āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3941

কাল্পনিক আমি'র গল্প
লেখক : মিশু মনি
.
ভীষন কুয়াশা পড়েছে।
প্রচুর শীত করছে।তবুও ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম। এমন দিনে ঘুরতে যাওয়ারও একটা মজা আছে।
আমি খুব বেপরোয়া একটা মেয়ে।যখন তখন যেখানে সেখানে চলে যাই।আমি ঘুরতে ভালবাসি। ভালবাসি বললে ভুল হবে।ভ্রমণ করাটা আমার নেশা হয়ে দারিয়েছে।
জোসনা,পাহাড়, ঝরনা,জংগল, গাছ,নদী, এসবই আমাকে টানে।মাঝেমাঝে হুট হাট করেই ছুটে যাই এদের আকর্ষনে।মিশে যাই প্রকৃতির মাঝে।
আমি কাউকে ভয় পাইনা।না ভুত,না মানুষ। আর বিপদ?  সে তো আমার ভালো লাগার বস্তু।আমি বিপদ পছন্দ করি।ভয়াবহ বিপদে পড়ব, আবার সেখান থেকে যুদ্ধ করে বেড়িয়ে আসবো, এটা আমার পরম সুখের বিষয়।অনেকবার পরেছিলাম এমন বিপদে।নিজের প্রচেষ্টায় বেচে ফিরেছি।
এই তো গত বছর এমন সময়ে এক দল ডাকাতের হাতে পরেছিলাম।কিভাবে যেন উদ্ধার পেয়েও গেলাম।
আব্বু খুব ভয় পায় আমার বেপরোয়া স্বভাবের কারনে।কিন্তু মা বাবাকে অভয় দেন।মা বলেন,মনি প্রকৃতিকে ভালবাসে,প্রকৃতি ওর প্রেম,ওর সাধনা।ওর বিপদে প্রকৃতিই ওকে আশ্রয় দেবে।
হয়ত সেটাই ঘটে।
.
ট্রেনের জানালায় মাথা রেখে বাইরে তাকিয়ে আছি।চারিদিকে ভয়ানক কুয়াশা।কিন্তু বেশ ভালো লাগছে।আমার সামনে বসে আছে এক যুবক।পবিত্র চেহারা,মায়াবী চোখ।কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছে তাকে দেখে।
ছেলেটি জিজ্ঞেস করল,আপনি কোথায় যাবেন?
- আপাতত ঢাকা।
- তারপর?
- সিটিজি।
- গন্তব্য? 
- চন্দ্রনাথ পাহাড়।
ছেলেটি ভ্রু কুচকে তাকাল।
- একা?
- জ্বি।
ছেলেটি বোধহয় বিশ্বাস করতে পারছে না আমি একা যাচ্ছি।
বলল,ভয় নেই?
- আমি নির্ভীক।
- বাহ! এডভেঞ্চার ভালবাসেন? 
- হুম।
- কি করা হয়?
- শুধু ঘুরে বেরানো আর বই পড়া।
- বিয়ে করেন নি?
- না।
- কেন?
- যারা সামাজিক তারাই বিয়ে করে।আমি মোটেও সামাজিক নই।
- আপনি অসামাজিক? 
আমার হাসি পেল প্রশ্ন টি শুনে।বললাম,তা নয়।আসলে আমি একা চলতে চলতে এমন হয়ে গেছি যে কোনো মানুষ এর সাথে বাস করা কঠিন আমার পক্ষে।
ছেলেটি হেসে বলল,strange!  বাবা মা আছেন? 
- বাবা মা ছাড়া পৃথিবিতে এলাম কিভাবে? 
- জীবিত কি না?
- জ্বি।কিন্তু সময় দেয়া হয় খুব কম।
- ওহ আচ্ছা।জীবনের লক্ষ্য কি আপনার?  খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
আমি বল্লাম- গাছ হওয়া।
- আশ্চর্য! 
- হা হা হা।আসলে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে কখনো ভাবা হয়নি।
- বাহ! খুব ইন্টারেস্টিং মানুষ আপনি! এমন মেয়ে মানুষ জীবনে দেখিনি।একা একা চন্দ্রনাথ পাহারে রাত্রিযাপন!  ওহ মাই গড।
আমি বললাম,ভয় পাচ্ছেন? 
- শিহরিত হচ্ছি।এডভেঞ্চার আমিও ভালবাসি। কিন্তু আমি ভীতু।ঘর থেকে বের হতে পারিনা।আর তাছাড়া আমি অতিসামাজিক প্রানি।
- আর আমি অতিপ্রাকৃতিক।হা হা হা...
- আপনার নাম জানতে ইচ্ছে করছে।
- মিশু,ডাক নাম মনি।
- আমি ইথেন।
- নামটা একটু রাসায়নিক হয়ে গেল না?
- আমার বাবা একজন রসায়নবিদ।
আমি হেসে বললাম,আপনার বোনের নাম কি মিথেন নাকি?
- জ্বি।কিভাবে বুঝলেন! 
আমি হেসে বললাম,ঢিল ছুড়লাম।
- আশ্চর্য! 
কথা বলা বন্ধ করে বাইরে তাকালাম। খুব শীত করছে।ব্যাগ থেকে চাদর বের করে গায়ে জরিয়ে বই বের করে পড়তে আরম্ভ করলাম।
ইথেন জিজ্ঞেস করল,কি বই?
- প্রথম আলো।
- কার লেখা?
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
বলেই পড়ায় মন দিলাম।এমন পরিবেশে এক কাপ চা বা কফি হলে ভালো হত।বই পড়তে পড়তে কফি খাওয়ার ইচ্ছেটা কমে গেল।পড়ার সময় আমার অন্য কোনোদিকে খেয়াল থাকেনা।
গল্পের কাহিনী রাজা রানী থেকে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুর বাড়িতে চলে এসেছে।বেশ মজা লাগছে পড়তে।
ইথেন আমাকে একটা ধাক্কা দিলো। চমকে উঠে কারন জিজ্ঞেস করতেই ও বলল,অনেক্ষন ধরে ডাকছি।শুনছেন না?
- সরি।বই পড়ার সময় আমি কিছু শুনতে পাইনা।
- ওকে।এই নিন কফি।
- কোথায় পেলেন?
- ফ্লাক্সে করে নিয়ে এসেছি।
- বাহ!  ধন্যবাদ।
কফিতে চুমুক দিয়ে আবারো পড়ায় মন দিলাম।
পড়তে পড়তে চোখ দুটো একটু অবসর চাইছে।বই টা বন্ধ করে ব্যাগ খুজতে লাগলাম।কিন্তু আমার ব্যাগ টা পেলাম না।
ইথেন কে জিজ্ঞেস করলাম, আমার ব্যাগ টা গেল কই?
ও হেসে বলল,লুকিয়ে রেখেছি।
- মানে! কেন?
- আপনাকে অনেক ডাকলাম শুনতে পান নি।তাই ব্যাগ টা নিয়ে লুকিয়ে রাখলাম যে দেখি আপনি বুঝতে পারেন কি না।
- ওহ।বলেছি তো বই পড়ার সময় আমি জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই।
- যদি ব্যাগ চুরি হয়ে যায়? ইভেন যেত তখন কি করতেন? 
- ভালই হত।টাকা পয়সা আর প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র ছারাই এতদূর ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা হত নতুন করে।
- এর আগেও ব্যাগ বা টাকা হারিয়েছিলেন?
- হুম।
- তারপর? শুনতে ইচ্ছে করছে।
আমি বলতে শুরু করলাম,সেবার যশোর থেকে বাসায় ফেরার সময় টাকা ছিলনা।তখন বাসে উঠে ড্রাইভার কে বলেছিলাম পৌছে টাকা দিবো। বাস এসে থামল চাচরা বাজারে।সেখানে নেমে আরেকটা বাসে উঠলাম আর এই বাসের হেল্পারের কাছে টাকা ধার নিয়ে আগের বাসের টাকা শোধ করলাম। এই বাসে করে আমাদের এলাকায় এসে পৌছলাম।তারপর একজন রিক্সাওয়ালার কাছে টাকা নিয়ে বাসের টাকা দিয়ে দিলাম।রিক্সায় বাসা অব্দি পৌছলাম।বাসায় পৌছে রিক্সাকে বেশি করে টাকা দিয়ে বিদেয় করলাম।
ইথেন অবাক হয়ে  বলল,ক্যামনে সম্ভব? আমি হলে তো ঘার ধরে নামিয়ে দিত মেয়বি।
- আমাকেও অনেক চেষ্টা করতে হয়েছিল টাকা ধার পেতে।আর একবার তো গাড়ি থেকে নামিয়েই দিয়েছিল।
ইথেন চুপ করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি বললাম,কি দেখছেন? 
- অবাক হয়ে যাচ্ছি! আপনি দেশের বাইরে যান নি?
- গিয়েছিলাম। বাবার সাথে।আর বাইরে যেতে মোটা অংকের টাকা খরচ হয়।দেশের সব জায়গা ঘোরা শেষ হলে তারপর চেষ্টা করবো।
- আমার আর বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না।আপনার সাথে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করছে।নেবেন আপনার সাথী করে?
আমি অবাক হয়ে বললাম,এসব কি বলছেন?
- কেন? আমিও আপনার সাথে ঘুরবো।আপনি একা চলেন এটা ই অনেক রিস্কি।একজন সাথে থাকলে আপ্নিও ভরসা পাবেন।
আমি বললাম,আমার কাউকেই প্রয়োজন নেই।আর আমি একা,একাই বাচি,একাই বাচবো।আমি জংগলে শুয়ে জোসনা দেখতে ভালবাসি। কিন্তু যখন গভীর জোসনা রাতে আমার পাশে কোনো ছেলে থাকবে,তখন এক ধরনের জৈবিক চাহিদার উদ্ভব হবে।ফলে জোসনা টা আর উপভোগ করতে পারবো না।
ইথেন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।কেউ কখনো আমার সাথী হতে চায়নি।আমার ইচ্ছে করছে ইথেন কে সাথে নিতে।কিন্তু ইচ্ছে টাকে মাটিতে পুতে ফেললাম।
ঢাকায় নেমে ইথেন কে বিদায় দিলাম।আমি চলেছি আমার পথে।প্রকৃতি আমায় ডাকছে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ