āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3946

অনুগল্পঃ "ফিরে দেখা"
.
"কই গো…… সেই কখন এক কাপ চা চাইলাম, চা কি দিবে না…নাকি"???
"না দিবো না" বলে চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে পাশের চেয়ারটাতে বসেন দিলারা জামান।
আদনান সাহেব একটু মুচকি হেসে বলল, "রাগ করো কেনো? এক কাপ চা ই তো চাইলাম"। "শুধু কি চা? চায়ের সাথে তো আবার টা ও চাই তোমার" বলে হেসে ফেলেন দিলারা জামান।
.
আদনান সাহেব প্রতিদিন বিকালে ঝুল বারান্দাটায় বসে তার স্ত্রী দিলারা জামানের সাথে চা খাবেন আর গল্প করবেন। এটা যেন তার প্রতিদিনের রুটিন মাফিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। প্রতিদিনের মতো আজও আদনান আর দিলারা জামান বারান্দায় বসে বিকেলের মুগ্ধ পরিবেশ উপভোগ করতে করতে চা খাচ্ছেন।
.
পুরো বাড়ি জুড়ে কেবল তারা দুজনই। এক ছেলে আর এক মেয়ে আদনান আর দিলারা জামানের। ছেলে মেয়ে দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। ভার্সিটির এক প্রফেসরের সাথে বিয়ে দেন মেয়ে নীড়াকে। আর ছেলে নীল বাহিরে থাকেন বউ, বাচ্চা নিয়ে। সেখানে ভালো একটা জব করে। মাঝেমধ্যে  ছুটিতে বাড়িতে আসে সবাই মিলে। তখন বাড়িতে আনন্দের উৎসব হয়।
.
আদনান সাহেব চায়ে এক চুমুক দিয়ে কাপ হাতে নিয়ে দিলারা জামানকে বলল, "তোমার হাতের চায়ের স্বাদ আর কোথাও পাবো না"। আদনান সাহেবকে থামিয়ে দিয়ে দিলারা জামান বলল, "হয়েছে হয়েছে থাক আর ফুলোতে হবে না"। "কি বলো তোমাকে ফুলাতে যাবো কেনো"? বলে আদনান সাহেব স্বজোরে হেসে উঠে।
.
আদনান সাহেব আবার বললেন, "আচ্ছা দিলারা তোমার কি মনে আছে? তোমাকে যখন বিয়ে করে নিয়ে আসি। কয়েক দিন পরে ছোট মামা তোমাকে দেখতে এসে তোমার হাতের এক কাপ চা খেতে চেয়েছিলো"। দিলারা জামান লজ্জা পেয়ে বলল, "হুম মনে আছে সে কথা আর বলতে"? আদনান সাহেব আবার বললেন, "ছোট মামা তোমার চা খেয়ে বলেছিল, "বাহ্‍ তোর বউ তো দেখি গরম শরবত বানিয়ে নিয়ে এসেছেরে"। মামার কথায় আমরা সবাই হেসে ফেলেছিলাম আর তুমি মন খারাপ করেছিলে। মামা তোমার মন খারাপ দেখে বলেছিলো, "আবার আসবো কিন্তু গরম শরবত খেতে" তখন তুমিও হেসে ফেলেছিলে।
.
"সেদিনের কথা কি আর ভুলা যায় বলো"? বলতে বলতে দিলারা জামান উঠে দাঁড়ায়। বারান্দার গ্রীলটায় মাথা ঠেকিয়ে, এক দৃষ্টিতে অপলক দূর নীল আকাশটার দিকে চেয়ে আবার বলতে লাগল, "তখন বাড়ি ভর্তি কতো মানুষ ছিল তাই না,আমাদের ছেলেমেয়ে গুলো কত ছোট ছোট ছিলো"। 
"তোমার কি মনে আছে যখন আমাদের কোল জুড়ে নীল এলো, আমি তো ওকে কোলেই নিতে পারতাম না। মা খুব ভয় পেতো ভাবতো কখন যেনো আমি নীলকে কোল থেকে ফেলেদেই " হাসতে হাসতে দিলারা জামান আদনানের সামনের চেয়ারটাতে বসে।
.
আদনান সাহেব অপলক দৃষ্টিতে দিলারা জামানের মুখের দিকে চেয়ে আছে। বয়সের ছাপটা মুখের উপর স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে দিলারা জামানের। দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পার হয়ে গেছে একসাথে। মানুষটা কতো পাল্টিয়ে গেছে। চোখের চারপাশে কিছুটা কুচকে গেছে। মাথার চুল গুলোতে সাদা কালো রং ধরেছে। তবুও অপরূপ সুন্দর লাগে  দিলারাকে। দিলারা জামান হাত নাড়িয়ে প্রশ্ন করে, "কি দেখো এমন করে"। আদনান সাহেব একটু হেসে বলেন, "তোমাকে দেখি …… কতো সুন্দর হয়ে গেছো তুমি। দিলারা জামান একটু লজ্জা পেল। "কি যে বলো তুমি"? বলে উঠে  বেলকোনির এক পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। আদনান সাহেবও উঠে গিয়ে দিলারা জামানের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সূর্যটা পশ্চিম আকাশের বুকে তখন ঢুলু ঢুলু করছে। দিলারা জামান আদনান সাহেবের বুকে মাথা রাখেন। আদনান সাহেবের নাক ছুঁয়ে গেল সেই পুরোনো ঘ্রাণ। অতি চেনা এই ঘ্রাণটা দীর্ঘ বছর যাবৎ এই ঘ্রাণটার সাথে পরিচিত আদনান সাহেব।
.
Adhora Zafrin

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ