āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3939 (2)

বিবাহ বিভ্রাট
পর্ব:০৩
লেখা: মিশু মনি
.
সাদিয়া বিয়ের পরিকল্পনায় ব্যস্ত।
মেয়েরা এত স্বার্থপর হয় কিভাবে?  আমাকে টেনশনে ফেলে দিয়ে নিজে বিয়ের চিন্তায় মগ্ন!
ভেবে চিন্তে আমার বন্ধু মিনহাজ কে কল দিলাম। ওকে বললাম এখুনি আমার সাথে দেখা করতে।
সাদিয়াকে কয়েকটা কথা বুঝিয়ে বলে বাড়ি থেকে বের হলাম।
মিনহাজকে সব খুলে বলতেই ও অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল - ব্রো,তুই এক কাজ কর।দুই টাকেই বিয়ে করে ফেল।
- সম্ভব হলে তাই করতাম,
- অসম্ভব হওয়ার কিছু নাই ব্রো।দুই টাই পারফেক্ট। বিয়ে করে ফেল।
- থামবি তুই? এখন পাত্র খুজে বের করতে হবে।কি করা যায় বল?
- বিক্রয় ডট কম এ যোগাযোগ কর।
- ইয়ার্কি মারছিস?
- হ্যা।ইয়ার্কির উপযুক্ত সময় এটাই দুচ।
- আমি টেনশনে মরছি রে।তবুও ভালো হয়েছে যে আব্বু রশ্নির বাসায় ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছে। এখন শুধু আমাকে পাত্র খুজে দিতে হবে।
- আমার গান গাইতে ইচ্ছে করছে।
- বিয়েটা নির্বিঘ্নে হয়ে যাক।বৌভাতে যত খুশি গান করিস।এখন উপায় বল?
- দুচ,অরিজিনাল ভদকা খাওয়াবি কিন্তু আমাকে।
- যা খাইতে চাস,সবই খাওয়াবো। এখন ভাই উপায় বল কিছু একটা।আমার মাথা কাজ করছে না।
- তুই ফেবুতে স্ট্যাটাস মার।আর কিছু গ্রুপে পোস্ট কর,জরুরি পাত্র নিয়োগ দেয়া হবে।
- আবার ইয়ার্কি করছিস? এই পোস্ট দিলে সবাই কমেন্ট করবে,ভাই স্যালারি কত?
মিনহাজ আবারো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল।
আমি রেগে বললাম,অযথা টাইম নষ্ট করছিস।কিছু উপায় বাতলে দে নয়ত আমি উঠি। আমাকে পাত্র জোগার করতেই হবে।
- কই যাবি?
- জানিনা।
- চল আমার সাথে।ঘটককে কিছু টাকা খাওয়াতে হবে।
.
মিনহাজের সাথে একজন বিখ্যাত ঘটকের বাসায় আসলাম। ঘটক আমাদের মোটামুটি আশ্বস্ত করলেন। অগ্রিম ৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসলাম।
.
মিনহাজ বলল,ব্রো অভ্র সেদিন বলছিল বিয়ে করার জন্য পাত্র খুজছে।ওকে প্রস্তাব দিয়ে দেখলে কেমন হয়?
- মন্দ না।চল যাওয়া যাক।
.
অভ্র আমাদের দেখে ভুত দেখার মত তাকিয়ে আছে।
বলল,কিরে পাত্র।তোর না বিয়ে? বিয়ের দাওয়াত দিতে আসলি?
- হ্যা ভাই।দাওয়াত দিতে আসছি।কিন্তু আমার নয়,তোর বিয়ের।
- মানে?
- তুই রশ্নিকে বিয়ে করবি?
অভ্র হা করে তাকিয়ে আছে।নিজের হবু বউকে কেউ বিয়ে করতে বলবে এটা বিশ্বাস করতে পারছে না।
আমি বললাম,করবি বিয়ে?
- তুই নেশা টেশা করছিস নাকি? নেশা করে সাদিয়ার ভুত মাথায় চেপেছে এখন বলছিস বিয়ে করবি না?
আমি বললাম,সাদিয়ার ভুত মাথায় নয় রে,ঘারে চেপেছে।
- মানে?
অভ্রকে সবকিছু খুলে বললাম।সবটা শুনে ও দাত বের করে হাসতে লাগল।
অভ্র ও মিনহাজ হাসছে।আমি মুখ কাচুমাচু করে বসে আছি।
অভ্র বলল,আজ তোর জন্য খুব মায়া হচ্ছে রে ভাই,বাই এনি চাঞ্জ যদি রশ্নির সাথে তোর বিয়েটা হয় তাহলে এ জীবনে আর সুখী হইতে পারবি না।নিজের প্রেম কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া,এর মত ট্রাজেডি তোর লাইফে নাই।
- কি করবো বল? তুই বিয়ে করবি এখুনি?
- করবো কিন্তু আমার তো ভাই প্রব্লেম আছে।
- কি প্রব্লেম?
- আমি বাবার একমাত্র ছেলে।সবার খুব সাধ আমার বিয়ে নিয়ে।এমন আচমকা বিয়ে করলে কেউ খুশি হবেনা।
- ফ্রেন্ড এর জন্য এটুকু কর প্লিজ।বাসায় ম্যানেজ কর এনি হাউ।
- সরি রে।আমারও একটা প্রিপারেশনের ব্যাপার আছে।তাছাড়া রশ্নিকে নিজের বউ হিসেবে আমি চয়েস করতে পারবো না।
.
অভ্র'র বাসা থেকে বেড়িয়ে দু বন্ধু হাটছি।আমার মনের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। এরকম পরিস্থিতিতে কেউ কখনো পড়েছে কি না আমার জানা নেই।
মিনহাজ বলল,মিনার এখন কি করবি?
- জানিনা।
- সাইফ বিয়ে করবে বলেছিল।ওকে বলে দেখবি?
আমার মাথায় কিছু আসছে না।মিনহাজের কথা মত সাইফের কাছে ছুটে আসলাম।
সাইফকে বলতেই ও বলল,আমার হবেনা বস।আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে।বিয়ে করলে ওকেই করবো।
.
আবারো ছেকা খাইলাম। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে।এভাবে কাউকে বললে সে কখনো বিয়েতে রাজি হবেনা।
কোনো মুরুব্বির সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।
.
আমার মেজ মামার সাথে খুব সম্পর্ক আমার।মামাকে কল দিয়ে পুরো ব্যাপার টা জানালাম। মামা আশ্বাস দিয়ে বললেন,ভেঙে পড়িস না।আমি পাত্রের ব্যবস্থা করছি।
.
দুপুর হয়ে গেছে।পা টলছে।হেলেদুলে বাড়ি আসলাম।
বাসায় ঢুকতেই সাদিয়া এসে হাজির।
- মিনার,কিছু করতে পারলা?
- নাহ
- পারবা না জানতাম। তুমি কি পারো হ্যা? কোনো কাজ তুমাকে দিয়ে হয়না।
এমনিতেই মেজাজ বিগড়ে আছে।সাদিয়ার কথা শুনে আরও রাগ হচ্ছে।ওর জন্যই তো এই বিভ্রাটে পরেছি।
কিছু বলতে গিয়েও বললাম না।আবার ন্যাকা কান্না জুড়ে বসবে।
ভাবলাম গোসল টা সেরে কিছু খেয়ে নেই।এমন সময় মোবাইল টা বেজে উঠল। রশ্নির নাম্বার থেকে কল।
চারিদিকে শুধু প্যারা আর প্যারা।কি যে যন্ত্রনায় পড়েছি! 
রিসিভ করে হ্যালো বলতেই রশ্নির কান্না ভরা কণ্ঠ শুনতে পেলাম।
- মিনার,
- হুম বলো,
- এসব কি শুনছি?
- কি?
- গার্ল ফ্রেন্ড বাসায় এসে উঠেছে। সত্যি?
- হুম
রশ্নির কান্না বেড়ে গেল।কি বলবো বুঝতে পারছি না।বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।
রশ্নি বলল, গার্ল ফ্রেন্ড ছিল আমায় তো জানাও নি।আমি কি অপরাধ করছিলাম?  এমন টা করলা আমার সাথে?
আমি নিশ্চুপ।বলার মত কিছুই নেই আমার।শুধু বোবার মত শুনে যেতে হবে।
রশ্নি কান্না থামিয়ে বলল,ওই মেয়েকে বিদেয় করো।আমি জানি তুমি আমাকেই ভালবাসো।তুমার আচরণ তাই বলে।আমার বিশ্বাস তুমি শুধু আমাকেই ভালবাসো।ওই মেয়ে হয়ত তোমাকে ফাদে ফেলছে।আমি তুমাকে কোনো দোষ দিচ্ছি না।তুমি শুধু এনি হাউ ওকে তাড়াও।আমি ই তোমার স্ত্রী,শুধু আমি।তুমি আর কাউকেই বিয়ে করতে পারবা না বলে দিলাম।
রশ্নি কল কেটে দিলো। আমার মনে হচ্ছে বগলের তলে বিষফোড়া।প্যারার উপরে প্যারা।
সাদিয়া চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে।আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে,কে কোথায় আছো আমাকে বাচাও....
কিন্তু এটা তো বাংলা সিনেমা নয়।কেউ বাচাতে এগিয়ে আসবে না।একমাত্র উপকারী মানবী হচ্ছে আমার মা।আম্মুই আমাকে উপায় বলে দিতে পাড়বে।
এক ছুটে আম্মুর রুমে চলে আসলাম। আম্মুর কোলে মাথা রেখে মেঝেতে বসে পড়লাম।
- কিরে,মিনার।একদিনেই চেহারার এই হাল করেছিস? 
- আম্মু,বগলের তলে বিষফোড়া।
আম্মু হেসে বলল,কি উপায় বের করলি? 
- নট অনলি একটা পেত্নী,বাট অলসো দুইটা পেত্নী। দুই দুইটা পেত্নী ভর করছে আম্মু।মা গো,ওমা....
আম্মু হাসছে।আমি বললাম,প্যারাময় লাইফ।আমি যেখান থেকে এসেছি আমাকে সেখানেই পাঠাই দাও মা।নয়ত আচলের নিচে জায়গা দাও।
- কি হইছে?
- রশ্নি আমাকেই বিয়ে করবে।কি করি বলো আম্মু? ঘটককে ৫০০ দিছি,মেজ মামাকে বলছি।সকাল থেকে ছুটলাম পাত্রের খোজে।আর এখন রশ্নি বিবি বললেন তিনি আমাকেই বিয়ে করবেন। এনি হাউ সাদিয়াকে বিদেয় করতে বলল।
আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,তুই সাদিয়াকে ভালবাসিস নাকি রশ্নিকে?
- মনে হচ্ছে দুজনকেই...
- হা হা হা।সত্যিকরে কাকে চাইছিস সারাজীবনের মত?
- সাদিয়া আমার স্বপ্নের রাজকন্যা আম্মু।মনে নেই সারাক্ষণ তোমার কাছে সাদিয়ার কথা বলতাম? 
আম্মু বলল,আমারও সাদিয়াকে পছন্দ হইছে।এই মিষ্টি মেয়ে টাই আমার বৌমা হবে।তোর আব্বুকে তো আমিই রাজি করিয়েছি।
আমি আম্মুকে জরিয়ে ধরে বললাম,তুমি!  থ্যাংকস আম্মু।এবার তো বিষফোড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।এত যন্ত্রনা সহ্য হচ্ছেনা।উপায় বলে দাও।রশ্নিকে ম্যানেজ করি কিভাবে?
আম্মু হেসে বলল,তোর দৌড় কতদূর সেটা দেখি আগে।তুই দেয়ালে ঠেকে গেলে তোর মা এগিয়ে আসবে। আগে তোর খেলা টা দেখি....
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি আম্মুর মুখের দিকে! এমন অবস্থায় সকলেই মজা করছে!
( চলবে....)

বিবাহ বিভ্রাট
পর্ব:০৪
লেখা:মিশু মনি

মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।টেনশন একটু কমেছে।
জানিনা বিয়েটা শেষ অব্দি কার সাথে হবে? সাদিয়ার সাথে হওয়ার সম্ভাবনা ৬০%.
এমন সময় ভাবী রুমে এসে বলল,মা সবকিছু রেডি।মিনারকে নিয়ে বাইরে আসুন।
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, কি রেডি?
- তোমার গায়ে হ্লুদ হবে এখন।
কথাটা শুনে আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলাম। আমি মরি আমার জ্বালায়,আর তোমরা আছো বিয়ের ডালায়?
ভাবী হেসে বলল, তোমাকে জ্বালানোর সুযোগ পেলে কে ছাড়তে চায় বলো? খুব ইনজয় করছি।
- খুব মজা তাই না?
- হুম।মজাই তো। দুটা নায়িকা আর একজন নায়ক। গায়ে হলুদ হবে তিনজনেরই।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না।রাগ হচ্ছে ভীষণ।
মা বলল,মিনার।গোসল টা সেরে নে বাবা।
- হ্যা মা যাচ্ছি।
ভাবী এসে আমার কান টেনে ধরে বলল,কই যাও? আগে হলুদ মাখানো হবে,তারপর গোসল।
আমাকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে আসল।
বসার ঘরে সকলেই নানান কাজে ব্যস্ত।
ভাবী বলল তুমি বসো।আমি তোমার জামা কাপড় নিয়ে আসছি।
আমি গালে হাত দিয়ে বসে চিন্তা করছি। পরিণতি যে কি হতে পারে আমার জানা নাই।সব চিন্তা এসে ভর করছে।রশ্নিকে কিভাবে বুঝানো যাবে জানা নেই আমার।চিন্তায় হাবুডুবু খাচ্ছি আর এখন নাকি হলুদ মাখানো হবে! প্যারা!
.
একটা ছোট ভাগ্নি এসে বলল,মামা এই মামা,
- হ্যা মামনি,
- ও ডিজে একটা ঝাকানাকা গান বাজা,এই গানটা তুমার মোবাইল এ আছে?
মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।আমি চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি আর এরা আছে ঝাকানাকা গান নিয়ে।
রাগ সামলে বললাম,না নেই।
- ডানাকাটা পরি গানটা আছে?
- নাহ নাই।আমি এইসব গান শুনিনা।কেন?
- এই গানের সাথে নাচবো।
কথাটা বলেই ভাগ্নি ছুটে চলে গেল।আমাকে সবাই মিলে জব্দ করছে।ধুরর..
এমন সময় সাউন্ড বক্সে জোরে গান বেজে উঠল,
স্ট্যাটাস আমার সিংগেল দেখে প্রেমের ছড়াছড়ি..... 
হায়রে কি যে করি.... হায় রে কি যে করি.....
পরিমনির এই বিখ্যাত গান শুনে আমার তিক্ততা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
গানের ভলিউম আরও বেড়ে গেল- আমি ডানাকাটা পরি.....
ওহ অসহ্য! চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
.
ভাবী পাঞ্জাবি হাতে তুলে দিয়ে বলল,এটা পড়ে আসো।
পাঞ্জাবি টা পড়ে আয়নার সামনে দাড়ালাম।কেমন যেন অদ্ভুত দেখাচ্ছে।মুখ টা তেলতেলে। দাড়ি গুলো বড় হয়েছে।নিজের কাছে নিজেকেই আজব আজব লাগছে।আমার প্রতিবিম্ব ও আমার সাথে ইয়ার্কি করছে।
মিনহাজ এসে বলল,ব্রো অসাম লাগছে,
- তুই কখন এলি?
- মাত্র আসলাম। ভালো খবর আছে।
- কি?
- পাত্র পাওয়া গেছে একজন।
- সত্যি! কে সেই হতভাগা?
- তামিম ভাইকে চিনিস? আমাদের সিনিয়র ভাই।কেমিস্ট্রি তে অনার্স।
- হুম।এখন কি একটা কোম্পানির কেমিস্ট হিসেবে আছে না?
- হুম।তামিম ভাই রশ্নিকে প্রপোজ করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।উনি রশ্নিকে খুব পছন্দ করেন।
- ওহ রিয়েলি? তুই কিভাবে জানলি?
- এক বড় ভাইয়ের সাথে ব্যাপার টা শেয়ার করছিলাম।ভাই বলল তামিমের সাথে কথা বলা দেখতে।
আমি মিনহাজকে জড়িয়ে ধরে বললাম তুই আমার আসল দোস্ত রে...
- দোস্তি পরে,আগে মাস্তি।ভদকা খাওয়াবি কিন্তু,
- ঝামেলা মিটুক আগে।তারপর। কিন্তু রশ্নিকে ম্যানেজ করবো কিভাবে?  ও তো থ্রেড করেছে।ওকেই নাকি বিয়ে করতে হবে।
মিনহাজ হেসে বলল,হেব্বি মজা পাচ্ছি দুচ।তুই দুইটাকেই বিয়ে করে ফেল তো।
আমার মাথায় আবারো রশ্নির চিন্তাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। ওই মেয়েটাকে কিভাবে বুঝাবো? আমি যে সাদিয়াকে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসি।
মিনহাজ বলল,এখন চল।তামিম ভাইয়ের সাথে দেখা করতে হবে।
- কিন্তু আমার তো গায়ে হলুদ মাখাবে এখন।
মিনহাজ রেগে বলল,আগে ছেলে জোগার করতে হবে।হলুদ পরে দিস।চল...
আমি ভাবলাম,আগে তামিম ভাইকে রাজি করাই।তারপর যা হবার হবে।রশ্নি বেশি পাগলামো করলে একটাকেও বিয়ে করবো না।যেখানে দুচোখ যায় চলে যাবো।
.
মিনহাজকে নিয়ে বাইরে আসতেই ভাবী এসে ধরে ফেলল, কই যাও?
- পাত্র পাওয়া গেছে ভাবী। কথা ফাইনাল করতে হবে।
আমার অবস্থা দেখে ভাবী আর পথ আটকাল না।কিন্তু সাদিয়া এসে সামনে দাড়াল।
আমি বললাম,তোমার আবার কি হলো?
সাদিয়া আমাকে আড়ালে টেনে নিয়ে এসে বলল,আমি আইসক্রিম খাবো।
- কিহ! এই অবস্থায় তোমার আইসক্রিম খাওয়ার শখ জাগছে? আমি চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি আর উনি নাকি আইসক্রিম খাবেন।অদ্ভুত! 
সাদিয়া বলল,আগে কত পাগলামি করতা মনে আছে?
- এখন আমি রোমানটিক মুডে নাই।
- তো? আইসক্রিম নিয়ে আসবা।ব্যস...
- অসহ্য! তুমি একটা পেইন।
সাদিয়া রেগে বলল,আমি পেইন?
আমি বললাম,হ্যা।তোমার মুখে সাপের দাত লাগানো আছে।
সাদিয়া দুহাত দিয়ে খুব জোরে আমার গলা টিপে ধরল।বাবাহ! একি মেয়ে নাকি রাক্ষসী?  জিভ বেড়িয়ে আসবে মনে হচ্ছে।
সাদিয়া ছেড়ে দিয়ে বলল, গলাচিপার কথা মনে থাকে যেন।
- এত নির্যাতন করো কেন? 
সাদিয়া বলল,যদি আমার জ্বালাতন সহ্য করতে না পারো, তবে বলে দাও। আমি বাসায় চলে যাচ্ছি।সারাজীবনের মত ছেড়ে চলে যাবো।
আমার বুকের ভিতর একটা ধাক্কা লাগল।চিনচিন ব্যাথা অনুভব করছি।সাদিয়াকে আমি দ্বিতীয় বারের মত হারাতে চাইনা।
বললাম,আচ্ছা নিয়ে আসবো। তবু চলে যাওয়ার কথা বলো না।মরে যাবো তাহলে।
সাদিয়া হেসে বলল,গুড বয়।এবার আরেকটা বড় আবদার আছে।
আমি অবাক হয়ে বল্লাম- আবার কি?
- আমার জন্য তো কিছুই শপিং হয়নি।মা বলেছে যদি আমার সাথে বিয়ে হয়, রশ্নির জন্য যা যা কেনা হয়েছে সব আমার হবে।
- বাহ! ভালো তো! 
- হুম।কিন্তু শাড়ি টা আমার পছন্দ হয়নি।তুমি আজকেই ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে আমার জন্য একটা শাড়ি কিনে আনবা।
আমি একদম থ! ত্রিশ হাজার টাকা এখন কই পাবো! 
সাদিয়া বলল,মার্কেটে গিয়ে শাড়ির ছবি তুলে আমাকে পাঠাবা।আমি যেটা পছন্দ করবো, সেটাই আনবা।তবে দাম কিন্তু ত্রিশ হাজারের কম হওয়া চলবে না।তুমি মার্কেট গিয়ে কল দিও।আমি শাড়ির নাম বলে দিবো।
.
কথাগুলো বলেই সাদিয়া চলে গেল।
আমি হা করে তাকিয়ে আছি! মাত্র আট হাজার টাকা আছে আমার কাছে।ত্রিশ হাজার টাকা কোথায় পাবো এখন?
মিনহাজ এসে বলল,কি বলল সাদিয়া তোকে?
আমি কথা টা ওকে বলতেই মিনহাজ হেসে উঠল- দুচ,মেয়েটা সাংঘাতিক।
- হুম।কিন্তু খুব ভালবাসে আমাকে।
- সেটাই ভাবছি। অনেকদিন শেভ না করলে দাড়িতেও মরিচা ধরে।আর তোর প্রেম এখনো টিকে আছে!
( চলবে....)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ