, ফাহিম,, এই গুহাটাও সেই কাহিনী গুলার মতোন। অদ্ভুত রকমের অন্ধকার পুরো গুহায়।মোবাইলের আলোয় সবাই এগুতে থাকে। গুহার শেষ প্রান্তে এসে সকলেই মন্দিরে প্রবেশ করে।
মন্দিরটি পুরোনু আমলের হলেও এর কারুকাজ অনেক উন্নত। যে কারোরই মন কাড়ার মতো সৌন্দর্য্যে এই মন্দিরের। মন্দিরটি যদি সেকালে নির্মাণ না করে একালে নির্মাণ করা হতো তাহলে অনেক টাকা খরচ হতো নিশ্চয়,,,কিন্তু এসব চিন্তা করার মতো সময় নেই তাদের কাছে।
সবাই আস্তে আস্তে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করলো। এবার তারা মন্দিরের ভিতরেই ঢুকে গেলো,, একেকটা কক্ষ নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলো সবাই। অনেকদিন যাবত মন্দিরটি বন্ধ থাকায় পুরো মন্দিরটি ধুলোবালি জমে একাকার হয়ে গেছে। সমস্ত মন্দিরটি ঘুরে তেমন রহস্যময় কিছুই দেখতে পেলোনা তারা। তবে মন্দিরের একটা কক্ষ বেশ পরিষ্কার করে রাখা। এই কক্ষটি দেখলে বুঝা যায় না এই মন্দিরটি এতদিন ধরে বন্ধ ছিলো।
সবাই যখন মন্দিরের সাজানো কক্ষে বসে আলোচনা করতেছে ঠিক তখনই সেই কক্ষের বাহিরে কারো আওয়াজ শুনা যায়। সকলে আস্তে আস্তে বাহিরে চোখ রাখে। তবে তারা সবাই যে ভিতরে এই খবর কেউ জানেনা হয়তো।
বাহিরে দাঁডিয়ে কথা বলতেছে,,, "অর্ণব, সেলিম শেখ, এবং তাদের সাথে আরোও একজন লোক। " তৃতীয় ব্যক্তিটির মুখটা ঢাকা থাকায় কেউই তার মুখ স্পষ্ট দেখতে পায়নি। কিছুক্ষণ কথা বলার পর অর্ণব আর সেলিম শেখ চলে যায় কিন্তু এই তৃতীয় ব্যক্তিটি মন্দিরের ভিতরেই রয়ে যায়।
সবাই তখনো লুকিয়ে লুকিয়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে অনুসরণ করছিল তখন তৃতীয় ব্যক্তিটি মন্দিরের ভিতরের দিকে আসতে লাগলো,,,, এই লোকটিই মনে হয় এই রুমে থাকে। সকলে এই রুম থেকে বের হয়ে অন্য একটি রুমে গিয়ে ঢুকে। লোকটি ভিতরে আসার সময় নিজের মুখের মুখোশটি আস্তে আস্তে খুলতে লাগলো,,, এবার লোকটার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
এই লোকটাই হচ্ছে গ্রামের পাগলা "রহিম মিয়া"। যে কিছুদিন আগে মারা গিয়েছিল এবং তার লাশ মন্দিরের সামনে পাওয়া গিয়েছিল। এলাকাবাসী নিজ হাতে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেছিল। এই মৃত "রহিম মিয়া" মন্দিরের ভিতরে কিভাবে এলো?? কেনোইবা এলো???এসব রহস্যের সমাধান কারোর জানা নেই।
(চলবে)
রহস্যময় মন্দির
পর্ব-৫ (শেষ পর্ব)
মঞ্জুরুল করিম
রহিম মিয়া,,, মন্দিরের সেই সাজানো-গোছানো কক্ষে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন। এদিকে "ফহিম" সহ বাকি সবাই ভয়ে হিসু করে দেবার মতো অবস্থা। কারো মুখে কোন কথা নেই।সবাই মৃত রহিম মিয়ার ফিরে আসা নিয়ে চিন্তিত। সেদিন রাতে সবাই মন্দির থেকে বাড়িতে ফিরে আসে।
দীপু তখনো ঘুমুচ্ছে। রাত প্রায় ৩টা বাজে। যদিও এখন সবার প্রচুর ঘুমের দরকার কিন্তু ভয়ে কারোরই ঘুম আসছেনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফজরের আযান শুনা যায়। এবার সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।
ভোরে সবার আগে দীপুর ঘুম ভাঙে। কারণ গতরাতে দীপু মন্দিরে ছিলনা। এবার সে সবাইকে জাগিয়ে তুলে। ফাহিমের কাছ থেকে দীপু গতরাতের সব কাহিনী শুনতে পায়। "অর্ণব "গত রাতে মন্দিরে ছিল,,, তার মানে অর্ণব নিখোঁজ হয়নি সে নিখোঁজ হবার নাটক করছিল এতদিন ধরে। কিন্তু,,, অর্ণবের মা কেনো সবাইকে বলে বেড়াচ্ছেন অর্ণব নিখোঁজ?? তাহলে কি অর্ণবের "মা",,তার ছেলের নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন??? কিন্তু,,, তিনি কেনো এমন করবেন???এর কোন জবাব নেই কারো কাছে।
সারাটা দিন সবার খুবই চিন্তায় আর শংকায় কাঠলো। কারোর মনে এই রহস্যের কোন সমাধান নেই। বিষয়টা আস্তে আস্তে কেমন যেনো ঘোলাটে আর জগাখিচুড়ি হয়ে যাচ্ছে।
ফাহিম,,সকলের নিরবতা ভেঙে দিয়ে বলতে আরম্ভ করে,,,,
""এই মন্দিরটা হচ্ছে অনেক পুরনো মন্দির। বলতে গেলে ২০০-৩০০ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময়ের আগের তৈরী এই মন্দিরটি। যার মানে এটা দাঁড়ায় এটা কোন সাধারণ মন্দির নয়।তাছাড়া এর কারুকার্য ও ভিতরের স্থাপনা গুলো হচ্ছে অনেক পৌরাণিক। এই পুরো মন্দিরটি হচ্ছে একটি অতুলনীয় শিল্পের সমারোহ।যার মানে এটা দাঁড়ায় যে,,, এটা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। আর কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও এটা সরকারের বাজেয়াপ্ত করে নেয়ার কথা কিন্তু সেটা হয়নি।
কেউ একজন আছে যে,,,চাচ্ছে এই মন্দিরটি সকলের অগোচরে থাকুক বা এই মন্দিরের কথা যেনো বাহিরে ফাঁস না হয়ে যায় অথবা এই মন্দির নিয়ে সকলের ধারণা এমন হোক যেনো সবাই ভাবে এই মন্দিরটি ভৌতিক। কিন্তু কে হতে পারে এই ব্যক্তি??? এর কোন জবাব কারো কাছে নেই।
তবে ফাহিম ,,, "অর্ণবের" লেখা সেই ডায়েরিটা আবার খুলে দেখে,,,,,প্রথম থেকে ডায়েরিটা আবার পড়তে শুরু করে।পুরো ডায়েরিটা নতুন করে পড়ার পর ফাহিমের ধারণা পুরো বদলে গেলো। এই ডায়েরিটায় ৩টা মৃত্যুর কথা উল্লেখ ছিলো। অর্ণবের,,, পিতামহের পিতা,,, পিতামহ এবং তার কাকা মন্দির ঘটিত কারণে মারা গিয়েছিলেন।আর ডায়েরির শেষ পৃষ্টায় অর্নবের সুইসাইড নোটটাও কেমন জানি অন্যরকম লাগে,,,,,
পুরো ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এবার দীপু তার গ্রামের নতুন বন্ধু অভি আর জাভেদের সাহায্য নেয়। অভি জানিয়ে দেয় যে এই মন্দির ঘটিত কারণে অর্নবের পরিবারের কেউই মৃত্যুবরণ করেনি।তাদের সকলেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল।
ফাহিম নিজেই এইবার দুটানায় পড়ে যায়।তার মানে অর্ণব তাকে গ্রামে নিয়ে আসার জন্যই এই মিথ্যা ডায়েরি লিখেছিল। পুরো ব্যাপারটি এবার সকলের চোখের সামনে চলে আসলো।তবে মন্দিরটা যে রহস্যময় সেটা সত্য। এই মন্দিরটিই এলাকার সকলের ভয়ের কারণ তাইতো এতদিন থেকে মন্দিরটি পরিত্যক্ত।তবে মন্দিরের রহস্য কোন ভৌতিকতা নয় এগুলো মানুষের সৃষ্টি।
সবাই ঠিক করে যে আজ রাতেই তারা আবার মন্দিরে যাবে এবং সব রহস্যের সমাধান করে ছাড়বে। আর এই গ্রামের সবাইকে মন্দিরের মিথ্যে অভিশাপ থেকে রক্ষা করবে।
রাতে সকলে মিলে মন্দিরের ভিতরে চলে যায় আর এবার সঙে নেয় অভি আর জাভেদকে। গতকাল রাতের গুহার মধ্যে দিয়ে মন্দিরের ভিতরে চলে আসে। আজ ভিতরে কেউ নেই। সবাই ছোট্ট একটা রুমে ঢুকে অর্ণবদের আসার অপেক্ষা করে।
কিছুক্ষণের মধ্যে অর্ণব,, রহিম মিয়া আর সেলিম শেখ মন্দিরের ভিতরে এসে পৌঁছায়।তারা সবাই এসেই মন্দিরের উত্তর পাশে খুঁড়াখুড়ি আরম্ভ করে। আস্তে আস্তে অনেক টুকু জায়গা খুঁড়ে ফেলে তারা। তার পর ভিতর থেকে পুরণো আমলের বিভিন্ন জিনিস পত্র বের করতে থাকে। মাটির হাড়ি,,,মুকুট,, পাতিলের কলস এই রকম অনেক গুলা জিনিস তারা বের করে।
সকলেই বুঝতে পারে যে,,,, এইগুলা গুপ্তধন। এবার ফাহিম,,,সহ সবাই বাহিরে বেরিয়ে আসে। সকলে মিলে,,, রহিম মিয়া,,, সেলিম শেখ আর অর্ণবকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
তিনজনকে বেঁধে মন্দিরের সাজানো কক্ষে নিয়ে আসা হয়। এবার " অর্ণব " তার দোষ স্বীকার করে তাদের পুরো প্লান সবাইকে বলতে শুরু করে,,,
"" মন্দিরটি অর্নবদের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। কয়েকদিন আগে এই জঙগল পরিষ্কার করতে গিয়ে এলাকার সবাই এই মন্দিরটি আবিষ্কার করে। কিন্তু,,, অর্ণব, রহিম মিয়া আর সেলিম শেখ এই মন্দিরটি নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়াতে তাকে। তারা এলাকার সবাইকে বলে দেয় যে,, এই মন্দিরটি ভৌতিক আর যে এই মন্দির নিয়ে চর্চা করবে তার মৃত্যু হবে। তাই রহিম মিয়া মিথ্যে মৃত্যুর অভিনয় করেছিল সেদিন।তাদের এই মিথ্যে গুজবে এলাকার কেউই মন্দিরের আশেপাশেও আসেনি। আর এর সুবিধা নিয়ে তারা তিনজন মন্দিরের ভিতরের জিনিসপত্র লুটতে থাকে। আর মন্দির নিয়ে সব রহস্য অর্ণবের সাজানো নাটক ছিলো। ""
এবার তানভির প্রশ্নকরে,,,, তাহলে তুই মিথ্যে ডায়েরি লিখে আমাদের গ্রামে নিয়ে আসলি কেনো?
অর্ণব,, জবাব দেয়,,, আমি ভেবেছিলাম এই মন্দিরের রহস্য উদঘাটন করতে তোমরা নিশ্চয় আসবে,,, তবে তোমরা এতজন আসবে সেটা ভাবিনি। আমার ধারণা ছিল তোমরা ২/৩জন আসবে আর তোরা যখন মন্দিরে যাবে তখন আমরা তোদের খুন করে তোরা ভূতের হাতে খুন হয়েছিস বলে চালিয়ে দিতাম,,যাতে করে এলাকার সবাই আরো বেশি ভয় পেতো। কিন্তু তোমরা ৬/৭ জন হওয়ায় আমাদের পক্ষে খুন বা কোন ক্ষতি করা সম্ভব হয়নি।
এবার ফাহিম,,, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তাদের সকলের প্রাণে রক্ষা হয়েছে। ভোর হতেই ফাহিমরা,,,, অর্ণব,, সেলিম শেখ আর রহিম মিয়ার মুখোশ সমস্ত এলাকার সামনে উন্মোচন করে দেয়। আর তাদেরকে স্থানীয় থানায় সমর্পণ করা হয়।
কিছুদিনের মধ্যে সেই মন্দিরটি সরকারের অধীনস্ত হয়ে যায় আর সেটাকে একটা "জাদুঘরে" পরিবর্তন করা হয়।
ফাহিম,,,তানভির,,,ইশান,,সুফিয়ান,,ও দীপু সহ সকলেই শহরে ফিরে আসে এবং এই মন্দির রহস্য উন্মোচন করার জন্য তাদের সকলকে সরকারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও প্রত্যেককে ২০ হাজার করে পুরষ্কার দেওয়া হয়।(সমাপ্ত)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ