গল্প: মাস্তানি (প্রথম পর্ব)
লেখা> Abir Hasan Niloy
..
- এই ক্ষ্যাত, বেয়াদপ ছেলে একটা। দেখে চলতে পারিস
না??
অনার্স এর থার্ড ইয়ারে ক্লাস করবো বলে রুম খুজছি।
কিন্তু আমাকে কেউই হেল্প করছে না। কারন, সবাই আমার ঢিলে ঢালা পোশাকের দিকে তাকিয়ে আমার কাপড়ের দিকে তাকিয়ে কোনো কথায় বলছে না। সবার কাছে আমি ক্ষ্যাত। তাই খুব কষ্টে যখন নিজের ক্লাস খুজে পেলাম। তাড়াতাড়ি রুমে ঢুকতেই একটা মেয়ের পায়ে সামান্য পাড়া দিয়ে ফেলি। ফলে তিনি উপরের কথাগুলো বললো..
- ছাগলের মত চেয়ে আছিস কেনো? কোথা থেকে যে সব আসে। যত্তসব,,সকাল সকাল এসব ক্ষ্যাত মার্কা ছেলেদের দেখে গা টা জ্বলে গেলো।
মুচকি হেসে আমি আমার ক্লাসে গেলাম। কারন, এখানে কথা না বলাটাই শ্রেয়। কথা বললে না জানি আবার কি না কি শুনতে হবে। ক্লাসের একদম শেষের দুইটা
বেন্চের আগে বসলাম। একটু পরে দেখলাম সেই মেয়েটা আমার দুই বেন্চ আগে বসেছে। তার মানে সেম ক্লাস। যথারীতি ক্লাস শুরু হল,,ঠিক তখনি দেখলাম আমার পিছনের বেন্চের একটি ছেলে ঐ মেয়েটির গায়ে কাগজ ছুড়ে মারল..। তবে দোষটা আমার উপরেই পড়লো। তখনি..
- স্যার এই ছেলেটা আমার গায়ে কাগজ ছুড়ে মেরেছে।
(মেয়েটি)
- কোন ছেলে? (স্যার)
- ঐ যে ঐ ছেলেটা। চোখে
গোল চশমা পরা।
কিছু বোঝার আগেই স্যার এসে খানিক কথা শুনিয়ে গেল। কিছু বলারও সুযোগ দিলো না। ধপ করে বেন্চে বসে পড়লাম..
(পরেরদিন).
.
ক্লাসে বসে আছি সেই বেন্চটাতে। স্যারের লেকচার খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছি। আর সেই মেয়েটি বসেছে আজ ফার্স্ট বেন্চে। ঠিক সে সময় স্যার বললো...
- আচ্ছা বলোতো তোমরা.. যারা শিক্ষিত তারা
বেশি মূর্খ। কথাটি কি সত্য? যদি সত্য হয় তাহলে কারন টা কি? (স্যার)
ঠিক তখনি দেখলাম সবাই কেমন চুপ হয়ে গেল। স্যার
সবার দিকে একবার তাকালো। আর আমিও সবার
দিকে একবার তাকালাম। তখনি স্যার সেই মেয়েটিকে বললো...
- আচ্ছা নেহা, তুমি তো ফার্স্ট গার্ল, তো এই কথাটার লজিক কি? বলো...তখনি দেখলাম.. নেহা মেয়েটি চুপ হয়ে গেল। আমতা আমতা করা শুরু
করলো.
তবে স্যার অনেকেরর কাছে কথাটির ব্যাখ্যা জানতে চাইল। কিন্তু সবাই কেমন যেন চুপসে গেল।
ঠিক তখনি আমি কিন্চিত হেসে উঠলাম। তবে এটা
স্যারের চোখ এড়ালো না। তাই ন্যার সবাইকে চুপ
থাকতে বলে..
- এই ছেলে. নাম কি তোমার?
(স্যার)
- নিলয়..
- হাসছো কেনো...?
-.......
- বেয়াদপ ছেলে..পড়াশোনা তো করবে না,,ক্লাসেবেয়াদবি করবে। বলোতো. আমি মনে করি শিক্ষিত মানুষই মূর্খ হয় বেশি। কথাটি
কি সত্য? যদি সত্য হয় তাহলে কারন কি?
স্যারের প্রশ্নশুনে মাথাটা নিচু করলাম। তখনি স্যার আবার বললেন..
- জানি তো পারবা না। কেনো আসো সব ক্লাসে? যত্তসব বেয়াদপ ছেলে..
- জ্বি স্যার আমিও আপনার মত মনে করি শিক্ষিত ব্যক্তিরাই সবচাইতে বেশি মূর্খ। কারন, শিক্ষিত ব্যক্তিরা
সাধারন থাকতে চাই না। তারা চাই, অসাধারন হতে।
আর এই অসাধারনের রাস্তায় বিরতহীন ভাবে দৌড়াতে একসময় তারা তাদের অবস্থান, তাদের ব্যক্তিত্ব
হারিয়ে ফেলে।
তখন তারা শুধুই তাদের অর্থটাকে প্রাধান্য দেয়। আর সেক্ষেত্রে যে কম জানে, বা জানেই না, সেই
ঙ্গানী। কারন, তারা হল সাধারন, আর সাধারন সবাই
হতে পারে, এটা একটা আর্ট। তাই তারা তাদের ধর্মীয়
আচার, বিধি মেনে চলে। সৃষ্টিকর্তার ভয়ে কাজ করে অপরদিকে যারা বেশি ঙ্গানি তারা সময়ের সাথে
তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করে। ফলে তারা তাদের ধর্মকে ভুলেই যেতে বসে। এর কারনে তারা অবশ্যই মূর্খ।
কথাটি তাড়াতাড়ি বলে শেষ করলাম। কথাগুলো বলার
পর সবার দিকে তাকলাম। দেখলাম সবাই আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে
আছে। তখনি স্যার বললো..
- বাহ...আমি তোমাকে কি ভাবছিলাম আর তুমি তার
বিপরীত। সত্যিই তুমি বেয়াদপ না, ভালো ছেলে। মুচকি হেসে বসে পড়লাম। তখনি সেই নেহার দিকে তাকালাম। নেহা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হয়ত ভাবছে আমি ছেলেটা কেমন?
.
কলেজ শেষ করে যখন বের হলাম। তখনি রফি নামের
একটি ছেলে এসে বন্ধুত্ব করলো। এতদিনে কেউ আমার
পাশে বসে না। আর আজ একটা বন্ধুকে পেলাম...
(পরেরদিন)
ক্লাসে বসে আছি। তখনি রফি আসলো..
- আচ্ছা তোর বাসা কোথায়
রে?
- কেনো?
- আরে বন্ধুনা আমরা..বল..
- থাক সেসব শোনা লাগবে
না।
কি দরকার সেসব মনে করে, আমি তো এক অন্ধকার জগতের মানুষ। সভ্যতার মাঝে এসে বাঁচার চেষ্টা করছি। তাই ঐসব কথা ভেবে আর কোনো লাভ নেই।
- ঙ্গানই হল শিক্ষা নাকি
শিক্ষায় হল ঙ্গান?
স্যারের কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। তখনি নেহা উঠে বললো..
- স্যার, আমি মনে করি দুইটাই একে অপরের সাথে জড়িত। শিক্ষার মাঝেই তো ঙ্গান লুকিয়ে থাকে।
একজন ব্যক্তি শিক্ষার মাঝে থেকে ঙ্গান অর্জন করে। তাই শিক্ষা ও ঙ্গান দুইটাই একে অপরের সাথে জড়িত
- হুমমম..আর কেউ কি বলবে??
(স্যার)
- স্যার, উনি যে ধারনা টা দিলেন সেটা ভূল। কারন, শিক্ষার মাঝে ঙ্গান যদি লুকিয়ে থাকতো তাহলে যারা শিক্ষা গ্রহন করেনি তারা কি ঙ্গানি না? বা তাদের মাঝে কি ঙ্গান নেই? আসলে, স্যার আমরা বলি লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হয়। কথাটা কিন্তু এক দিক দিয়ে ভূল। কথাটি কি এমন হলে হত না যে. মানুষ হয়ে লেখা পড়া করো। আসলে কথাটি বললাম কারন, আমরা জন্মগ্রহনকরার পরেই কি বিদ্যালয়ে আসি? আসি না, তাই প্রথমে পরিবার, সমাজ হয়ে ওঠে
আমাদের জন্য শিক্ষাঙ্ন। এর থেকে যদি আমরা সঠিক
শিক্ষা গ্রহন করে মানুষ হতে পারি। তবে সেটাই প্রকৃত
শিক্ষা। বই বাদে মানুষ কিন্তু শিক্ষিত হয়। তার প্রমানও বহু আছে আমাদের সমাজে।
কথাগুলো বলে নেহার দিকে তাকালাম। সে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে দেখছে। শুধু সে নয়, সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি স্যার
বললো...
- বাহ, কি সুন্দর উত্তর। গুড বয়..
স্যারের কথা শুনে মুচকি হাসলাম। মনে মনে বললাম, আমি স্যার মোটেও গুড বয় না। আমার মত খারাপ ছেলে আর পাবেন না। যার কোমরে থাকে সবসময় পিস্তল গোজা। মানুষ মারতে হাত কাপে না। সে মোটেও গুড বয় না স্যার..
.
ক্লাস শেষ করে বাইরে আসতেই নেহা আমাকে
ডাকলো..
- এই যে, নিলয়..
নেহার ডাক শুনে দাড়ালাম। তখনি সে আমার
কাছে আসলো..
- সরি (নেহা)
- ওকে..বাই.
আর কোনো কথা না বলে, বা না শুনে নেহার কাছ থেকে চলে আসলাম। একটু দুরে আসতে ঘুরে তাকিয়ে দেখি সে আবারো চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হেসে চলে আসলাম।
(waiting for next part)
গল্প: মাস্তানি (পর্ব ২)
লেখা> Abir Hasan Niloy
..
- এই যে ছেলে..
কলেজে এসে ক্লাসে ঢুকতে যাবো তখনি নেহা ডাকলো। ঘুরে তাকাতেই সে বললো.
- আপনি তো খুব বেয়াদপ। কাল কথা বললাম অথচ.পাত্বায় দিলেন না।
- হুম..
- আবার হুম বলছেন? আচ্ছা আমরা তো সেম ক্লাস তুমি করেই বলতেছি। ওকে..
সামান্য হেসে ক্লাসের দিকে গেলাম। সমস্থ ক্লাসে চুপচাপ থাকি আমি। কারো সাথে কথা বলি না। শেষের
দিকে বসি।
- আগামী সপ্তাহে তোমাদের সাপ্তাহিক
এক্সাম নিবো। সবাই প্রস্তুতি গ্রহন করো ঠিব
ভাবে। (স্যার)
স্যার এসে কথাটি বললো..। তবে তখনি স্যার আমার
কাছে আসলো..
- আচ্ছা নিলয় তোমার বাসা
কোথায়?
-......
- কি হল বলো..? (স্যার)
- স্যার আমি একটু বাইরে
যাবো..
- ওকে..
স্যারের কাছ থেকে চলে আসলাম। কারন, আমি জানি
না আসলে স্যারের কথার উত্তর দিতে হত। আর আমি
চাই না কেউ আমার সম্পর্কে জানুক। আমি চাই না কেউ জানুক আমি মাস্তান। আমি খারাপ ছেলে। ফেলা আসা দিনগুলির মত চাই না আর
আমি লাঞ্চনা।
..
বাইরে থেকে ক্লাসে আসলাম আবার। সোজা বেন্চে এসে বসলাম। তখনি দেখি নেহা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সবার কাছে ক্ষ্যাত হতে পেরেছি। কিন্তু নেহা
কেনো তাকাচ্ছে? তখনি স্যার বললো..
- আচ্ছা বলো তো তোমরা, মানুষ মননশীল। সবাই জানি আমরা আমাদের কোনো এক সময় মরতেই হবে। কিন্তু আমরা মানুষরা কেনো এত বড়াই করি? কেনো দুনিয়াতে এত কিছু করি?
স্যারের কথা শুনে ক্লাসে কেমন যেন নিরাবতা ভর করলো। সবাই যে যার মত লজিক নিয়ে স্যারের সামনে তুলে ধরছে। আর আমি আমার জায়গায় বসে সব দেখছি।
ঠিক সে সময় রফি বললো..
- স্যার নেহা তো ফার্স্ট গার্ল তাই আমরা ওর কাছ থেকে জানতে চাচ্ছি।
তখনি সবাই একসাথে ইয়েস
বললো.।
নেহা উঠে দাঁড়াতেই বললো...
- স্যার আমরা সবাই জানি জন্মালেই মরিতে হয়। কিন্তু
মানুষ সেটা ভুলে যায় তার সমাজের কু ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে। মানুষ ভুলে তার অবস্থানকে। তাই তারা দুনিয়ার মায়াতে পড়ে সব ভুলে বসে।
- হুমম..আর কেউ বলবে? (স্যার)
তখনি রফি আমার হাতটা তুলে ধরলো..। আমি হাবার মত ওর দিকে তাকালাম। কিন্তু স্যার তখনি বললো..
- হুমম নিলয় তুমি বলো।
খানিক চুপ থেকে আশেপাশে তাকিয়ে নিলাম। সবার
মাঝে নিরাবতা ভর করেছে কিন্তু নেহা আমার দিকে
তাকিয়ে আছে। তখনি বললাম..
- স্যার আমরা জানি মানুষ মরণশীল। এটাই জানি
আমাদের কোনো এক সময় মরতেই হবে। কিন্তু আসল কথা হল আমরা বড়াই করি কেনো? আমাদের যেকোনো সময় চলে যেতে হবে ওপারে তবুও আমরা বড়াই করি। আসল কথা হল মানুষের মন যত নরম ততটাই নিকৃষ্ট। কারন, আমরা উপরে উপরে যত যায় দেখাই না কেনো, ভিতরে থাকে
অহংকার, লোভ। মূলত লোভ টাই আমাদের মনটাকে
নিকৃষ্ট করে তোলে ফলে আমরা ব্যভিচার এ লিপ্ত হতে থাকি। দুনিয়ার সাময়িক সুখে তখন বিভর হয়ে যায়।এর ফলে ভুলে যায় আমাদের মরন সংবাদের কথা। যা এক চরম সত্য। সুতরাং মানুষের মনে
সম্পদের অহংকার, লোভ, উপরে ওঠার চেষ্টাতে বিভর
থাকা এসবের কারনে আমরা সব ভুলে বসি। তাই এত বড়াই করে চলেছি।
কথাগুলো শেষ করতেই ক্লাসে একটা হাত তালির রোল পড়ে গেলো। তখনি নেহার দিকে চোখ পড়লো,
মেয়েটা সেই থেকেই তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হুট করেই দেখলাম সে মুচকি হাসলো তাকিয়ে।
মাথাটা নিচু করলাম..
- চমৎকার বলেছো নিলয়.
(স্যার)
.
ক্লাস শেষ করে ক্যামপাস থেকে বের হতে যাবো, তখনি নেহা আসলো আমার কাছে..
- আমি সরি।
- কেনো? (আমি)
- আসলে প্রথমদিন তোমাকে ক্ষ্যাত, বেয়াদপ বলে কত
কথা বলেছিলাম।
- হিহিহি..
- হাসছো কেনো?
- কারন, আমি যদি ক্লাসে ভালো কিছু না বলতাম তবে তুমি কি এসে কথা বলতে? আমি ক্ষ্যাত ই থাকতাম
তোমার কাছে। সো ইটস ওকে। তুমি তোমার মত থাকো...
কথাটি বলে সেখান থেকেচলে আসতে যাবো। তখনি
নেহা বললো..
- তোমার বাসা কোথায়? আর তুমি হুট করে থার্ড ইয়ারে ভর্তি হলে কেনো??
কথাটা শুনে ওর দিকে তাকালাম। কিন্চিত হেসে আমি ঘুরে চলে আসলাম। ফুটপাত ধরে হাটছি, আর মনে মনে পুরোনো কথা ভাবছি। যে ছেলের দিকে তাকাতে
মানুষ ভয় পেত আর সেই ছেলের সাথেই এখন কত লোক কথা বলছে। আসলেই সবাই ঠিকই বলে, ভালো মানুষ হতে কোনো অর্থের দরকার পড়ে না। আমি ভাবিনি ভালো মানুষ হতে পারবো। তবে আজ মনে
হচ্ছে ঠিক রাস্তাতেই যাচ্ছি। বড্ড মনে পড়ছে আব্বুর কথা। ওনার চলে যাওয়ার সময় শেষের কিছু কথা খুব মনে পড়ছে।
জোরে হেসে উঠলাম। সবাইআমাকে খারাপ ভাবে। কিন্তু কেউ কোনোদিন জানতে চাইনি আমি কেনো
খারাপ হলাম?সবাই আমাকে মাস্তান বলে পিছনে কতই না গালি দেয়। কিন্তু কেউ কোনোদিন জানতে চাইনি আমি কেনো মাস্তান? কেন আমি মাস্তানি করি? আসলে আমরা সবাই মানুষ। তবে আমাদের সঠিক মনষ্যত্বের অভাব। আমরা পাপি কে ঘেন্না করি কিন্তু তার পাপকে না
.
(পরেরদিন)
.
ক্যমপাসে বসে আছি। তখনি নেহা আসলো..
- এটা ধরো.
- কি এটা?
- নোটস, আগামী সপ্তাহে তো এক্সাম তাই তোমাকে
দিচ্ছি।
- লাগবে না।
- মানে? তুমি তো নতুন, জানোই না যে কেমন হবে।
- দরকার নাই বললাম না?
(ঝাড়ি দিয়ে)
কথাটি বলে নেহার দিকে তাকালাম। সে আমার দিকে
তখনও তাকিয়ে আছে। ধপ করে আমার পাশে সে বসে
বললো..
- কে তুমি? তোমার বাসা
কোথায়? (নেহা)
ঘুরে তার দিকে তাকালাম। নেহা আমার দিকে তাকিয়েই কথাটি বললো..
- কেনো? (আমি)
- আমি জানতে চাই। কারন, আমি দেখেছি তুমি কারো সাথে মিশো না। কারো সাথে কথা বলো না। তাই
ভাবলাম..
- কি?
- আমি জানি মানুষ প্রেমে ছ্যাখা খেয়ে এমন হয়ে যায়।
তাই ভাবলাম তুমি হয়ত ছ্যাখা খেয়েছো।
নেহার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলাম। তবে কিছু না বলে সেখান থেকে উঠে চলে আসলাম। কি বলে মেয়েটা?
যাচ্ছে তাই..
ক্লাসে বসে আছি। আজো দেখলাম, আমার পিছন থেকে কেউ একজন কাগজ ছুড়ে নেহার গায়ে মারলো..তখনি নেহা উঠে এসে বললো..
- ছি. নিলয়, তোমাকে আমি ভালো ছেলে বলে মনে
করেছি। আর তুমি কি না সবার মত আমাকে
ভালোবাসি বলে দিলা? তোমার মত ক্ষ্যাত ছেলে
আর বেয়াদপ ছেলে আর একটাও নাই।
- মানে কি?
- কাগজে ভালোবাসি লিখে তোমার নাম দিয়ে
আমাকে কাগজ ছুড়ে মেরে বলছো মানে কি? বেয়াদপ
একটা, মন চাচ্ছে থাপ্পড় দিই।
- এই যে শুনুন, আমি মারিনি।
পিছন থেকে কেউ একজন মেরেছে।
- ফাজলামো হচ্ছে?? আজ মাফ করে দিলাম, নেক্সট টাইম এমন কিছু দেখলে তোমার খবর
আছে।
কোনো কথা না শুনেই সে চলে গেল। মাথায় রাগ উঠিয়ে সে চলে গেলো। মন চাচ্ছে ব্যাগ থেকে পিস্তলটা বের করে পিছনে থাকা ছেলেটার কপালে গুলি করি, এর পর নেহাকে। কিন্তু আব্বুর কথা মনে পড়তেই চুপ হয়ে বসে পড়লাম। কিছু ভালো লাগছে না।
তাই ক্লাস থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। আজ আব্বুর মৃত্যু বার্ষিকী। আব্বুর শেষ কথা
ছিলো,
- নিলয়, আমি জানি তুই রাগী, তাই রাগটাকে নিজের নিয়স্ত্রনে রাখিস। মনে রাখিস, প্রকৃত বীর সেই, যে তার রাগ কে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে পারে।
এসব ভাবতে ভাবতে
ক্যামপাস থেকে বের হলাম।
(Waiting for next part)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ