গল্প: মাস্তানি (৫ম পর্ব)
লেখা> Abir Hasan Niloy
..
গত রাতে সেই লোকটাকে মার্ডার করা হয়েছে। ভাবতেই কেমন যেন অনুশোচনা হচ্ছে মনের মধ্যে। আমি আবারো সেই কাজে জড়িয়ে যাচ্ছি কি? কিন্তু আমি তো ভালো হতে চাচ্ছি। অবশ্য মার্ডার আমি করিনি। আমার লোকজন করেছে।..
- এই যে নিলয় সাহেব..আপনার ফোন নাম্বারটা দেন তো। (নেহা)
ক্যামপাসে বসে উপরের কথাগুলো ভাবছি। তখনি কোথা থেকে যে এই নেহা চলে আসলো বুঝিনি। আর
এসেই কথাটি বললো..
- মানে নাম্বার কেনো?
- বারে, নাম্বার না দিলে কথা বলবো কিভাবে তোমার সাথে? তোমাকে তো ভালোবাসি আমি। (নেহা)
- ভালো।
কথাটি বলে যেয় না উঠতে যাবো। তখনি নেহা আমার
হাতটি ধরলো। আর বললো..
- আচ্ছা তুমি এমন গোমড়া মুখো কেনো? কখনও ভালো করে কথা বলোনি কেনো? কি হয়েছে তোমার হুমমম? (নেহা)
- হাত ছাড়ো..
- আগে বলো, তোমার সমস্যাটা কোথায়? তুমি সবাইকে এমন এড়িয়ে চলো কেনো? কি প্রবলেম কি?
- প্রবলেম হল আমি মেয়েদের সহ্য করতে পারি না।
- হিহিহিহিহি,,তার মানে ছ্যাখা খাইছো? ওকে ব্যাপার না, আমি তো আছি তোমাকে ভালোবাসার জন্য।
- চুপপ..আমি জীবনে মেয়েদেরই সহ্য করতে পারলাম না। আর ছ্যাখা.খাইছি তাই না?
- তাহলে বলো তুমি এমন.কেনো? আর কেন সহ্য করতে পারো না?
কিছু না বলেই হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে চলে আসলাম। আরেকটু সময় থাকলে রাগটা কন্ট্রোল করতে
পারতাম না। তখন খারাপ কিছু করে বসতাম। ক্লাসে এসে সেই বেন্চটাতে চুপচাপ বসলাম। একটু পরেই স্যার আসলো। স্যার এসে স্যারের মত পড়ানো শুরু করলো। কিন্তু সে দিকে আজ আমার মন
নেই। মনটা নেহারও নেই, মেয়েটা সেই তখন থেকেই তাকিয়ে আছে। যা আমার কাছে যথেষ্ট বিরক্তিকর লাগছে।
- কি ব্যাপার নিলয়, এমন করে বসে আছো কেনো? (স্যার)
- নাহ মানে, কিছু না স্যার।
- কি হয়েছে বলো..
- কিছু না স্যার, আব্বুর কথা
মনে পড়ে গেলো তো তাই।
- ওহহ...
স্যার আমার কাছে এসে কথাগুলো বলে আবার সামনের দিকে চলে গেলেন। যেয়ে আজো উদ্ভট প্রশ্ন শুরু করলো..।
- আচ্ছা বলোতো, মানুষ সুখটাকে নিজের জীবনে
পেলে সেটা ছাড়তে চাই না,আবার দুঃখ আসলে আমরা
সেখান থেকে বের হওয়ার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এটা কেনো
করি? সুখ কেন চাই আমরা বারবার? দুঃখটাকে কেনো
চাই না? সুখ দুঃখ তো একে অপরের সাথে জড়িত।
তাহলে কেন এমন করি আমরা??
স্যারের প্রশ্ন শুনে আমিই আজ প্রথম উঠে দাঁড়ালাম।
বললাম..
- স্যার, মানুষ হল এমন একটা জীব, যেটা নিজের ভালোটাই বুঝতে পারে। মানে, আমরা মনে করি নিজে ভালো তো সব ভালো। আর এই নিজেকে ভালো থাকার মধ্যে রাখতে যেয়ে আমরা চরম পর্যায়ে পৌছায়। মানে একটু সুখের জন্য অনেক কিছুই করতে হয়। যার কারনে দুঃখ টাও আমামের কাছে আসে। সুখ দুঃখের মাঝেই জীবন আমাদের। কিন্তু আমরা সুখটাকে বেশি ভালোবেসে ফেলি। তাকে আগলে রাখতে চাই। বরন করে থাকি সাদরে। তখনই ভুলে যায় দুঃখটাকে। তুচ্ছ মনে করি, তাই দেখবেন অনেকেই বলে এখন সুখে আছি,দুঃখ আর আসবে না জীবনে। মূলত ভুলটা সেখানেই। সুখের পরেই দুঃখ আসবেই। সুখের
সময় সেটা আগলে রাখার জন্য যেমন কাজ করি। তেমন দুঃখটাকে তাড়ানোর জন্যও
সে রকম কাজ করি।
আমরা যদি মনে রাখি সুখের পরে দুঃখ আসবেই।
আবার দুঃখের পরেই সুখ আসবে। তাহলে জীবনে খারাপ সময়ে পড়তে হবে না। আমরা দুঃটাকে বরন করি না। তাড়ানোর কাজে লিপ্ত হয়। ফলে সেটা আমাদের জীবনে জড়িয়ে যেতে থাকে।
- হুমমম..ঠিকই বলেছো তুমি।
(স্যার)
..
ক্লাস শেষ করে বাইরে আসলাম। তখনি নেহা আমার
পাশে এসে হাটতে লাগলো..
- তুমি কোন কলেজে পড়তা এর
আগে?
- কেনো? (আমি)
- তুমি এত সুন্দর করে কথা বলো, অবশ্যই সেই কলেজটা উন্নত ছিলো। কিন্তু চলে আসলে কেনো? কি
হয়েছিলো?
- কিছু না।
- বুঝেছি, ঐ কলেজের কোনো একটা মেয়েকে
ভালোবাসতা, সে ছ্যাখা দিয়েছে। ফলে কলেজ ছেড়ে
এখানে চলে এসেছো। তাই না?? (নেহা)
- থাপ্পড় চিনো?
- হুমম আগে কত খেয়েছি।গালে।
- আমি দিবো খাবা?
- হুমম দাও না,প্লীজ খাবো..
কিছু না বলেই তাড়াতাড়ি চলে আসলাম সেখান থেকে।
অন্য সময় হলে থাপ্পড় না এতদিনে খুন করতাম। কিন্তু
আমি তা করবো না আর। আসতে আসতে বের হতে হবে সেখান থেকে।
.
(পরেরদিন)
.
ক্লাসে ব্যাগটা রেখে বাইরে এসে বসেছি। একটু পরেই নেহা আসলো পাশে। কিন্তু সে আজ কিছুই বলছে না। চুপচাপ বসে আছে।
- কি হল, আজ কিছু বলছো না যে??
কিছু না বলে সে আমার দিকে রাগি চোখে তাকালো। কিন্তু কেন..? কি করলাম আবার আমি?
- কি হল, এভাবে তাকাচ্ছো কেনো? (আমি)
কিছু না বলেই সে আমার সামনে থেকে চলে গেলো।
আর আমি হাবার মত চেয়ে আছি। কিন্তু আজ তো আমি কিছুই করিনি। না ধাক্কা দিয়েছি। না কাগজ ছুড়েছি। তাহলে এমন করছে কেনো? ধুরর করলে তো
আমার কি? ক্লাসে চলে আসলাম। তবে নেহার দিকে তাকাতেই দেখি সে মাথাটা নিচু করে আছে। অন্যদিন হলে তো সে আমার দিকে তাকাতো। কিন্তু আজ কি হয়েছে ওর। সারাটা ক্লাসে সে ওভাবেই ছিলো। একবারো তাকায়নি আসেপাশে। তবে কি সে জেনে গেলো আমি কে?? কিন্তু কিভাবে জানবে? তখনি ব্যাগে হাত।দিয়ে দেখলাম পিস্তলটা ঠিক আছে নাকি? হুমম সবই তো ঠিক আছে। কিন্তু সে কি জেনে গেলো??
..
আজ তিন দিন হল নেহা কথা বলে না। তাকায় ও না সে
আর। যাক ভালোই হল, আমাকে জ্বালানোর বা প্রশ্ন করার মত কেউ নেই। এসব কথা ক্যামপাসে বসে
ভাবছি। ঠিক তখনি নেহা আসলো আমার কাছে।
- আরে তুমি? তো কি মনে করে আবার? (আমি)
-...... (তাকিয়ে থাকলো)
- কি ব্যাপার চুপ কেনো?
একটু এদিক সেদিক তাকিয়ে।।গম্ভীর মুখে সে আমার দিকে।তাকালো। মুখে যতটা সম্ভব।রাগ এনে বললো..
- কে তুমি??
প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠলাম। সেই সাথে চুপ হয়ে গেলাম।
আবার জিগাস করছে সেই।একই প্রশ্ন। চুপ করেই বসে
রইলাম।
- আমি কিছু জিগাস করেছি। কে তুমি??
- আরে কে মানে? আর এসব।প্রশ্নের কোনো উত্তর থাকে।নাকি?
আমার কথায় সে কোনো ভ্রক্ষেপ না করে আবার প্রশ্ন
করলো..
- তোমার পরিচয় কি? বাসা কোথায় তোমার..?
- নেহা, এসব কি বলছো?আর আমাকে কেনো এসব বলছো তুমি? আমি বাধ্য নয়..
- তাই নাকি..তাহলে এটা।কেনো তোমার ব্যাগে
থাকে?।পিছন থেকে নেহার হাত সামনে এনে দেখালো। আর হাতে যেটা দেখলাম, সেটা দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। মানে ওর কাছে।এটা দেখবো বলে। কিন্তু সে।এটা পেলো কোথায়?
- দাও এটা,,এটা তোমার কাছে কেনো?
নেহার হাত থেবে পিস্তলটা।নিয়ে তাড়াতাড়ি কোমরে
গুজলাম। কিন্তু সে পেলো কোথায়??
- তোমরা ব্যাগে এটা
কেনো? (নেহা)
-......
- কি হল বলো,,আমাকে বলতেই
হবে।
- ক্লাসে যাও।
- বললাম না আমাকে বলো, এটা কেনো তোমার ব্যাগে?
কে তুমি সেটা বলো? কেন তুমি এখানে সব সব বলো আমায়।
- নেহা ক্লাসে যাও।
- যা যা বলছি তার এনস দাও।
না হলে..
- না হলে কি...
- বুঝতে পারছো না??
নেহার দিকে তাকালাম, মন চাচ্ছে এখানেই তাকে।মেরে ফেলি। কিন্তু না..
- কি হল কি...
- আসলে পিস্তল থাকে।নিজেকে বাচানোর জন্য।(আমি)
- মানে? কেনো??
- মানে আমি মাস্তান, যে।এলাকাতে থাকথাম সেখানকার টপ মাস্তান।আমি। তাই..
- কেনো..
- আরে কেনো মানে?।মাস্তানি করি তাই মাস্তান।
- কেন মাস্তানি করো? তোমার ফ্যামিলিতে সবাই মাস্তান নাকি?
- হাহাহাহা,,ফ্যামিলি??
- মানে?
- কেউ নাই আমার।
- মানে. তাহলে মাস্তানি করো কেন?
- পরিস্থিতির স্বীকার।
- কি হয়েছিলো?
একটু চুপ থেকে দীর্ঘএকটা নিশ্বাস ছাড়লাম। নেহার
দিকে তাকিয়ে পুরোনো স্মৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলাম।
(waiting for next part)
গল্প: মাস্তানি (৬ষ্ট ও শেষ পর্ব)
গল্প: Abir Hasan Niloy
..
- সব পরিবারের মত আমাদের পরিবারেও সুখ ছিলো।
ছিলো অনেক কিছুই। আমার যখন ১৪ বছর বয়স তখন আমার.মা মারা যায় ক্যান্সারে।.সেদিন খুব কেদেছিলাম আমি। সেদিন বুঝেছিলাম, মা আসলে কি জিনিস। আব্বু মাকে খুব ভালোবাসতো। আব্বুও
ভেঙে পড়েছিলো খুব। কিন্তু আমি যখন কলেজে উঠলাম।
অর্থ্যাৎ আমার আব্বু আম্মুর মারা যাওয়ার তিন বছর পরই বিয়ে করে আরেকটা। তিনি ভেবেছিলেন আমি একা করবেনা, মায়ের অভাব পূরন করবে বলে বিয়ে করেছে।
কিন্তু না সেরকম কিছুই।হয়নি। আসলে সৎ রা আপন হয় না কখনই। তিনি ছিলেন লোভি একজন মহিলা। একদিন কলেজ থেকে ফিরে দেখি, আমার সৎ মা আব্বুর বেড রুমে অন্য একটি লোকের সাথে একই বিছানাতে... এসব দেখার পর, নিজেকে কেমন অসহায় লাগতো। কিছু বলতে গেলেই মারতো
আমাকে তিনি। এমনি একদিন কলেজ থেকে
ফিরে দেখি, সেদিনের সেই লোকটা রুম থেকে বের
হচ্ছে। তার পরেই মা বের হয়,
- কি ব্যাপার মা, লোক টা কে? (আমি)
- কেনো? (মা)
- তোমার রুমে প্রতিদিন সে কি করে?
- মানে?? তোকে বলতে হবে কেনো?
- আমি আব্বুকে সব বলে দিবো।
- ঠাসসস...বেয়াদপ ছেলে, তুই
যদি তোর বাপকে কিছু বলিস সেদিন তোর বাবাসহ
তোকে খুন করবো। যা নিজের কাজ কর।
কথাগুলো চুপচাপ শুনে গেলাম।চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। তবে একদিন আব্বুকে সব বলি.
- আব্বু ঐ মহিলা ভালো না।
(আমি)
- কে,,?
- সৎ মা,,
- নিলয়, কাউকে সম্মান দিতে শেখোনি? তোমার মা হয়।
- হুমম মা হয়, তবে সৎ মা।
- কি হয়েছে,,
- উনি তোমার অনুপস্থিতিতে বাইরের লোক এনে তোমার বেডরুমে....
- ঠাসসসস,,বেয়াদপ ছেলে, তুমি কি বলছো এসব...?
সেদিন আব্বুর মুখের দিকে কান্না ভরা চোখে তাকিয়ে ছিলাম।
- বিশ্বাস না করলে তুমি দেখে নিও।
এইটুকু বলেই সেদিন চলে আসি
আমু ওনার থেকে। একদিন রাতে ঘুমিয়ে আছি। তখনি চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। চিৎকার আসে আব্বুদের
রুম থেকে। দৌড়ে সেখানে যেয়ে দেখি। আমার আব্বুকে।সৎ মা আর সেই লোকটি খুন করছে। ছুরি দিয়ে আঘাত করছে বারবার...
- আব্বু....(চিৎকার করে ডাক দিলাম)
- ঐটাকেও ধর (মা)
ওদেরকে ধাক্কা দিয়ে আব্বুর কাছে গেলাম। সেদিন।আব্বু বলেছিলো, "নিলয় তুই কোনোদিন রাগের বসে
কিছু করে বসবি না" তার পরেই তিনি মারা যায়,তখনি রাগ উঠে যায় আমার। খুন আমি সেই লোকটাকে ও
আমার সৎ মাকে। তারপর থেকে আমি পাল্টে যায়। একটা গ্যাং হয় আমার। যশোরের সবাই, আমাকে
একনামে চিনে। আমাকে ভয় পাই। হয়ে উঠি মাস্তান।
সারা এলাকায় মাস্তানি।করে বেড়াতাম। কিন্তু
আব্বুর কথাটি বারবার মনে পড়তো, তাই এখন ভালো
হওয়ার জন্য এখানে এসে নতুন করে ভর্তি হয়।
..
কিছু না বলেই নেহা সেখান থেকে চলে গেলো। আমি
অবাক হয়ে ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
কিন্তু সে কেনো চলে গেল? ক্লাসে বসে আছি। কিন্তু
নেহা আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। তবে সেই তাকানোর মাঝে আছে, একটা ক্ষোভ, একটা রাগ।
কিন্তু আমি কি করলাম? আমি তো তার কোনো ক্ষতি
করিনি।
- নিলয়, তুমি বলোতো, মানুষ কেন স্বার্থপর হয়? যেখানে বলা হয়ে থাকে মানুষ মানুষের জন্য? (স্যার)
- স্যার, মানুষ স্বার্থপরতা শেখে পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। যদি কারো সাথে খারাপ কিছু হয়, তো সে সেখান থেকেই স্বার্থপর হয়ে যায়।
- তাহলে মা বাবা কেনো স্বার্থপর হয় না? (স্যার)
- হাহাহাহা,, স্যার, মা বাবা হল পৃথিবীর সব চাইতে অমুল্য সম্পদ। যার এই দুটো সম্পদ নেই। মোটেও ধ্বনি না স্যার। আর তারা মোটেও স্বার্থপর হয় না। কারন,
তাদের মন সন্তানের জন্য সবসময় পবিত্রতায় ভরা
থাকে। সন্তান যত বড়ই ভুল করুক না কেনো, মা বাবার
কাছে সে কিছুই করে নি।।এটাই হল ভালোবাসা স্যার, এটাই হল সন্তানের প্রতি পিতামাতার ভালোবাসা। কিন্তু কেনো স্যার, এমন প্রশ্ন?
- আসলে আমার ছেলেটা আবার ফিরে এসেছে তো
তাই। (স্যার)
কিছু না বলে মুচকি হেসে।বসে পড়লাম। সামনে
তাকিয়েই দেখি, নেহা।নেই। কিন্তু কই গেল সে??
সারা ক্লাসে সে নেই। ক্লাস শেষ করে বাইরে বের
হলাম। কেন জানিনা আজ মনে হচ্ছে এই কলেজে আসা আমার আজ শেষ দিন। হয়ত আর আসতে
পারবো না। চারিদিক ভালো করে দেখে নিলাম
একবার। ক্যামপাস থেকে বের হওয়ার
আগে সব দিকে চোখটা বুলিয়ে নিলাম। ক্যাম পাস
থেকে বের হয়েই, আমি অবাক..
সামনে দেখি নেহাসদাড়িয়ে আছে। আর তার গায়ে পুলিশের পোষাক।
- নেহা তুমি..?
- অবাক হচ্ছো?? এটা নাও..
(হাত বাড়িয়ে)
হাত বাড়িয়ে সে যা দিলো।সেটা হল আমার সেই
পিস্তলটা। যা আমার ব্যাগেই থাকতো। কিন্তু সে এটা পেলো কোথায়? তাহলে আমার কাছে কি অন্য একটা??
- কি হল ধরবা না?? (নেহা)
-......
- খুব খুজেছি তোমায়। তুমি খুব নিখুত মাস্তান ও খুনি। বহু জায়গায় তোমায় খুজেছি। শেষে তোমাকে এখানে
পেলাম।
-...... (অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম)
- সেদিন ঐ টিজার রা তোমাকে ভাই বলাতেই
সন্দেহ হয় আমার। তারপর থেকেই তোমাকে
ভালোবাসার ফাদে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি পড়োনি। তবে রোজ দেখতাম তুমি তোমার ব্যাগ থেকে নড়তে না। সন্দেহটা বাড়ে। আর তোমার পরিচয়হীন স্বভাবে খোজ নিয়ে জানতে পারি, তুমিই সেই মাস্তান নিলয়।
আর বড় কথা হল, সেদিন তোমায় শুনে ছিলাম ফোনে
কথা বলাটা। শুনে নিয়েছিলাম কাউকে খুন করবে। আর যাকে খুন করেছিলে, সে হল আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর একজন পুলিশ। তোমার উপর নজরদারি রাখতেই আমি ওকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি তাকেও মেরে দিলে।
- বাহ বাহ,,,তবে আগে কেনো
ধরোনি? কেনো আমার পূরোনো কথাগুলো শোনার
পর ধরলে? আর আমি তো ভালো হতে চেয়েছি।
-.......
- আমাকে ভালোবাসার নাটক করলা..?
- হুমমম..
- প্রমান হয়েই গেল, মেয়েরা আসলেই নিকৃষ্ট।
কথাটি শেষ করে নেহার হাতে থাকা পিস্তলটি
কেড়ে নিলাম। সোজা কপাল বরাবার ধরে যেই নটিগার টানতে যাবো তখনি পায়ে গুলি করে আমায় কেউ
একজন। পিছনে ঘুরে দেখি ৭ জন পুলিশের মধ্যে কেউ একজন গুলি করেছে আমার।
..
কিছু মনে নেই আর, যখন ঙ্গান ফিরলো তখন দেখি আমি থানার মধ্যে। বাইরে দাড়িয়ে আছে নেহা।
- তো মি. নিলয়, খুব সমাজের হয়ে লেকচার দেন তাই না? খুব বুদ্ধিমান ছিলেন তাই না? কিন্তু এখন আর সে সব দিয়ে কাজ নেই। আপনার ফাসির ব্যাবস্থা করছি।
কিছু না বলে চুপ করে ওর মুখের দিকে তাকালাম। মনে মনে বলে উঠলাম
- হায়রে মানুষ, ভালো হওয়ার সুযোগটুকু দিলি না। আর তোকে তো বিশ্বা করেই সব নিজের মুখে বলেছি সব। তারপরও তুই এমনটা করলি। আসলেই বিশ্বাস নিয়ে
খেলাটা, তোর মত মেয়েদের।কাছে একটা মজার ব্যাপার।।আমাকে বলে দিলেই তো হত,।নিজে এসে ধরা দিতাম তোর কাছে। চেয়েছিলাম একটা ভালো মানুষ হব আগে। তারপর নিজে এসে ধরা দিবো। কিন্তু ভালো আর।হতে দিলি না।।তবে এখানেই শেষ না। আমি।যেভাবেই হোক এখান থেকে।বের হব। বের হয়েই শুরু করবো আবার মাস্তানি। প্রথম খুন।হবি তুই। বিশ্বাসের খুন।করলি তুই আমাকে। আর আমি।করবো তোর।দেহের খুন। একটু জোরে হেসে উঠলাম। হাসিটা ছিলো এক পৈশাচিক হাসি।
(৫২)
--------(সমাপ্ত)---------রিপোষ্ট
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ