āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3933 (2)

সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে
পর্ব:০৩
লেখা: মিশু মনি
.
সিফাত চেঁচাতে চেঁচাতে বলল,পড়ে গিয়ে মরে গেলাম গো বাবা..
তনিমা ঘোমটা তুলে বলল,না না মরবেন না প্লিজ।আপনি মরলে আমাকে ও বেহুলার মত ভেলায় ভাসিয়ে দেয়া হবে।
সিফাত রাগবে না হাসবে বুঝতে পারল না।অনেক চেষ্টায় উঠে এসে বিছানায় বসলো।
কিছুক্ষণ ধরে চুপচাপ থাকার পর তনিমা বলল,আমি কতক্ষণ এভাবে বসে থাকবো?  ঘোমটা খুলে আমাকে দেখুন।
সিফাতের মেজাজ একটু ভালো হয়েছে।হেসে বলল,যদি না দেখি?
- না দেখলে এত ময়দা মাখালেন কেন? ময়দা দিতে দিতে সিউজি কাকুর দোকানের ময়দা গুলাই শেষ করে ফেলেছি প্রায়।
- হা হা হা।ভারি মজার কথা জানো তো।
তনিমা হেসে উত্তর দিলো, আমি আর পুতুল হয়ে থাকতে পারছি না।এবার আমার মুখ দেখে আমাকে উদ্ধার করুন।গয়না গুলা খুলে রাখবো।
সিফাত এবার আস্তে আস্তে ঘোমটা সরালো।যে মুখ টা দেখতে পাচ্ছে,তা যেন কোনো স্বর্গ থেকে নেমে আসা পরি।মেয়ে দেখতে গিয়ে সে এই মেয়েটাকেই দেখেছে এটা মনেই হচ্ছে না।
সিফাত অবাক হয়ে বলল,কয়েকদিনেই নিজেকে বেশ চেঞ্জ করে ফেলেছ দেখছি।
তনিমা মাথা নিচু করে আছে।সিফাত একটু এগিয়ে এসে বলল,কি মিষ্টি আমার বউ টা!
তনিমা লজ্জায় নীল হয়ে বলল,আপনার মত বিখ্যাত মানুষের বউ হতে পেরেছি এটা তো আমার জন্য সৌভাগ্য।
- আমাকে এত আপনি আপনি বলবা না।তুমি করে বলবা,আর সিফ বলে ডাকবা।আমি তোমাকে তনি বলে ডাকবো কেমন?
- আচ্ছা,
- কাল কিন্তু স্পেশাল দেখানো চাই।অনেক গেস্ট আসবেন, আমার কলিগ,আর্টিস্ট, আর কিছু actor actress রাও আসবেন।
তনিমা অবাক হয়ে বলল,অভিনেতা অভিনেত্রী!
- হ্যা।সিয়াম,অগ্নিলা,তৌসিফ, শাওন গানওয়ালা আরও অনেকেই আসবেন।
তনিমা বিস্ময়ের ঘোরে বলল,খুব মজা হবে।
- হুম এবার ঘুমাবো।
- সে কি! ঘুমাবেন মানে,বিড়াল মারবেন না?
বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে সিফাত একদম থ!
কিছু না বলে শুধু মিষ্টি করে হাসলো।
.
বাসর রাত নিয়ে সিফাতের যত পরিকল্পনা ছিল তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি সুন্দর কাটল রাত টা!
প্রথম রাতেই তনিমার প্রতি অনেক মায়া বেড়ে গেলো সিফাতের।
.
পরদিন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই তনিমা গোসল সেরে নামাজ পড়ে নিলো। তারপর কোরআন তেলাওয়াত শুরু করলো। তনিমার মিষ্টি কণ্ঠ শুনে সিফাতের ঘুম ভেঙে গেল।অনেক সুরেলা কণ্ঠে খুব যত্ন করে কোরআন তেলাওয়াত করছে সে! বাংলা তরজমা ও উচ্চারণ করছে খুব স্পষ্টভাবে।সিফাত মুগ্ধ হয়ে শুনছে।
তনিমা কিছুক্ষণ তেলাওয়াত করার পর উঠে গিয়ে নিজের লাগেজের কাছে কি যেন করছে।সিফাত চোখ বুজে আছে।
কিছুক্ষণ পর চোখ মেলে দেখল তনিমা আয়নার সামনে বসে সাজগোজ করছে।
সিফাত সেদিকে তাকিয়ে আছে।তনিমা হঠাত উঠে এসে সিফাতের দিকে ঝুকে পড়ে বলল,বিয়ের আমেজ টা শেষ হয়ে যাক তারপর তোমাকে বানাবো।
সিফাত চমকে উঠল। তনিমা ততক্ষনাত আবার আয়নার সামনে এসে বসল।
সিফাত মনে মনে ভাবছে,তনিমা তো ওখানে।তাহলে কি আমি স্বপ্ন দেখলাম!  ও আমাকে বানাবে বলল যে।তনিমা কখনো এটা বলতেই পারেনা।ও একদম সাদা সিধা একটা মেয়ে,সিফাত কে খুব ভয় পায়।তাহলে নিশ্চয় ই সিফাত স্বপ্ন দেখেছে।
এটা ভেবে সিফাত হাসল,তারপর বলল,তনি..
- হ্যা বলো।
- আজ থাইল্যান্ড থেকে একজন বিউটিশিয়ান আসবেন তোমাকে সাজাতে।
- সে কি! থাইল্যান্ড!
- be no wonder. তুমি কার বউ জানো না?
- জানি।আমি Rj সিফাত এর বউ।
- আমি শুধু Rj নই মহারানী, আমি ফিল্মে ও কাজ করি।আমি একজন ডিরেক্টর।
- হুম সেটা ও জানি।আমি অনেক বড় মানুষের বউ।
- by the way,আজ বৌভাত।অনেক সম্মানিত গেস্ট আসবেন। নিজে এটিচিউট নিয়ে চলবা।কথা বলার সময় ভেবে বলবা।ওকে?
- আচ্ছা।
তনিমা মনে মনে বলল,তা তো অবশ্যই।কিন্তু তোমাকে কিভাবে নাচাই সেটা দেখো।
সিফাত বলল,চা নিয়ে আসো। আজ রুমেই চা খাবো।
বলেই সিফাত ওয়াশরুমে চলে গেল।তনিমা ব্যাগ থেকে ম্যাজিক বল নামক দুই টা ছোট ছোট বল বের করলো। তারপর রান্না ঘরের দিকে ছুটল।
শাহানা চৌধুরি চা বানিয়ে দিলেন।তনিমা বুদ্ধি করে শ্বাশুরি কে রান্নাঘরের বাইরে টেনে এনে বলল,মা আমি কিন্তু আপনাদের বাড়ির নিয়ম কানুন কিছু জানিনা।আমার খুব ভয় হচ্ছে।
শাহানা অভয় দিয়ে বললেন, ভয়ের কিছু নাই মা।আমিতো তোমার মায়ের মত।যখন যা মনে আসবে আমাকে জিজ্ঞেস করবা।
- আচ্ছা।যাই এবার চা নিয়ে যাই।
এরপর তনিমা রান্নাঘরে ঢুকে চায়ের কাপ দুটো নিয়ে নিজের রুমে আসলো।একটা চায়ের কাপে একটা বল ছেরে দিয়ে চা টা সিফাতের জন্য রাখল।
সিফাত চায়ে চুমুক দিয়ে বলল,তনি তুমি চা বানাতে পারো?
- হ্যা পারি।
- কেমন বানাও আমি জানিনা।মম এর কাছ থেকে শিখে নিবা।
কথা টা বলার পর চায়ে আরেকবার চুমুক দিতেই বল টা মুখে চলে আসল।সিফাত কুলি করে বল সুদ্ধ চা ফেলে দিলো। তারপর রেগে উঠে গিয়ে বল টা কুড়িয়ে নিলো।
তনিমার ততক্ষনে প্রায় চা খাওয়া শেষ, তনিমা চুপ করে নিজের কাপে ও একটা বল ছেরে দিলো।
তারপর এগিয়ে এসে বলল,কি হইছে? চা দিয়ে কুলি করলা যে?
সিফাত রেগে বলল,এই বল চায়ের কাপে কিভাবে আসল?
- তনিমা বল টা হাতে নিয়ে অবাক হয়ে বলল,ওমা! এটা তো ম্যাজিক বল? আপনারা কি ম্যাজিক চা খান?
- ম্যাজিক চা মানে?
- ম্যাজিক বল দিয়ে যে চা সেটা ই হচ্ছে ম্যাজিক চা।আমার কাপে ও একটা বল দেখলাম।
- কাপে বল আসল কি করে?
- সেটা তো জানিনা।আমার কাপে ও বল আছে।এই দেখুন,আমিতো ভেবেছিলাম এটা কোনো বিদেশি মসলা,আপনারা চায়ে দিয়ে খান।কিন্তু হাতে নিয়ে দেখছি এটা ম্যাজিক বল।আপনারা ম্যাজিক চা খান?
সিফাতের রাগ উঠল ভীষন।ম্যাজিক চা মানে?
সিফাত প্রচণ্ড বেগে বাইরে এসে মম মম বলে ডাকতে লাগল।
শাহানা এসে বললেন, কি হইছে বাবা?
- মম এটা কি?
শাহানা বল টা দেখে বললেন, কি এটা?  বল মনে হচ্ছে।
- হ্যা এটার নাম ম্যাজিক বল।এটা কি করে চায়ে আসল?
শাহানা অবাক হয়ে বললেন, চায়ে ছিল! আমি নিজের হাতে চা বানিয়েছি।নিজের হাতে ছাকনী দিয়ে কাপে ঢেলেছি।
সিফাত রেগে বলল,তাহলে চায়ে বল কেন? শুধু আমার টা নয়,তনিমার কাপে ও বল পাওয়া গেছে।
শাহানা অবাক হয়ে গেছে।বল কিভাবে চায়ে আসবে! সে অনেক সচেতন ভাবে রান্না করে।
সিফাত বলল,তুমি কি চা ঢালার পর রান্নাঘরের বাইরে গিয়াছিলা?
- হ্যা।তনিমার সাথে কথা বলছিলাম বাইরে এসে।
সিফাত ভয়ানক রেগে বলল,বুঝেছি মম।এটা আমার শয়তান কাজিন দের কাজ।আমাদের চায়ে বল রেখে দিয়েছে।
- ওরা কেন রাখবে?
- ওই লেডি কুত্তারা কাল বলেছে,আমার বউ ওদের চেয়ে সুন্দরী এটা ভালো হল না।এটা ওদের কাজ মম আমি শিউর।লেডি কুত্তারা কাল আমার রুমেও কলার খোসা ফেলে রেখেছিল।দুবার চিতপটাং হইছি ওদের জন্য।
শাহানা হেসে বললেন, রাগিস না বাবা।ওরা ছেলেমানুষ। দুষ্টুমি করবেই।সবাইকে নিষেধ করে দিবো। ভাবিস না তুই।
সিফাত রাগে গজরাতে গজরাতে নিজের রুমে আসলো।
তনিমা অবুঝ মেয়েদের মত চুপচাপ হা করে দেখছে।যেন সে কিছুই বুঝতে পারছে না।
সিফাতকে আরেকটু ক্ষেপানোর জন্য বলল,তোমার কাজিন রা এমন কেন গো?  কাল যদি তোমার কোমড় টাই ভেঙে যেত,তবে কি দশা হত।
- ওরা বান্দরের হাডডি।রাবিশ গুলারে নিয়া আর পারিনা।ম্যাজিক চা খাওয়ায় আমাদের। তনি তুমি কষ্ট পেও না প্লিজ।ওদের হয়ে আমি তোমায় সরি বলছি।
- কি যে বলো,আমি কষ্ট পাইনি।
বলেই মুচকি মুচকি হাসল আর মনে মনে বলল,শয়তানি করলাম আমি আর মিস্টার Rj আমার কাছেই সরি বলছে।এর মত মজার ব্যাপার আর কি হতে পারে! ভেবো না Rj সিফাত,সবাই জানবে রমণী অনেক গুণবতী। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে তেলাপোকা ডান্স করাবো আমি।তুমি ঘণ্টু ও টের পাবা না।আজ সারাদিনে আরও কত দৌড়ানি অপেক্ষা করছে তোমার জন্য সেটা ভাবতে ও পারবা না।শুধু দেখো আর নাচো।
( চলবে...)

সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে
পর্ব:০৪
লেখা: মিশু মনি
.
সিফাতের মনে এমন একটা ধারনা জন্মেছে যে,তনিমা মেয়েটা খুব সহজ সরল, কম বোঝে,ছেলেমানুষ ধরনের একটি মেয়ে।এই বিশ্বাসের সুযোগ টাই তনিমা খুব সুক্ষ্মতার সাথে কাজে লাগাচ্ছে।তনিমার কোনো অপরাধ ই সিফাতের নজরে আসবে না,কারন সিফাত জানে তনিমা খুব ভদ্র একটি মেয়ে।আর মেয়েটি তাকে অনেক ভালবাসে,সিফাতের সাথে বিয়ে না হলে সে আজীবন কুমারী থাকত!
.
সিফাত তনিমাকে একটা লাগেজ দেখিয়ে দিয়ে বলল,এখান থেকে কিছু জিনিস বের করতে হবে।খুলে দেখো তো কি কি আছে?
তনিমা অনেক চেষ্টা করেও লাগেজ খুলতে পারল না।এরকম লাগেজ সে কখনো দেখেনি।কিভাবে খুলতে হয় তাও জানেনা।কথা টা সিফাতকে বলতেই সিফাত রেগে বলল,সাধে কি বলছি তোমার ব্রেইন হচ্ছে হাজারিবাগের drain.সামান্য একটা লাগেজ খুলতে পারোনা।শুধু কি খেতে পারো?
তনিমা মুখ কালো করে বলল,আমি কখনো এমন লাগেজ দেখিনি।
- তা দেখবা কেন? থাকো তো গ্রামে।ওই ভিলেজে থেকে কিই বা জানবা? knowledge এর কোঠায় ঘোড়ায় ডিম পেরেছে রেখেছে।
তনিমা কিছু বলল না।সিফাত নিজে লাগেজ খুলে একটা প্যাকেট বের করলো।
তনিমা চুপচাপ তাকিয়ে আছে।সিফাত প্যাকেট খুলে একটা জিন্স প্যান্ট বের করে তনিমার হাতে দিলো। তারপর একটা আকাশী রঙ এর টি শার্ট তনিমার হাতে দিয়ে বলল, এগুলা বাথরুমে রেখে আসো। আমি গোসল করতে যাবো।
তনিমা মন খারাপ করে সেগুলা নিয়ে বাথরুমের দিকে যাচ্ছিল।সিফাত রেগে বলল,এই গাধি মেয়ে।বলছি না গোসলে যাবো।তোয়ালে কে নিয়ে যাবে? বুঝেছি,তোমাকে শিক্ষা দিতে হবে।ব্রেইন ওয়াশ করতে হবে তোমার।
তনিমার খুব রাগ হচ্ছে।এভাবে অপমান করবে কেন? ভুল হলে সেটা শিখিয়ে দিলেই পারে।অযথা বকাঝকা করে।
বাথরুমে গিয়েই তনিমার মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসল।আজ আবার তোমাকে আছাড় খাওয়াবো।আমাকে এত অপমান!  বদলা না নিলে আমার ভাত হজম হবেনা।
.
ভাবামাত্রই তনিমা বাথরুমের মেঝেতে সাবান ঘষে ঘষে মেঝে পিচ্ছিল করে দিলো। এইবার Rj সিফাত বুঝবে মজা!
.
তনিমা রুমে আসতেই সিফাত বলল,এখানে কিছু জামাকাপড় আছে।আলমারিতে গুছিয়ে রাখো। আমি গোসল করে আসি।
- আচ্ছা।
সিফাত বাথরুমে যাচ্ছে।তনিমা মনে মনে ব্যাকুল হয়ে উঠল কখন ওর পড়ে যাওয়ার চিৎকার শুনতে পাবে।
.
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলোনা।সিফাত দরজা বন্ধ করে এক পা দিতেই ধপাস করে আছাড় খেয়ে পড়ে গেলো।
তনিমা হেসেই গড়াগড়ি দিতে লাগল।বুঝুক মজা Rj সিফাত।আমাকে গাধি বলেছে না? কেমন লাগে?
সিফাত উঠে গায়ে সাবান মাখতে মাখতে চেঁচিয়ে বলতে লাগল,বাসার কোনো গেস্ট যেন আমার বাথরুমে না আসে।কে কে যে গোসল করে যায় জানিনা।মেঝে টা পিচ্ছিল হয়ে আছে।অল্পের জন্যে কোমড় টাই ভাঙল না।
তনিমা মুখ লুকিয়ে হাসছে।কেমন লাগে আছাড় খেতে!
.
সিফাত গোসল থেকে বেড়িয়ে এসে বলল,এই মেয়ে,মাথায় কি বুদ্ধি সুদ্ধি নাই নাকি?
তনিমা অবাক হয়ে তাকাল।
সিফাত বলল,শার্ট প্যান্ট দিয়ে এসেছ আর ছোট প্যান্ট কে দিয়ে আসবে? তোমার নানী?
তনিমা লজ্জা পেয়ে হেসে বলল,মনে ছিল না।
- হু,কি মনে থাকে শুনি? সিফাত চৌধুরির বউ কিন্তু যেমন তেমন হওয়া চলবে না।সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে।বুঝলে?
তনিমা মাথা নেড়ে বলল,হ্যা বুঝেছি।
- শুধু মেয়ে নয়,রমণী হওয়ার চেষ্টা করো।
- আচ্ছা।
- be smart.
কথা টা বলেই সিফাত দরজা অব্দি গেল।তারপর ফিরে এসে তনিমার হাত ধরে বলল,চলো একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো।
.
তনিমা মনে মনে ভাবছে,এই ছেলেটা যতই রাগী আর মুড নিয়ে চলুক খুব সুন্দর একটা মন আছে।বউয়ের ব্যাপারে খুব সচেতন।একে কি কষ্ট দেয়া ঠিক হবে?
তনিমার ভাবনা শেষ না হতেই সিফাত বলল,চুল গুলাও বাধতে জানো না? গাইয়া মেয়ে নিয়ে হয়েছে মুশকিল।আজ যে বিউটিশিয়ান আসবে,তাকে থেকে যেতে বলবা।কাল কিছু টিপস নিবা তার কাছে।আর কিছু হেয়ার স্টাইল শিখে নিবা।
তনিমা বলল,এত কিছু জানেন কিভাবে আপনি?
- তাহলে কি তোমার মত অঘারাম হবো?
তনিমার আবারো রাগ হচ্ছে।নাহ,একে মজা দেখাতে না পারলে শান্তি নেই।জ্বালাতেই হবে।
.
খাওয়ার পর অনেকক্ষণ সিফাতকে দেখা গেল না।
দুপুরেই বিউটিশিয়ান চলে এসেছে।সে তনিমাকে সাজাতে ব্যস্ত।তনিমার সাজগোজ শেষ হওয়ার পর ও সিফাতের সামনে এসে দাড়াল।
সিফাত অবাক হয়ে বলল,এই না হলে সিফাতের বউ? বাহ,দারুণ লাগছে।আমি পুরাই ফিদা।
তনিমা হেসে বলল,আপনি তৈরি হয়ে নিন।গেস্ট রা চলে আসছেন তো।
তনিমার কথা শুনে সিফাত ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে ঢুকল।
সিফাত যে পোশাক টা পড়বে, সেই পোশাকে খুব সুন্দর ভাবে তনিমা বিলাই চিমটি লাগিয়ে দিলো। আজ সকলের সামনে Rj সিফাত Dj ডান্স দেখাবে।হা হা হা..
.
সিফাত এসে কিছুক্ষণ সাজগোজ করল। তারপর পোশাক টা পড়ে বাইরে আসলো।
.
সকলেই তনিমাকে ঘিরে কথা বলছে।মেয়েটিকে সবার ই পছন্দ হয়েছে।
সিফাতকে দেখে তনিমা লাজুক হাসি দিলো। সিফাত ও হাসির জবাবে হাসি দিলো ঠিক ই কিন্তু তখন ই শুরু হয়ে গেছে তার চুলকানি।
সিফাত কখনো পিঠে চুলকাচ্ছে তো কখনো বুকে,কখনো হাতে চুলকাচ্ছে আবার কখনো পেটে।একবার বাম কাত হয়ে চুলকাচ্ছে,একবার ডান কাত হয়ে চুলকাচ্ছে।সারা শরীরে চুলকানি আর জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।সিফাত এদিক ওদিক দুলে দুলে কাত হয়ে গা চুলকাচ্ছে।
তনিমার হাসি আর দেখে কে! তবে কেউ ওর হাসি দেখে অবাক হলোনা।কারন উপস্থিত সকলেই তখন অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে।
সিফাত লাফালাফি করছে আর শরীর চুলকাচ্ছে।বাড়িশুদ্ধ হাসির শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছে না।
তনিমা ভাবল,অনেক মজা হয়েছে।এবার ওকে বাচাই নয়ত বেচারার বেশি কষ্ট হবে।
তনিমা ছুটে এসে বলল,সিফ কি হইছে তোমার? এমন করছ কেন?
- তনি, খুব গা চুলকাচ্ছে।
- চুলকে দিবো?
- প্লিজ কিছু করো,মরে যাচ্ছি।
.
তনিমা সিফাতকে টেনে নিয়ে বাথরুমে গেল।তারপর বলল,এবার শাওয়ার নাও।গা ঘষে ঘষে গোসল করো।তারপর চুলকানি থামলে বাইরে এসে আরেকটা পাঞ্জাবী পড়ে নিও।
- কিন্তু কেন চুলকাচ্ছে?
- সেটা পড়ে গবেষণা করিও।আগে চুলকানি থামাও।
.
সিফাত বাথরুমের দরজা লাগিয়ে দিলো। তনিমা হেসেই কুটিকুটি।
( চলবে...)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ