#ব্রেকাপ, ১ম পর্ব
লেখা: Umme Nipa
ইভান এর সাথে এই নিয়ে আমার ৯৯৯ বার ব্রেক আপ হলো...
শুক্রবার,অফিস নাই,শুধু বলছি রাত এ নদীর পারে ঘুরতে
নিবা।
সে বলে ওখানের লোক ভালোনা,ছেলে-মেয়ে দেখলে
বিয়া করাইয়া দেয়।
-আজব!আমরা তো বিবাহিত। আরেকবার বিয়া করাইয়া
দিলে প্রবলেম কি?
নাকি তুমি আমারে বউ বলে মানো না?
এই নিয়ে তর্ক চলতে চলতে শেষে সে বলে আচ্ছা তুমি
রেডি হও আমি এর মাঝে একটু ঘুম দিয়া উঠি।
আমি রেডি হয়ে বসে আছি,সে দিব্যি নাক টেনে ঘুম।
-ইভান ওঠো।৭টা বাজে।
>সিমু নদীটা বেশ সুন্দর তাইনা?
-নদী পাইলা কই?
>উম...হুম....না।
-কি না?ওই ওঠো নদী দেখতে যাবা না?
>সিমু আস্তে,নৌকা টা ভাঙা।
মেজাজ যে কি খারাপ হচ্ছে,ও সুন্দর ঘুমের মাঝে নদী
ভ্রমনে নামছে।আর এদিকে আমার সব সাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাত ৮:৩০-
-ইভান,আর যেতে হবেনা যাও, তুমি মরার মতন ঘুমাও।
বিয়ের ৫মাস হলো একদিন ও ঘুরতে নেও নায়।
আর যাব না।
>সিমু..
-বলো..
কাশফুলগুলা কিন্তু সেই ছিল।
-ফাজিল এখনো ঘুমে।বজ্জাত।
রাত ১০:৩০।
ওর চোখে পানি মারলাম,
সজাগ হয়ে বলতেছে,কি এখনো রেডি হওনি?
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমায় জানাও।এতক্ষণ লাগে
রেডি হতে?
আমি: হইছে থামো, গাঁজাখোর...
ইভান: গাঁজা খাইলাম কই?বউ থাকলে গাজা লাগে?
আমি: হুহ,ওই তো ঘুমখোর,আজ মশারী টানানো তোমার।
টানাও...
ইভান: কি বলো গতদিন তো আমি টানাইছিলাম।
আমি:- ইভান মিথ্যা বলবানা।
ইভান: আমার মনে পরছেনা,সরি।যাও আজ থেকে শুরু
আবার নতুন করে।তুমি আজ আবার কাল আমি।
ওর সাথে রাগ করে,মশারী না টানিয়ে ঘুম।
ইভান: এই রাত এ খাইনাইতো।
আমি: কেন,নৌকা ভ্রমন করলা,আর খাইয়া আসো নায়?
বাসায় রান্না করিনাই,রাত এ বাইরে খাব বলে।
দুজনেই না খেয়ে ঘুম...
সকালে ঘুম ভাঙলো ইভান এর গান শুনে
"প্রেমিকা ছাড়ো,প্রেমিকা মারো,
তবু বিয়া কইরো না।
বিয়া করিলে,জীবন কয়লা মওনা।
নেশা কেটে গেলে,বউ ও কেটে যাবে।
আমি: ইভান কি এসব?
ইভান: চা করি।
আমি: তা তো দেখছি,গান কিসের?
ইভান: তামাক পাতা,শুনোনায়?
আমি: কথাগুলা তো এমন ছিলনা.
ইভান: আরেহ ওই গান এর মিনিং বের হইছে,এগুলা ওই গান
এর মিনিং।
তামাক মানে প্রেমিকা।
আর নেশা মানে বউ।
আমি: ফাজলামোর জায়গা পাওনা?
তোমার মতন নেশাখোর রা একলাই ভালো থাকে।আমি
চলে যাব আজ ই।এক্ষন ই।
বলে রান্নাঘর দিয়ে বের হয়ে ব্যাগ গোছালাম।
ভাবছি ইভান আমায় নায়ক এর মতন আটকাবে।
আমার ব্যাগ ধরে রাখবে।
বলবে, কোথাও যাওয়া হচ্ছেনা তোমার।
তা ও না করে চা করে আর সেই গান গাচ্ছে।
আমি ব্যাগ নিয়ে আস্তে আস্তে এগোচ্ছি আর ও তখনো
গাচ্ছে,
তুমি মাঝে মাঝে আমার কাছে নদী দেখতে চাইতা।
আমি মাঝে মাঝে তোমায় নদী দেখাতাম।
মনের বিরুদ্ধে কি নদী দেখা যায়?
আমি: তুমি নদী কবে দেখাইছো?
ইভান: আমার তো মনে পরে গতকাল ও গিয়েছিলাম।
আমি: ওকে,ফাইন আমি যাচ্ছি।
ইভান: একটু পর যাও, দু কাপ চা করতেছি,গেলে এক কাপ
নষ্ট হবে।
আমি: ধূর!
ও আবার গান শুরু করলো,
"জটিল করলে জটিল হবে,সহজ করলে সহজ।
মাথার ভিতর চা ঘুরে,চায়ের ভিতর পাতা।
চায়ের ভিতর পাতা ঘুরে,বউ যেন চোচরা পাতা.."
ওর এই গান শুনে আমি বের হয়ে এলাম বাসা থেকে__
ব্রেক আপ আজ নতুন নয়,
সম্পর্কের শুরুর কয়েকমাস পর আমাদের ইন্টার রেজাল্ট
দিল।আমি আর ও এ+ পেয়েছিলাম,ওর গোল্ডেন আসছিল।
যাক, ওরা আমাদের প্রতিবেশী ছিল।আমি ওর মায়ের
কাছে ভালো মেয়ে হওয়ার জন্য ওদের বাসায় গিয়ে ওর
মাকে সালাম দিয়ে বলেছি আন্টি আমি গোল্ডেন পেয়েছি।
ও পরের দিন আমার মাকে এসে সালাম দিয়ে বলে আন্টি
আমি বোর্ড এ ১ম হয়েছি।
কি খারাপ ভাবা যায়। যার জন্য আমার মা আমাকে
অনেক বকছে।আর ওর কি প্রশংসা।
করলাম ব্রেক আপ।
সুন্দর সুইসাইড এর অভিনয় করে আমায় আবার পটিয়েছে।
আরেকবার ইভান বাইক এক্সিডেন্ট করে পা ভেঙেছে।
আমি দেখতে যাব কিন্তু বাসা থেকে মা বের ও হতে দিবেনা।
বান্ধবীদের দিয়ে মাকে বলালাম যে আজ এক বান্ধবীরর
জন্মদিন।সেটা বলে বের হয়ে ইভান কে কল দিলাম।
জিজ্ঞেস করলাম,হসপিটাল এ আসতেছি।
ও বলে,আমিতো বাসায় চলে এসেছি।
মেজাজ কি খারাপ হইছিল সেদিন।
রাগে বলছিলাম,যে পা ভাঙে নায় ওইটা ভেঙে হসপিটাল আয়।পা না দেখে বাসায় যাবনা।
ইভান: সিমু,তার চেয়ে তুমি বাসায় যাও, দুই দিন ব্রেক আপ
করলেও বাসায় যাও।
ব্রেক আপ টা আমাদের সম্পর্কে কমন শব্দ হয়ে গেছে।
কিন্তু এবার ই শেষবার।বেরসিক লোকের সাথে প্রেম করা গেলেও সংসার করা যায়না। বাসায় এসে বার বার ঘড়ি দেখছি,ইভান একবার ও কল দিচ্ছেনা।
তার মানে এবার কি চিরজীবন এর ব্রেক আপ?
ভাবতেই খারাপ লাগছে।
ফেবুতে গেলাম,ইভান অনলাইন।
আগে আমি অনলাইন না থাকলেও ও মেসেজ দিত,কি বিজি?
যা নিয়াও ঝগড়া লাগতো।
আর এখন আমায় অনলাইন দেখেও মেসেজ দিচ্ছেনা।
হায়রে পুরুষ, বিয়া হইলে এমন পালটি!
বার বার নিজের নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বালাই আর নিভাই তবুও ওর চোখে পরিনা।
ম্যারেজ পোষ্ট ইডিট করে সিঙ্গেল দিলাম।
কিছুক্ষন পর ও নক দিল।
ইভান: আছো?
না থাকলে পোষ্ট দিল কে!ছাগলের মতন প্রশ্ন।।
আমি: না নাই।
ইভান: তুমি কি শিওর?
আমি: হুম আমি নাই।
ইভান: আরে সেটা না।
আমি: তাহলে?
ইভান: এই যে সিঙ্গেল তুমি?
আমি: হুম
ইভার: বিয়ের পর কেউ সিঙ্গেল হয়না।তখন ব্রেক আপ হলে ডিভোর্সড দিতে হয়।অপশন চেক করো।
মেজাজ আগুনের মতন ফুটছে।
রেগে মেগে সিঙ্গেল কেটে বিধবা দিয়া দিলাম।
আমি: এখন ঠিক আছে?
ইভান: লাশ কথা বলে কেম্নে?
বোকা মরা মানুষ রে প্রশ্ন করে😁.
নাহ,ফেবু দিয়া বের হয়ে আসলাম।ওর সাথে থাকলে একদিন আমি পাগল হইয়া রাস্তায় নামবো।
আগে পাগলি দেখলেই ভাবতাম,পাগলি হবার পিছনে কারন কি?
এখন বুঝছি,সবার এমন এক পিচ বর ছিল।
ব্রেকাপ শেষ পর্ব।
লেখা: Umme Nipa
দুনিয়ায় আমি ই মনে হয় প্রথম যার বিয়ের রাতেও ব্রেকাপ হয়ে ছিল।
বিয়ের আগে থেকেই ইভান কে বলে রেখেছিলাম,আমার অনেক ইচ্ছে মুভির বিয়েতে যেমন বউ এর গায়ে ফুলের পাপড়ি উড়ে উড়ে এসে পরে,আমার ও বাসর রাত এ এমন পাপড়ি উড়ে উড়ে পরতে হবে।
ও বিয়ের আগের রাতে আমায় কল দিয়ে বলছে,সিমু আমি ই একমাত্র বর যে তোমার আশা পূরন করবো।
সেদিন যে কি আনন্দ লাগছিল।
বার বার ভাবছিলাম আমি, লাল বেনারসি পরে বসে থাকবো আর আমার গায়ে ফুলের পাপড়ি পরবে।
ইভান আমায় হা করে দেখবে।
যাক, বিয়ের রাতে ঘরে ঢুকতেই বিলা।
দেখি ফ্লোর এ এদিক সেদিক ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।বিছানার সব ফুলগুলি ছিরে ফেলা হয়েছে।মনে হয় কোন পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল বাসর ঘরের উপর।
আর তার চেয়েও বড় কথা আমাদের বিছানায় ৩জন ৫-৬বছরের বাচ্চা ছেলে মেয়ে শুয়ে ছিল।
ইভান কে জিজ্ঞেস করলাম,এই তোমার সারপ্রাইজ?
ইভান বলে ওদের রাখছিলাম ফুলের পাপড়ি মারবে সারারাত তোমার গায়ে।
তার জন্য সবগুলারে চকলেট ও খাওয়াইছিলাম।
আর ওরা কিনা আমার বাসর ঘরের ফুল নিয়াই খেলা বেলা শুরু করছে।
জানতে পারি বাচ্চা গুলা ওর ভাগ্নেভাগ্নি।
ও ওর আপাকে ডাক দিল ওদের নিতে।
আমি আর নিতে দেইনাই।
নতুন বউ,লজ্জার ও বেপার আছে।
সারারাত দুজন ফ্লোরে বসে ছিলাম।
ব্রেক আপ করেছিলাম দু দিন।
ওটা ওদের বাসা না হয়ে আমার বাসা হলেই এক লাছা মাইর খাইত সিওর।এ অপরাধ এর শাস্তি খালি ব্রেকাপ এ হয়?
যদিওবা পরের দিন এর জন্য চায়ের মধ্যে লবন দিয়া খাওয়াইছিলাম।
কখনই ৩ঘণ্টার বেশি ব্রেক আপ টিকে নাই।কিন্তু আজ ৭ঘন্টা হয়ে গেছে।
রাত ৮টা এখনো ওর কোন খোঁজ নাই।
আমি ই রেগে কল দিলাম।
ফোন বাজতেই এক মহিলা রিসিভ করলো।
অবাক হয়ে ফোনের দিকে তাকালাম,না নম্বর তো ঠিক আছে।
আমি: কে?
ওপাশ থেকে: আমি ইয়াশমিন,আম্নে কেডা?
আমি: বুয়া আপনি এতো রাত এ আমাদের বাসায় কি?
আর ইভান কই?ওর ফোন আপনার কাছে কেন?
বুয়া: আফা স্যার খবর দিল,বাসায় মেহমান তো তাই কাজ করা লাগবে।
আমি: কে?
বুয়া: স্যার এর বান্ধবী।
আমি: কি?কই তারা?
বুয়া: দুজন ই রান্নাঘরে,রান্না করছেছে।
আফা জানেন,আমি পেঁয়াজ কাটি আর হুনি কি জানেন?স্যার এর ওই বান্ধবী কয় তোমার বউরে তালাক দিবা কবে?
আমি: দাড়াও আমি আসতেছি।তালাক কত প্রকার বুঝাবো।
বাসায় গিয়ে দেখি দরজা খোলা।
হন হন করে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি আমার শাড়ি পরে একজন মহিলা কাজ করছে।
আমি: একদিন বাসার বাইরে,এর মাঝেই ইভান আমার জায়গা কাউকে কি করে দিয়ে দিল?
এতো বেইমান মানুষ, এই শাড়ি টা আমার খুব পছন্দের তা আপনাকে দিয়ে দিল।
কে আপনি?
ওপাশ থেকে কোন কথাই বলছেনা।
আমি: কি হলো?এদিকে ফিরেন।
এদিক ফিরেই ইভান হো হো করে হেসে দিল।
আমি কেঁদে দিয়ে বলি ইভান তুমি?ওই মেয়ে কই?আর বুয়া কই।
ইভান সেই মহিলা কন্ঠ করে বলে,ম্যাডাম ভুগোল বুঝাইছি।
তার মানে এসব আমাকে আনার জন্য প্লান তোমার?
আমার শাড়ি পরছো কেন?
ইভান:ভাবলাম এখনতো তুমি বিধবা।
সাদা শাড়ি পরবা,এই শাড়িগুলি নষ্ট হবে তাই পরলাম।টাকা উসুল করতে হবেনা?
রাগ করে আমাদের বেড রুমে গেলাম।
গিয়ে দেখি আমাদের দেয়াল এ আমাদের বিয়ের একটা ছবি।
নিচে লেখা,১০০০তম ব্রেকাপ কাটিয়ে এখনো ইভান সবল আছে।
তাং: ৩০শে সেপ্টেম্বর।
আমার খুব হাসি পেল।
ইভান এসে পাশে দাড়িয়ে বলে কি কেমন?
আমি: ছি..ছি।
ইভান: কি হইলো আবার?
আমি: আমাদের ৯৯৯বার ব্রেকাপ হয়েছে।আর তুমি ১বার বেশি দিছো।এটা ভুল করলা তার মানে আমায় ও ভুলে যাবা একদিন।
যাও ব্রেকাপ।ও এখন তো ব্রেকাপ না,তালাক,তালাক,তালাক।
ইভান: এই যে আরেকবার ব্রেকাপ দিলা হয়ে গেলো একবার। আমিতো আগেই ভাবছি যে রাতে আরেকবার দিবা।তাই তো অগ্রিম ১০০০বার লিখিয়ে আনছি।
আমি মুখ গোমরা করে বসে আছি।
ও আমার শাড়ি পরে নাচে আর গান গায়,
"তুমি মাঝে মাঝে আমার কাছে ব্রেকাপ চাইতা।
আমি মাঝে মাঝে তোমায় ব্রেকাপ দিতাম।
মনের বিরুদ্ধে কি ব্রেকাপ দেয়া যায়?
জটিল করলে জটিল হবে সহজ করলে সহস।
প্রেমিকা গেলে প্রেমিকা পাওয়া যায়, বুয়া গেলে বুয়া।
বউ গেলে যে বুকের ভিতর লাগে যে ফাকা... ফাকা।
কষ্ট পেলে মন...
বউ চলে গেলে,ইভান ও মরে যাবে...
আমি ওর নাচ দেখে হো হো করে হেসে ওরে জড়িয়ে ধরলাম।ইভান গায়ক কিন্তু শেষ মেষ লাইনে আসছে।কি বলো!
ও চেঁচিয়ে বলে সিমু ছি ছি ছাড়ো আমায়।
আমি অবাক হয়ে বলি,কেন?
তুমি এখন আর আমার বউ নেই।পরমহিলা।
আমি: পর মহিলা কি?
ইভান: ওই যে,পর পুরুষ এর ফিমেল ভার্শন।
আমি: আমি বউ না কেন?
ইভান: তালাক দিছো আমায়।৩তালাক এ বিয়ে ভেঙে যায়।
আমি চিন্তা নিয়ে বললাম,ইভান এখন কি হবে?
ইভান: চলো নদীর পারে.
আমি: ওখানে কেন?কাজি অফিস তো ওখানে না।
ইভান: আরে মাগনা বিয়া করতে পারলে টাকা দিয়া কেন করুম।
ওখানের ছেলে পেলেরা বিয়া করাইয়া দিবে।
আমি: আচ্ছা আমি কি আবার আমাদের বিয়ের সময়ের মতন সাজবো?
ইভান: কেন,তোমায় কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে?
আমি: এসব কেমন কথা?
ইভান: সেইবার মনে নাই?বিয়ের সাজ উঠাইতে ৩দিন লাগছিলো।
চুল খুলতে খুলতেই আমার দুই দিন অনেক পরিশ্রম গেছে।ভাবছিলাম পার্লার লোকের নামে মামলা করুম।টাকা দিয়া এমন কাকের বাসা বানাইয়া দেয় চুল এর উপর।
আর এখন ওমন সাজলে,লোকজন ভাববে আমি কারো বউ ভাগিয়ে আনছি।পরে বিয়ে না করাইয়া উত্তম মধ্যম দিবে।
দুজনে মিলে নদীর পাড়ে গেলাম।
ওর কাঁধে মাথা রেখে নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে।
চারদিক অন্ধকার..
বাতাসে আমার চুলের ঝাপটায় ইভান বার বার ই এলোমেলো হচ্ছে।
দূরে টিমটিম আলো জ্বলছে।
ইভান: সিমু আজকের আকাশের চাঁদটা হুবহু তোমার মতন লাগছে।
আমি ওর কথা শুনেই আগ্রহ নিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি আকাশে কোন চাঁদ এর চিহ্ন নেই।
ইভান,ফাজলামো করো।আকাশে মেঘ..চাঁদ নেই।
ইভান: চাঁদ নৌকায় নেমে এসে বসে পরলে আকাশে কি করে দেখা যাবে?
ওর হাত শক্ত করে ধরে হেসে দিলাম...
আমি: ইভান আমরা বিয়ে করবোনা?
ইভান: কেউ তো করাচ্ছেনা।ওহ গুড আইডিয়া..
আমি: কি?
আরেক ভাবে বিয়ে করা যায়।
আমি:- কিভাবে।
ইভান: নদীর মাঝে বর কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ৩বার কবুল বললেই বিয়ে হয়।
জানি আমি,এসব সব ই ওর ধান্ধা। তবে মাঝে মাঝে বুঝেও না বোঝার ভান করে ভালোবাসা পেতে মন্দ লাগে না।
ওকে জড়িয়ে ধরে বলি,বর আস্তে ধরলে কিন্তু বিয়ে কমপ্লিট হয়না।
ও আমায় শক্ত করে ধরে বলে,বলুন কবুল...
আমি: হুম...কবুল...কবুল...কবুল..
বাতাস ও যেন আমাদের পাগলামি দেখে হাসছে।
ইভান: সিমু সকালের ব্রেকাপটা কি করেই যাবা?
আমি: ওকে ছেড়ে দিয়ে বলি,কি আবার?
ও আমায় আবার বুকের ভিতর টেনে নিয়ে বললো,সারাদিন ব্রেকাপ বলতে বলতে ভুলে ব্রেকফাস্ট রেও ব্রেকাপ বলে ফেলছি।
ভালোবাসি ভালোবাসা।ভালোবাসি ব্রেকাপ।
যে ব্রেকাপ এর কারনে কোন ব্রেক ছাড়াই ভালবাসা ফুল স্প্রিডে চলতে থাকে।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ