āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3943

খাদক আলী
লেখা: মিশু মনি
.
খাবারের প্রতি আমার এক টু বিশেষ দুর্বলতা আছে।যেখানে যাই ঘটুক খাবার পেলে সব দ্বন্দ্ব ভুলে যাব।এ কারনে বন্ধু মহলে সবাই আমাকে খাদক আলী বলে ডাকে।
কিন্তু শান্তি করে খেতে গিয়েও বিপত্তি।নানান ভাবে বাশ ও খেতে হয়।এতবার বাশ খেয়েছি যে মাঝেমাঝে নিজেকে গরু মনে হয়।এইতো সেদিন-
আকাশ এসে বলল ওর সাথে পাত্রী দেখতে যেতে।প্রথম টায় যেতে চাইছিলাম না।কিন্তু ওই যে,আমি এক টু খাদক ;না করতে পারলাম না।
.
মেয়ে দেখতে গিয়ে দুই বন্ধু বসে আছি।পাত্রীর বাবার সাথে কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা শেষ করার পর তিনি তার মেয়েকে নিয়ে আসতে বললেন।
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কখন খাবার দেয়া হবে? আসার পর হতে এখনো কিচ্ছু খেতে দেয়নি।
অপেক্ষার অবসান হল।পাত্রী ঘরে ঢুকল হাতে এক টা ট্রে। আমি সেদিকেই তাকিয়ে আছি।পাত্রী দেখা টা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
খাবার সামনে রাখা হল।আমি কোনো দিকে না তাকিয়ে শরবতের গ্লাস তুলে ঢক ঢক করে খেলাম।গ্লাস নামিয়ে রেখে দেখি মুরুব্বী তাকিয়ে আছেন।
লজ্জা পাওয়ার ভান করে বললাম,খুব পিপাসা পেয়েছিল।
মুরুব্বী ব্যস্ত হয়ে উঠে গেলেন। হয়ত আরও খাবার চলে আসবে।
.
পাত্রী ও পাত্রীর বোন আমাদের সামনে বসা।আমার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।ধৈর্যের বাধ ভাঙবো ভাঙবো বলে সতর্ক করছে।একবার বাধ ভেঙে গেলে অধৈর্যের বন্যা হয়ে যাবে।
.
সামনে রাখা নাস্তা গুলো গপ গপ করে খেতে শুরু করলাম। আকাশ বারবার গুতোচ্ছে।ও যতই নিষেধ করুক আমি খাবার ছাড়ছি না।বাঘের মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিতে পারবি কিন্তু আমার মুখ থেকে নয়।আমি বিরতিহীন ভাবে খাবার মুখে পুড়েই চলেছি।
নাস্তা খাওয়া শেষ করে ইয়া বড় ঢেকুর তুলে সামনে তাকালাম। ওরে বাবাহ! একি মেয়ে নাকি মুড়ির বস্তা! আমার জীবনে এমন মোটা মেয়ে দুই টার বেশি দেখিনি।
.
এ জন্যই বোধহয় আকাশ আমাকে গুতোচ্ছিল।
ওর মুখের দিকে তাকাতেই বুঝলাম বেচারি বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠছে।
কিন্তু রান্নার যে রুচিশীল গন্ধ আমি পেয়েছি,এই খাবার রেখে চলে যাওয়া অসম্ভব।
.
ওরা দুবোন ভিতরে চলে গেলে ওদের ফুফু ঘরে ঢুকলেন।ইনি ও বিশাল স্বাস্থ্য বতী।
বললেন,মেয়ে পছন্দ হইছে?
আমি ভাবলাম, যদি না বলি তাহলে খাওয়া আর হবেনা।
বললাম,হ্যা হইছে।
আকাশ চোখ রাঙাল। ফুফু বললেন,পছন্দ হইলে হইছে না হইলে না হইছে।বিয়া তোমারে করতেই হইব।
- মানে?
- বিয়া কইরা যাইবা।বেশি কথা কইলে বাইন্ধা প্যাদ্যানি দিমু কইলাম। কাজী চলে আইবো ক্ষানিক বাদে।
.
ফুফুর কথায় আমি আর আকাশ মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলাম। আকাশ কাদো কাদো গলায় বলল,ভাই কি করি এখন? পালাই কিভাবে?
- মুতু করার ছলে বের হওয়া যাবেনা?
- এরা টের পাইলে মাইর লাগাবে।পরছি মোটুর পাল্লায়।আর রক্ষে নাই রে ভাই।
.
ধীরে ধীরে বাড়ি তে লোকজন বাড়ছে।মহাবিপদ আসন্ন।টেনশন হু হু করে বাড়ছে।
.
আব্বুকে ডাকবো? কিন্তু এরা যে টাইপ মানুষ! আব্বুকেও যদি বেধে ফেলে?
.
অনেক ভেবে চিনতে আমার বান্ধবী রিয়াকে মেসেজ দিলাম।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাসার ঠিকানা জানিয়ে দিলাম।
.
খাবার সামনে রাখা হয়েছে।আমি মুখ কাচুমাচু করে বসে আছি।খাওয়ার দূর সম্পর্কের ইচ্ছা টাও নাই।
কাজি চলে এসেছে।আমার টেনশন চরম পর্যায়ে।আরেক টু বাড়লেই নির্ঘাত হার্ট এ্যাটাক করে ফেলবো।
.
এমন সময় রিয়া এসে হাজির।এসেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিলো।সাথে সব বন্ধু বান্ধব ও এসেছে।প্রায় ত্রিশ জন তো হবেই।
.
বাড়ির সবাই চুপ করে গেছে।ফুফুও চুপ।আমাদের দলের কাছে পারবে না।
সবাই মিলে আমাদের টানতে টানতে বাইরে বের করে আনল।
.
রিক্সায় বাড়ি যাচ্ছি।রিয়া আমার পাশে। বলল,তুই কি জীবনে মানুষ হবিনা আদিল? এত্ত খাওয়ার লোভ ক্যান? আজীবন গরুই থেকে যাবি?
আমি চুপ করে আছি।কিছু বলব না।এবার আসলেই বড় রকমের শিক্ষা হয়ে গেল আমার।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ