āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3917 (4)

গল্প: ঠিকানা
পর্ব:০৭
লেখা: মিশু মনি
.
আমি লজ্জায় নীল হতে হতে বেগুনী হতে শুরু করেছি।ধুকপুকুনি টা বেড়ে যাচ্ছে।খুব দ্রুত হার্টবিট হচ্ছে।এত জোড়ে লাফাচ্ছে যে আরেকটু জোরে হলেই বুঝি হার্ট ফেটে যাবে।আমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
এমন সময় কে যেন দরজায় কড়া নাড়লো।আমি চেঁচিয়ে বললাম,কে?
ওপাশ থেকে আম্মুর গলা ভেসে আসলো, মিশু বাইরে আয়।দেখে যা কে এসেছে?
ইফতি রেগে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলল,যা ভাগ।দূর হ আমার চোখের সামনে থেকে।তুই আসলেই একটা শনি।
আমি হেসে বললাম,একটু দাড়া।কে এসেছে দেখেই চলে আসছি।
.
বসার ঘরে এসে দেখি কাজী মৈত্রী ভাই!
মৈত্রী সাহেব আমার 'তো' ভাই।অর্থাৎ মামাতো, চাচাতো, খালাতো, ফুফাতো কিংবা নানাতো,এইসব ভাইয়ের মধ্যে যেকোনো একটা ভাই।দূর সম্পর্কের আত্মীয়।কিন্তু আমার ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাসায় অনেক আসতেন।তাই আমার সাথে সম্পর্ক টা অনেক টাই ভালো।
আমি হেসে বললাম,আপনি!
- হু,কেমন আছো মিশু?
- সদ্য বিবাহিত বউরা যেমন থাকে।আপনার কি অবস্থা বলুন?
- হ্যা ভালো।তোমার শরীর কেমন এখন?
- আমিতো ভালোই ফিল করছি।তা আমার বিয়েতে আসেন নি কেন?
- ওই তো চেন্নাই,
- আপনার চেন নাই বলে আসেন নি? লুঙী পড়ে আসতেন।
- আরে বাবা চেন্নাই তে ছিলাম।তাই আসতে পারিনি।গতকাল ফিরেছি, শুনলাম তুমি কারেন্ট শক খেয়েছ।তাই দেখতে আসলাম।
আমি হেসে বললাম,খুব ভালো করেছেন।ইফতির সাথে দেখা করবেন না? আপনি বসুন,ওকে ডেকে আনছি।
- করবো, আগে তোমার সাথে একটু গল্প করি।
আমি মনে মনে বললাম,গল্প করার মত মুড নাই।যত তাড়াতাড়ি পারেন ঘুমান গিয়া।বিরক্ত হচ্ছি।
কিন্তু মুখে বললাম,আচ্ছা ঠিকাছে।কাল অনেক কথা হবে।আজ ঘুমাবো।
- ওহ আচ্ছা।তাহলে ইফতির সাথেও কাল কথা বলবো। তুমি গিয়ে ঘুমাও।
- ওকে।গুড নাইট।
আমি রুমের দিকে পা বাড়ালাম। মৈত্রী পিছন থেকে ডেকে বলল,মিশু একটু দাড়াও।
আমি ঘুরে দাঁড়ালাম। মৈত্রী এগিয়ে এসে আমার হাতে একটা ঘড়ি পড়িয়ে দিতে দিতে বলল,বিদেশ থেকে এনেছি তোমার জন্য।
আমি মনে মনে বললাম,ভালো করেছেন। এবার হাত টা ছেড়ে দিয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।
কিন্তু মুখে বললাম,থ্যাংকস। খুউউউব সুন্দর!
- আচ্ছা এবার ঘুমাও গিয়ে।বেস্ট উইশেস ফর ইউর ম্যারেড লাইফ।
- থ্যাংকস।
মুখে হাসি ফুটিয়ে রুমের দিকে আসলাম।ইফতি রাগী রাগী মুখে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।
আমি বললাম,কি রে এখানে কেন?
- তোর প্রেম করা দেখলাম।
- কি বললি?
- ভালো তো।হাতে ঘড়ি পড়িয়ে দিলো।তোর বিয়ের পরেও পুরনো টাকে ছাড়তে পারলি না? অবশ্য পুরনো প্রেম, অত সহজে কি ভোলা যায়?
আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলাম।মিথ্যে অপবাদ কিছুতেই সহ্য করা যায়না।
বললাম,মুখে লাগাম দে।
- আমার মুখটা ঘোড়ার চামড়া নয়।
আমি রুমে এসে ঘড়িটা খুলে রাখলাম। ইফতি এসে সেটা হাতে নিয়ে বলল,অনেক দামী মনে হচ্ছে।গুড..
- শোন ইফু,তুই ভালো করেই জানিস মৈত্রীর সাথে আমার ভাইবোনের মত সম্পর্ক।অযথা অপবাদ দিবিনা।
- সেটা তো দেখলাম ই।অনেক গল্পেই মৈত্রী তোর নায়কের নাম ছিলো।ভাবতাম গল্প তো গল্পই।বাস্তবে যে উনি সত্যিই তোর নায়ক সেটা জানতাম না।আজ নিজ চোখে দেখলাম।
আমি রেগে গেলাম।আমি জানি ইফতি অযথা ঝগড়া লাগানোর জন্য এসব বলছে।কিন্তু তবুও রাগ হচ্ছে।প্রথমত, এভাবে অযথা ঝগড়া করার জন্য। আর দ্বিতীয়ত,এত সুন্দর মুহুর্তটা নষ্ট হয়ে গেলো বলে।ইফতি একবার ঝগড়া শুরু করা মানে আজ আর থামছে না।ধুর,আমি বোধহয় আসলেই একটা শনি।
.
ইফতি বলল,মৈত্রীকে তুই মামা বলে ডাকবি।
আমি অবাক হয়ে বললাম,উনি আমার ভাই।
- তো ভাই,নিজের ভাই নয়।মামা বলে ডাকবি।
- আশ্চর্য!
- তা তো মনে হবেই।বয় ফ্রেন্ড কে কি আর মামা বলা যায়?
- ইফতি,মুখ সামলে কথা বল।
- আমার মুখ সামলানোই আছে।তোর 'তো 'ভাই হাত সামলাতে পারেনা আর আমি মুখ সামলাতে না পারলেই দোষ?
এবার আমি ভয়াবহ রেগে গিয়ে ইফতির সামনে এসে বললাম,খবরদার ইফু।চুপ করে থাক নয়ত ভালো হবেনা।
- আমার রুমে থাকিস না,ওই ভাইয়ের রুমে গিয়ে ঘুমা যা।
এবার আর রাগ সামলাতে পারলাম না।হনহন করে হেটে বাইরে আসলাম।
মৈত্রীকে খুজে বের করে বললাম,এই যে কাজী ভাই।
- কি হইছে মিশু?
- আমাদের মাঝে আপনাকে ভিলেন হতে কে বলেছিল? কি সুন্দর রোমান্টিক সিন চলছিল,সেই মুহুর্তে উনি এসে ট্রাজেডি ফিল্ম বানিয়ে দিলেন।
- আমি আবার কি করলাম?
- আপনাকে কে বলেছিল আসতে?
- বাপ রে,তোমাদের বাসায় আসতে আমার দাওয়াত লাগবে?
- চুপ থাকুন তো।গল্পের মোড় টা ঘুরিয়ে দিলেন এসে।
- কিসের গল্প?
- আমার আর ইফতির ভালোবাসার গল্প।কত সুন্দর হাটি হাটি পা পা করে আমাদের প্রেম টা এগোচ্ছিল,আপনি এসে সব নষ্ট করে দিলেন।
- আমি ভিলেন হয়ে গেলাম? কিন্তু আমার অপরাধ টা কি বুঝতে পারছি না।
- বুঝতে হবেনা।আপনার সাথে ভবিষ্যতে অনেক খাতির ছিল।এখন আর থাকবে না।
- ওটা ভবিষ্যৎ নয়।ওটা হবে অতীত।
- ওই একই হলো।
- একই হলোনা।তুমি যদি বলো,বাবা শাড়ি পড়ে আছেন তাহলে বাক্যটা ভুল হবে।একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুন থাকে,জানোনা?
আমি আরো রেগে গেলাম।আমাদের রোমান্টিক সিনের মাঝে ঢুকে আবার ব্যাকরণ শেখাচ্ছে।
মৈত্রী বলল,এত উত্তেজিত হবেনা মিশু।
- হুম।আপনি আজ সকালে উঠে চলে যাবেন।
- আজ নয়,বলো কাল সকালে উঠে চলে যাবেন।
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।বারবার ভুলভাল কথা বলছি।ইফতির সাথে ঝগড়া শুরু হওয়ায় বুঝি মাথাটা গেছে।
কিছু না বলে আবার রুমে চলে আসলাম।
ইফতি বিছানায় শুয়ে ভিডিও কলে একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে।এসব কি হচ্ছে!!
কোথায় এখন দুজনে মিলে বিছানা টাকে স্বর্গ বানিয়ে ফেলতাম।তা নয়,এখন দুজন দুদিকে জ্বলছি।
আমি এসে ফোনটা কেড়ে নিয়ে বললাম,তুই কি শুরু করলি এসব?
- বারে,নিজে আমার সামনে প্রেম করতে পারো আর আমি ভিডিও কল দিতে পারিনা?
- ইফু,অযথা এমন করবি না।
- একশবার করবো। আয়াতের সাথে কথা বললাম।এবার নূড়ির সাথে বলবো।
- এরা কারা?
- আমার গার্ল ফ্রেন্ড।
- ইফু,ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি।
- খারাপ টাই হোক।
এ কথা বলে ইফতি ফোন টা নিয়ে কথা বলতে বলতে বেলকুনিতে গিয়ে দাড়ালো।
.
আমি একা সোফায় চুপটি মেরে বসে আছি।প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে ইফতি ফোনে কথা বলছে।এগুলো ওর ফাজলামো ছাড়া কিছুই নয়।আমাকে জব্দ করার জন্য এসব করছে।কিন্তু এত সুন্দর মুহুর্তটা নষ্ট হয়ে গেলো ভেবেই আমার মন খারাপ লাগছে।
অনেক্ষন বসে থাকার পরেও ইফতি আসলো না।কথা বলেই চলেছে।
আমি সোজা আম্মুর রুমে চলে আসলাম।
আম্মু বলল,কি হইছে মিশু?
- হানিমুনে যাবো। ব্যবস্থা করে দাও।
- আচ্ছা।কয়েকটা দিন যাক।
- আমি কালই যাবো।
- এত বড় এক্সিডেন্ট হয়ে গেলো। তোর শরীর ভালোনা।এখন তোকে যেতে দিবো না।কয়েকদিন পর যাস।
- ঠিকাছে, আমি কারেন্টে হাত দিয়ে মরে যাবো। তখন বুঝবা সবাই।মিশুকে ছাড়া কিভাবে থাকো তাই দেখবো।
আম্মুকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সেখান থেকে চলে আসলাম। কিছুই ভালো লাগছে না।জব্দ করার একটা সীমা থাকে,ইফতি আমার সাথে এবার একটু বেশি বেশি ই করছে।
এবার আমিও দেখাবো মজা!
( চলবে....)

গল্প: ঠিকানা
শেষ পর্ব
লেখা: মিশু মনি
.
মনটা খুব অশান্ত হয়ে আছে।সে তার ঠিকানা হারিয়ে ঠিকানা খুঁজছে।ইফতি কি কখনো বুঝতে পারবে এ অনুভুতির কথা?
সারা বাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছি।কিছুই ভাল লাগছে না।মৈত্রী হয়ত সকালে উঠেই চলে যাবে।কিন্তু হারিয়ে ফেলা সুন্দর রাত টার কথা ভেবে বড়ই আফসোস হচ্ছে!
দাদির ঘরের দরজায় এসে উকি দিয়ে বললাম,দাদি আসবো?
- মিশু?  আয়।
ভিতরে ঢুকে দাদির পাশে বসলাম। দাদি বলল,ব্যাপার কি বনু? বরকে রেখে বুড়ির ঘরে?
- সে সৌভাগ্য কি আর আছে বনু? বর তো নয়,যেন ঝাল মরিচের গুড়া।
- হু, খুব জ্বালায় না?
- প্রচুর,
- সোহাগ করে তো?
- কি হাগ?
- সোহাগ সোহাগ,
- সোহাগ তো ইফতির চাচাতো ভাইয়ের নাম।
- আরে পাগলী, ভালো টালো বাসে তো?
- ভালো বাসে।কিন্তু টালো আবার কিভাবে বাসে?
দাদি হাসলো।আমিও হেসে বললাম,ভালো তো বাসেই।হসপিটালে সে কি কান্না! কিন্তু কাছে পাইনা ওকে।একটা না একটা বাধা আসেই।
- সে আবার কি কথা?
আমি দাদিকে খুলে বললাম কথাটা।সব শুনে দাদি হেসে বলল,এইভাবে চললে তোদের আর জীবনে প্রেম করা হবে না।
- হু দাদি।প্রেম ট্রেম বুঝি কপালে নাই।
- দাড়া,তোকে একটা বুদ্ধি শিখিয়ে দেই।অভিনয় করতে পারবি?
আমি অবাক হয়ে বললাম,কিসের?
- তুই তো বেশ ঢং করতে পারিস।একটু অভিনয় করবি।এমন ভান করবি যেন পেট ব্যাথায় মরে যাচ্ছিস।পেট চেপে ধরে চিল্লাবি।তোর অবস্থা দেখে ইফতির দশা কি হয় দেখিস।বেচারা খালি ছটফট করবে।কাছেও আসবে,ভালো ও বাসবে।পারবি তো?
- খুউউব পারবো গো দাদি।থ্যাঙ্ক ইউ সোনা দাদি আমার।
দাদি হাসলো।
.
আমি নাচতে নাচতে আমার ঘরের দরজায় চলে আসলাম। তারপর শুরু করলাম অভিনয়। এমন ভান করছি যেন পেট ব্যাথায় কুকড়ে মুকড়ে যাচ্ছি।প্রচুর কষ্ট হচ্ছে।কিছুতেই সহ্য করা যাচ্ছে না।কস্মিনকালেও এমন মারাত্মক পেট ব্যাথা কারো হয়নি।
দুহাতে পেট চেপে ধরে রুমে ঢুকলাম। ইফতি এখনো বেলকুনিতেই আছে।
আমি চিৎকার করে উঠলাম, ওহ মা গো,মরে যাচ্ছি গো।
ইফতি ছুটে এসে বলল,কি হইছে মিশু?
আমার চোখ দিয়ে টপ করে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো। ইফতি অবাক হয়ে বলল,কাঁদছিস কেন?
- খুব পেট ব্যাথা ইফু।
- হঠাৎ? কি খেয়েছিস?
- কিছুনা।
- তাহলে?
- জানিনা।
বলে আবারো চেঁচিয়ে উঠলাম, মা গো! মরে গেলাম।
ইফতির কপালে চিন্তার ভাজ পড়লো। আমার মনে লাড্ডু ফুটে উঠলো।
ইফতি বলল কি হলো তোর হঠাৎ?
আমি এমন ভান করলাম যেন কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে।বহু কষ্টে বললাম,অসহ্য ব্যথা।
- কিসের ব্যাথা এটা?
- জানিনা।
আমার চোখে পানি দেখে ইফতির মুখ শুকিয়ে গেলো। হয়ত ওর ও খুব কষ্ট হচ্ছে।আহারে! বেচারা ইফতি!
ইফতির চোখ টলমল করছে।যদি ছেলেদের জন্য ভ্যা ভ্যা করে কান্না করা জায়েজ থাকত,নিশ্চয় ই ইফতি কেঁদে কেঁদে পুরো এলাকায় লোক জড়ো করে ফেলতো।
আমি চেঁচিয়ে বললাম,ইফুউউউ..
ইফতি বলল,হ্যা মিশু
- কষ্ট হচ্ছে।
ইফতি এগিয়ে এসে বলল,আম্মুকে ডাকবো?
-আম্মুর সাথে কথা বলেই এসেছি।
- কি বলল আম্মু?
- ওষুধ খাইয়ে দিলো। আর চুপ করে শুয়ে থাকতে বলল।
- কিসের ব্যাথা এটা বলেনি?
- আম্মু কি করে জানবে? আম্মু কি ডাক্তার নাকি ডাক্তারের চ্যালা?

বলে আবারো চিৎকার করে উঠলাম, মা গো,মরে গেলাম গো!

ইফতি এসে করুণ ভাবে তাকিয়ে আছে।ওর চোখে মুখে চিন্তার ছাপ।অস্থির হয়ে উঠেছে।আমার বেশ মজা লাগছে।
ইফতি বলল,মিশু তুই প্লিজ চুপ করে শুয়ে থাক।
- হুম।ইফু আমি বুঝি মরে যাবো?

ইফতি চেঁচিয়ে বলল,খবরদার আরেকবার বললে আমি নিজেই মেরে ফেলবো তোকে।
- খুব কষ্ট হচ্ছে রে।
আমার দু গাল বেয়ে অশ্রুর বন্যা বইছে।নিজের কান্না দেখে নিজেই ক্রাশ খেলাম।আমি যে চেষ্টা করলেই এত ভালো কাঁদতে পারি,জানা ছিলো না।

ইফতি বলল,মিশু
- হুম
- খুব কষ্ট হচ্ছে?
- হুম।
ইফতি এগিয়ে এসে বিছানায় বসে পড়লো। আমাকে বলল, শান্ত হয়ে শুয়ে থাক।
আমি আরেকটু ঢং করে বললাম,ডান হাত টা অবশ হয়ে আছে ইফু।আমি যদি মরে যাই,তুই কাকে নিয়ে বাঁঁচবি?
- মিশু,মরার কথা বলবি না প্লিজ।

আমি আবারো চেঁচালাম। আর মুখবিকৃত করছি।কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে তবুও বলছি।
ইফতি আমার হাত ধরে বলল,এত ভয় পাচ্ছিস কেন?
তারপর আমার চোখ মুছে দিলো।
আমি মনে মনে মহা খুশি।দাদির বুদ্ধিতে কাজ হয়েছে।
বললাম,খুব খারাপ লাগছে।নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
ইফতি আমাকে বুকে টেনে নিলো। আহা! এই মুহুর্তটার জন্যই এত অপেক্ষা!
খুশিতে মনটা টগবগ করছে।আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি।
ইফতি দুহাতে আমার মুখ টা ধরে বলল,তুই আমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারিস না।আমি যেতে দিবো না।
- তাহলে এত জ্বালাস কেন?
- এটা অভ্যাস হয়ে গেছে।
- একটু তো ভালোবাসতেও পারিস।
বলে আবারো চিৎকার করলাম।
ইফতি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,এখন থেকে ভালো ও বাসবো।
- সত্যি তো?
- এই যে তোকে ছুঁয়ে বললাম।

আমি ও ইফতিকে শক্ত করে ধরলাম।ওর বুকে মাথা রেখে প্রশান্তিতে ছেয়ে গেলো মনটা।এইতো আমি আমার ঠিকানা পেয়ে গেছি।মনেহচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের জায়গা!
ইফতি বলল,ব্যাথা কমেছে?

আনন্দের ঠেলায় ব্যাথার কথা ভূলেই গিয়েছিলাম।একটু চেঁচিয়ে বললাম,না কমেনি।
আমার কপালে ইফতির ঠোটের স্পর্শ অনুভব করলাম। মুহুর্তেই পরম সুখের আবেশে হারিয়ে গেলাম।
ইফতি বলল,I love you Mishu.
আমি আরো শক্ত করে চেপে ধরলাম ওকে।এবার আর আটকাবে কে?
থ্যাঙ্ক ইউ দাদি!

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ