বিবাহ বিভ্রাট
পর্ব:০৫
লেখা: মিশু মনি
★
দুই বন্ধু তামিমের সাথে দেখা করতে আসলাম।
প্রস্তাব টা জানাতেই উনার চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
বললেন, রশ্নিকে আমি ভালবাসি। ওর ব্যাপারে কোনো আপত্তি থাকার কথা না।
কথা টা শুনেই আমার সব টেনশন উধাও হয়ে গেল।খুশিতে মনে লাডডু ফুটছে। ধেই ধেই করে নাচতে ইচ্ছে করছে।
আব্বুকে কল দিয়ে কথা টা জানালাম।
আব্বু বলল,বাসার ঠিকানা দাও।আমি রশ্নির বাবাকে নিয়ে যাচ্ছি।কথা বলতে হবে।
আমি বাসার ঠিকানা বাবাকে জানিয়ে বের হয়ে আসলাম। খুব হালকা লাগছে।এই অবস্থায় রশ্নিকে আমি বিয়ে করলে হয়ত ভালো হত না।তামিমের সাথে বিয়ে হলেই ও অনেক সুখী হবে।
ভাবতে ভাবতে হাটছিলাম দু বন্ধু।মিনহাজ বলল,ব্রো কি ভাবছিস?
- যা হল ভালই হল।
- হুম।এবার কি করবি?
- বাড়ি যাবো। গায়ে হলুদ মাখাবো।
- সাদিয়ার শাড়ি নিবি না?
আমি চমকে উঠলাম। এতক্ষণ তো মনেই ছিল না।আবার আরেক প্যারা!
ত্রিশ হাজার টাকা এখন কই পাবো?
মিনহাজ বলল,তোর একাউন্ট এ কিছু নাই?
- টাকা সব খরচ করে ফেলছি রে।
- সব?
- হুম।মাত্র আট হাজার টাকা আছে।বউয়ের জন্য একটা রিং কিনেছি তো। বাসর রাতে দিবো বলে।
- তাই জন্য একদম সব টাকা শেষ করবি? এবার শারি কিনবি কিভাবে?
চিন্তায় পড়ে গেলাম।শাড়ি ছাড়া বাসায় গেলে সাদিয়া গলা টিপে ধরবে।আর শাড়ি ছাড়া ও বিয়ের পিড়িতে বসবেই না।
মিনহাজ বলল,আমি ধার দিচ্ছি। পরে শোধ করে দিস।
মিনহাজের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।জরিয়ে ধরে বললাম,তুই আমার সত্যিকারের দোস্ত রে।আজ অনেক উপকার করলি। তামিম ভাইকে খুজে দিলি।তোর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো রে।
ন
মিনহাজ বলল,বৌভাতে ভদকা খাওয়াবি কিন্তু।
আমি হেসে উঠলাম।
.
খুব উতসাহের সাথে মার্কেটে আসলাম।
কিন্তু বার টা শাড়ির ছবি তুলে সাদিয়াকে পাঠালাম, ওর একটাও পছন্দ হয়নি।এমনি তেই সারাদিন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।এখন আবার সারা মার্কেট খুঁজতে হবে। এই মেয়েটা যে এমন কেন?
অবশেষে একটা শাড়ি ওর পছন্দ হলো,দাম পঁয়ত্রিশ হাজার।
বাধ্য হয়ে কিনতেই হলো।একটা পায়েল কিনে নিলাম।সাদিয়া নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে।
.
শাড়ি দেখেই সাদিয়া খুশিতে লাফিয়ে উঠল - মিনার,তুমি এত্ত ভালো!
আমি মনে মনে বললাম,শাড়ি ছাড়া আসলে বলতা,মিনার তুমি একটা ভাল্লুক।
সাদিয়া বলল,তুমি খুব মিষ্টি একটা ছেলে।কিউটের ডিব্বা।
- কুত্তার আব্বা?
সাদিয়া রেগে বলল,কি বললা?
- কিউটের ডিব্বা,
- উহু।তুমি অন্যকিছু বলছ।
আমি হেসে বললাম,শাড়ি পছন্দ হইছে?
- হুম।
- এবার হাসো?
- হাসছিই তো,
- দাত বের করে হাসো।
- বত্রিশ টা দাত ই বের করতে হবে?
- বত্রিশ টা দাত থাকলে তো বের করবা।
- চুপ করো।আমার আইসক্রিম কই?
আমি হতভম্ব! আইসক্রিম এর কথা একদম ই মনে ছিল না।
বললাম,সরি। এত কিছুর চাপে ভুলেই গিয়েছিলাম।
- ঠিক আছে।এক শর্তে মাফ করা যাবে।
- আবার কি?
- আজ রাত ১২ টার পর তুমি আর আমি আইসক্রিম খেতে যাবো। জোসনা রাতে হাটতে হাটতে আইসক্রিম খাবো।
- মাথা খারাপ? আব্বু জানতে পারলে বিয়ের শখ মিটবে।
-জানবেই না।আমরা চুপি চুপি যাবো। চুপি চুপি আসবো।
- পাগলামি করোনা।বিয়ের পর যত খুশি রাত্রে বের হওয়া যাবে।কিন্তু আজকে না।প্লিজ।
- উহু আজই।
সাদিয়াকে বোঝানো দায় হল।শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলল,তুমি আর আমাকে আগের মত ভালবাসো না।
কি জ্বালা রে বাবা! ওর জন্য এতকিছু করলাম আর শেষে একথা শুনতে হলো।
বললাম,আচ্ছা যাবো। রাগ করোনা।
- ওকে।কুত্তার আব্বা,
আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললাম,- কিহ!
- সরি।কিউটের ডিব্বা।
বলেই হাসতে লাগল।একদম পাগলী মেয়ে।
.
খাবার খেয়ে সকলের সাথে আমিও আনন্দে মেতে উঠলাম। গায়ে হলুদ আগামীকাল দেয়া হবে।এটা নিয়ে মন খারাপ নয়।এতকিছুর পর যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল তাতেই আমি খুশি।
এখন আর পরিমনির ডানা কাটা গান শুনে রাগ হচ্ছেনা।বরং বেশ মজা লাগছে।
দেখতে দেখতে রাত ১২ টা বেজে গেল।
সাদিয়া রেডি হয়ে এসে বলল,চলো।
আমার গলা শুকিয়ে গেছে।তবুও ভয়ে ভয়ে ওকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম।
.
আইসক্রিম পেয়ে সাদিয়া ভীষন খুশি।অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে।এই এক বছর কতটা মিস করেছে,কতটা কষ্ট হয়েছে,কতগুলা প্রপোজাল পেয়েছে আরও নানান কথা।
আমার ভীষন ভালো লাগছে।চারিদিকে জোসনা,মৃদু বাতাস বইছে,সাদিয়ার খোলা চুল উড়ছে। মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছি এই সৌন্দর্য।
সাদিয়া বলল,কেমন লাগছে?
- খুউউউব ভালো।
- তুমি তো আসতেই চাওনি।বিয়ের পর প্রেম আর বিয়ের আগে প্রেম করার একটা মজা আছে বুঝলা।
- হুম বুঝলাম।তা ম্যাডাম,একটা গান শুনাবেন না?
- আজ না।আরেকদিন।এবার বাড়ি যাওয়া যাক।
- আর কিছুক্ষণ হাটি?
সাদিয়া চোখ রাঙাল। আর কিছু বলার সাহস পেলাম না।
বাসার কাছাকাছি আসতেই সাদিয়া বলল,আমি তোমাকে খুব জ্বালাই তাইনা?
- শুধু কি জ্বালানো? আমার কয়লাকে ও জ্বালাও তুমি।আমার বন্ধু কি বলেছে জানো?
- না বললে জানবো কিভাবে?
- বলেছে,সাদিয়া ডেঞ্জারাস মাইয়া।ওকে বিয়ে করলে তোর লাইফ ত্যানা ত্যানা হয়ে যাবে।
- ত্যানা ত্যানা বলতে?
- সেটা তো জানিনা।
- ক্যান জানোনা? বলো ত্যানা ত্যানা কি?
- জানিনা তো।
- তাহলে বল্লা ক্যান?
- এই যে আমাকে এত নির্যাতন করো।এটাও এক প্রকার ত্যানা ত্যানা।আমার লাইফ টা হেল করে দিচ্ছো।
- কি বললা?
সাদিয়া আবারো গলা টিপে ধরল।আমার প্রচেষ্টায় ছাড়াতে সক্ষম হলাম।
- মিনার,আমার মত মেয়ে কোথাও পাবা না বুঝেছ।
- জ্বি।রাক্ষসী রানী কটকটি।কি দেখে যে প্রেমে পরেছিলাম।
সাদিয়া রেগে গেল।আমি দ্রুত বাসার দিকে পা বাড়ালাম।
.
এখনো কোলাহল।তারমানে অনেকেই জেগে আছে।
প্রধান দরজা দিয়ে ঢুকতেই বাবার সামনে পড়ে গেলাম।
আমার তো ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল।
বাবা জিজ্ঞেস করল,কোথায় গিয়েছিলে?
- এইতো বাইরে একটু।গেটের সামনে।
- মিথ্যা বলছ কেন? বলো কোথায় যাওয়া হয়েছিল?
আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।
আব্বু বলল,বিয়ের আগে এসব কি? এতরাতে বাইরে কেন?
সাদিয়া বলল, ওর কি কথা বলার সাহস আছে? আমি বলছি আংকেল।আমরা জোসনায় হাটছিলাম।
আমি জিহ্বায় কামড় দিলাম।এই মেয়েটা এমন কেন? স্পষ্টবাদী।
আব্বু বলল,সাদিয়া তুমি মিতুর সংগে ঘুমাও।এখুনি রুমে যাও।
সাদিয়ার আমার কাছে এসে বাবার সামনেই বলল,আজ আর দেখা হবে না।মেসেঞ্জারে কথা হবে।এসএমএস দিও।
আমি মাথা নিচু করেই তাকিয়ে আছি।লজ্জায় নাক কাটা যাচ্ছে।সাদিয়া চলে গেল।
ভাবলাম আব্বু হয়ত রেগে গেছেন। কিন্তু আব্বু হেসে বলল,এ কোন জাতের মেয়ে বাবা?
আমিও স্বস্তি পেয়ে হাসলাম।
আব্বু বলল,তোর আম্মুও খুব পাজি ছিল।কিন্তু এতটা না।
আমি লজ্জা পেয়ে হেসে বললাম,বাবা ঘুমাতে যাই।
- ঘুমাতে? বৌমা মেসেজ দিচ্ছে নাকি?
আমি লজ্জা পেয়ে এক প্রকার দৌড় দিয়েই রুমে আসলাম।
( চলবে...)
বিবাহ বিভ্রাট
অন্তিম পর্ব
লেখা:মিশু মনি
★
মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙল।
বাইরে এসে দেখি গায়ে হলুদের মহাসমারোহ। বাড়ি ভর্তি লোকজন গিজগিজ করছে।বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে,মহিলারা নানান গল্পে মশগুল।
কেমন যেন একটা উৎসব উৎসব ভাব।বেশ ভালো লাগছে।
নাস্তা খেতে বসে সাদিয়ার কথা মনে পড়ল। ও যে কোথায় আছে,একবার ও চোখে পড়ল না।এইমুহুর্তে কাউকে ওর কথা জিজ্ঞেস করাও যাচ্ছেনা।
খাওয়া শেষ করে রুমে এসে ওকে কল দিলাম।
- হ্যালো দিয়া,
- হ্যা মিনার বলো
- তুমি কোথায়?
- মিতুর রুমে চলে আসো।
আব্বুকে কোথাও দেখতে না পেয়ে মিতুর রুমে আসলাম।
এসেই আমার চোখ চড়কগাছ!
সাদিয়া চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।গালে কিসব যেন দেয়া,আর চোখের উপরে শসা।
আমি ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে আছি।এটাকে মেয়বি ফেসিয়াল বলা হয়।কেমন ভুতের মত লাগছে! হাসি পেল।
সাদিয়া বলল,কিছু বলবা?
- নাহ।
- তাহলে আসলা কেন?
- হ্যা বলবো।
- বলে ফেলো।
আমি ভাবছি কি বলবো ওকে।কিছুই তো বলতে আসিনি।
সাদিয়া বলল,কি হলো বলো?
- না মানে তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছিল তো তাই।
- দেখা হয়েছে? এবার চলে যাও।
- না।আরও কিছুক্ষণ দেখবো।
সাদিয়া রেগে বলল,দেখো কিন্তু কথা বলিও না।আমি রুপচর্চা করছি দেখছ না?
আমার মাথায় দুষ্টুমি বুদ্ধি আসল।ও সারাক্ষণ আমাকে জ্বালায়।এবার ওকে জব্দ করবো।
অনেক্ষন চুপ থেকে চেঁচিয়ে বললাম,দিয়া তোমার গায়ে তেলাপোকা...
আর কিছু বলতে হলোনা।এতেই কাজ হয়েছে।সাদিয়া এক লাফে উঠে দাড়াতে গিয়ে চেয়ার থেকে ধপাস করে মেঝেতে পড়ে গেল।শসার টুকরা দুইটা দুই দিকে গড়িয়ে গেল।সাদিয়া লাফালাফি করছে।আমার হাসি আর দেখে কে!
হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে যাবার জোগার।সাদিয়া ব্যাপার টা বুঝতে পেরে রেগে আমার দিকে তাকাল।
রাগলে মেয়েটাকে আরও সুন্দর দেখায়!
বললাম,কেমন লাগে বাবু? ভালই তো ডান্স জানো।
সাদিয়া দাত কিড়মিড়ি করে বলল,এখন কিছু বলবো না।বিয়ের পর বুঝবা সাদিয়া কি জিনিস..
- খাইছে রে,ম্যাডাম ফুলির একেকবার একেক রুপ।তবে গলাচিপা কিন্তু বেশ লাগে আমার।
সাদিয়া ভয়ানক রেগে এগিয়ে আসল।
এখানে আর থাকা যাবেনা।এক ছুটে বাইরে বের হয়ে আসলাম।
.
পাঞ্জাবী পড়ে বসে আছি।
আমার ছোট ভাইবোন রা খুব আনন্দে ব্যাস্ত।ওদের কাজকর্ম দেখছি।
এমন সময় মোবাইল টা বেজে উঠল। সাদিয়ার নাম্বার থেকে কল।রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ও বলল,সরি মিনার।
- কেন?
- আমি চলে এসেছি।
- মানে?
- তোমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি।আমি এসেছিলাম বিয়ে টা ভাংতে,বিয়ে করতে নয়।বিয়ে ভেঙে গেছে,তাই চলে যাচ্ছি।মাফ করে দিও।
এক মুহুর্তে আমার ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেল।নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না।বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।
- মিনার,আমি প্রতিশোধ নিলাম।অনেক কষ্ট দিছিলা,তার শোধ নিলাম।এনিওয়ে,আর হয়ত এখুনি তোমার বিয়ে হবেনা।ইন ফ্যাক্ট আংকেল তোমায় বিয়ে দিবেনা।এটাই চেয়েছিলাম। তুমি আজীবন বিপত্নীক থাকবা।ভালো থেকো।
কল কেটে গেল।সাদিয়ার কথার কিছুই বুঝতে পারলাম না।শুধু একটা কথাই কানে বাজছে,আমি চলে যাচ্ছি।
আমার মাথা এলোমেলো হয়ে গেল।সাদিয়া কি দুষ্টুমি করছে?
সব গুলা রুমে,সব জায়গায় খুঁজেও সাদিয়াকে পেলাম না।মোবাইল বন্ধ।তারমানে ও সত্যিই চলে গেছে।
আমার বুকের বামপাশে চিনচিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল।হঠাত কি থেকে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।শুধু বুঝতে পারছি সাদিয়া চলে গেছে।
চোখে পানি এসে গেল।এত কষ্ট করে রশ্নির সাথে বিয়েটা আটকাতে পারলাম, শুধু সাদিয়ার জন্যই।আর ও আজ এসব কি বলল?
মাথা ঘুরছে।কোন জগতে আছি কিছুই বুঝতে পারছি না।
.
চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি।যদি সত্যিই ও চলে গিয়ে থাকে তাহলে বাবা আমাকে মেরেই ফেলবে।সম্মান আর কিছু থাকল না।কিন্তু মেয়েটা আসলে কি চায়? এতদিনের সম্পর্ক,তবুও ওকে চিনতে পারিনি।
হঠাত দরজা খোলার শব্দে চোখ মেলে তাকালাম ।
সাদিয়া!
গায়ে হলুদের সাজে ওকে অপুর্ব লাগছে! যেন হলুদ পরি! চোখ ফেরাতে পারছি না।
মনে পড়ল, সাদিয়া তো চলে গেছে।তাহলে কি ভুল দেখছি?
নাহ,ভুল নয়।তারমানে সাদিয়া চলে যায়নি!
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।সাদিয়া বলল,আমাকে কেমন লাগছে?
- তুমি কল দিয়ে কি বলছ একটু আগে? জানো আমার কতটা টেনশন হচ্ছিল?
- হা হা হা।এবার মজা বুঝো। সকালে আমাকে তেলাপোকা ডান্স দিতে হয়েছে তুমার জন্য।
- তাই বলে! এভাবে কেউ মজা করে?
- আমিতো এমন ই....
- অদ্ভুত! ভয় আর টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।কই গেছিলা?
- পার্লার এ।সাজুগুজু করতে।
আমার হাসি পেল।একটু আগেই যে কষ্ট টা পেয়েছি সেটা ভুলে গেলাম।খুব মিষ্টি লাগছে আমার পরি টাকে!
.
অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেল।
রুমে ঢুকে দেখি সাদিয়া লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে।
আমি হেসে বললাম,লজ্জার বালাই নাই তোমার মাঝে।ঘোমটা খুলে রাখো। অযথা ঘোমটা দিতে হবেনা।
সাদিয়া ঘোমটা সরিয়ে রেগে বলল,কি বললা?
- কিচ্ছু নাহ।আমার বউ টাকে দারুন লাগছে!
- মন ভুলানো হচ্ছে? আয় এদিকে।
- ছিঃ কি ভাষা এটা?
সাদিয়া উঠে এসে আমার গলা চেপে ধরতে চেষ্টা করছিল কিন্তু এবার আর সে সুযোগ পায়নি।
আমি দুহাতে শক্ত করে ওকে জরিয়ে ধরলাম.....
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ