একজন বড় আপু ও একগাদা ক্রাশ
লেখা: মিশু মনি
.
- ছেলেরা বড় আপুদের প্রতি ভাতের চেয়ে বেশি ক্রাশ খায়।কথা টা হাস্যকর হলেও সত্যি।এমন ছেলে খুঁজে পাওয়া ভার,যার বড় আপুর প্রতি আবেগ জন্মায় নাই।সিনিয়র আপু শব্দ টার মধ্যেই যেন লক্ষ কোটি শিহরণ লুকিয়ে আছে!
অভির মুখে এসব কথা শুনতে শুনতে রাগে গজরাতে লাগলো নিরা।
নিরা অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে, অন্যদিকে অভি কেবল মাত্র অনার্স ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে।দুদিন আগে ক্যাম্পাসে দুজনের চোখাচোখি হয়েছে।প্রথম দর্শনেই অভি তেত্রিশ হাজার ভোল্ট এর ইলেকট্রিক শকে আহত হয়ে হুমরি খেয়ে নিরার উপর ক্রাশ খেয়ে পড়েছে। তাকে টেনে তোলায় অবদান রাখার মত কোনো সাহসী বন্ধুকে এখনো দেখা যায়নি।সকলেই দূরে দাড়িয়ে বেশ মজা নিচ্ছে আর দাত কেলিয়ে হাসছে।
নিরা রেগে বলল,অভি তুমি নিজের যোগ্যতা ভুলে যেও না।
- নিরা! আমার কিসে অযোগ্যতার ছাপ আছে? আমি যথেষ্ট handsome. আর পড়াশুনায় ও অনেক এগিয়ে।
- চুপ করো।তুমি ভুলে যেও না যে,তুমি আমার চেয়ে জুনিয়র।পড়াশুনার দিক থেকেও,বয়সের দিক থেকেও।
- এটা কোনো ব্যাপার হলো?
- এটা কোনো ব্যাপার নয়?
- নাহ নিরা।আমার যুক্তি আছে,ছেলেরা যদি তার বয়সের অর্ধেক বয়সী মেয়েকে বিয়ে করতে পারে তাহলে একজন মেয়ে মাত্র দুতিন বছরের ছোট ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না?
নিরা রেগে বলল,তুমি একটা সাইকো।জাস্ট স্টুপিড।
অভি হেসে বলল, জানো নিরা, তুমি রাগলে দারুণ মিষ্টি লাগে!
নিরা আরো রেগে গিয়ে বলল,আমি তোমার বয়সে তিন বছরের বড়। সো আমাকে আপু বলে ডাকবা।
অভি জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলল,ছিঃ তাই কি হয় নাকি? নানী বলে ডাকি?
- তোমার সমস্যা টা কি বলোতো?
- সমস্যা একটাই,এল ও ভি ই লাভ।আমাকে একবার লাভিউ বলো,আমি সুস্থ হয়ে যাবো।
- তোমার লাভিউ এর নিকুচি করি।গো টু হেল।
নিরা রেগে গমগম করে হাটতে লাগলো। অভি ও পিছন পিছন হাটছে আর নিরা নিরা বলে ডাকছে।
নিরা দাড়িয়ে পড়ল তারপর বলল,ওই আবার পিছে পিছে আসতেছ ক্যান?
- তাহলে কি সামনে সামনে যাবো?
- তুই আমার সাম্নেও যাবিনা,আমার পিছেও যাবি না।
- তাইলে কি উড়ে উড়ে যাবো?
- জাস্ট স্টপ।আজাইরা পোলাপান,কথায় পারা যায়না।তুই আর আমাকে ফলো করবি না।
- তুমি রেগে গিয়ে তুই তুকারি শুরু করেছ? ওয়াও,এমন একটা রাগী রাগী ঝগড়াইটা বউই তো খুজছিলাম।
- বউ! যা বলছিস একবার ই,আরেকবার বললে জিভ টেনে ছিরে ফেলবো।
- সত্যি! তুমি আমার জিভ টেনে ছিরে ফেললে তো আমি ধন্য।তাহলে শুরু করলাম,বউ বউ বউ।আমার মিষ্টি বড় আপুর মত বউ।
- আমার ইচ্ছে করতেছে জুতা খুইলা তোর দুই গালে ঠাস ঠাস কইরা দুইটা মাইরা দিই।
অভি ব্যস্ত হয়ে বলল,জুতা খুলবো? কার জুতা দিয়া মারবা? আমার জুতা নাকি তোমার জুতা? তোমার টা দিয়ে মারো,আমি ধন্য হয়ে যাবো।
- এই অভি,তোমাকে এত কিছু বলছি তবুও লজ্জা হচ্ছেনা?
- নাহ,
- হচ্ছেনা! আজব!
- আজবের কিছুই নাই,লজ্জা মেয়েদের ভুষণ।আমিতো পুরুষ জাতি,নির্লজ্জ বেহায়ার জাতি।
- কি বলা উচিৎ তোমাকে বুঝতে পারছি না।
- I love you বলা উচিৎ।
নিরা আর কিছুই বলল না।কারন অভির সাথে কথা বলে অযথা মেজাজ তিক্ত হবে।নিরা নিজের পথ ধরল।
.
নিরা বাসা থেকে বের হয়েই দেখে অভি তার বাসার সামনে দারিয়ে আছে।নিরাকে দেখে অভি ছুটে এসে বলল,রিকসা নিবো বড়াপু?
- চুপ করো বেয়াদব।
- আহা! বেয়াদব শব্দ টা এত মিষ্টি হয় জানা ছিল না।
- অভি,প্লিজ।
- প্লিজ কি?
- লিভ মি।
- লিভ উইথ মি।
নিরা রেগে বলল,তুই দূরে গিয়া মর হারামজাদা।
- হা হা হা।
নিরা হাটতে শুরু করলো। অভি পাশে পাশে হাটতে লাগলো আর বলল,তুমি আমাকে গ্রহন করো নিরা।
- গ্রহণ করবো? আমাকে ছাগলে কামড়িয়েছে?
- প্লিজ।তুমি যা বলবা তাই করে দেখাবো।তবুও রাজি তো হও।
- যা বলবো তাই?
- হুম।
- যেমন?
- বিসিএস ক্যাডার হতে বললে তাই করে দেখাবো। যেমন তেমন ক্যাডার নয়,প্রশাসন ক্যাডার।
- হা হা হা।তাই নাকি? তাহলে তাই করে দেখাও।তারপর ভাব্বো।
- উহু,তুমি আমার পাশে থাকো তাহলেই পারবো। তুমি reject করে দিলে তো সিগারেটের ধোয়ায় ভাসবো।
নিরা রেগে বলল,তুমি একটা পাগল।শোনো আমি তোমার বড় আপু,সম্মান করে কথা বলবা।
- আমি তোমাকে লাভ করি।
- তোর লাভের নিকুচি করি।
বলেই নিরা হাটতে লাগলো।
অভি পিছু পিছু হাটছে আর বলছে,রিকসা নিবা না বড়াপু?
- তুই আমার পিছে আসছিস কেন?
- তাহলে? যাবো না?
- এইখানে কারেন্ট এর খাম্বার মত দারাই থাক।
- খাম্বা বলতে?
- বিদ্যুতের খুটি,এইবার বুঝছিস?
- হ্যা,ওকে।আমি এখানেই কাকতাড়ুয়া হয়ে দারিয়ে থাকবো বড়াপু।তুমি সাবধানে যেও।
নিরা রাগ হয়ে রিকসা ডেকে রিকসায় উঠল।
.
প্রায় তিন ঘণ্টা পর বাসায় ফেরার পথে নিরা দেখল অভি ঠিক সেই জায়গা টাতেই স্থির হয়ে দারিয়ে আছে।মাথার উপরে রোদ! এই রোদে ছেলেটা দারিয়ে আছে! নিরা রাগবে নাকি হাসবে বুঝতে পারলো না।
রিকসা থেকে নেমে এসে বলল,পাগলামির একটা লিমিট থাকে অভি।
- আমি অভি যে অভিনয় করছি না, আশা করছি বুঝতে পেরেছ নিরাপু।
নিরা নরম সুরে বলল,বাসায় যাও।আর নিজের বিবেককে জাগ্রত করে একটু চিন্তা ভাবনা করে দেখিও।আমি চিন্তায় আছি,কথা বলতে পারছি না।চলে যাও।
- কি হইছে তোমার?
- কিছুনা,যাও তো চোখের সামনে থেকে।
.
অভি সারারাত ঘুমাতে পারলো না।নিরার কথা ভেবে ভেবে ব্যাকুল হয়ে রইলো।
পরদিন সকাল হতেই ভার্সিটিতে চলে আসলো।
নিরা অভিকে দেখে না দেখার ভান করে ক্লাসে চলে গেলো। এখন এই ছেলেটিকে যতবেশি সম্ভব এভোয়েড করতে হবে।
ক্লাস শেষ করে বাইরে আসতেই দেখে অভি দাড়িয়ে! নিরার মাথায় রক্ত উঠে গেল।এই ছেলেটা কিছুতেই শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।
অভি এগিয়ে এসে বলল,আজ কফি খাই একসাথে?
- কফি তোমার মাথায় ঢালবো।
- তাতেও সুখ! চলো।
- অভি, তুমি আমাকে বিরক্ত করবা না,প্লিজ।
- তুমি বিরক্ত হচ্ছো?
- নাহ,বিরক্ত হচ্ছি না।খুশিতে নাচছি,আমার বয় ফ্রেন্ড আমার জন্য এতক্ষণ ওয়েট করে আছে।খুশি হবো না?
- রিয়েলি! তারমানে তুমি রাজি?
- চুপ কর।আর কখনো আমাকে বিরক্ত করবা না।
- ওকে করবো না,বুঝিয়ে বলো।
- অভি,এমন কেন তুমি? আমি শুনেছি তুমি অনেক মেধাবী,ভালো রেজাল্ট করেছ।তুমি এরকম পাগলামি করছ কেন? সব তো বুঝো, তাহলে?
- ভালবাসা মানে নাকো কোনো বয়স,ছোট বড় সব বয়সে ঝুলে পড়ে। আমার জীবনে ও পড়েছে।
- আচ্ছা চলো,তোমাকে কিছু কথা বলি।
.
দুজনে হেটে হেটে কফিশপে চলে আসলো। পুরো রাস্তা নিরা একাই কথা বলেছে,অভি চুপচাপ শুনেছে।কিন্তু কোনো কথাই অভির হৃদয়ে পৌছায় নি,অভি শুধুমাত্র মুগ্ধ হয়ে শুনছে আর খেয়াল করছে নিরার কথা বলার স্টাইল টা! নিরা কথা বলে খুব গুছিয়ে আর হাত নেড়ে নেড়ে।
.
কফি চলে এসেছে।কফির কাপে চুমুক দিয়ে নিরা আবারো তার ভাষণ শুরু করলো,দেখো অভি;তুমি সব ই বুঝো।আমার বিশ্বাস তুমি একটা ভদ্র ছেলে।আমার জন্য অন্যদের চোখেও বেয়াদব হয়ে যাও সেটা আমি চাইনা।তুমি খুব মিষ্টি একটা ছেলে,আমাকে আপু বলে ডাকবে।আমি রোজ কথা বলবো কিন্তু প্রেম টেম বাদ দাও ভাই।
অভি অবাক হয়ে বলল,নিরা তুমি নীল রঙ খুব পছন্দ করো তাইনা?
- ওহ মাই গড! এতক্ষণ ধরে বকবক করছি আর সে বলছে নীল রঙ! আমারে কেউ মাইরালা ভাউ।
অভি হো হো করে হেসে বলল,কি ডায়ালগ দিলা এইটা! আমি তো গাদা গাদা ক্রাশ খাচ্ছি তোমার উপর।
- আমি কি বলছি এতক্ষণ ধরে অভি?
- শুনেছি তবে মনোযোগ দিইনি।
- অভি প্লিজ, আর বাঁদরামো করিও না।আমার কথা শোনো।ভালবাসা এভাবে হয়না।
- কিভাবে হয়?
- যেভাবে ই হোক,আমাদের কখনো সম্ভব না।তুমি আমার চেয়ে ছোট,আমি তো কমপক্ষে আমার চেয়ে পাচ বছরের সিনিয়র ছেলেকে বিয়ে করবো।
- দেখো সব মেয়েই তো সিনিয়র কে বিয়ে করে,তুমি তো সব মেয়েদের থেকে আলাদা।তাই তুমি ছোট ছেলেকে বিয়ে করে নাও।
- বিয়ে! তোমার আর আমার বিয়ে হবে এটা তুমি বিশ্বাস করো?
- তুমি রাজি থাকলে তো হবে।বিয়ে পরের ধাপ,আগে তো প্রপোজ টা কবুল করো।
- আমি অনেক্ষন ধরে বুঝালাম।সব বৃথা,তোমার মাথায় কিচ্ছুই ঢুকেনি।
অভি হেসে বলল,আচ্ছা তুমি কি চাও বলো? আর বিরক্ত করবো না?
- না।আর আমাকে ভুলে যাও,পড়াশুনায় মনোযোগ দাও।
- হুম,তারপর?
- নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলো।
- হুম তারপর?
- অনেক সম্মান অর্জন করো,মানুষের মত মানুষ হও।
- আচ্ছা,তারপর?
- তারপর তারপর করছ কেন?
- তুমি আমাকে বিয়ে করবা সেটা শুনার জন্য অপেক্ষা করছি।
- ধেৎ, ভাল্লাগেনা।
- হা হা হা,ওকে নিরা।তুমি যা বলবা তাই করবো। আর বিরক্ত করবো না,তবে ভালবাসতে নিষেধ করবা না।সেটা আমার মনের ব্যাপার।
নিরা অবাক হয়ে বলল,আজব!!
অভি শব্দ করে হাসলো তারপর বলল,ওকে নিরাপু।তাহলে আমি যাই।আর কিন্তু বিরক্ত করবো না।আর হ্যা,তুমিতো বড় আপু,তাই কফির বিল টা তুমিই দিয়ে দিও।
নিরা কিছু বলতে যাচ্ছিল।অভি আর কোনো সুযোগ না দিয়েই বাইরে বেড়িয়ে আসলো।
.
অভি বসে বসে ভাবছে,আর ওকে বিরক্ত করবো না।এবার শুধু ভালো বেসেই যাবো।
অনেক চিন্তা ভাবনা করে অভি সিদ্ধান্ত নিলো বিভিন্ন ভাবে সে নিরার পাশে থাকবে।
ভাবামাত্রই কাজ শুরু করে দিলো।
নিরার বাবাকে কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করলো।নিরার বন্ধুদেরকে বিরিয়ানি খাইয়ে এসাইনমেনট তৈরি করে নিয়ে নিরাকে দিতো।
নিরা অনেক বকাঝকা করলেও অভি কিছুই মনে করত না।
নিরা বাইরে যাচ্ছে দেখলে রিকসা ডেকে নিরাকে রিক্সায় তুলে দিতো।
এ ধরনের নানান কাজে নিরাকে সাহায্য করতে লাগলো।আর প্রতিদিন কয়েকশত বার নিরাকে ভালবাসি বলে যেতো।
নিরার ও যে অভিকে ভালো লাগেনা,তা নয়।অভিকে অনেক পছন্দ করে সে,কিন্তু ব্যাপার টা কেমন হয়ে যাবে সেটা ভেবেই আর এগোতে সাহস পায়না নিরা।
কিন্তু অভির পাগলামো থামলেও ভালবাসার গতি ঠিক আছে।প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে নিরাকে মুগ্ধ করে দেয় সে।
.
দেখতে দেখতে একমাস কেটে গেলো।
অভি ক্যাম্পাসে বসে ধোয়া উড়াচ্ছিলো অর্থাৎ সিগারেট টানছিল। নিরাকে আসতে দেখেই সিগারেট নামিয়ে ফেললো।
নিরা এসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।তারপর বলল,থাপ্রাইয়া তোর ছত্রিশ টা দাত ফালাই দিবো।
- আমার আর তোমার দুজনের দাত যোগ করলেও ছত্রিশ টা হবে কিনা সন্দেহ!
- ওই,
- ওই আবার কেমন ডাক!
- চুপ কর।
- ওকে নিরাপু।হঠাত বড় আপু টা নিজেই ছুটে আসছেন, ব্যাপার কি?
- তুই এত কিউট ক্যান রে?
- ছোট বেলায় পাশের বাড়ির বড় আপুরা আমার খুব গাল টানা টানি করত।তাই আমি এত কিউট!
- হা হা,তাই বুঝি এখনো বড় আপুর প্রতি আবেগ?
- হুম।জীবনে কত মেয়ে গেলো, কত মেয়ে আসলো তবুও ওই বড় আপুদের সেই মহব্বত ভুলতে পারি নাই।
- চুপ কর পাজি ছেলে।অনেক প্রেম করছিস তাই না?
- সেটা তো সব ছেলেরই পারিবারিক অধিকার।
- কিহ!
- হা হা,মজা করলাম। দুই চার টা প্রেম তো করছিই,ফেসবুকে দশ বার টা লুতুপুতু ও ছিল।কিন্তু বিশ্বাস করো নিরাপু,তোমার উপ্রে যে পরিমাণ ক্রাশ খাইছি সেটা পরিমাণে বুঝানো সম্ভব না।সিরিয়াসলি প্রেমে পড়ছি। অবশ্য ছেলেরা যতবার প্রপোজ করে, ততবার ই সিরিয়াসলি ই প্রেমে পড়ার কথা বলে।
- হা হা,এত দুষ্টু কেন তুই?
- ওই যে বললাম,সেই বড় আপুদের মহব্বত!
নিরা অভির পিঠে আস্তে করে একটা ঘুষি দিয়ে বলল,মেরে সোজা করবো তোকে।
- আহা! আবার সেই বড়াপু! সেই ফিলিংস!
নিরা হেসে বলল,যা হইছে।আর কোনো বড় আপুর দিকে তাকাবি না।
- ছোট আপুর দিকে তাকাবো?
- নাহ,শুধু আমার দিকে তাকাবি।
- বাব্বাহ! ম্যাচিউর হইছো তবুও আবেগ টা ক্লাস নাইনের মেয়ের মতই আছে।বিএফ এর ভাগ কাউরে দিতে চাও না।
নিরা হেসে বলল,এত দুষ্টু তুই!
- হুম,তা প্রেমে যখন পড়েই গেছো আর কিছু করার নাই।মেনে নাও।
নিরা লজ্জা পেয়ে হাসল।
অভি বলল,আমি কিন্তু মরার আগে হাত ছাড়বো না।তুমি ভেবে চিন্তে হাত ধরতে চাইছ তো?
- হুম।ভালোবেসে ফেলেছি,কিছু করার নাই।ভালবাসা মানে নাকো কোনো বয়স,ছোট বড় সব বয়সে ঝুলে পড়ে।
অভি হেসে বলল,এখন মনে হচ্ছে আমার চেয়ে তুমিই বেশি ক্রাশ খাইছো!
- ওই,মুখ সামলে কথা বলবি।আমি তোর মত গাদা গাদা ক্রাশ খাইনি।
- সে তো বুঝাই যাচ্ছে।হাবুডুবু খাইতে খাইতে পুকুরের পানি সব খেয়ে ফেলছো।
নিরা রেগে বলল,ওই থামবি তুই?
- হুম,ভালবাসি বলো নিরাপু।
- আর আপু বলবি না একদম।
- হা হা,ওকে নিরা।এবার বলো,
নিরা লজ্জায় নীল হয়ে অভির কানে ফিসফিস করে বলল,ভালোবাসি!
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ