অভাগিনী
লেখা: মিশু মনি
.
পুটুলিটা দুহাতে ধরে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছি আর ভাবছি নিজের দুর্ভাগ্যময় জীবনের কথা।
জন্মেছিলাম এক অতি দরিদ্র পরিবারে।জন্মের পর হতেই লড়াই করতে হয়েছে বেচে থাকার জন্য।শৈশবের কথা তেমন মনে পড়ছে না,কিন্তু কৈশোর টা স্পষ্ট মনে আছে।অন্যের বাড়িতে কাজ করে দু মুঠো খাওয়া,কারও ঘর মুছে দিয়ে কিংবা কাপড় কেচে দিয়ে পাচ সাত টাকা, ধানের মৌসুমে কাজ করে দু ডালি ধান,কিংবা গৃহস্থালি কাজ করে দিয়ে এক সের চাউল পেতাম। এভাবে ই কেটেছে আমার কৈশোর।
প্রাইমারী স্কুল পাশ করার পর আর স্কুলে যাওয়ার মত সৌভাগ্য হয়নি।আম্মা বলতেন, গরীবের বেটি ফাইভ পাশ করলেই ম্যালা।
স্বপ্ন কিভাবে দেখতে হয় বুঝতাম না।আশা কি জিনিস জানতাম না।ছোটবেলা থেকেই দৈন্যতা আর হতাশায় দিনগুলো পার করেছি।কোনো ঈদে নতুন জামা পরার ভাগ্য হয়নি,ভালো মন্দ খাবার চোখে দেখিনি।
তবুও মনের কোনে কিছু একটা উদয় হয়েছিল যেটা কে হয়ত আশা বলে।ভেবেছিলাম পরের ঘরে গিয়ে একটু সুখের দেখা মিলবে।কিন্তু গরীবের আশা করাও পাপ, সেটা বুঝেছি বিয়ের পর।
প্রথম যখন নিজের বিয়ের কথা শুনেছিলাম, লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলাম। লাল টুকটুক শাড়ি পরেই শ্বশুরবাড়ি এসেছিলাম। কিন্তু তারপর আর কোনোদিনো একটা নতুন কাপড় চোখে দেখিনি।কোনোমতে দুবেলা ভাত জুটলেও তা গলা দিয়ে নামত না তাদের অত্যাচারের কারনে।
আমার স্বামী একজন পুরুষ নামক পশু।সে ভালবাসতে জানেনা।কখনো আমার প্রতি তার মায়া জন্মাতে দেখিনি।তার আচরনে ফুটে উঠত নিষ্ঠুরতা আর স্পর্শ হিংস্র পশুর ন্যায়।আমার প্রতিটা রাত কেটেছে আর্তনাদ আর চোখের পানিতে।
তরকারি তে একটু নুন ঝাল কম হলেই স্বামীর চড় থাপ্পড় খেতাম। আর রাত গুলো কাটছিল বিশ্রীভাবে।নিজের জীবনের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম।তাই বাধ্য হয়ে সবকিছু ছেড়ে নিজের মত বাচার জন্য পা বাড়িয়েছি।
আমার জীবন টা তো এমন হতে পারত,কলেজ শেষ করে বান্ধবী দের সাথে হৈ চৈ করে বেরানো কিংবা স্বামীর বাইকের পিছনে ঘুরে বেরানোর।
কিন্তু সবার জীবন সুখের হয়না।কারও কারও জীবন অন্ধকারে শুরু হয়ে অন্ধকারেই শেষ হয়ে যায়।আমার জীবন টাও অন্ধকারে ঢাকা।
জানি আমার মত নারীদের কথা কেউ লিখবে না।কেউ জানতে চাইবে না আমাদের কষ্টের কথা।কারন আমাদের উপর কারও সু নজর পড়েনা।সকলেই কু দৃস্টিতে তাকায়।শৈশব থেকেই বহু বাজে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছি।কিন্তু কেউ কখনো চেষ্টা করেনি এই অভাগীকে আলোর মুখ দেখাতে।
এখন আমার বয়স ১৯,অনেক কিছুই বুঝি।পরিবেশ আর অভিজ্ঞতা অনেক কিছুই শিখিয়েছে। এখন বুঝি,কেউ কারও জন্য নয়।
আফসোস ছিল আমার মা বাবার জন্য যে,তারা আমাকে একটা সুস্থ জীবন উপহার দিতে পারেনি।কিন্তু এখন বুঝতে শিখেছি,কারও দুঃখের জন্য কেউ দায়ী নয়।মানুষ চাইলেই সফলতা নিয়ে আসতে পারে।শুনেছি সুখী হতে নিজের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। তাই সব কিছু ছেড়ে চলে যাচ্ছি,চেষ্টা করে দেখি এই অভাগিনীর জীবনে একটু পরিবর্তন আনা যায় কি না?
ট্রেন আসছে,ঢাকার উদ্দেশ্যে উঠে পরবো।সুন্দর ভবিষ্যৎ আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3938
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧍:ā§Šā§¯ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ