āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3895

গল্প ১৪ :) "জীবন্ত পুতুল"... পর্ব ১.----------------

ইরার বিয়ের দু বছর হল,সে তার স্বামী নিয়ে ভালোই আছে।আতিক খুব যত্নই নেয় ইরার।সেই ছোট ইরার আজ একটি ছেলে ও আছে,"আনাফ"।দু মাস হল আনাফ এর।যদিওবা আনাফ নামটি ইরার দেয়া নাম।যা ইরা বিয়ের আগেই ঠিক করে রেখেছিল।সচরাচর যা হয় আর কি,মেয়েরা বিয়ের আগ থেকেই মা হবার সপ্ন টা বুকে লালন করে রাখে।বাচ্চার নাম ও ঠিক করে রাখে,ঠিক তেমন ই ইরাও রেখেছিল।সে তার অতীত ছেড়ে আসতে পারলেও তার বাচ্চার নাম টা ছেড়ে আসতে পারেনি।উপরে যতই পরিবর্তন এর হাওয়া লাগুক ভিতরটা এক ই থাকে।ইরা রান্না করছে,আতিক আনাফ কে নিয়ে তাদের রুম এ।আতিক ইরাকে বলছে,আচ্ছা বিয়ের আগে কি তুমি আমার নাম টাও জানতে?
ইরা:- কিভাবে?আমিতো চিনতাম ই না।
আতিক:-তাহলে বাবুর নাম আমার নামের সাথে এত্ত মিল কিকরে হল?
হঠাৎ ই মোচর দিল ইরার মনে,সব অতীত গুলিকে আতিক এক কথায় ঘেঁটে দিল।ময়লা ঘাঁটলে গন্ধ আসে,আর অতীত ঘাঁটলে পুড়ে যায়, আর শুধুই পোড়া গন্ধ আসে।
আতিক:- কি হলো,কি ভাবো?
ইরা:- কি যে বলো!!আমি মেয়ের নাম ও দিয়েছিলাম।
আতিক:-ও মা কি বলো?আচ্ছা কয়জন এর নাম দিয়েছিলা??
ইরা:- আরেহ না,শুধু দুই জন ই ছিল,মেয়ে হলে রাখতাম আনিসা।
আতিক:- এ মাহ!তাও আমার নামের মতোন ই।বিয়ের আগ থেকেই মনে প্রাণে তুমি আমায় ই ভাবতা।
ইরা:- বক বক না করে যাও, গোসল করে নেও আমি খাবার দিচ্ছি।
আজ সারাদিন ইরা শুধু আনমনা হয়েই আছে।ও আর এ জগতে নেই।অতীত ওকে মগ্ন করে রেখেছে।বর,বাচ্চা দু জন ই ঘুমাচ্ছে।ইরা বারান্দায় বসে আছে।শীতের সময়,বাইরে অনেক বাতাস।ইরা জমে যাচ্ছে, তবুও তার ভালো লাগছে।সেদিন ও এমন শীতের বিকেল ছিল,যেদিন আবির এসেছিল ইরাকে পড়াতে, নিতান্তই অন্য সব শিক্ষকদের মতন পড়াতে এসেছিল।ইংরেজি পড়াতে তাকে আনা হয়।ইরা এর আগেও অনেক শিক্ষকদের কাছেই পড়েছে,তবে আজ অনেকটাই চিন্তা হচ্ছে।আগের শিক্ষকদের চেয়ে আবির এর বয়স টা কম অনেক,ইরার অনেক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও আবির কে রাখা হয়।আবির এর কাছে প্রথম দিন পড়তে বসে ইরার খুব বিরক্তি হয়েছিল,কেননা আবির আসার পর থেকেই যাওয়া অব্ধি বইয়ের দিকেই তাকিয়ে ছিল।ইরা বুঝলো না কি তা একবার ও জিজ্ঞেস করলো না।আর ইরা আগ থেকেই অনেক লাজুক,স্যার এর মুখের দিকে তাকাতে পারেনা।না বুঝলেও, বুঝি সব, এমন একটা ভাব ইরার মধ্যে কাজ করতো।
কয়েকদিন এমন ই গেল।কিছু খাবার দিলেও আবির খেত না।ইরা মনে মনে তাকে হিংসুক,দেমাগি ভেবে নিয়েছিল।আর আবির ও চাইতো, ইরা তাকে খেতে সাধুক, তা না হলে খাবেনা।ইরাও সাধতোনা,খেলে খাও না খেলে না।পড়াতে আসে,পড়িয়ে যাক। এমন ভাবে এক মাস চলে গেল,সেদিন প্রথম আবির ইরার নাম জানতে চেয়েছিল।
আবির:- পড়ায় মনযোগী হও।ও কি যেন নাম তোমার?
ইরা খুব বিরক্তি নিয়ে বলেছিল,ইরা।
ইরা তার সকল বন্ধুতের কাছে বলতো, একজন বিরক্তিকর স্যার এর কাছে পড়িরে,আসার পর থেকে যাবার আগ অব্ধি বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।অহংকারী একটা,
কিছুদিন পর ইরা ওর মাকে বললো,মা স্যার কে কল দিয়ে বলে দেও আজ পড়বো না।মা রাগ করে বললো,তোর স্যার তুই কল দে।এত্ত লাজুক তো ভালনা।ইরা রেগে কল দিল,ওপাশ থেকে হ্যালো বলার সাথে সাথেই ইরা কল কেটে দিল।আবির আবার কল দিচ্ছে,ইরা ধরছেনা,ভয় নাকি লজ্জা কিছুই বুঝছেনা।দু বার কল দেয়ার পর ধরে বলছে,স্যার আমি ইরা,
আবির:- হুম, তোমার মা এর নম্বর সেইভ করা।
ইরা:-স্যার আজ আসা লাগবেনা।ধরা ধরা কন্ঠে বলছে।
আবির:-আচ্ছা।কাল সকালে আসবো,
ইরা:-কেন আবার পড়াতো পরশু!
আবির:-হুম সেদিন ও আসবো, আজকের টা কাল পড়াবো।
ইরা:- আচ্ছা রাখলাম,
আবির:- আচ্ছা,আর তুমি একটু পানি খেয়ে নিও।
ইরা:- আচ্ছা স্যার, বলে কেটে দিল।পরে যতবার ভাবে পানি খাবার কথা লজ্জায় লাল হয়ে যায়, মোবাইল এর রেকর্ড অন করে,"হ্যালো স্যার"বলে সেইভ করে,তা নিজেই শোনে আর লজ্জা পায়।ইস! কি বিশ্রী ভয়েজ আমার, তাই তো পানি খেতে বলেছিল।এটা ভেবে মন ও খারাপ করে।
এখন আগের চেয়ে আবির একটু একটু বাসায় এসে কথা বলে,তবে তাও ওই নিচের দিকে তাকিয়ে।ইরাকে বলে-আচ্ছা, আমায় স্যার ডাকবেনা,আমি কি বুড়া নাকি??ভাইয়া বলবা।
ইরার এর পর থেকেই ভাইয়া স্যার সব মিলিয়েই ডাকতো।
ইরা:- স্যার,, ওহ সরি, ভাইয়া , এটা কি বুঝিনি।
আবির শুধু হাঁসি দিত।
ধীরে ধীরে ইরা আবির এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। কেন তার কারন সেও জানেনা।আর আবির ও আজ কাল সপ্তাহে ডেইলি আসে।ইরার বাবা ইরাকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছে।সেদিন ইরার জন্মদিন ছিল,ইরার প্রিয় বান্ধবী মিথিলা সেদিন ইরার বাসায় ছিল।ইরা সারারাত মিথিলার কাছে বলছে,আবির স্যার একটা সাজেশন দিয়েছে।ওটা পড়লে ৮০%কমন।তুই নিতে পারিস।সাজেশন এর নিচে আবির এর ফোন নম্বর দেয়া।আর লেখা ছিল,"সাহায্যের জন্য উক্ত নম্বর এ যোগাযোগ করবেন।"মিথিলা বলে চল ওনারে মিস্ড দেই,দেখি কি করে,ভাবিষ্ট না কি দেখি।মিস্ড দেয়ার সাথে সাথেই কল ব্যাক।ইরা বলে ছি ছি কি খারাপ।
আবির এক খানা মেসেজ ও দেয়।মিথিলা বলে দেখ মেসেজ ও দিছে,লোক টা সুবিধার না।
ইরা:- দেখি কি লিখছে।
মেসেজ ছিল,এতো রাত জেগে না পড়লে, পরিক্ষায় ঘোড়ার ডিম পাবা।ইরা আর তার বান্ধবী দু জন ই অবাক।
মিথিলা:- এ মাহ,উনি বুইঝা গেছে?
ইরা:- আরেহ না,সে মনে হয় তার অন্য ছাত্রীকে ভাবছে।তার তো ছাত্রীর অভাব নাই।
পরের দিন আবির পড়াতে এসে ইরাকে প্রশ্ন করে,রাতে কখন ঘুমাও??
ইরা:- অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
আবির:- কাল কখন ঘুমিয়েছো?
ইরা:- ৯টায়।
আবির এত্ত তাড়াতাড়ি?
ইরা:- হুম,আমি রাত জাগিনা।৬টার পর থেকেই ঘুম ঘুম পায়।
আবির:-আচ্ছা এই নম্বর টা চিনো?
ইরা:- না,আমি কেমনে চিনবো?
আবির একেবারেই বুঝে গিয়েছল যে ওটা ইরাই ছিল।
আর ইরা অপরাধী ভাবছে নিজেকে।মনে ভয় ধরে গিয়েছিল,আবির কি খারাপ মেয়েই না ভাবছে তাকে!প্রচণ্ড ভয় ছিল বাসায় যদি বলে দেয়।
ইরা ভাবছে যে ভাবেই হোক তাকে বুঝাতে হবে ওটা আমি নই,আবির যাবার পর মেসেজ দিল,আমি সরি,আমি এনা,আমি আসলে ভুল নম্বরে কল দিয়েছি।
আবির উত্তর দিল..ওকে,আসলে আমি ভেবেছি ইরা।
ইরার এটা শুনে খুব আগ্রহ হচ্ছে যে কেন সে আমায় বুঝলো?ইরা আবার মেসেজ দিল:- ইরা কে?
আবির:- ও আমার ছাত্রী।
ইরা:- কেমন স্যার আপনি ছাত্রীর কল আশা করেন
আবির:- সে আমার ভালো ছাত্রী।
এভাবেই মেসেজিং চলতে থাকে।
পরের দিন আবির আসলে, ইরা টেবিল এর নিচে ফোন রেখে আবির কে কল দেয়।যাতে আবির বোঝে,ইরাতো সামনেই।ওটা অন্য কেউ।আবির ও খুব অবাক হয়েছিল।মুখ টা মলীন ও হয়ে গেছিল।আবির গেলে ইরা সিম পালটে ফেলে।এক মাস কেটে যায়। এক মাস পর ইরার সিম তার বান্ধবী নেয়।সিম অন করতেই আবির কল দেয়।বার বার শুধু ইরার কথা বলে।মিথিলা রাগ করে বলে দেয়,যে এটা আমার কাছে আর ইরা আমার ফ্রেন্ড সেদিন আমরাই আপনাকে কল দিয়েছিলাম, মিথিলা ইরাকে জানায় না যে সে সব বলে দিছে।শুধু বলে আবির কল দেয়।ইরা তাই সিম তার কাছে আনে।ইদানীং আবির কেমন পরিবর্তন,পড়াতে আসলে হাসে,লিখে অনেক কিছু বুঝাতেও চায়।ইরা খুব দ্বিধায় ভুগছে,আবির এর আচরনে।সে আবার আগের সিম অন করে আবার টেবিল এর নিচে বসে মিস্ড দিচ্ছে।আবির সাথে সাথে কল ব্যাক।টেবিল এর নিচে কল বেজে উঠলো।ইরা সেদিন প্রচুর লজ্জা পেয়েছিল।আবির তার চেয়েও বেশি।শুধু বলেছিল,আজ আর পড়াব না।ইরা কথা বলতে পারছিল না,শুধু মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়েছিল।আবির গিয়ে শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিল,আমি অনেক আগেই জানতাম ওটা তুমি।আজ যদি জানতাম তুমি সাইলেন্ট করনি,আমি কল দিতাল না।আশা করি সিম টা অন রাখবে।কেন রাখবে বা আমি কেন রাখতে বলছি তা আমি জানিনা।তবে ইরা আর ওপেন করেনি,ভুলতে চেয়েছিল সব,আবির পড়াতে আসলে আগের মতই কথা কম বলে,বললে খুব জোড়ে বলে,আবির এমন আচরন এর মানেই জানতো না,চোর চুরি করে ধরা খেলে কিছুদিন এমন বড় গলায় ই বুঝি কথা বলে,এটাই ভাবতো।
আবির বলতো : আচ্ছা আমি কি অনেক দূরে বসছি যে এত্ত জোরে কথা বলো?
ইরা:- আমি আস্তে কথা বলতে পারিনা।ইদানীং খুব তাচ্ছিল্য করছে ইরা আবির কে,কেন করছে তা ইরাও হয়তো জানেনা।নিজেকে দোষী ভেবেই হয়তো।সেদিনও এমন পড়াতে ছিল,ইরার বাসায় কেউ ছিলনা,ইরা তাই ঘরের মধ্যে টেলিভিশন এর ভলিউম টা খুব বেশি করে রেখে গেছে,যাতে আবির না বোঝে যে বাসায় লোক নেই,
আবির:- আচ্ছা এত্ত জোরে কে টি ভি দেখে?
ইরা:- আম্মু,আমরা সবাই ই এমন।কিছুক্ষন পর দরজা নক,,,খুলে দেখে ইরার আম্মু বাহির থেকে এসেছে।
আবির:- ইরা,মিথ্যে কেন বললে?
ইরা:- কই?ভিতরে আমার খালা,যাকে আমি আম্মু বলি।
আবির:- ও।
কিছুক্ষন পর ইরার আম্মু ইরাকে জিজ্ঞেস করে,ভিতরে কেউ নেই,টি ভি এত্ত জোরে কেউ অন করে রেখে যায়?
ইরা চুপ করে আছে,
আবির:- ইরা আমায় তোমার কি মনে হয়?দুনিয়ায় কাউকেই বিশ্বাস করতে হয়না কিন্তু কিছু কিছু বেপারে বিশ্বাস করে দেখো,ঠকবেনা।হয়তো তোমার আমার কাছে পড়তেই ভালো লাগেনা।তোমার মাকে বলো,আমি একজন নতুন স্যার পাঠাবো কাল থেকে।
ইরার অনেক মন খারাপ হয়েছিল,ইরা ফোন ওপেন করে মেসেজ দিল,সরি,প্লিজ নতুন স্যার দিবেন না।আবির অনেক খুশি হয়েছিল।এভাবেই মেসেজিং চলতেছিল,
তবে কথা হতনা।আবির কল দিলে ধরতোনা।ইরা আবির আসার আগে বারান্দা দিয়ে তাকিয়ে থাকতো,বারান্দা দিয়ে দরজার সামনাটা দেখা যায়। আবির এসে দরজার সামনে আগে চুল ঠিক করে নিত।ইরাও ইদানিং সাজে,বেশি বেশি আয়না দেখে,কপালে টিপ থাকে সবসময়,গুন গুন করে গান গাইতে খুব ভালোলাগে আজ কাল ইরার, সামনা সামনি এমন ভান করতো কেউ চিনেইনা।আবিরের সেদিন শেষ দিন ছিল ইরাকে পড়ানোর,আবিরের মন খারাপ।সে বার বার কিছু বলেও বলতে পারছেনা।শুধু বলেছিল,পরীক্ষা কেমন হয় জানিও।আর দরকার হলে আসতে বলো।সেদিন আবির দেয়ালে ইরার ছোট বেলার ছবি দেখে বলেছিল,দেখো ছবিতে যেমন সেই অবস্থা আটকে রাখতে পারা যায়, মানুষ কে কেন এভাবে আটকে রাখা যায়না?তখন ইরা তার মানে না বুঝলেও আজ সে বোঝে,খুব বোঝে।মানুষ হারিয়ে যায়, ভুলে যায় তবুও ভীতরে কি যেন এক ই রকম থেকে যায়, ঠিক ছবির মতন ই।তার পর থেকে তাদের সারাদিন মেসেজিং করে কেটে যায়। অনেক বার অনুরোধ করলেও ইরা আবির এর সাথে কথা বলতে সাহস করতো না।সেদিন আবির বলে দিল,যদি কথা না বল আমি পরিক্ষা দিব না।ছোট ইরা,ছোট বুদ্ধি,খুব সহজেই বিশ্বাস করে ফেলেছিল।কেন যেন আবির কে অবিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়না ইরার।ইরা ফোন দিয়ে চুপ করে আছে,হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে।ওপাশ থেকে শুধু ইরা,ইরা,ইরা,,,,
ইরা:- হুম
আতিক:- কি হল,এত ঠান্ডায় বারান্দায় কি কর?
ইরা:- হুম,
আতিক:- কি হইছে তোমার?বাবু খুঁজছে তোমায়,যাও।
ইরা:- ও যাচ্ছি।
আনাফ ছাড়া ইরাকে কেই বা খুঁজবে, ইরার ধারনা তাকে কেউ খোঁজেনা।তাকে খোঁজার কেউ নেই.........(২য় পর্ব আসছে........

"জীবন্ত পুতুল"২য় এবং শেষ পর্ব--------------আতিক বাইরে গেছে,আজ রাত টা ইরাকে নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে।বার বার অতীত এর নেশা।খারাপ লাগছেনা এ নেশায় ডুবতে।২ বছর আগের অতীত।মনে হচ্ছে ২দিনের,খুব কাঁচা এ ব্যাথা,নাড়া লাগলেই রক্ত বের হয়।ইরা শুয়ে শুয়ে তাদের প্রথম দিনের কথা বলার কথাই ভাবছে,আবির এর অনুরোধ এ কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল বার বার,আর আবির আবার ও বলেছিল,কি!পানি নাই আশে পাশে?
ইরা,খিক খিক করে হাসতেছিল।
আবির:- মানুষ এত সুন্দর করে কেমনে হাসে?
ইরা:-কই!
আবির :- শব্দটা আনকমন,খিক খিক খিক,আচ্ছা তুমি জানো?আনকমন নাউন ভার্ব নাকি এডভার্ব?
ইরা:- এখানেও পড়া?? উফ!
এভাবেই শুরু কথার,,,এক সময় অপেক্ষা শেষে
অভ্যাস এ পরিনত হয়েছিল।ধীরে ধীরে দিনে একবার,দুবার করতে করতে সারারাত ও কথা বলে কেটে গেছে,কত রাত,কত রাতের চাঁদ, কত হালকা বৃষ্টি সাক্ষি ছিল সে কথার।
৬ মাস হয়ে গেল,তবুও কেউ কাউকে ভালোবাসি বলতে সাহস করেনি।দু জন ই জানতো কতটা কাছের তারা।সেদিন আবির এর জন্মদিন ছিল,আবির জন্মদিনের উপহার হিসেবেই ইরার মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনে নিয়েছিল।
ছেলেরা কায়দা করে আবদার গুলি পূরন করায় পটু।
আর মেয়েরা লজ্জাতে নিজেদের ঘিরে রেখে,সব কিছু থেকে বঞ্চিত থাকে।

আতিক বাহির থেকে এসে গেছে,আনাফের জন্য পুতুল নিয়ে এসেছে,আনাফ খুব ছোট খেলতে পারবেনা,তবুও খুব ছোট পুতুল এনেছে,ইরাকে বলে,ইরা দেও এর নাম ও তুমি দেও।
ইরা:- কেন আমি কি নাম এর ভান্ডার! বিরক্ত হয়ে বলে চলে গেল।আতিক বুঝছেনা এ অকারনের মেজাজ এর কারন।ইরাকে সে বার বার নিজের অজান্তেই অতীত মনে করিয়ে দিচ্ছে।আবির ও এমন ই দুটি পুতুল ইরাকে দিয়েছিল।সম্পর্কের এক বছর পর তারা ভেবেছিল তারা দেখা করবে।যেমন ভাবে ভালোবাসি বলতে ৬মাস লেগে গিয়েছিল, দেখা করতেও এক বছর,ভালোবাসার ধাপগুলি খুব ধীরে ধীরেইই আগাচ্ছিল ।১৬ ই এপ্রিল, চারদিকে কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে গেছে।ইরা,আবির দেখা করে,দুজন ই সাদা জামা পরে এসেছিল কাকতালীয় ভাবেই।ইরা রিক্সা থেকে নেমেই দেখছে দূরে আবির দাড়িয়ে আছে,লজ্জায় ইরা নিচের দিকে তাকিয়েই হাঁটছে,আবির দূর থেকেই ইরাকে দেখে যাচ্ছে, ইরা বুঝছে আবির ওকেই দেখছে শুধু।
মেয়েদের খুব অদ্ভুত ক্ষমতা আছে,দূর থেকেও যদি কেউ তাকে দেখে সে বুঝতে পারে,
আবির:- সুন্দর লাগছে অনেক, ইরার অনেক পরিবর্তন হয়েছে,স্কুল পেরিয়ে কলেজে উঠেছে,মায়াবিনী থেকে মায়াবতী হয়েছে,সুন্দর থেকে অসাধারন হয়েছে যা আবির কে মুগ্ধ করছে।
ইরা কিছুই বলতে পারছেনা,খুব লজ্জা এক বছর পর দেখা,আজ ছাত্রী হিসেবে নয়,প্রেমিকা হিসেবে।নিজের মধ্যেই কেমন কেমন লাগছে।
আবির:- কথা বলবেনা?দেখ আজ আমরা দুজন ই সাদা পরেছি,মিললো কি করে!আমি কিন্তু তোমার পছন্দের কালার ই পরছি।
ইরা:- আপনার পছন্দের কালার তো বললেন ই না।
আবির:- তুমি যে কালার পরবে তাই পছন্দ আমার,আর এখন ও আপনি?তুমি বলতেও কি এক যুগ পার করে দিবে?
ইরা হাসছে,,,ফোন এ তো বলি,,
নদীর পারে বসলো দুজন,কৃষ্ণচূরা,নদীতে সূর্য নিজেকে সপে দিয়ে আলিঙ্গন করছে।বাতাস আর বাতাসে ইরার চুলে ঝাপটা লাগছে আবির এর গায়ে,ইরা বার বার চুল সরিয়ে নিচ্ছে,আবির এর মন্দ লাগছেনা।ইরা আবির এর জন্য রান্না করে নিয়ে এসেছে,আর আবির অন্যান্য প্রেমিক এর মতন একগুচ্ছ ফুল আনেনি,এনেছিল দুটি পুতুল,আর একটি বই,বই হাতে নেয়েই ইরা বলেছিল,এখানেও পড়া?
আবির:- দেখো ইরা,আমি হাত এ ব্যাথা পেয়েছি,আবির আবার ও হাত ছুঁয়ে দেবার বাহানা খুঁজছে, ইরা লজ্জায় হাত ছুতে পারলো না।
আবির পুতুল দিয়ে বলেছিল,ইরা এ দুটি পুতুলের নাম আমাদের সন্তানের নামে থাকবে,তাদের আমরা এই পুতুল উপহার দিব।ইরা খুশি হয় নাম দিয়েছিল,আনাফ,আনিসা।আবির তখন বলেছিল,আনাফ এক মাস তোমার কাছে থাকবে আর সে মাস আনিসা আমার কাছে,পরের বার আবার পরিবর্তন করে নিব।ইরার বিয়ের দিন সেই আনাফ পুতুল কে রেখে এসেছে তার আলমারি তে যত্ন করে, বাবার বাড়ি গেলেই ওটা নামিয়ে দেখে।সে চায়নি অতীত বয়ে বেড়াতে, খুব মায়া ছিল সম্পর্কের সাথে ওই বাচ্চা নামক পুতুল এ।কেমন যেন ওই পুতুল এর মা ভাবতো ইরা নিজেকে।আনিসা কে কি আবির যত্ন করে এখন ও? আগে কথার টপিক ই থাকতো, আনিসা আনাফ নিয়ে,হয়তো আজ আবির ইরার মতন আনিসাকেও ছুড়ে ফেলেছে।আনিসাকে মনে করে রোজ হয়তো দেখেইনা,আর পাঁচটা খেলনার মতন অযত্নে ফেলে দিয়েছে ময়লার ঝুড়িতে।হয়তো ধুলোয় চাপা পরেছে।
আতিক:- ইরা এখানে বসে কাদঁছো কেন?কি হয়েছে বলো?
ইরা:- কিছুনা,আমার ছোটবেলায় ও এমন পুতুল ছিল।তাই কান্না আসছে।
আতিক:- তাই বলো,যাও খাবার দেও ক্ষুধা লাগছে।
মেয়েরা এভাবেই হাজার টা কারনে কান্না চাপাতে না পারলেও,কান্নার কারন গুলি ঢাকতে হাজার টা কারন দিতে পারে।

আনাফ ৪বছর এ পরলো,ওকে ভর্তী করালো স্কুল এ।ইরাই নিয়ে যায় আনাফ কে স্কুল এ।কিছুদিন আগে নতুন প্রিন্সিপ্যাল এসেছে।আনাফ মাঝে মাঝেই ইরাকে বলে,মা নতুন স্যার কি ছোট মাছ খায়নি,তাই তো তার চশমা পরতে হয়।আনাফ কে স্কুল দিয়ে নিয়ে আসার পথে দূর থেকে চেনা মুখ দেখে পা থমকে যায় ইরার।সেই চেনা চশমা,নীল ফ্রেম এর চশমা পরা লোকের প্রতি দূর্বলতা ছিল ইরার খুব,মাঝে মাঝে শিয়াল পন্ডিত বলেও খেপাত আবির কে,আজ সেই মানুষ সামনে,চোখ কে বিশ্বাস করাতে পারছেনা,৬ বছর আগে নতুন বাইকে ইরাকে ঘুরানোর জন্য অনেক আবদার করেছিল,নতুন বাইক চালাতে যদি না পারে সেই ভয়ে ইরা ওঠতে রাজি হচ্ছিল না,বলেছিল আবির বাইক নিয়ে হাসপাতের আশেপাশেই ঘুরবা,বেশি দূর যাবা না।এক্সিডেন্ট হলে সাথে সাথে হাসপাতাল,
আবির:- এখন কি হাতে হাত রাখা যাবে?
ইরা:- হাসি দিতে হাত ধরে বাইক এ বসলো। কিছু অনুভুতি একবার ই হয়,আর তা প্রকাশ হয়তো যুগ যুগ ধরেও করা যায়না।
সেই তারা শেষ একসাথে ছিল।ইরাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আবির বলেছিল,আনাফ কে এক মাস পর এসে নিয়ে যাব,
ইরা:- আচ্ছা, আনিসা কে যত্ন করে রেখ।সেদিন বাইক এ করে আবির চলে যায়, ইরা আবির এর অস্পষ্ট হওয়া অব্ধি দাড়িয়ে ছিল।বাইকের ধোঁয়ার সাথে সাথে ইরাকেও পিছনে ফেলে রেখে যায়, কেই বা জানতো ওটা তাদের একসাথে হাটার শেষ দিন,কেউ ই জানতো না,তাদের পথ আলাদা হয়ে যাবে সেদিন ই,তারা বুঝতেও পারেনি,আর কখনও হাতে হাত রেখে উষ্ণতা নেয়া হবেনা,এখন থেকে দু জোড়া হাত শিতল হবে প্রায় ই।এখন থেকে অনেক মাস ই তাদের জীবন এ আসবে তবে আনাফ আর আনিসাকে অদল বদল করার সেই মাস টি আর আসবেনা।
সম্পর্ক টা যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হয়েছিল,ভেঙেও যায় আচমকাই। ৩বছর এর সম্পর্ক ভাঙে খুব অল্প সময়েই।৬বছর আগে ইরার বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল,ইরা আবির কে বলেছিল বিয়ে করতে,আবির বেকার তখন,চাইলেই সে কারো দায়িত্ব নিতে পারেনা,আর ইরার মা বাবা ও রাজি হতেন না।ইরা বলেছিল পালিয়ে যাবে, আবির অনেক বুঝিয়েছে,কই যাব, তুমি খুব ছোট তাই বাস্তব বোঝনা।আমি বেকার,কি খাব আমরা!কই থাকবো! তোমায় বিয়ে করা এই মুহূর্তে ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া হবে,সেই কথায় ইরার মন পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল,ইরা ভুল বুঝেছিল,ইরা ভেবেছে আবির তাকে ভালোইবাসেনি,মুভি তে নায়করা কত কষ্ট করে ও,নাইকাকে ছারেনা কিন্তু আবির সামান্য কারন এ তাকে ভুলবে কি করে!ইরার মন তখন ও অতো পরিপক্ব ছিল না,বাস্তব কেও মুভি মনে করতো। বয়সটা শুধুই ভালোবাসায় ঘেরা ছিল,ভালোবাসায় তখন সে শুধু অন্ধই ছিল না,বোবা, কালাও ছিল।আবির ইরার সুখের কথা ভেবে তার সুখ বিসর্জন দেয়,সে ভয় পাচ্ছিল দায়িত্ব নিতে।যদি ইরাকে পেয়েও হারিয়ে ফেলে,যদি ইরা তাচ্ছিল্য করে, ইরার তাচ্ছিল্য নিয়ে বাচতে পারবেনা আবির,তার চেয়ে না পাওয়াই থাক।দূরে থাকুক ভালো থাকুক।আবির তখন চরম বাস্তবতায় দাড়িয়ে,বাস্তব যখন সক্রিয় আবেগ তখন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাতরাতে থাকে। ইরার কাছে তার দূর্বলতা ধরা দেয়নি আবির,বলেছিল ইরা সব প্রেম সফল হয়না,তুমি বিয়ে করে নেও,নতুন সংসার তোমাকে আমায় ভুলিয়ে দিবে।ইরা ভেবে নিয়েছিল,হয়তো আবির আমায় চায়না,তাই এমন কথা বলে সরিয়ে নিচ্ছে।ইরা রাগে, অভিমানে বিয়ে করে নিয়েছিল।প্রায় ৬ বছর পর আজ দেখা,ইরা দাড়িয়ে আছে আবিরের দিকে তাকিয়ে,নীল চশমার ফ্রেম আজ ও পরে,তবে চশমার ভক্ত টা হয়তো পালটেছে। আর আবির ইরার দিকে আজ আর তাকাতে পারছেনা।ইরার এখন আর আবিরের চোখে চোখ রাখতে সংকোচ হয়না।
আবির:- ভালো আছো ইরা?
ইরা:- হুম,ইরা জিজ্ঞেস করলোনা আবির কে কেমন আছে সে?চাপা ক্ষোভ এখন ও জমে আছে।
আবির:- এই কি তোমার বাচ্চা!নাম কি ওর?
ইরা:- অনেক্ষন চুপ করে,বললো আনাফ,কেন যেন অনেকদিন ধরে পুষে রাখা চাপা দীর্ঘনিঃশাস অনেক কষ্টেও নিজের মধ্যে সামলে রাখতে পারলো না ইরা।
আবির বাচ্চাকে কোলে নিল।How r u Anaf?
আনাফ:- I'm fine...
আবির:- ইরা,আনাফ কিন্তু তোমার মতন হয়নি,ও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে।
ইরা:- ও ওর বাবার মতন হয়েছে।আপনি এখানে?
আবির:- আমি এই স্কুলেই আছি।
আনাফ:- আম্মু ইনি ই তো আমাদের প্রিন্সিপ্যাল।
ইরা:- ওহ!
আবির:- তোমরা এখানেই থাক?আমি এই এলাকাই ঘুরে দেখার সুযোগ পাইনি?
ইরা:-একদিন বউ কে নিয়ে বের হবেন,ভালো লাগবে।
আবির:- বউ,হা হা হা
ইরা:- হাসার কি হল?
আবির:- বিয়ে করা হয়নি ব্যস্ততায়,আর আমি আমার বাচ্চাকে সৎ মা দিতে চাইনি.
ইরা:- মানে?
আবির তার পকেট থেকে পুতুল বের করে বলতেছে,আনিসা কে নতুন মা এনে দিলে আনিসাকে যত্ন নিত না।
ইরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,আর দু চোখ দিয়ে পানি ঝরছে।সে এখন বুঝে মুভির মিলন তো ৩ ঘণ্টার।বাস্তবে মিলন না হলেও ভালোবাসা ধরে রাখা যায়।
আবির:- বাচ্চাদের সামনে কাঁদতে নেই।
আনাফ:- আমি এই পুতুল নিব।
ইরা:- আনাফ এটা নিও না,এটা খেলনা পুতুল নয়,
আনাফ:- কই এটা তো খেলনা।
ইরা মনে মনে ভাবছে,পুতুল ও হয়তো কাঁদতে পারলে কাঁদত, আমায় ধিক্কার দিচ্ছে,আমায় ঘৃনা করছে।আমি চাইলে কয়েকটা বছর অপেক্ষা করতেই পারতাম।নিজেকে ক্ষমা করতে পারছেনা ইরা।
আবির:- বাবা আমি তোমায় আর একটা কিনে দিব কেমন?আমার এটাই সম্বল।
ইরা:- বিয়ে করে পুতুল কে জীবন দিন এটাই চাই।
আবির:- যে ভুল ৬বছর আগে করেছিলাম,যার  দায়িত্ব না নিয়ে তাকে বঞ্চিত করেছিলাম সেই প্রাপ্য কি করে অন্যকে দেই?তার চেয়ে মালিকানাধীন না থাকাই ভালো। আমি অনেক ব্যস্ত রাখি নিজেকে,তবুও যখন একটু ফ্রি হই অপরাধ আমায় শেষ করে ফেলে।নিজেকে খুনি মনে হয়,মন খুন করেছি,নিজের সুখ নিংড়ে ফেলেছি আমি।কাউকে দেয়ার মতন কিছু নেই।
আতিক ইরাকে ডাকছে,
ইরা:- আমার যেতে হবে।
আবির:- চলেতো কবেই গেছ,আজ অনুমতি দেয়ার মতন আমি কেউ নই।
ইরা আনাফ কে নিয়ে চলে গেল,আবির আজ দাড়িয়ে আছে রাস্তায়, ইরার আবছা হতে না হতেই,গ্লাস টা ঝাপ্সা হয়ে গেল,এভাবে ছেলেদের কান্না লুকানো থাকে,কখনো কথার আড়ালে,কখনো গ্লাস এর আড়ালে,শুধু এ চশমাই হিসাব রাখে এ কান্নার,চশমা পরিষ্কার করার বাহানায় চোখের পানি মুছতে ছেলেদের চেয়ে কেউ ভালো পারেনা।দুজন এর রাস্তা বহু আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছিল।দু জন ই ভেবেছিল ব্যস্ততা দিয়ে ভুলে থাকবে সব।কিছু কিছু অতীত মনে করে দিতে এক দমকা বাতাস,বা এক শিতের থমথমে রাত বা এক ফাল্গুনের বিকেল, কিংবা টকটকে কৃষ্ণচূড়াই যথেষ্ট।দুজন ই বর্তমান কে নিয়ে থাকবে মাঝে মাঝে অতীত আসবে এক থমথমে পূর্নিমা রাত হয়ে, দুজন কেই নির্ঘুম রাখবে।দু প্রান্তের দু জোড়া চোখ ফেল ফেল করে চাঁদ এর দিকে তাকিয়ে চাঁদের আলোয় অতীত এর পৃষ্ঠা উল্টাবে।দু প্রান্তের দুটি ভেজা বালিশ সাক্ষি হবে প্রায় ইই।আশেপাশের সব যখন ব্যাস্ত থাকবে,ওই দুটি মানুষ এর অলস বিকেল গুলি খুব খারাপ ই যাবে,সম্পর্কটা অপরাধ দিয়ে শুরু হয়েছিল,শেষ ও হয়েছিল অপরাধ দিয়ে।শুধু দুজনই আমৃত্যু এক চাপা অস্তিত্বহীন অপরাধবোধ বয়ে বেড়াবে।
কিছু জীবনহীন পুতুল এর ভূমিকাও মাঝে মাঝে অনেক বেশি হয়ে যায়, আর রক্ত মাংসের মানুষেরও বেঁচে থাকা হয়ে যায় কখনো কখনো, খেলনা,অনুভুতিহীন পুতুল এর মতন।
নিপার লেখাগুচ্ছ

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ