āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3922

মেঘলা শহরের রোদ
লেখা: মিশু মনি
.
উদাস দৃস্টিতে নীলাকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তন্ময়।
মুখে জলন্ত সিগারেট।
আজ খুব একা একা লাগছে ওর।বিষণ্ণতায় ছেয়ে আছে মনটা।
আজ আদ্রিতার এংগেজমেন্ট হয়েছে।এটা তন্ময়ের সাথে হবার কথা ছিল।কিন্তু হঠাৎ ই রোড এক্সিডেন্ট এর কারনে তন্ময়ের একটা পা কেটে ফেলা হয়েছে।তাই আদৃতা ওকে ছেড়ে চলে গেছে।
বসে বসে সিগারেটের ধোয়ায় কষ্ট গুলো উড়িয়ে দিতে চাইছে তন্ময়।
একটা মেয়ে এসে তন্ময়ের সামনে ঘাসের উপর বসে পড়ল। তন্ময় অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইলো। মেয়েটাকে সে কখনো দেখেছে বলে মনে পড়ছে না।এমন অসংকোচে সে এভাবে তন্ময়ের পাশে বসে পড়ল ব্যাপার টা অবাক হওয়ার মতই।
মেয়েটি বলল,আসতে পারি?
তন্ময় অবাক হয়েই আশেপাশে তাকাল।এই খোলা আকাশের নিচে সে বসে আছে,মেয়েটি কিসের অনুমতি চাইছে তাহলে?
মেয়েটি আবারো বলল,আসতে পারি?
- কোথায়?
- আপনার জীবনে।
তন্ময়ের বিস্ময়ের শেষ নেই।কি বলছে মেয়েটি এসব? পাগল নাকি!
মেয়েটি হেসে বলল,এভাবে কি দেখছেন?
- না মানে আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারছিনা।
- আমি জিজ্ঞেস করেছি আমি কি আপনার জীবনে আসতে পারি? অনুমতি দিলে আসবো, না দিলে জোর করবো, তবুও যদি না চান তাহলে খুন করবো।
তন্ময় বিস্ময়ে কথা বলতে পারছে না।এই কথাগুলার অর্থ কি!
মেয়েটি বলল,সিগারেট টা দেখি।
মেয়েটি বসার পরেই তন্ময় সিগারেট মুখ থেকে হাতে নিয়েছিল।এবার সেটা দূরে ছুরে মাড়ল।
মেয়েটি বলল,জলন্ত সিগারেট কেউ এভাবে ছুড়ে ফেলে? কেউ খালি পায়ে হাটলে তার পায়ের তলার পড়ে গেলে কি হবে বলুন তো?
তন্ময় চমকে উঠল। আসলে মেয়েটির আচরনে ও এতটাই অবাক হয়েছে যে এসব চিন্তা মাথাতেই আসেনি।
মেয়েটি উঠে গিয়ে সিগারেট টা নিভিয়ে রেখে ফেলে দিলো। তারপর আবারো এসে তন্ময়ের পাশে বসলো।
তন্ময় বিস্ময়ের ঘোরেই বলল,আপনি কে?
- আমি তন্মিশ,
- মানে! তন্মিশ কি?
- তন্ময়ের আবেশে মিশে যায় যে,তাকে বলে তন্মিশ।অন্যভাবে বলা যায়,তন্ময় +মিশু= তন্মিশ..
তন্ময় অবাক হয়ে বলল,মিশু!
- হ্যা,আমি মিশু।পুরো নাম মিফতাহুল জান্নাত মিশু।ডাক নাম মিশু মনি।আর আপনার দিক থেকে তন্মিশ।
তন্ময়ের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠল। মেয়েটির কথা বলার স্টাইল টা বেশ আকর্ষণীয়।একবার কিছু শুনলে আরো শুনতে ইচ্ছে করে।
মিশু বলল,আমি আপনাকে ভালোবাসি।
তন্ময় চমকে উঠল। এমন অনায়াসে অসংকোচে একটা মেয়ের মুখ থেকে এই বাক্যটা আশা করাই যায়না।এই মেয়েটি আসলে কে! পরি নয়ত!
মিশু বলল,অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
- আপনাকে আমি চিনিনা।আপনি কে বলুন তো?
- আমি মিশু,আর সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি আপনার বাম পাশের হাড়।
- বাম পাশের হাড় মানে!
- শুনেছি স্বামীর বাম পাশের হাড় দিয়ে স্ত্রীকে তৈরী করা হয়।
- স্বামী স্ত্রী কি বলছেন এসব! আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
মিশু এবার প্রাণখোলা হাসি দিলো। তন্ময় মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছে।মেয়েটির হাসি অনেক সুন্দর!
মিশু বলল,আমি আপনাকে ভালবাসি। বুঝতে পারছেন না?
- পারছি কিন্তু কিভাবে আপনি আমাকে চেনেন? আমি তো কখনো আপনাকে দেখিনি।
মিশু একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,আমি আপনাকে প্রথম দেখেছি হাসপাতালে।প্রথম বার দেখেই মনে হয়েছে আপনি আমার খুব আপন,আমি আপনাকে ভালবাসতে পারি।বিশ্বাস করুন,কখনো কাউকে দেখেই আমার এমন মনে হয়নি।আপনি ই প্রথম যাকে দেখেই বুঝে গেছি আপনি আমার কতটা আপন! আর আমার ছোটবেলা থেকেই সংকল্প ছিল যাকে প্রথম দেখেই ভালবাসি মনে হবে,তাকে যেভাবেই হোক আমি আমার মনের কথাটা জানাবো।তারপর বাকিটা তার ইচ্ছে।
তন্ময় মুগ্ধ হয়ে শুনছে মিশুর কথাগুলি! এই মেয়েটির কথা বলার স্টাইল, হাত নাড়ানোর ভঙ্গী, মনের ভাব বুঝানোর ধরন সবকিছুই অন্যরকম সুন্দর! কিন্তু যা বলছে তা কি সত্যি?

মিশু বলল,আমি প্রায় আধ ঘণ্টা ঘোরলাগা অবস্থায় ছিলাম।তারপর ভাবলাম আপনার সম্পর্কে জানতে হবে,কথা বলতে হবে।কিন্তু আপনাকে আর কোথাও খুঁজে পাইনি।ততক্ষনে আপনি চলে গেছেন।
- তারপর? আবার কোথায় দেখলেন?
মিশু বলল,অনেক চেষ্টা করেও আপনার সম্পর্কে কোনো তথ্য জোগার করতে পারিনি।যাকেই জিজ্ঞেস করেছি সেই বলে আমার মনে নেই এমন কাউকে দেখেছি কিনা।আমি তো দিশেহারা হয়ে পরলাম।
তন্ময় মুচকি হেসে বলল,তারপর? তারপর কি হলো?
- তারপর অনেক রিকুয়েস্ট করে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আপনাকে খুঁজে বের করলাম। আপনার একটা ছবি বের করে হসপিটালের সব ডাক্তার,নার্স আর সকল কর্মচারীকে দেখিয়েছি।ভাগ্য ভালো ছিল,একজন ডাক্তার বললেন তিনি আপনাকে চেনেন।কিন্তু নাম বলতে পারেন নি।ওনার সহযোগীতায় ফাইল টাইল ঘাটাঘাটি করে আপনার সম্পর্কে ইনফরমেশন নিলাম।জেনে অবাক হবেন, মাত্র তিনঘণ্টায় এসব করেছি।
তন্ময় অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।কি বলছে মেয়েটি এসব! এটা কি কখনো সত্যি হতে পারে!

মিশু বলল,আপনি আমার কথা বিশ্বাস করছেন তো?
তন্ময় চিন্তিত মুখে বলল,বিশ্বাস করছি।কিন্তু অবাক হয়েছি তারচেয়ে ও বেশি।এত কষ্ট করে আপনি আমাকে খুঁজে নিলেন?
- হ্যা,তারপর কি হলো শুনুন।সেদিন সন্ধ্যায় আপনার বাসায় গেলাম।
তন্ময় হা করে বলল,আমার বাসায়!
- হ্যা বাসায়।আপনার আম্মু আমার পরিচয় জানতে চেয়েছিল।আমি সবকিছু খুলে বলেছি।মজার ব্যাপার হচ্ছে উনি আমাকে পছন্দ করেছেন। আমি কত ভাগ্যবতী তাইনা?
.
তন্ময় বিস্ময়ের স্বরে বলল,হ্যা।আমিও ভাগ্যবান যে আপনার মত কেউ একজন আমাকে ভালবেসেছে।আপনার খুব সাহস আছে দেখছি।
- তা তো আছেই।আমি বরাবর ই দুঃসাহসী। প্রেমে পড়ে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছি।বাই দা ওয়ে,আপনার ফ্যামিলি মেম্বার দের আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
- বেশ ভালো। আমার মাও আপনাকে পছন্দ করেছে বললেন।
- হ্যা,শুধু তাই নয়।আপনার বাবাও পছন্দ করেছে।
.
তন্ময় খুব অবাক হয়ে শুনছিল কথাগুলি! শুনতে বেশ ভালো ই লাগছিল।কিন্তু হঠাৎ কি যেন ভেবে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
.
মিশু বলল,কি হয়েছে?
- না কিছুনা।আপনি আরো কিছু বলবেন?
- হ্যা বলবো। কত কষ্টে আপনাকে খুঁজে নিলাম দেখলেন? এটা কিন্তু পবিত্র ভালোবাসা।
- তা তো কথা শুনেই বুঝতে পারছি।হসপিটালের সব ডাক্তার,নার্স কে আমার ছবি দেখিয়েছেন।কম কথা নাকি!
- সেটাই তো,এবার আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন কিভাবে হুম? এমন ভাবে কেউ কিন্তু আপনাকে ভালবাসবে না।
- হুম,তারপর কি হলো?
- আপনার আম্মু ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে আমাকে খাইয়ে দিলেন। আমাদের দুজনের খুব জমবে।
- কি?
- সংসার।
তন্ময় কেশে বলল,সংসার!
- হ্যা,আপনার মায়ের আর আমার।আমরা মা মেয়ের মত থাকবো।
- বাহ! সবই ভালো লাগলো।
- এখনো তো সবটা শুনেন নি।
- আচ্ছা আমি সেদিন কোথায় ছিলাম?
- আপনি তখন বাসায় ছিলেন না।আর আমি রাত হওয়ার আগেই চলে এসেছি।
- ওহ আচ্ছা।বাসা কোথায়?
- গাজীপুর, তবে এখানে থাকি পুরো পরিবার।আব্বুর এক্সপোর্ট ইমপোর্টের বিজনেস আছে আর একটা কনফেকশনারি আছে।বড় আপু ডাক্তার। আমিও মেডিকেলে আছি।এ জন্যই সব ডাক্তার দের সাথে এত খাতির।
- বাহ!
- হ্যা,তন্ময় সবই তো শুনলা।এবার বলো।
- কি বলবো?
- এখুনি কিছু বলতে হবেনা।আমার সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নাও তারপর বলিও।কিন্তু ভালোবাসা চাই,প্লিজ তন্ময়।
.
মিশু অসহায়ের মত তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে আছে।
তন্ময় ভাবছে,কি করবো আমি! মেয়েটির সাথে কথা বলেই খুব ভালো লাগলো।চোখেমুখে সততার ছাপ,এই মেয়ে মিথ্যে বলতেই পারেনা।এমন ভালোবাসা আজকাল সিনেমাতেই সম্ভব, সেটা নিজের জীবনে পেলে ভালো ই হত।কিন্তু আমি যে অসহায়!
.
মিশু জিজ্ঞেস করল,কি ভাবছো তন্ময়?
তন্ময় মাথা নিচু করে আছে।
মিশু আবারো জিজ্ঞেস করলো, কি ভাবছ বলো?
- মিশু,আমি..
- কি? বিশ্বাস হচ্ছেনা তাই তো? আচ্ছা আজ বাসায় গিয়ে তোমার আব্বুকে জিজ্ঞেস করবা মিশু এসেছিল কিনা।আর এবার হসপিটালে গেলেই দেখবা সবাই কেমন হাসাহাসি করে তোমায় নিয়ে।
- বিশ্বাস করেছি আপনার কথা।কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না..
- কি?
- আমি একটা মেয়েকে খুব ভালোবাসতাম..
তন্ময়কে থামিয়ে দিয়ে মিশু বলল,সে গল্প শুনতে চাইনা।ভালোবাসতেন কিন্তু এখন তো বাসেন না।আর বাসলেও ওকে ভুলে যান।ওর তো আজ এংগেজ হয়েছে।তাছাড়া ও আপনার লাইফ টাই বরবাদ করে দিয়েছে।

তন্ময় অবাক হয়ে বলল,এটা ও জানেন!
- হ্যা,আপনার বোন তানভী বলেছে।
- সবাই আপনাকে পছন্দ করেছে তাইনা?
- হুম,আমি খুব ভাগ্যবতী।এবার বলো তুমি করেছ কি না?
তন্ময় চিন্তায় পড়ে গেলো। হঠাৎ কোথ থেকে উড়ে এসে মেয়েটি মুগ্ধ করে দিচ্ছে! বড় ই অদ্ভুত!

মিশু বলল,আমি খুব যন্ত্রনায় আছি।কথাটা বলে আমাকে উদ্ধার করুন।মন চাইলে বাসায় গিয়ে কথা বলে জেনে নিবেন।
- খুব ভালোবাসেন মনে হচ্ছে?
- হ্যা খুউউব।এতকিছু করলাম আর এভাবে বলছেন! প্লিজ তাড়াতাড়ি বলুন।
- কি বলবো?
- ভালোবাসি..
.
তন্ময় অবাক হয়ে তাকালো!
চোখে পানি এসে গেছে।আদ্রিতাকে সে খুব ভালোবাসত।আদ্রিতাও বাসত।এক্সিডেন্ট এর পর তন্ময় কে দেখতে এসে ওর হাত ধরে বলেছিল,তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ,আমরা একসাথে ঘুরতে যাবো।ভয় পেও না,আমি পাশে আছি।তুমি তাড়াতাড়ি ই ভালো হয়ে যাবা।
এই ধরনের অনেক কথা বলে তন্ময় কে ভরসা দিয়েছিল।কিন্তু যখন ই শুনেছিল তন্ময়ের একটা পা কেটে ফেলা হয়েছে,ঠিক সেই মুহুর্তেই আদৃতা চুপ হয়ে যায়।আর সেদিন ই তন্ময়ের জীবন থেকে চলে যায়।তন্ময় নিজে থেকে আর ফিরতে বলেনি,কারন একজন সুন্দরী মেয়ে সহজে কোনো হুইল চেয়ারে বসা ছেলেকে জীবন সাথী হিসেবে বেছে নিতে চাইবে না।
.
মিশুর গলা শুনে চমকে উঠল তন্ময়।
মিশু বলল,চোখে পানি কেন? কষ্টে নাকি আনন্দে?
তন্ময় কিছু না বলে নিজের পা দেখিয়ে দিয়ে বলল,এটা নকল পা।আমার ডান পা নেই।
মিশু বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়েই বলল,আমি জানি।ডাক্তার ই বলেছিল তোমার পা কেটে ফেলেছে।
- এটা জেনেও!
তন্ময় অবাক হয়ে চেয়ে রইলো!

মিশু বলল,হ্যা।ডাক্তারের মুখে শোনার পরই ভেবেছি, ভাগ্যে যা ছিল তাই হয়েছে।আমার মন খারাপ হয়নি।বরং তুমি তোমার সাথী করে না নিলে খুব আঘাত পাবো।
তন্ময় বিস্ময়ে বলল,মিশু!
- হুম।
- আপনি অদ্ভুত! একেবারে অন্যরকম একটা মেয়ে! এত ভালো কেউ কাউকে বাসে?
- হ্যা বাসে।মিশু তার তন্ময় কে বাসে।আমি প্রথম দেখেই তোমাকে গ্রহণ করেছি।আধঘণ্টা ধরে ভেবেছি, তুমিই আমার সে।তোমার পা নেই এটা শুনার পর আমি পিছু হটবো কেন? আমার ভালোবাসা এতটা ঠুনকো নয় তন্ময়।
.
তন্ময়ের চোখে মুখে বিস্ময়ের চিহ্ন!
বলল,ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তো? আবেগের বশে কিছু করবেন না।
-ডাক্তার দের আবেগ কম থাকে।আমারও তাই,কিন্তু তুমি আমার একমাত্র আপনজন।তোমার জন্য আমাকে স্যাকরিফাইস করতে হবেনা বলো?

তন্ময় বলল,আপনি দেখছি পাগল!
- না,পাগলী।
- অদ্ভুত!
- হুম।আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মিশুর মুখে এই বাক্যটা শোনার পর তন্ময়ের ভিতরে কেমন যেন আলোড়ন সৃস্টি হয়েছে।খুব আবেগ জরানো কথাটিতে।

মিশু বলল,আপনি নিজেকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন কেন? আর নিজেকে কষ্ট দিবেন না।মিশু আপনার জীবনটা নতুন করে সাজিয়ে দেবে।
তন্ময় মিশুকে দেখে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে!
মিশু বলল,একবার আপনি আর একবার তুমি বলছি বলে অবাক হচ্ছো? আসলে আমি খুব ভালোবাসি তো।এক মুহুর্তেই এই ভালোবাসার জন্ম।
- আমি অবাক হয়ে গেছি খুব।
- আচ্ছা এখন বাসায় যাও।আমি রাতে ফোন দিবো কেমন? নাম্বার টা দিয়ে যাও।
.
রাত এগারো টা।
তন্ময় শান্ত হয়ে বসে আছে আর ভাবছে মিশুর কথা।মিশুকে অনেক ভালো লেগেছে।হতাশায় জীবন টা কেমন যেন মরুভূমির মত হয়ে যাচ্ছিল।এই মুহুর্তে কাউকে জীবনে ভীষণ প্রয়োজন।কিন্তু মিশুর মত নিষ্পাপ একটা মেয়ের জীবন টাই নষ্ট হয়ে যাবে আমার জন্য।সবাই ওকে বলবে,ওর বয় ফ্রেন্ড এর পা নেই।মিশুর খারাপ লাগবে।দেখা যাবে মিশুও আদ্রিতার মত স্বপ্ন দেখিয়ে চলে যাবে।
কথাগুলি ভেবে তন্ময় মনমরা হয়ে বসে রইলো।
বাসায় ফিরেই সবাইকে জিজ্ঞেস করেছে মিশুর কথা।সবাই একবাক্যে রাজি।
কিন্তু তন্ময় কিছুতেই কষ্ট পেতে চাইছে না।
.
মিশু কল দিতেই ও রিসিভ করে বলল,সরি মিশু।আমি আপনাকে ভালবাসতে পারবো না।
- কেন! আমাকে আপনার খারাপ লেগেছে?
- না।কিন্তু
- কিন্তু কি?
- আমি তো সবার মত স্বাভাবিক নই মিশু।
- আমার আপত্তি নাই।আমি তোমার যেকোনো সমস্যা মেনে নিয়ে তোমায় গ্রহণ করবো।
- মিশু,আমার পা নেই।আমি নকল পায়ে হাটি,অনেক যন্ত্রনার জীবন।
- আমি সব যন্ত্রনা দূর করে দিবো।নকল পা তাতে কি? হাটতে তো পারো।তুমি যদি বলো তোমার এইডস আছে,আমি তবুও তোমায় ভালোবাসবো।
তন্ময় অবাক হয়ে চেঁচিয়ে বলল,কিহ!
- হ্যা।এই মরনঘাতি রোগটাও যদি তোমার থাকত,তবুও আমার অসুবিধা নাই।আমি তোমাকে ভালবেসেছি।এটা আমার ভিতর থেকে এসেছে।দেখেই মনে হয়েছে তুমিই আমার আপনজন। আমি তোমাকে হারাতে চাইনা।
- কিন্তু যদি আমার এইডস থাকত,আমাকে ভালোবেসে কিংবা বিয়ে করে কি লাভ হত তোমার?
মিশু বলল,লাভ ক্ষতি ভেবে ভালোবাসা হয়না।এটা মন থেকে আসে।তোমার স্পর্শ হয়ত পেতাম না,কিন্তু তোমার মুখ টা তো দেখতে পেতাম।আমার সামনে সারাক্ষণ থাকতে,তাতেই আমার সুখ।
তন্ময় এত বেশি অবাক হয়েছে যে কথা বলতে পারছে না!
মেয়েটি নাছোড়বান্দা।
.
তন্ময় মিশুকে পরীক্ষা করার জন্য অনেক ভাবে মিশুকে অপ্রস্তুত করার চেষ্টা করলো। কিন্তু মিশুর যেন কিছুতেই সমস্যা নেই।সে সব সমস্যা মেনে নিয়েই তন্ময় কে আপন করে নিতে চায়।
.
অবশেষে মিশুর ভালোবাসার কাছে হার মানতে ই হলো তন্ময়কে।
তন্ময় অনেক অজুহাত দেখিয়েছে,মিশু সবকিছু তেই রাজি।এ যেন স্বর্গের ভালোবাসা!
.
তন্ময় চুপচাপ চেয়ে আছে মিশুর দিকে।আজ ওকে ফাইনাল ডিসিশন জানিয়ে দেবার কথা।
মিশু আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে।
তন্ময় বলল,হুম মিশু।
- হুম মিশু মানে!
- তুমি তন্মিশ হয়েই গেছো।
- হু,ক্লিয়ারলি বলো?
- তুমি আমার মেঘলা শহরের রোদ।
- জানি,সরাসরি বলোনা কথাটা।আর কত অপেক্ষা করবো?
- বলছি তো।
- উহু,এভাবে নয়।
- তাহলে?
মিশু তন্ময়ের চোখে চোখ রেখে বলল,ভালোবাসি।
তন্ময় খুব মিষ্টি করে হাসল।এই যুগেও কেউ কাউকে এভাবে ভালোবাসতে পারে!
মিশু চেঁচিয়ে বলল,বলো।
এবার তন্ময়কে আর কিছুই ভাবতে হলোনা।অনেক প্রশান্তির সাথে হৃদয় থেকে বলল,ভালোবাসি...
.
পোস্ট টাইম - ৯:৪০ PM
লেখিকা : মিশু মনি

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ