āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3933 (3)

সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে
পর্ব: ০৫
লেখা: মিশু মনি
.
জনপ্রিয় তারকা সিয়াম, অগ্নিলা,তৌসিফ, আরও অনেকেই এসেছেন বৌভাতে।
তনিমা সকলকে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে! তার বরের যে এত তারকার সাথে পরিচিতি এটা ওর জানা ছিল না।
সিয়াম তনিমার কাছে এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা জানালো। তনিমাও হেসে অভ্যর্থনা জানাল সবাইকে।
সিয়াম বললেন, কেমন আছেন ভাবি?
তনিমা হেসে জবাব দিলো, খুব ভালো।আপনি?
- ফাইন।আপনি একা কেন ভাবি? সিফাত কোথায়?
- সিফাত ডান্স করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই ফ্রেশ হতে গিয়েছে।
- নিজের বিয়েতে নিজেই নাচলো? পারেও বটে সিফাত টা!
তনিমা হেসে হেসে সকলের সাথে কথা বলল।
সিফাতের  মেয়ে বন্ধু তোয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে তনিমার রক্ত তরঙ্গ শুরু হয়ে গেছে।মেয়েটির সাথে কথায় পারা যাচ্ছে না।প্রতিমুহুর্তে ভয়ানক কিছু প্রশ্ন করে বসছে।যার জবাব দিতে গেলে যেকোনো মেয়েই বিপাকে পড়বে। তারউপর মেয়েটির সাথে কথার পিঠে কথা বলাও আরাম পাওয়া যাচ্ছে না।ভারি অদ্ভুত সব কথা বলে তনিমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। কিন্তু তনিমাও কম যায় না।নিজের মেধা খাটিয়ে খুব সচেতন ভাবে সব প্রশ্নের তাজা উত্তর দিয়ে দিলো। তোয়া ভ্রু উপরে তুলে তাকাচ্ছে! তনিমা বুঝতে পারলো, মেয়েটি অবাক হয়ে গেছে।
তোয়া অন্যদিকে চলে যাওয়ার পর তনিমা যেন হাফ ছেড়ে বাচল।আর মনে মনে ভাবল,এখন থেকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।শহরের মেয়েরা এমনিতেই অনেক স্মার্ট।আর যারা বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে জড়িত, তাদের তো কথাই নেই,ওভার স্মার্ট।যেভাবে ই হোক,সিফাতের সম্মান টা রক্ষা করতে হবে।নয়ত বন্ধুদের কাছে ছেলেটা ছোট হয়ে যাবে।
উচ্চবিত্ত মানুষ দের সবকিছুই আলাদা! অনেক নতুন নতুন ব্যবহার দেখে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে তনিমা।যদিও সিফাত বলেছে এটিচিউট নিয়ে থাকবা।কিন্তু তবুও তনিমা নার্ভাস হয়ে পড়ছে। বড় শ্রেনির মানুষ দের ব্যাপার টাই অন্যরকম! নিজেকে অনেক তুচ্ছ মনে হচ্ছে!
.
সিফাতের ডাকে চমকে উঠল তনিমা।সিফাত বলল,কি হয়েছে আমার বউটির?
তনিমা হাসার চেষ্টা করে বলল,কিছু না।
- অনেক গেস্ট এসেছেন। পরিচয় করিয়ে দিই চলো।
তনিমা নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে,সিফাত ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে কয়েকজন অতিথি'র সামনে দাড় করালো।
তনিমা অনেক চেষ্টা করল নিজেকে ভালো ভাবে উপস্থাপন করার।সবসময় ই মুখে হাসি রেখে কথা বলতে লাগলো।
সিফাত দুজন লোককে দেখিয়ে দিয়ে বলল,এনারা হচ্ছেন শাওন গানওয়ালা ভাই আর তুষার ভাই।দুজনেই সিংগার,আর মিউজিক ডিরেক্টর।
তনিমা প্রসন্ন মুখে বলল,কেমন আছেন আপনারা?
- জ্বি ভাবি ভালো।আপনাদের নতুন জীবন কিভাবে শুরু হলো?
সিফাত বলল,কলার খোসায় পা পিছলে ভাই।
অতিথিরা অবাক হয়ে বললেন, মানে!
- কলার খোসায় পা পিছলে পড়ে গেছি।বাসর ঘরে ঢুকে একবার, বিছানায় যাওয়ার সময় একবার।
সকলে হেসে উঠলেন।
তুষার হাসান বললেন,আজীবন তাহলে তোমাকে সংগ্রাম করে সংসার করতে হবে ভাই।
- হা হা হা।
তনিমা অনেক চেষ্টা করেও সহজ হতে পারছে না।এমন বড় বড় মানুষ দের সামনে নিজেকে নিতান্তই ছোট মনে হচ্ছে।
কিন্তু তনিমাকে অবাক করে দিয়ে সিফাত তনিমার নামে নানান প্রশংসা করতে লাগলো। উপস্থিত সকলে মুগ্ধ হয়ে শুনছেন আর অবাক চোখে তনিমার দিকে তাকাচ্ছেন।
তনিমা অনেক ভালো, ভদ্র,লক্ষী,সকালে ওর কোরআন তেলাওয়াত শুনে সিফাতের ঘুম ভেঙেছে,এমন বউ পেয়ে সিফাত নিজেকে ধন্য মনে করছে,এ ধরনের অনেক প্রশংসা সূচক বাক্য!
তনিমা লজ্জায় লাল হয়ে উঠছে!  সিফাত এত প্রশংসা করছে কেন!
অনেকেই তনিমার প্রশংসা করে বলল,এমন মেয়ে আজকাল পাওয়াই যায় না,যেমন রূপ তেমনি গুণ!
.
তনিমা লজ্জায় মাথা নিচু করে হাসি হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে।তার বর এভাবে তার সম্মান বাড়িয়ে দিয়ে সকলের নিকট আকর্ষনীয় করে তুলবে এটা সে ভাবেনি।
সিফাতের যত বন্ধু এসেছে সবাই তনিমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো।
সিফাতের এক বন্ধু সিফাতকে বলল,দোস্ত আমি বিয়া করলে গ্রামেই করবো।
সিফাত হেসে একটু ভাব নিলো।
.
একজন লোক এসে তনিমাকে বলল,ভাবী সিফাতের পিছনে আমরা আছি।আমাদের একটু সময় দিবেন। শুধু সিফাতকে নিয়ে পড়ে থাকবেন না।মিডিয়ার লোকদের বিশ্বাস নাই।তারা dress change এর মত বউ চেঞ্জ করে।হা হা হা..
তনিমা হেসে বলল,সিফাত যদি করে আমার আপত্তি নেই।ছেলে মানুষ, দশ বার টা বিয়ে করতেই পারে।
- তাই নাকি ভাবি?  আমি কিন্তু ফাজলামি করলাম। তাই বলে সিফাতকে আবার ভুল বুঝবেন না।ও বড় ভালো ছেলে।
তনিমা মনে মনে বলল,সেটা আমি জানি।সিফাত সত্যিই অনেক ভালো মানুষ!
সিফাত লোকটিকে বলল,আমার বউয়ের মত মেয়ে লাখে একটা খুঁজে পাবা না।সে আমাকে অনেক ভালবাসে,আমি বিয়ে না করলে ও সারাজীবন কুমারী থাকত।এমন বউ রেখে কি সিফাত অন্য কারও কাছে যেতে পারে?
তনিমা আবারো লজ্জা পেলো।মনে মনে ভাবল,সিফাত আমায় অনেক বিশ্বাস করে।আর এই কয়েকদিনে অনেক ভালো ও বেসে ফেলেছে।বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে অনেক খেয়াল রেখেছে আমার।ওকে নাচানো টা আমার উচিৎ হয়নি।ও আমাকে গাইয়া বলে দোষের তো কিছু করেনি।ওর পরিচিত মেয়েরা কেউ তারকা,কেউ মডেল বান্ধবীরা অনেক সুন্দরী। কাজেই আমার মত গ্রামের মেয়েকে ওর পছন্দ না হওয়া টাই স্বাভাবিক। তারপর ও আমাকে এত ভালবাসে সেটা আমার সৌভাগ্য।আর কখনো ওকে জ্বালাবো না।
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করছিল তনিমা।
সিফাত বলল,তনি কিছু ভাবছ?
- না।তোমার চুলকানি থেমেছে?
- হুম সেই কখন থেমেছে।এমন মনমরা হয়ে থেকো না,ইনজয় করো।
.
সকল অতিথি চলে গেলেন।
রাত্রিবেলা ঘরে ঢুকেই সিফাত তনিমার সামনে এসে বলল,থ্যাঙ্ক ইউ টু দি পাওয়ার টেন।
- কেন?
- আজ আমার সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছ।সিফাতের জায়গা ধরে রেখেছ।
- আমি আবার কি করলাম?  যা বলার সব তো তুমিই বলেছ।
- হ্যা,শুধু তোমার প্রশংসা করেছি।কিন্তু সবাই তোমাকে দেখে খুশি,সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
- আমি খুব নার্ভাস ছিলাম।
- সেটা বুঝতে পেরেই তো আমি তোমার এত praise করলাম। যাতে তোমাকে কম কথা বলতে হয়।আমি মনে করি,প্রতি টা স্বামীর ই নিজের স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।আর প্রশংসা করাটা কর্তব্য।কেননা,একজন স্বামী ই পারে স্ত্রীকে সবার চোখে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে,আবার একজন স্বামী ই পারে স্ত্রীকে সবার কাছে ছোট করতে।
কথা টা শুনেই তনিমার মন খারাপ হয়ে গেলো। সিফাত চাইছে নিজের স্ত্রীর সম্মান বৃদ্ধি করতে,আর তনিমা আজকে বিলাই চিমটি লাগিয়ে সিফাতকে নাচিয়ে সবার সামনে হাসির পাত্র করে তুলেছে।সিফাত ছোট হয়েছে সবার কাছে।নিজের কাজের জন্য নিজেরি খারাপ লাগছে।
সিফাত বলল,কি হইছে?
- কিছু না।
- মুড অফ কেন?
- সিফ,তুমি দুয়া করো যেন সবসময় ই তনিমা তোমার সম্মান বৃদ্ধিতেই পাশে থাকতে পারে।কখনো যেন আঘাত না দেয়।
- আমাকে আঘাত করার ইচ্ছা আছে নাকি?
- না।তবে তোমার একটা কথা আমি মেনে চলতে চাই।তার জন্য তোমার সাহায্য লাগবে।
- কি কথা?
- সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে।সত্যিই তাই।যদি একজন ভালো স্বামী পাশে থাকেন, তাহলে রমণী সংসার কে স্বর্গ বানাতে পারেন।আমি রমণী হয়ে উঠতে চাই সিফাত।
সিফাত হেসে বলল,ওকে মহারানী।আমি সবসময় ই তোমার পাশে আছি।
তনিমার চোখে পানি এসে গেছে।
সিফাত বলল,আমি কেন তোমাকে বিয়ে করেছি জানো?
- কেন?
- তুমি ভেবেছ তুমি সারাজীবন কুমারী থাকবা সেই কথায় গলে গিয়ে আমি তোমাকে বিয়ে করেছি? কখনো ই না।আমি ভেবেছি,তুমি আমার বউ হলে আমি তোমার কাছে অনেক কিছুই শিখতে পারবো। তুমি হবা গুরু,আমি হবো শিষ্য।সে জন্যই বিয়ে করা।
তনিমা অবাক হয়ে বলল,আমি আবার কি শেখাবো?
- অনেক কিছুই যা আমি জানিনা।শহরের উচ্চবিত্ত ফ্যামিলির মেয়েদের বিয়ে করলে আমি কিছুই শিখতে পারতাম না।যা তোমার কাছে শিখবো।
তনিমা বিস্ময়ের ঘোরে বলল,কি শিখবা? কি জানো না?
- গোসলের ফরজ কয়টি আর কি কি সেটাই জানিনা।কিচ্ছু জানিনা।
তনিমা হেসে বলল,সে জন্য বুঝি বিয়ে করতে হয়?
- আরও কারন ছিল।আব্বু মম ও তোমায় পছন্দ করে আর তুমিও আমাকে ভালবাসো।তোমাকে বিয়ে করলাম, এখন তুমি ভালবেসে আমায় সব শেখাবা।কি হবা তো আমার গুরু?
তনিমা বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে! চোখের পলক পড়ছে না।একজন মিডিয়ার ছেলে হয়েও সিফাত অন্যরকম মানুষ! এমন মানসিকতা কয়জনের থাকে! কেউ তো স্ত্রীকে দাম ই দিতে চায়না।
সিফাত উঠে লাগেজের কাছে গিয়ে কিছু একটা বের করলো। তনিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে!
( চলবে...)

সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে
পর্ব:০৬
লেখা: মিশু মনি
*
তনিমা বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে।সিফাত লাগেজ খুলে একটা ছোট প্যাকেট বের করলো।
তনিমা একবার প্যাকেট টার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার সিফাতের দিকে তাকাচ্ছে।
কৌতুহল মেটাতে বলেই ফেলল,সিফ কি আছে এটাতে?
- পায়েল।
- পায়েল!!
সিফাত বলল,হ্যা।তোমায় দেবো বলে কিনেছি।
তারপর মেঝেতে বসে তনিমার পায়ে পড়িয়ে দিলো।
তনিমা মুগ্ধ চোখে চেয়ে আছে!!
সিফাত বলল,খুব সুন্দর লাগছে তনি!
তনিমা হেসে বলল,থ্যাংকস।
সিফাত উঠে দারিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলল,এই লাগেজে আরো অনেক কিছুই আছে।সবই তোমার জন্য।
- কি কি আছে?
- তিন টা শাড়ি আছে।আকাশী, নীল আর হালকা গোলাপি।
তনিমা অবাক হয়ে বলল,সত্যি! মেয়েরা এই রঙ গুলা খুব পছন্দ করে।আমি দেখবো, দেখাও না শাড়ি গুলা।
সিফাত উঠে গিয়ে শাড়ি তিন টা বের করে দেখালো।তারপর বলল,কেমন লাগছে?
তনিমা মুগ্ধ! তিন টাই খুব সুন্দর আর দামি!
তনিমা বলল,এগুলা কে পছন্দ করেছে?
- আমি নিজেই।এখানে যা কিছু আছে সব আমি নিজে গিয়ে কিনেছি।ভালো লেগেছে?
- হ্যা খুউব।তোমার পছন্দ অনেক প্রশংসনীয়।
- আরো কিছু জিনিস আছে।এইগুলা আমি নিজে গিয়ে কিনেছি।কেউ জানেনা।পারফিউম আছে,ব্রেসলেট,ঘড়ি,জুতা,নেইলপলিশ,লিপস্টিক হেয়ার ব্যান্ড, সানস্ক্রিন আরো অনেক কিছু।
তনিমা অবাক হয়ে বলল,এতকিছু কেনার কি দরকার ছিলো? বিয়ের জন্য তো অনেক শপিং করা হয়েছে।
- বিয়ের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েছিল আম্মু আর বোনরা।আমি নিজে ভালো ব্রান্ড আর দামি জিনিস কিনে এনেছি।আমার একমাত্র বউয়ের জন্য কিনবো না তো কার জন্য কিনবো?
- তাই বলে এত কিছু!
- হুম।আমার বউয়ের কোনো কিছুর অভাব আমি রাখবো না।
- আমার তো এতকিছু লাগবে না।
- সে আমি জানি।তবুও নিয়েছি।তুমি শুধু আমাকে সামলে রাখবা আর প্রচুর ভালোবাসবা।
তনিমা সিফাতের হাত ধরে বলল,হ্যা বাসবো। খুব ভালোবাসবো।
.
সিফাত জোর করে তনিমার চুলে বেণি করে দেয়া শুরু করলো। তনিমা চুপ করে বসে আছে।সিফাত অনেক যত্নে মাথায় তেল মালিশ করে দিয়ে চিরুনি করে বেণি করে দিচ্ছে।
তনিমা হাসছে আর বলছে,বেণি করা শিখেছ কার কাছে?
- আম্মুর কাছে।ফ্রেঞ্চ বেণি টা পারি শুধু।আম্মু আর শেখায় নি।
- ভালো ই তো পটু মেয়েদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে।
- সৌন্দর্যের ব্যাপারে আমি খুব সিরিয়াস। সব জিনিসেরই,সুন্দর সবার প্রিয়।
তনিমা ধীরে ধীরে সিফাতের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছে। ছেলেটা এত ভালো কেন!
.
বেণি করা শেষে সিফাত বলল,এবার আমার পারিশ্রমিক দিন ম্যাডাম।
- কিসের?
- বারে,এত যত্নে তেল দিয়ে মাথা মালিশ করে দিলাম।সুন্দর করে বেণি করে দিলাম।পারিশ্রমিক দিবেন না?
তনিমা হেসে বলল,কত লাগবে?
- উহু,পয়সা নিবো না।
- তাহলে?
- তাহলে টা কানে কানে বলবো।
- বলো,
সিফাত তনিমার কানে কানে কিছু একটা বলল।
তনিমা লজ্জায় নীল হয়ে বলল,আচ্ছা।
- হুম।এবার আমার মাথায় তেল দিয়ে মালিশ করে দাও।জানো, রাত্রে যদি মাথায় তেল মালিশ করে ঘুমাও,তাহলে খুব ভালো ঘুম হয়।আর মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।মাথায় তেল দিতে হলে রাত্রিবেলা দিবা।
তনিমা হেসে বলল,আচ্ছা।কি তেল দিবা তুমি?
- নবরত্ন তেল।তারপর নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবো।তিন রাত থেকে ঘুমাই না।
তনিমা সিফাতের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,তোমার চুল খুব সুন্দর গো!
- দেখতে হবে তো!  Rj সিফাত বলে কথা।
- তুমি কখনো চুলে তেল দাও বলে তো মনে হয় না।
- যেদিন খুব মাথা ব্যাথা হয়,সেদিন মম দিয়ে দেয়।তারপর আমি ঘুমাই।জানো আমার সব শিক্ষা মায়ের কাছে পাওয়া।আর আমি মেয়েদের খুব respect করি।
- তুমি মহান Rj সিফাত।
- আমার যখন খুব রাগ উঠবে, আমার মাথায় নবরত্ন দিয়ে দিবা।তোমার হাতেও রত্ন আছে।দশ রত্নের ছোয়ায় রাগ ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
- তাই বুঝি?
- হ্যা,আর আমি রেগে গেলে চুপ করে থাকবা।স্ত্রী দের কাজ হচ্ছে স্বামী রেগে গেলে শান্ত থাকা।কিন্তু আজকালকার ছেলেমেয়েরা যা,স্বামী একটা গালি দিলে স্ত্রী দশটা গালি দেয়।এভাবে কি কখনো সুখী হওয়া যায়? আরে স্ত্রীরা হচ্ছে মা জাতি।মায়েদের আচলে সবসময় শান্তি থাকে।স্বামীকে ভালো সময়ে বোঝালেই পারে।তা নয়,ঝগড়া শুরু হলে কেউ আর থামতে চায় না।
তনিমা বলল,আমাদের কখনো ঝগড়া হলে কি করবো?
সিফাত হেসে বলল,আমাদের কখনো ঝগড়া হবেনা।আর যদি কখনো ঝগড়া লেগেও যায়,তুমি নিরবতা পালন করবা।আমি রেগে গেলে তুমি চুপ করে থাকবা,আর তুমি রেগে গেলে আমি চুপ করে থাকবো। ব্যস,আর ঝগড়া হবেনা।
- কিন্তু যদি তুমি কখনো আমাকে ভূল বুঝো?
সিফাত বলল,যদি ভূল বুঝে তোমাকে গালি দিই,তুমি চুপ করে শুনবা।কিছুক্ষণ হয়ত গালি দিবো, তুমি কষ্ট হলেও সহ্য করবা।কয়েক মিনিট পরেই আমার রাগ কমে যাবে,তখন ধীরে ধীরে আমাকে বুঝিয়ে বলবা যে,সিফ তুমি অযথাই আমাকে ভুল বুঝেছ।এই কাজ টা আমি করিনি।আর যদি আমার গালি শুনে তুমিও শুরু করে দাও,তাহলে তো গৃহযুদ্ধ বাধবেই।
তনিমা হেসে বলল,তুমি বলবা কুত্তার বাচ্চা আর আমি বলবো শুয়োরের বাচ্চা।তারপর তুমুল ঝগড়া বাধবে। হা হা হা।
- হাসছ তুমি? স্বামীকে কন্ট্রোল করার অন্যতম উপায় হচ্ছে শান্ত থাকা,সহ্য করা, আর স্যাকরিফাইস করা।রেগে গিয়ে পাল্টা গালি দিবা তো অশান্তি হবে,ঝগড়া হবে,কথা বলা বন্ধ হবে এমন কি ডিভোর্স ও হতে পারে।
তনিমা অবাক হয়ে বলল,তুমি সত্যিই খুব ভালো মানুষ সিফাত।আমি সৌভাগ্যবতী যে তোমার মত স্বামী পেয়েছি।তুমি যদি এসব না বলতে,তাহলে আমি প্রতিদিন ই তোমাকে জব্দ করতাম।
- জব্দ করতে? কিভাবে?
- রুমে কলার খোসা ফেলে,ম্যাজিক চা খাইয়ে।
সিফাত চোখ বড় বড় করে বলল,তুমি করেছ এইসব?
তনিমা মাথা নিচু করে বলল,হ্যা।
- কিহ! অবিশ্বাস্য! 
- সরি,
- গুতো মেরে সরি বলা? হুম?
- সিফ আমি সরি।আর কখনো এমন দুষ্টুমি করবো না।
- তুমি তো অনেক বান্দর টাইপের মেয়ে।
তনিমা দাত বের করে হাসলো।
সিফাত বলল,আমার পাঞ্জাবিতে আজ তুমিই কিছু লাগিয়ে দিয়েছিলা নাকি?
- হুম,ওইটার নাম বিলাই চিমটি।জামায় লাগিয়ে দিলে গা চুলকায় আর জ্বালা করে।
- কিহ! হায়রে কপাল! বউকে আমি কলিজার টুকরা মনে করি,আর বউ আমার ডাইনী বুড়ি।
- সিফাত সরি তো। সরি সিফ,
সিফাত হেসে বলল,ওকে।তবে ওরকম আর করবা না।ভালো বউ হওয়ার চেষ্টা করবা।বউয়ের গুনেই সংসার সুখের হয়।মনে থাকে যেন?
তনিমা মাথা নেড়ে বলল,থাকবে।
- হইছে।এবার চুল চিরুনি করে দাও।
- দিচ্ছি,তোমার চুল গুলা কেমন হয়ে গেলো!
- হুহ,সকালে উঠেই শ্যাম্পু করবো।
- তুমি আমার মিস্টার পারফেক্ট।
সিফাত বলল,কাল তোমাকে নিয়ে চাইনিজ খেতে যাবো।
- কি! আমি না কখনো চাইনিজ খাইনি।কিভাবে খেতে হয় জানিনা।কিভাবে ধরে,কেটে খেতে হয় নাকি?
- হা হা হা।আমি শিখিয়ে দিবো।
- রেস্টুরেন্ট এ শিখিয়ে দিবা? লোকজন দেখবে না?
- না।এতে লজ্জার কিছু নাই।কেউ তোমার দিকে তাকিয়ে থাকবে না।শিখিয়ে দিবো। নয়ত পরে কখনো আমার ফ্রেন্ড দের সামনে খেতে বসলে হা করে বসে থাকবা।তখন কেমন হবে?
তনিমা সিফাতকে জরিয়ে ধরে বলল,তুমি এত ভালো কেন? সব মেয়ের এমন বর জোটে না।আমি খুব ভাগ্যবতী!
( চলবে...)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ