āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3930

পদ্মরাগ এক্সপ্রেস
লেখা: মিশু মনি
.
খুসখুস কাশ,টানা কাশ
কাশতে কাশতে মেট্রিক পাশ,
শুকনা কাশ,ঠনঠনে কাশ
কাশতে কাশতে মেট্রিক পাশ..
এক ডোজ খাবেন, আরাম পাবেন..
এক ডোজ মাত্র দশ টাকা, দশ টাকা, দশ টাকা..
হকারের এমন ডায়ালগ শুনে আমি হো হো করে হেসে উঠলাম। আমার হাসির শব্দে কামড়ার সকল যাত্রী অবাক হয়ে তাকাল আমার দিকে।সকলে বুঝতে পেরেছে আমি হকারের কথা শুনেই হাসছি।আমার হাসি দেখে কয়েকজন যাত্রী ও হেসে উঠল। একে একে সবারই মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠছে। এরপর দেখা গেল আমাদের কামড়ার সকল যাত্রী ই হো হো করে হাসছেন! ট্রেনের ঝকঝক শব্দের মাঝেও হাসির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠল কামড়া টি।
আমি হাসি থামিয়ে উপভোগ করতে লাগলাম সকলের হাসি।আব্বু ঠিক ই বলেছিল তো!  অন্যরকম কিছু উপভোগ করতে চাইলে লোকাল ট্রেন এ ভ্রমণ করা উচিৎ। তাইতো এবার যশোর যাওয়ার সুযোগ পেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম লোকাল ট্রেনেই যাবো।
কিছুক্ষণ আগে ট্রেন এ উঠে খুব বিরক্ত বোধ করছিলাম।এর আগে কখনো লোকাল ট্রেন এ ভ্রমণ করা হয়নি।আজ ই প্রথম। তাই প্রথম টায় খুব বিরক্তিকর লাগছিল।প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে ট্রেন এ উঠার পর গাদাগাদি করে বসতে হয়েছে।ভীষণ গরমে আলু সেদ্ধ হওয়ার মত অবস্থা।জানালার পাশে সিট তো পাই ই নি,উলটা এক সিটে তিনজন মানুষ বসতে হয়েছে।হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে মেজাজ তিক্ত হয়ে উঠছিল।
কিন্তু কিচ্ছুক্ষণ পরই ট্রেন এর পরিবেশের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলাম। তারপর থেকে বেশ আনন্দই পাচ্ছি।
নানান শ্রেনির মানুষ উঠেছে ট্রেন এ।একটা ছোট বাচ্চা অনেকক্ষন থেকে কান্না করছে।লোকজন চেঁচামেচি করছে,স্টেশন এ ট্রেন থামলে নতুন যাত্রী উঠছে আর শুরু হয়ে যাচ্ছে আসন নিয়ে ঝগড়া। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করছি!
.
হকার তিক আবারো বলতে শুরু করলো ,
খুশখুস কাশ,টানা কাশ
কাশতে কাশতে মেট্রিক পাশ..
আমি হেসে বললাম,আংকেল কাশতে কাশতে কেউ মেট্রিক পাশ করে? আমি তো সারারাত পড়ে মেট্রিক পরীক্ষা দিছি।আগে জানলে কাশি নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতাম।
হকার হেসে বলল,আমি ওষুধ বেচি আপা।মানুষ যাতে কাশের বড়ি কেনে,সে জন্যই এইগুলা বলি।
- এক পাতা কাশের বড়ি দিন তো।
আমার ছোট বোন মিতু বলল,আপু তুই কাশের বড়ি খাবি?
- হ্যা খাবো।তুই তো মেট্রিক পরীক্ষা দিবি মিতু।তুই খা,পাশ করে যাবি।
- হুহ,তুলসী সিরাপ খেয়েই কোচিং এর ক্লাস টেস্ট এ পাশ করতে পারি নাই।আর কাশের বড়ি খেয়ে পাশ করবো?
আমি হেসে জবাব দিলাম,এক ডোজ খাবেন, আরাম পাবেন।
আমার কথা শুনে কেউ কেউ হেসে উঠল।
কয়েকজন আমাকে কিনতে দেখে আগ্রহী হয়ে মেট্রিক পাশ করা কাশের বড়ি কিনে নিলো।
কাশের বড়ি মুখে দিয়ে বুঝতে পারলাম এ বড় মজাদার লজেন্স।
হকারের অনেক বিক্রি হওয়ায় হাসি মুখে পরের স্টেশন এ নেমে গেলো।
.
দু একজন যাত্রী খবরের কাগজ পড়ছেন। কেউ কেউ ট্রেন এর ভিতরেই সিগারেট এর ধোয়া উরাচ্ছেন।আমি ট্রেন এর দেয়ালে তাকালাম, দেখার জন্য যে কোথাও "ধুমপান নিষেধ " কথা টি লিখা আছে কিনা।কিন্তু লেখাটি কোথাও খুঁজে পেলাম না।বরং কিছু হারবাল বিজ্ঞাপন দেখতে পেলাম।
কেউ হারিয়ে গিয়েছে,ডাক্তার অমুক এই রোগের চিকিৎসা করেন এই ধরনের নানান পোস্টার।
গরমে অবস্থা খারাপ, তবুও আশেপাশে তাকাচ্ছি।
এবার উঠেছে দু তিন জন ভিক্ষুক। এত ভিক্ষুক আছে এদেশে সেটা ট্রেন এ উঠে বুঝতে পারলাম।
একজন আবার ট্রেনের মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে ভিক্ষা করছে।
পরের স্টেশন এ ট্রেন দাড়াতেই জানালার পাশের ব্যক্তি টি নেমে গেল।আমি জানালার কাছে সরে আসলাম।
মিতু বলল,আপু আমি কি জানালার কাছে বসবো না?
- সাম্নের সিট ফাকা হলে বসিস।
এ কথা বলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এখানে ক্রসিং হবে।তারমানে ট্রেন অনেক্ষন দাড়াবে।এমনিতেই গরমে অবস্থা খারাপ, এবার আরও খারাপ হবে।
জানালা দিয়ে মাথা বের করে বাইরে তাকিয়ে রইলাম।বেশ আগ্রহ নিয়ে গাইবান্ধা নামক এই স্টেশন টা দেখছিলাম। আমার দর্শনে ব্যাঘাত ঘটল। কেউ একজন এসে পাশের সিট এ বসেছে।বসেই নানান কথা বলছে আর মাথার উপরে ব্যাগ রাখছে।
আমি মাথা ঘুরে সেই যাত্রীর দিকে তাকালাম।সুনদর্শন যুবক বলতে হবে! দেখতে মাশাল্লা ভালোই,নাক টা অতিরিক্ত লম্বা।যদিও লম্বা নাকের মেয়েদের কিউট লাগে দেখতে কিন্তু এই বেচারাকে কিউট লাগছে না।তবে সবমিলিয়ে handsome বলা যায়।কালো টিশার্ট এ দারুণ দেখাচ্ছে।
আমি মাথা ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম। ছেলেদের দিকে তাকালেই তারা ভাব নিবে।কাজেই আর তাকানো ঠিক হবে না।
.
এমন সময় একজন হকার চেচাতে চেঁচাতে আসল,এ বাদাম বাদাম।এ বাদাম..
মিতু বলল,আপু বাদাম নিই?
- আচ্ছা নে।
বাদাম কিনে দুবোনে খোসা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে খাচ্ছি।পাশে বসা কালো টি শার্ট পড়া ছেলেটি বলল,একা একা খাওয়া ঠিক না।
আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম,কে বলেছে?
- আমার বাবা বলেছে।
- তাহলে কি সব যাত্রী কে একটা একটা করে বাদাম দিবো? 
- সেটা তো বলি নাই।আমি তো পাশে আছি,আমাকে দিন খাইতে।
আমি হেসে বাদামের ঠোংগা এগিয়ে দিয়ে বললাম,নিন।
- সবগুলাই নিবো?
- হা হা,মন চাইলে নিন।
আমি বুঝতে পারলাম, ছেলেটি রসিক আছে।পোশাক বেশ পরিপাটি!
ছেলেটি বাদাম মুখে দিয়ে বলল,আমি ও কিনতাম বুঝলেন। ভাবলাম আপনারা যখন কিনলেন, আমার আর কেনার দরকার কি? আপনি তো দিবেন ই খেতে।
- আমি যদি না দিতাম?
- না দিলে নিজে কিনতাম।কিন্তু আপনাকে দেখেই বুঝা যায়, আমি ভালো মানুষ টাইপের মেয়ে।কাউকে অনাহারে রেখে খেতেই পারবেন না।
- আপনি অনাহারে আছেন?
- জ্বি না।আমি অনাবাদামে ছিলাম।
- অনাবাদাম? হা হা হা।
মিতু হেসে বলল,আপনি তো খুব পাজি লোক মশাই।
- আজ্ঞে হা।আজকাল ভদ্র ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করে না তো।
- কিভাবে বুঝলেন?
- অভিজ্ঞতা আছে তো। যখন ভদ্র ছিলাম,কেউ ক্রাশ খাইত না।এখন  সারাক্ষণ বাঁদরামি করি,মেয়েরাও ক্রাশ খেয়ে পড়ে হাত পা ভেঙে ফেলে।
আমি ও মিতু হেসে উঠলাম।
ছেলেটি আমাকে বলল,আপনারা যাবেন কোথায়?
আমি বললাম,যশোর। আর আপনি?
- বগুড়া। তা যশোর যাবেন তাহলে ইন্টারসিটি ট্রেন এ যেতেন।লোকালে কেন? অনেক কষ্টকর আর সময় ও বেশি লাগবে।
- জার্নি উপভোগ করার জন্য লোকালে উঠেছি। এই পদ্মরাগ এক্সপ্রেসে প্রথমবার উঠেছি।
ছেলেটি হেসে বলল,আমি কিন্তু ইন্টারসিটি তেই যেতাম।আপনার জন্য এই ট্রেন এ উঠলাম।
আমি অবাক হয়ে বললাম,আমার জন্য মানে!
- ট্রেন এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।ক্রসিং হবে,আমার ট্রেন চলে আসবে এখুনি।টিকিট ও কেটেছি।কিন্তু ওই যে,বয়স টা তারুণ্যের।এই বয়সে যা হয়,তাই হলো।
- কি হলো?
- ট্রেনের জানালায় বনলতা সেনের মুখ দেখলাম।তাই এই পদ্মরাগ এক্সপ্রেসেই উঠে পড়লাম।
আমি অবাক হয়ে বললাম,বনলতা সেন! কে আপনার সেই বনলতা সেন?
- আপনার নাম যেন কি?
- জ্বি,আমার নাম মিশু।
- আমার বনলতার নাম হচ্ছে মিশু।
আমি লজ্জা পেলেও হাসি থামাতে পারলাম না।
মিতু বলল,আপনি তো ভারি অদ্ভুত মানুষ!
- হ্যা।ওই যে বললাম আজকাল ভদ্র ছেলের উপ্রে কেউ ক্রাশ খায়না।
আমি হাসি থামিয়ে বললাম,বেশি কথা বলা লোক গুলা নিজেকে ওভার স্মার্ট মনে করে।
- এটা ভুল কথা মিশু।
আমি কিছু না বলে বাইরে তাকালাম। অপরদিকের ট্রেন চলে এসেছে।
ওনাকে বললাম,আপনার ট্রেন চলে এসেছে।যান গিয়ে উঠুন।
- আরেকবার বলুন প্লিজ।
- যান গিয়ে উঠুন।
- শুনতে পাইনি।আরেকবার বলুন প্লিজ।
- যান গিয়ে আপনার ট্রেন এ উঠুন। লোকালে যেতে হবেনা।আর তাছাড়া টিকিট ও কেটে ফেলেছেন।
- আহা! আপনি আমাকে জান বললেন! 
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম,আপনাকে ট্রেন এ উঠার জন্য যেতে বলেছি।জান বলিনি।
- উচ্চারণ তো একই।
আমি হাসলাম।ভারি দুষ্টু তো ছেলেটা!
কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের ট্রেন ছেড়ে দিলো।
আমি মুচকি মুচকি হাসছি।
ট্রেন ধীরে ধীরে চলছে।
ছেলেটি বলল,আপনারা দুই বোন?
মিতু উত্তর দিলো, হ্যা।
- তোমার নাম কি?
- মিতু।
- মিশুর বোন মিতু! বেশ ভালো।
- আপনার নাম কি?
- আমার নাম জিতু।
- আমার নাম মিতু বলে আপনার নাম জিতু হয়ে গেলো?
- সত্যিই আমার নাম জিতু।
আমি হেসে বললাম,আপনি কথা কম বলুন তো ভাইয়া।
- ভাইয়া! ওহ নো।কিসের ভাইয়া?
- আপনি ভাইয়া,
- আমার ছোট বোন আছে ম্যাডাম।একটা প্রশ্ন করবো?
- হ্যা বলুন।
- আপনার কি মাথা ন্যাড়া?
- কিহ! ন্যাড়া হবে কেন?
- এভাবে বেধেছেন এই গরমে।
- আরে এটা হিজাব বেধেছি,ন্যাড়া মাথা নয়।
- ওহ আচ্ছা।আপনার চুল কতবড়?
- কেন?
- বারে,আপনি আমার বনলতা।বাসায় ফিরে আম্মুর কাছে আপনার গল্প করতে হবে না? যার জন্য ইন্টারসিটির টিকিট কাটার পর ও কষ্ট করে লোকাল ট্রেন এ যাচ্ছি।তার গল্প তো করবো ই।আপনার চুল কত লম্বা সেটা তো আম্মুকে বলতে হবে।
- উফফ আপনি থামুন তো।আমি বিরক্ত হচ্ছি।
- সেটা ভালো। বিরক্ত হতে হতে ভালো লাগা হয়ে যাবে।
আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে হাসলাম।এখন বেশ ভালো লাগছে,জানালা দিয়ে মিষ্টি বাতাস আসছে।
যাত্রীরা কেউ গল্পে মশগুল,কেউ বা মোবাইল এর স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে,কেউ বাদাম খাচ্ছে।
জিতু আমাকে বলল,আমি ছবি দেখেছিলাম, চেন্নাই এক্সপ্রেস। আমাদের কাহিনি টা নিয়ে সিনেমা হলে নাম হবে "পদ্মরাগ এক্সপ্রেস"
আমি হেসে বললাম,যত্তসব উদ্ভট কথা বার্তা।
- আহা! আপনার গলার স্বর খুব সুইট।
আমি আর কিছু বললাম না।ট্রেন ছুটে চলেছে।
এখন আর বিরক্ত লাগছে না।বরং ভ্রমণ বেশ উপভোগ করছি!
.
জিতু বলল,এটা কোন স্টেশন?
- বোনারপাড়া।
- আহা রে! বগুরায় তো আমি নেমে যাবো। আর মাত্র কিছু সময়।এর মধ্যে কি আপনাকে পটাতে পারবো?
আমি জিতুর দিকে তাকিয়ে বললাম,কি হচ্ছে এসব?
- তোমার নামে লিইখা দিমু মনেরি গ্যারেজ, তোমার লগে হইবো রে আমার লাভ ম্যারেজ...
আমি ও মিতু হেসে উঠলাম।
এমন সময় দুজন অন্ধ ভিক্ষুক এসে টাকা চাইলো। আমি দশ টাকার নোট বের করে দিলাম।
জিতু ও কিছু টাকা দিয়ে বলল,ভাই তোমরা দুয়া কইরো। প্রেম টা যেন হইয়াই যায়।
আমি আবারো হেসে উঠলাম।
ভিক্ষুক রা টাকা নিয়ে চলে গেলো।
জিতু বলল,আপনি কিসে পড়েন মিশু?
আমি বললাম,আর কোনো উত্তর দিতে পারবো না।দয়া করে চুপ করে থাকুন।
- চেন নাই আই আই আই আই চেন্নাই এক্সপ্রেস।
আমি রেগে বললাম,কি হলো এটা?
- বিরক্ত করছি আপনাকে।যত বিরক্তি,তত ক্রাশ।
- হুহ,থামুন তো। আর কথা নয়।
জিতু থামা তো দূরের কথা আমাকে ক্ষেপাতে বলল,
স্ট্যাটাস আমার সিংগেল দেখে প্রেমের ছড়াছড়ি..
হায়রে কি যে করি, হায় রে কি যে করি...
আমি ভয়ানক রেগে তাকালাম।
জিতু আবারো বলল,
তোকে দেখে হয়েছে মনে প্রেমের হাতেখরি...
আমি আর কিছু বললাম না।কিছু বলে লাভ নেই।
আমি চুপচাপ ভ্রমণ উপভোগ করতে লাগলাম।
হেডফোন বের করে কানে লাগিয়ে জোরে সাউন্ড দিয়ে গান ছেড়ে দিলাম।আর কিছু শুনতে পারবো না।
চুপচাপ বাইরে তাকিয়ে গান শুনছি।খুব ধীরে ধীরে ট্রেন চলেছে।যাত্রীর সংখ্যা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে।বিচিত্র সব জিনিসের সমাগম লোকাল ট্রেন এ।
প্রায় আধ ঘণ্টা পর হেডফোন খুলতেই জিতু বলল,টয়লেট যাবেন?
- মানে কি?
- হেডফোন খুললেন তাই ভাবলাম আরকি।
- এটা কেমন ভাবনা? আশ্চর্য!
- হ্যা।ভুলেও লোকাল ট্রেন এর টয়লেট এ যাবেন না।খুব ভয়ংকর। যাবেন তো অনেক দূর।বলে রাখলাম।
- আমরা শান্তাহার জংশনে গিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন এ উঠবো।
- ওহ আচ্ছা।আপনাদের যাত্রা শুভ হোক,সুন্দর হোক।
- ধন্যবাদ।
- আমি সাম্নের স্টেশন এই নেমে যাবো। আপনাকে পটাতে পেরেছি বলে তো মনে হয়না।
- পটাতে পারেননি।
- তাহলে আমি ট্রেন থেকে নামবো না।আপনাদের সাথেই যাবো।
- কি মুশকিল! 
- হ্যা মুশকিল হয়ে হবে।আমি নেমে যাবো একটু পর।দয়া করে যদি যোগাযোগ রাখার মত কিছু একটা উপায় বলতেন।তাহলে ইনশাল্লাহ পটিয়ে ফেলবো কয়েকদিনেই।
- আপনি নেমে যান।আমি কোনো যোগাযোগ রাখতে পারবো না।
- আরে কি বলেন! এতকিছু করলাম আপনার জন্য? তবুও না?
- শুনুন,আপনি আমার জন্য কিছুই করেননি। করেছেন নিজের জন্য।যাই হোক,একটা কথা বলি।আমি একজন গৃহী সন্ন্যাসী টাইপের মেয়ে।সন্ন্যাস নই,কিন্তু এসব এ আমার রুচি নেই।কখনো কারও সাথে সম্পর্কে যেতে পারবো না।রিলেশনের ব্যাপারে আমার এলার্জি আছে।আমি আমার মত চলি,নিজের মত লাইফ টা কে ইনজয় করি।এসব প্রেম টেম আমার জন্য নয়।আমি কিছুই করতে পারবো না।কষ্ট পেয়ে থাকলে সরি।
জিতু অনেক্ষন হা করে তাকিয়ে রইলি।এর পরেও কিছু বলার মত হয়ত খুঁজে পাচ্ছে না।
ট্রেন বগুড়া স্টেশন এ এসে দাড়ালো।কোনো কথা না বলে জিতু নেমে পড়ল।
.
আবারো ট্রেন ছুটে চলেছে।আমি ভ্রমণ উপভোগ করছি।ছোট জীবন টা তো প্রেম না করেও নিজের মত উপভোগ করে কাটিয়ে দেয়া যায়।তবে আজকের এই "পদ্মরাগ এক্সপ্রেস" ভ্রমণের অভিজ্ঞতা টা অন্যের নিকট গল্প করার জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ