āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3917 (3)

গল্প: ঠিকানা
পর্ব: ০৫
লেখা: মিশু মনি
.
আমি রাগী রাগী মুখে তাকিয়ে আছি দেখে ইফতি নিজেই আমার চুল থেকে ইঁদুর টা খুলে নিলো। তারপর ইদুরের লেজ ধরে আমার মুখের সামনে সেটা ঝুলিয়ে নাচাতে লাগলো।
আমি আতকে উঠলাম। এই ছেলেটাকে নিয়ে আর পারিনা।
ইফতি জানালা খুলে ইদুর টা ফেলে দিয়ে এসে আমার পাশে বসলো।
আমি বললাম,সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আয়।
- হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুলে হবে না?
- হুইল,ভিম যা পারিস তাই দিয়ে ধুয়ে আয়।
ইফতি হাতটা আমার নাকের উপর ধরে বলল,দ্যাখ কেমন গন্ধ?
আমি চেঁচিয়ে উঠলাম,যাবি তুই?
ইফতি হো হো করে হাসতে হাসতে বাথরুমে চলে গেলো।
.
ও বেড়িয়ে আসার পর বললাম,কি রে এখন শরীর কেমন?
- হুম অনেক টাই ভালো।
ইফতি এসে আমার সামনে বসলো।
ওর দিকে তাকাতেই চোখাচোখি হলো।মুখ ধুয়ে এসেছে,মুখে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে।কপালে চুলের সামনের দিকটা ভেজা।খুব মিষ্টি দেখাচ্ছে ওকে।কেমন মায়াবী চাহনিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমার কেমন যেন লাগতে শুরু করেছে।বুকের ভিতরে ধুকপুকুনি টা বাড়তে শুরু করেছে,অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করছে।এর আগে কখনো ইফতিকে দেখে এমন হয়নি।আজই প্রথম, তাই অনুভূতি টা নতুন।
দৃষ্টি ফেরাতে পারছিলাম না।অনেক্ষণ তাকিয়ে রইলাম দুজন দুজনের দিকে!
আমার হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে গেছে।ইফতির প্রেমে পড়ে যাচ্ছি না কি!
আমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলাম।ইফতি একটু কাছে এগিয়ে আসলো। আমার হার্টবিট আরো বেড়ে গেলো। এবার ওর নিশ্বাসের শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি।ইফতি একটু একটু করে কাছে এগিয়ে আসতে লাগলো।
আমি মাথা নিচু করে নিরবতা পালন করছি।ইফতি আমার একদম কাছে চলে আসলো।তারপর দুহাতে আমার মুখটা ধরলো।
আমি লজ্জায় নীল হয়ে উঠলাম।ইফতির উষ্ণ হাতের স্পর্শে কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করছে।শরীর শিউরে উঠলো আমার।
ইফতি দুহাত দিয়েই আমার মুখটা ওর মুখের কাছে নিয়ে আসলো।তারপর ফিসফিস করে বলল,আমি তোর কত কাছে এসেছি..
আমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে আছি।ইফতি বলল,
- কখনো কি ভেবেছিলি এত কাছে আসবো?
আমি মাথা নাড়লাম।
ইফতি বলল,আরেকটু কাছে আসি?
আমি লজ্জায় কথা বলতে পারলাম না।মাথা নেড়ে না বললাম।
- একটু?
- উহু..
ইফতি বারণ শুনলো না।আরো কাছে টেনে নিলো।আমার শরীরের সমস্ত ইন্দ্রিয় শিহরিত হচ্ছে!
এমন সময় মোবাইল টা বেজে উঠলো। দুজনেই চমকে উঠলাম।ইফতি বিরক্তির সুরে বলল,ফোন আসার আর সময় পেলো না?
আমি হেসে ফোনটা হাতে নিলাম।আম্মু কল দিয়েছে।কিন্তু রিসিভ করার আগেই ফোন বন্ধ হয়ে গেলো।চার্জ নেই ফোনে।
ইফতি বলল,ভালো হয়েছে।মোবাইল রাখ ওইদিক।
আমি হেসে বললাম,চার্জে লাগিয়ে দিই?
- না,পরে দিস।
ইফতির চোখের দিকে তাকিয়ে আমি লজ্জা পেয়ে হাসলাম।
ও বলল,কি রে মিশু পাগলী?
- কিছু না।
ইফতি গান গেয়ে উঠলো,
"আমি তোর চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাই তোকে...
ইফতি গান গেয়েই চলেছে।আমার এত বেশি ভালো লাগছে যা বলে বোঝানো সম্ভব না।ফোন টা নিয়ে এসে চার্জে লাগিয়ে দিলাম।আমার মুখে প্রশান্তির হাসি!
কিন্তু চার্জে লাগিয়ে দেয়ার সময় ঠিক কি হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।আমার শরীর কেপে উঠলো, মাথা ঝিমঝিম করে উঠলো। হাতটা যেন কেটে নিলো এমন মনে হচ্ছে।শরীরে ইলেক্ট্রন চলে এসেছে হয়ত।বুঝতে পারলাম বিদ্যুৎ শক লেগে গেছে।হাত সরিয়ে নিলাম ঠিক ই,কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না।মাথা ঘুরে উঠলো,অনেক দূরে ছিটকে পড়ে গেলাম।মেঝেতে পড়ে যাওয়া মাত্রই মাথায় আঘাত পেলাম, হাত টাও অবশ হয়ে যাচ্ছে।সারা শরীরে যন্ত্রনা হচ্ছে,সব শিরা উপশিরা কেন ছিড়ে যাচ্ছে।খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।
আর কিছু বলতে পারিনা,অচেতন হয়ে পড়লাম।
( চলবে....)

গল্প: ঠিকানা
পর্ব:০৬
লেখা: মিশু মনি
.
চোখ মেলে তাকাতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম হাসপাতালের বেডে।
শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছে,মাথা টা ভারী হয়ে আছে।ডান হাত টা যেন অবশ হয়ে আছে।খুব দূর্বল বোধ করছি।
মাথা ঘুরে তাকিয়ে দেখি ইফতি চেয়ারে বসে মাথা নিচু করে আছে।আমি উঠে বসার চেষ্টা করলাম। একটু কষ্ট হলেও উঠে বসলাম।
তারপর ডাকলাম, ইফতি..
ইফতি মুখ তুলে তাকালো।ওর চেহারা দেখে চমকে উঠলাম। একি হাল হয়েছে চেহারার! মুখ টা শুকিয়ে গেছে,চুল গুলো এলোমেলো, দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব টেনশনে ছিলো।
উঠে এসে অনেক্ষন অপলক ভাবে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে।তারপর চোখের পানি ছেড়ে দিলো।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।এই প্রথম ইফতিকে কাঁদতে দেখছি!
বললাম,এই পাগল কাঁদছিস কেন? আমার তো কিছুই হয়নি।
ইফতি চোখ মুছে বলল,খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম রে।তোর কিছু হয়ে গেলে আমি কিভাবে বাচতাম?
- আমার কিছু হয়নি তো।এইতো আমি ভালো আছি।
- হয়নি কিন্তু হতে পারতো। আমি এতটা ভয় পেয়েছিলাম যে কাল থেকে কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।পাগলের মত ঘুরছি শুধু।আমার মেজ চাচা ইলেক্ট্রিক শক খেয়ে মারা গেছে।
- হুম,এখন ভয়ের কিছু নেই।শুধু মাথায় একটু ব্যাথা পেয়েছি আর হাতে। আর কিছু হয়নি আমার ইফু।
- আমি মরে যেতাম তোর কিছু হলে।
- ইস রে,মরতে হবেনা।দ্যাখ অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হতে গিয়েও তোর সাথে হলো।তোর কাছ থেকে আমাকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
ইফতি আবারো চোখ মুছলো।
আমি একটু এগিয়ে আসার চেষ্টা করতেই ইফতি নিজেই এগিয়ে এসে আমার হাত ধরলো।
বললাম, খুব ভয় পেয়েছিলি সেটা বুঝতেই পারছি।
- কাল তুই মেঝেতে ছিটকে পড়ার পর আমি হতবাক হয়ে দেখছিলাম তোকে।তোর মুখটা বিকৃত হয়ে যাচ্ছিলো,কষ্টে ছটফট করছিলি তুই।বিশ্বাস কর,আমার ও ঠিক ততটাই কষ্ট হয়েছে।আমি ও তোর মতই ছটফট করছিলাম।কিন্তু যখন তুই একেবারে অচেতন হয়ে পড়লি আমি ভেবেছিলাম তুই হয়ত আমাকে ছেড়ে...
ইফতি আর কিছু বলতে পারলো না।কেঁদে ফেললো আবারো। আমি ওর চোখ মুছে দিয়ে বললাম,কাদবি না তো মেয়েদের মত।
- হুম,তুই আর কখনো ইলেক্ট্রিক লাইনে হাত দিবিনা বলে দিলাম।
- কেন? শোন,মৃত্যু যেভাবে লেখা আছে সেভাবে ই হবে।যদি কোনো এক্সিডেন্ট এ মরণ লেখা থাকে তো..
ইফতি আমার মুখে হাত দিয়ে বলল,এমন কথা বললে আমি নিজেই তোকে মেরে ফেলবো একদম।
- তোর চেহারা এমন উদভ্রান্তের মত দেখাচ্ছে কেন? বউ মরলে বুঝি এমন হবি?
- নাহ,আমার কিছু হব্বেনা।তুই মরার চল্লিশ দিনের মধ্যেই আরেকটা বিয়ে করে ফেলবো।
- তাহলে এখুনি মেয়ে ঠিক করে রাখ।
- কেন?
- এ যাত্রায় বেচে গিয়েছি কিন্তু এর পরের বার সত্যিই মরে যাবো।
ইফতি রেগে অগ্নিদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো।তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আমায়।
ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক হয়ে গেলাম।
ইফতি আমার মাথাটা ওর বুকে চেপে ধরলো।আমার খুব ভালো লাগছে।মনে হচ্ছে ওর বুকেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের জায়গা।আমার পুচকে শরীরটা ওর শরীরের সাথে মিশে এক হয়ে গেলো।
.
অনেক্ষন নিরবে কেটে যাওয়ার পর ইফতি আমায় ছেড়ে দিয়ে বলল,তুই এত মিষ্টি কেন রে?
আমি হাসার চেষ্টা করে বললাম,কেন?
- তোকে জড়িয়ে ধরে এত ভালো লাগে কেন?
- হা হা হা।
ইফতির কথায় খুব মজা পেয়েছি। হাসি থামাতে পারছি না।
ইফতি বাসায় ফোন দিয়ে আমার জ্ঞান ফেরার কথা জানালো।
কিছুক্ষনের মধ্যেই শ্বশুর বাড়ির সবাই এসে হাজির।
শ্বাশুরি মা খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ইফতি কাউকে খাইয়ে দিতে দিলো না।নিজেই আমার পাশে বসে আমাকে তুলে খাওয়াতে লাগলো।
আমি বললাম,কিরে তুই আবার তেলাপোকার স্যুপ খাওয়াবি না তো?
- হ্যা খাওয়াবো।
- তাহলে কিন্তু হসপিটালের বেডে হেগে ল্যাডাফ্যাডা করে ফেলবো।

আমার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো।
ইফতি বলল,এই অবস্থায় তোর মুখে রসিকতা আসছে মিশু?
- হু,আমি তোর বউ না?
ইফতি কিছু বলল না।বাবা বললেন, ওরা থাক।আমরা বাইরে যাই।
তারপর সবাই বেড়িয়ে গেলো।
.
ইফতি একটু কাছে এসে বলল,একটু আগে যে নার্স টা এসেছিল ওকে ভাল্লাগছে।লাইন করিয়ে দে না।
আমার মেজাজ গরম হয়ে গেলো। আমি ওর বউ এটা কি ভুলে গেছে ইফতি?
ও বলল,কি দেখছিস শকুনের মত?
- আমি শকুন?
- শকুনের নানী তুই।লেডি কুত্তা কোথাকার।
আমি হাসলাম।এইতো ইফতি স্বাভাবিক হয়েই গেছে।কিন্তু তবুও কেমন যেন উদভ্রান্ত দেখাচ্ছে ওকে।
আমি জানি ইফতি না খেয়ে আছে।তাই ওকে ও খেতে বললাম।
খাওয়া শেষ হলে ইফতি হাত ধুয়ে এসে পাশে বসলো।
বললাম,আমি আজই বাড়ি যাবো।
- মাথা খারাপ?
- না,পেট খারাপ।
- মানে?
- এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।বাড়ি যাবো আমি।
- স্যালাইন লাগাবে তোর শরীরে।ডক্টর যেতে দিবেনা।
- বাসায় গিয়ে স্যালাইন দিবো। প্লিজ ইফু,বাড়ি যাবো।
- মিশু,পাগলামি করিস না।
- না না,তুই এখানে থাকলে ওই মহিলা নার্সকে লাইন মারবি এটা আমি হতে দিতে পারিনা।
- হা হা হা,এ জন্য ভয় পাচ্ছিস?
- তোকে বিশ্বাস নেই ভাই।
- আমি তোর ভাই?
আমি জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললাম,ভুলেই গেছি তুই আমার বর।
- বরকে কেউ তুই বলে? যাই হোক মিশু,তুই অসুস্থ।চুপচাপ শুয়ে থাক।এত কথা বলবি না।
- বলবো, একশবার বলবো।
- বলবি না,চুপ থাক।
- না না না,আমি কথা বলবো। একশবার বলবো, হাজার বার বলবো। কথা বলতে বলতে তোকে পাগল করে দিবো।
- আমি তোর মুখ বন্ধ করে দিবো মিশু।
- কিভাবে?
- দেখতে চাস?
- হু হু দেখা।
ইফতি উঠে এসে আমার মাথাটা ধরে ফেললো।তারপর ওর মুখটা আমার মুখের কাছে নিয়ে আসলো।আমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললাম।ধুকপুকুনি টা বাড়তে শুরু করেছে।কেমন যেন অনুভূতি হচ্ছে।ইফতি একদম কাছে চলে এসেছে!
ঠিক এই মুহুর্তে দরজা খুলে ডাক্তার প্রবেশ করলো।ইফতি আমাকে ছেড়ে দিয়ে সরে দাড়ালো।আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করলাম।
মনে মনে রাগ ও হচ্ছে আবার হাসিও পাচ্ছে।এটা কিছু হলো? ইফতি যখন ই আমার কাছে আসতে চায়,তখন ই একটা না একটা বাধা।অসহ্য!
.
ডাক্তার অনেক্ষন আমাকে দেখলেন, অনেক মন্তব্য করে চলে গেলেন।
আমি ইফতির দিকে তাকালাম।তারপর শয়তান মার্কা হাসি দিয়ে চোখ মারলাম।
ইফতি এগিয়ে এসে বলল,তুই একটা শনি।
- কেন?
- কারন তোর নাম মিশু মনি।আর মনি নামের মেয়েরা শনি হয় বুঝলি?
আমি হাসলাম।ওর রাগ করার কারণ টা বুঝতে পেরেছি!
ইফতি বেড়িয়ে গেলো ডাক্তারের সাথে কথা বলার জন্য।
.
ডাক্তার বলেছে ভয়ের কোনো কারণ নেই।তাই জেদ করেই বিকেলবেলা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলাম। আমার বাবার বাড়ি!
ইফতি ও সাথে এসেছে।শ্বশুর বাড়িতে এটা ওর প্রথম নাইওর! 
ভাবতেই হাসি পাচ্ছে।আগে দুদিন পরপর ই ইফতি আমাদের বাসায় আসতো।কিন্তু তখন আমি ছিলাম ওর বন্ধু,আর আজ আমি ওর স্ত্রী।দারুণ মজার ব্যাপার!
.
ঘুমানোর আগে আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলে বেনি করতে লাগলাম।
ইফতি এসে নিজেই বেনি করে দিতে দিতে বলল,তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠ।হানিমুনে যাবো।
- এত তাড়া কেন মশাই?
- শুধু তুই আমার আমি,হারিয়ে যাবো।
- আমি না তোর ফ্রেন্ড? ছিঃ ফ্রেন্ড কে এসব বলা যায়?
- তুই আমার ফ্রেন্ড?
- হু,বউকে কেউ তুই বলে? আর আমি তো তোর ফ্রেন্ড ই তাইনা?
ইফতি ক্ষেপে গিয়ে তাকালো আমার দিকে।আমি হেসে চোখ মারলাম।
কিছু বুঝে উঠার আগেই ইফতি আমাকে কোলে তুলে নিলো। তারপর বিছানায় নিয়ে এসে শুইয়ে দিলো। আমি লজ্জায় নীল হয়ে উঠলাম।
( চলবে....)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ