āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3902 (2)

#পুতুলের_মৃত্যু
পর্ব - ০৪

লেখকঃ মনজুরুল করিম

পাগল খালেদকে  সবার সামনে প্রকাশ করে না দীপুরা। এই পাগলটা যে হারিয়ে যাওয়া খালেদ তা কেউই বুঝতে পারেনা। তবে মাঝে মধ্যে "দীপুর" মনে সন্দেহ হয় যে,,,খালেদ পাগল,, নাকি পাগলের অভিনয় করতেছে???

বিকেলে আবার " অহনার" সাথে দেখা হয় তার।  অহনাকে আজ কেমন জানি অন্যরকম দেখাচ্ছে।  গতকালের রাগটাও নেই।  যাইহোক "অহনার" রাগ কমায় "দীপু" আজ অনেক খুশি। "অহনার" সাথে  বেশ জমিয়ে গল্প করতে থাকে সে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে "ফাহিম" এসে উপস্থিত হলো।এসেই "দীপুর" সাথে কথা বলতে শুরু করলো,,,

-কিরে খালেদের কি অবস্থা??  আজকে কি কিছুটা ভালো হইছে সে???

- নাহ;; আগের মতই আছে।  কোন পরিরর্তন হয়নি।

- তোকে কি চিনতে পারছে??

- আমাকে? ও তো কাউকেই চিনে না এখন।

এতক্ষণ  "ফাহিম আর দীপুর" কথা গুলো শুনছিলো "অহনা"।

"খালেদ " নামটা শুনেই সে চমকে উঠলো।  মনে হচ্ছে যে  এই নামটা তার অনেক দিন ধরে চেনা। আর নামটা শুনার সাথে সাথেই "অহনার" ভাবভঙ্গি পরিবর্তন হতে শুরু করলো।

"অহনা"র চোখে কালকের রাগ গুলা আবার প্রকাশ পেতে শুরু করলো,,,,  তার চোখগুলে আস্তে আস্তে লাল রঙ ধারণ করতে শুরু করলো,,,,,  তাকে বিষণ রাগান্বিত আর অস্তির মনে হচ্ছে। "দীপু আর ফাহিম" দুজনেই  ভয় পেয়ে কোন কথাই বলছেনা।  "অহনাও" আর কোন কথা না বলেই বাসায় চলে গেলো....

ফাহিম আর দীপু কিছুই বুঝতে পারেনা.....  খালেদের নাম শুনে "অহনা" এমন রাগান্বিত হবে কেনো?? "অহনা"কি খালেদকে চেনে???  নাকি এমনি এমনি রাগ করে চলে গেলো.......

কিছুই বুঝতে না পেরে ফাহিম আর দীপু দুজনেই খালেদের কাছে চলে গেলো।  খালেদকে নানা সেবা যত্ন করে সুস্থ্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুজনেই।  কিন্তু খালেদ কোন ভাবেই পুরনো দিনের কথা মনে করতে পারছেনা।  দিপু আর ফাহিম দুজনেই বুঝতে পারলো যে,,,,  খালেদের পিছনে শুধু শুধু সময় নষ্ট না করে,,,  সে কিভাবে পাগল হলো সেটা খুঁজে বের করতে হবে।

খালেদ কোথা থেকে ফিরে এলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা নেই তাদের।  হেলিমকে পাগলের  সাথে   পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো কিন্তু হেলিমকে  পাগলের আসল পরিচয় জানানো হয়নি।   দীপু আর ফাহিম দেখতে চেয়েছিল যে,,, খালেদকে...  হেলিম চিনতে পারে কি না???
হেলিম  কিছুতেই পাগলটিকে   চিনতে পারলো না।  "দীপু আর ফাহিম" দুজনেই খুবই অবাক হলো.....  হেলিম ছিলো খালেদের সব থেকে কাছের বন্ধু....
আজ সেই হেলিমই খালেদকে চিনতে পারছেনা ।  উলটো এই পাগলটিকে বাসায় রেখে যত্ন নেওয়ার জন্য "দীপুকে" তিরষ্কার করে চলে গেলো,,, হেলিম।

ফাহিমের,,,, কাছে ব্যাপারটা কেমন জানি অদ্ভুত ঠেকালো।  যেখানে,,,  দীপু আর সে খালেদকে খুব সহজেই চিনতে পারছে,,,  সেখানে "হেলিম" খালেদের সব থেকে কাছের বন্ধু হয়ে তাকে চিনতে পারলো না ।  কিন্তু কেনো??.

সন্ধ্যা  নেমে আসায় " ফাহিম আর দীপু" দুজনেই বাসায় চলে যায়।  দীপু বিছানায় বসে বসে শুধু " অহনার" কথাই চিন্তা করতে থাকে।  "পুতুলের" পর এই প্রথমবার কাউকে তার পছন্দ হয়েছে। তার অনেক অনেক ভালোলাগে  "অহনা"কে।  নিজের অজান্তেই নতুন করে "অহনা"কে ভালবাসতে শুরু করে সে। তার মাথায় আর কোন চিন্তা নেই এখন .......শুধু অহনাকে নিয়ে ভাবতে থাকে সারারাত.....

এদিকে ফাহিমের,,,  রাতে ঘুম আসেনা আলাদা এক উত্তেজনায়।সে আবার পুতুলের মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করতে বসে পড়ে।  তখন তার মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে??? পুতুলের খুনটা করলো কে??

দীপুতো পুতুলকে অনেক ভালোবাসতো...  সে পুতুলকে খুন করতে পারেনা। 
পুতুলের সাথে "হেলিমের" কোন শত্রুতা নেই..  সুতরাং হেলিম যে...  পুতুলকে খুন করেছে এটা ভাবাই বোকামি.... 

আর রইলো খালেদের কথা... খালেদ তো পুতুলকে বিয়ে করতে চাইছিল..  সে কেনো "পুতুলকে" খুন করবে???  আর যদি সেই পুতুলকে খুন করতো তাহলে, এখন পাগল হলো কেমনে???

চিন্তা করতে করতে ফাহিমের মাথা পুরো আগোছালো হয়ে গেছে....  তবে খালেদ যে.. পুতুলকে খুন করেছে তার একটা সম্ভাবনা আছে....  হয়তো  খালেদের কথার বাহিরে কোন কাজ করেছিলো সে জন্যই রেগে গিয়ে খুন করেছে..... আর এখন নিজে পাগলের অভিনয় করে ভাব ধরে বসে আছে।  ফাহিম ভাবে...  কাল সকালেই খালেদের মুখোশ উন্মোচন করবে সে.... 

পরের দিন সকালে নতুন শোরগোল শুনা গেলো।  পাগল খালেদের ওপর কারা যেন হামলা করেছে.....  খালেদের অবস্থা এখন শোচনীয় ।  তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে "দীপু"।   "খালেদ"এখনো অজ্ঞান... কখন জ্ঞান ফিরবে জানা নেই.....

দীপুকে না পেয়ে ফাহিম কারোর সাথে তার সন্দেহের কথা জানায়নি।  খালেদ যে খুনী এটা আর কাউকে জানানো যাবেনা।   এটা শুধু দীপুকেই জানাতে হবে সবার আগে....সে হাসপাতালে যাবে এমন সময় রাস্তায় দেখা হয় "হেলিমের" সাথে। হেলিমকে দেখে "ফাহিম" বেশ অবাক হয়...  আজ হেলিমকে অন্য রকম লাগছে তার।   আজ বেশ অস্তির দেখাচ্ছে তাকে....

কিন্তু.... অন্যরকম উত্তেজনায় ফাহিম ভুলে যেতে শুরু করেছে...  যে পাগলটিই যে খালেদ আর খালেদই খুনী এটা হেলিমকে জানানোর কোন দরকার নেই.... 

সে হেলিমকে বলেই দেয়... 

- তুই জানিস পাগলটা কে??  পাগলটাই হচ্ছে আমাদের বন্ধু খালেদ।

- হ্যা% আমি জানতাম পাগলটাই খালেদ...

- আর পুতুলের খুন কে করেছে জানিস...??? খালেদই পুতুলের খুন করেছিলো....

- না।  খালেদ পুতুলের খুন করেনি।

-তাইলে কে করেছে??

- আমিই পুতুলকে খুন করেছি আর খালেদকে পাগল বানিয়েছি....

বলেই হেলিম উচ্চস্বরে হাসতে তাকে আর তার হাসিতে,, "ফাহিম" ভয় পেয়ে  নিরব হয়ে বসে আছে,,,,,,,,,,,

(চলবে)

# পুতুলের_মৃত্যু
পর্ব-০৫(শেষ পর্ব)

লেখকঃ মনজুরুল করিম

"হেলিমের" আচরণে ফাহিম খুবই অবাক হয়।  এই ছেলেটাই নাকি খুনী??? ভাবতেও অবাক লাগে!!! তবে ফাহিমের কিছুই করার নেই..... হেলিমের কাছ থেকে সরে আসতে চাইলে হেলিম তাকে আসতে দেয়না। অনেকটা  শয়তানি হাসি হেসে ফাহিমকে সে বন্দি করে রাখে......

এদিকে হাসপাতালে "খালেদের" বেহাল অবস্থা।  তার জ্ঞান ফেরার কোন লক্ষণ নেই। তাছাড়া "দীপুকেও" কেমন জানি অস্থির অস্থির দেখাচ্ছে।  খালেদের উপরে কে হামলা করবে??  এটা সে কিছুতেই বুঝতে পারেনা  । 

হঠাৎ,,  তার "অহনার" কথা মনে হয়... গতকাল বিকেলে খালেদের নাম শুনেই "অহনা" রাগান্বিত হয়ে গেছিলো.... তাইলে কি "অহনা"ই খালেদের উপরে হামলা করেছে?? কিন্তু সে তো খালেদকে চেনে না... তাইলে কে মারবে খালেদকে???তাও এত নৃশংস ভাবে....

ভাবতেই ভয় পায় দীপু। যদি পুতুলই খালেদের উপরে হামলা করে তাইলে...  তো পুতুল কোননা কোন ভাবে খালেদকে চিনে!!  কিন্তু পুতুল যে খালেদকে মারবে এর কোন সম্ভাবনা দেখতে পায়না "দীপু"।

ফাহিমের কোন খোজ না পেয়ে দীপু,,,  "খালেদকে" হাসপাতালে রেখে  "ফাহিমের" খোঁজে  বের হয়। কিন্তু পুরো এলাকা খুঁজে "দীপু" কোথাও "ফাহিম"কে খুঁজে পেলোনা।  এক বন্ধু হাসপাতালে আর আরেক বন্ধু নিখোঁজ.... "দীপু" কি করবে কিছুতেই বুঝতে পারেনা।

কোন কিছু না ভেবেই হাসপাতালে ফিরে আসে সে। এখানে এসে যা দেখলো তাতে পুরাই হতবাক হয়ে যায় দীপু। হাসপাতালের বেহাল অবস্থা। এখানে সব কিছুই এলোমেলো ভাবে ছড়ানো আছে।
বেডে "খালেদ" নেই।  নার্সদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে যে... কেউ একজন এসে "খালেদকে" তুলে নিয়ে গেছে....। 

কে তুলে নিয়ে গেছে জানতে চাইলে তারা জবাব দেয়.... " যে তুলে নিয়ে গেছে সে মেয়ে ছিলো।" মেয়ে??? শুনেই "দীপু" চমকে উটে!!!  এই মেয়েটা "অহনা" নয়তো?? ভয়ে আর উত্তেজনায় "দীপুর" চোখেমুখে উদাসীনতা দেখা দেয়।  কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। " ফাহিম"ও নেই এখন।  নয়তো কোন না কোন আইডিয়া বের করে দিতো সে.....

কোন কিছু না ভেবেই "দীপু" অহনাদের বাসার দিকে রওয়ানা দেয়।  যেতে যেতে শুধুই আজগুবি চিন্তা আসছে তার মাথায়।  এই প্রথম নিজেকে একা একা লাগছে "ফাহিম"কে ছাড়া......

অহনাদের বাসায় গিয়ে দেখা গেলো "অহনা" বাসায় নেই। তাছাড়া "অহনার" বাবা-মাকে আজ বেশ অস্থির দেখাচ্ছে। "অহনার" কথা জিজ্ঞেস করায় তারা,,, উল্টো দীপুকেই প্রশ্ন করে বসেন....

- "তুমি দীপু না???

- হ্যা%। আমিই দীপু।

-অহনা তো..  তোমাকে খুঁজতেই বাসা থেকে বেরিয়েছে।

- সে এখন কোথায়??

- জানিনা।  তবে তাকে অনেক রাগান্বিত মনে হচ্ছে।

রাগান্বিত!!!  শুনেই "দীপু" আবার ভয় পেয়ে যায়।  "অহনা"র তো রাগ করার মত তো কোন কারণ নেই... তাইলে অহনা কেনো রাগ দেখাবে??? কিছুক্ষণের জন্য দীপুর মনে হয় যে "পুতুলের" আত্মা এখন "অহনার" শরীরে আছে হয়তো!!!! কিন্তু,,, সে তো এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না......

এবার "দীপু" পুরোপুরিভাবে  নিশ্চিত যে.... অহনাই হাসপাতাল থেকে "খালেদকে" উঠিয়ে এনেছে।  তার মানে খালেদের এখন প্রচন্ড বিপদ!!!
ভাবতেই ভয় লাগে "দীপুর"।

"অহনাদের" বাসা থেকে  বিদায় নিয়ে "দীপু" রাস্তায় চলে আসে। রাস্তায় এসেই,,,,  কিছুটা দূরেই  কারোর লাশ দেখতে পায়।কার লাশ দূর থেকে ভালভাবে দেখা যাচ্ছে না।  কাছে যেতেই "দীপু" চমকে উঠে!!!!

এই লাশটাই তাদের পাগল বন্ধু "খালেদের" লাশ। একটু আগেই হাসপাতাল থেকে তার অজ্ঞান দেহ গুম হয়েছিল আর এখন রাস্তায় লাশ হয়ে পড়ে আছে...... ভাবতেই অবাক আর ভয় দুটোই "দীপুর" মাথায় ভর করে। খালেদের লাশটা অদ্ভুতভাবে নিথর হয়ে পড়ে আছে।  মৃত্যুর আগ পর্যন্ত  হয়তো অসহায় ছিল সে। অজ্ঞান অবস্থায় এরকম নিষ্টুর হত্যা!!! ভাবতেই  ভয়ে "দীপুর" গলা শুকিয়ে যায়।

কিছুক্ষণ নির্বাক থাকে "দীপু"। হঠাৎ তার বন্ধু হেলিমের কথা মনে হয়।  শত হলেও হেলিম তার বন্ধু মানুষ।  তাই এই বিপদের সময় আর কারো কাছে না গিয়ে "দীপু" হেলিমের কাছে সাহায্য চাইতে হেলিমের বাসার দিকে রওয়ানা দেয়....

পথেই দেখা হয় "হেলিমের" সাথে। "দীপু"কে দেখেই হেলিম অট্টহাসি দিতে শুরু করে তার এই হাসির কোন মানে খোঁজে পায়না,, "দীপু"। একরকম জোর করেই হেলিম,,  "দীপু"কে তার বাসায় নিয়ে যেতে চাইলো,,, দীপুর কিছুই করার ছিলনা।  তাই বাধ্য হয়ে সেও,,, হেলিমের সাথে চলতে শুরু করলো।

হেলিম,,,  তার রুমে না ডুকে বাসার নিচে গুদাম ঘরে "দীপুকে" নিয়ে ঢুকলো..... গুদাম ঘরে ঢুকতেই "দীপু" অবাক।  এখানে আগে থেকেই "ফাহিম" রয়েছে,,,  তবে বাধা অবস্থায়।  দীপু,,,  হেলিমের পরোয়া না সোজা ফাহিমের কাছে গিয়ে তার বাঁধন খুলে দিতে চাইলো...  এতেও হেলিমের বাধা।   তবে দূর থেকেই দীপু ফাহিমকে...  খালেদের মৃত্যুর কথা আর "অহনার" শরীরে যে "পুতুলের " আত্মা আছে সে কথা জানিয়ে দিলো........

এই কথা শুনে "ফাহিমের" মুখে কিঞ্চিৎ হাসি দেখা দিলেও "হেলিমের" মুখে অন্ধকার দেখা দেয়।  ফাহিম,,,,, আগে থেকেই জানতো যে.. " অহনার" শরীরে "পুতুলের" আত্না রয়েছে। সে "অহনার"আচরণ দেখেই বিষয়টা বুঝতে পারলেও "দীপুকে" জানায়নি.......

  হেলিম এবার অকপটে স্বীকার করে নেয়.... যে,, সেই "পুতুলের" খুনী।

সেদিন রাতে,,,,  তার আর খালেদের প্ল্যান ছিল যে.. বিয়ের কথা বলে "পুতুল"কে নিয়ে খালেদ পালিয়ে যাবে...  আর "পুতুল " সাথে করে যে... টাকা পয়সা নিয়ে আসবে  সেগুলো দুই বন্ধু নিয়ে পালিয়ে যাবে।

  কিন্তু সেদিন রাতে যখন "খালেদ আর পুতুল" বাইকে করে পালিয়ে যাচ্ছিল তখন মাঝপথে "পুতুল" পালিয়ে যেতে মানা করে... সে নাকি "দীপুকে" ছাড়া থাকতে পারবেনা...  কারো সাথে পালিয়েও  যাবে না।   তাছাড়া সে "হেলিম আর খালেদের" বদ মতলবটা বুঝে গিয়েছিল...

তাই বাধ্য হয়েই খালেদ আর হেলিম মিলে পুতুলকে খুন করে ফেলে....
কিন্তু,,  পুতুল কে খুন করার পরে খালেদের অনুশোচনা হয়... কেনো খুন করলাম???

হেলিম,,,  " পুতুলের" নিয়ে আসা এত্তগুলা গয়না আর টাকা পয়সা দেখে নিজের লোভ সামলাতে পারেনি... তাই সে বাধ্য হয়েই বাইকের হেলমেট দিয়ে "খালেদের"মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে.... তাতেই খালেদ বেহুশ হয়ে পড়ে..... আর "পুতুলের" লাশ সেখানে রেখেই খালেদকে নদীতে ফেলে দিয়ে "হেলিম" সেখান থেকে পালিয়ে আসে.....

এতক্ষণ হেলিমের মুখ থেকে কথা গুলা শুনে "দীপু" ভয় পাবার বদলে একটু খুশিই হয়।  তার মানে "পুতুল" তাকে  ভালবাসতো...ভাবতেই "দীপু" মনে একটা অন্য রকম খুশি অনুভব করে...

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে,,,,  "অহনা" এসে উপস্থিত হয়। তার চোখ আগুনের মতই লাল হয়ে আছে।  দীপু  আর ফাহিম ভয় না পেলেও "হেলিম" ভয়ে কাঁপছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই "অহনার" চোখের হাল্কা ইশারায় হেলিমের দেহ শূন্য ভাসতে থাকে...  কিছুক্ষণের মধ্যেই তার দেহ ধপাস করে মেঝেতে পড়ে যায়.... দীপু আর ফাহিম বুঝতে পারে...  " হেলিমের" মৃত্যু হয়েছে।

তবে "অহনার" দেহ স্বাভাবিক নেই।  সে এখন বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে আছে।  দীপু আর ফাহিম তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়.... কিছুদিনের মধ্যেই "অহনা" সুস্থ হয়ে উঠে। তাকে জানানো হয় নি যে... তার শরীরে আরেকজনের আত্মা ছিলো....

খালেদ আর হেলিম দুজনেই তাদের কৃতকর্মের শাস্তি পেলো...
তবে এখন "অহনা আর দীপুর " মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক।  দুজন দুজন কে প্রচুর ভালোবাসে........

(সমাপ্ত)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ