āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3889

গল্প: বন্ধন।
লেখা: Umme Nipa

আজকাল ডায়রী লিখতেও হাত কেঁপে যায়।
তবুও না লিখে পারিনা।এ অভ্যাস আজ নতুন নয়।আনুমানিক
৪৫-৫০বছর আগের।না লিখলে দম বন্ধ লাগে।
হাবিব এর সাথে দেখা হবার দিন থেকে লেখি।
প্রতি বছর ই আমার বয়সের সাথে ডায়রীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
আর জীবনের মতন পুরোনো হয়ে যায় পৃষ্ঠাগুলি..

মাঝে মাঝে পুরোনো সব ডায়রীগুলি নামিয়ে পড়ি।
চশমার ফ্রেমেও অক্ষর গুলি খুব ঝাপ্সা লাগে কিন্তু
প্রতিটা লাইন পড়লেই স্মৃতি গুলি সব সচ্ছ স্পষ্ট আমার
চোখের সামনে দেখতে পাই।

১৯৭৬ সালের ডায়রিটি নামালাম,...
মলাট গুলি তেলাপকা খেয়ে ফেলেছে..আর ভিতরের
লেখা এক অক্ষরের সাথে আরেক অক্ষর লেপ্টে আছে।
তেলাপকারা বাসা বেঁধেছে প্রতিটি পাতায়।
আমার শেষ সম্বল বলতে এই ডায়রীগুলি।
ডায়রি হাতে নিলেই আমার সকল স্মৃতি মনে পরে যায়,
কতবার যে রিভিশন দিয়েছি হিসাব নেই।

তখন আমি ভার্সিটিতে ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলাম।
তখনকার দিনে মেয়েরা কেবল ঘর থেকে বের হতে চেষ্টা
করতো, কিন্তু আমার পরিবার ও আমায় ঘরে আটকে
রাখেনি।
হাবিব আর আমার ভার্সিটি,ডিপার্টমেন্ট এক ই ছিল।
তবে ও ২ব্যাচ সিনিয়র।
আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ হাবিব কে চিনতো না,এমন
কেউ ছিলনা।ও খুব মেধাবী ছাত্র ছিল।প্রত্যেক শিক্ষকের ও খুব কাছের এবং প্রিয় ছিল।

আমি খারাপ ছিলাম না ছাত্রী হিসেবে,তবে তা হাবিব
এর কাছে কিছুই নয়।
প্রত্যেক ক্লাস এ শিক্ষকরা এসে বার বার হাবিব এর নাম
বলতো,ওকে অনুসরন করতে বলতো।
এক সময় ওর প্রতি বেশ হিংসা জমে গিয়েছিল।
বান্ধবীরাও হাবিব এর প্রতি দুর্বল ছিল।ও হেটে গেলে
আমরা পাশ থেকে হো হো করে হেসে দিতাম।
ও বদমেজাজি ছিলনা,কিছুই বলতো না,নিচু হয়ে হেঁটে
যেত।

বান্ধবীদের মাঝে ওকে নিয়ে প্রতিযোগীতা হতো।
যেদিন হাবিব এর জামার রঙ এর সাথে যে বান্ধবীর
জামার রঙ মিলে যাবে সে সবাইকে খাওয়াবে,নয়তো
হাবিব কে প্রপোজ করবে।এটাই শর্ত ছিল।খাওয়াতো
ঠিক ই,তবে কেউ প্রপোজ করার সাহস পেতনা।

আমার তখন হাবিব এর প্রতি ওমন দূর্বলতা ছিলনা,গোমরামুখো..শুধুই হিংসা করতাম ওকে।
কিছুদিন পর নবীনবরন অনুষ্ঠান ছিল।
তখন সবাই লাল পোষাক পরবে,ভাবলাম হাবিব ও লাল
পরবে তাই আমি সাদা শাড়ি পরে গেলাম।
আহ,কিছুক্ষন পর দেখি হাবিব মঞ্চে উপস্থাপক হিসেবে
এসেছে,সাদা পাঞ্জাবী পরে।
সবাই চেঁচিয়ে উঠলো,হাবিব কে দেখে নয়,আমাদের
পোষাক এর কালার মিলে গেছে তাই।
আগে বান্ধবীদের ভীতু বলতাম,এখন আমি প্রপোজ না
করলে ওরা আমায় পঁচাবে।
যাই হোক,প্রপোজ করে দিব,হাবিব রাজি হবেনা জানি।
আমিও ভীতু হবার হাত থেকে বাঁচবো...

কিছুক্ষন বাদ এ,হাবিব আমায় মঞ্চে ডাকলো আবৃতি
করার জন্য...
আবৃতি করছি কিন্তু মাথার মাঝে ঘুরছে হাবিব কে কখনপ্রপোজ করবো..

হাবিব একদম সামনের সিরিয়াল এর চেয়ার এ বসে আমার
আবৃতি শুনছিল,আমি না চাইতেই ওর দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল
বার বার..
হঠাৎ মুখ ফসকে বের হয়ে গেল, হাবিব ভাইয়া আই লাভ ইউ..

সব স্যার আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আসে..সবাই সে
কি জোরে হাতে তালি দিয়ে হাসি দিতেছে।লজ্জায় আমার
মাটির নিচে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে।

মঞ্চ থেকে হুরহুর করে নেমে গেলাম।
অডেটেরিয়াম এর ভিতরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে সে কি
কাঁন্না আমার।
বাঁচ্চাদের মতন লজ্জায় কাঁদছি।
কিছুক্ষন বাদেই দরজায় নক।
ভাবলাম বন্ধুরা,আমায় নিয়ে হাসবে,তাই আর দরজা
খুলছিনা।
পরে দেখি আমার নাম ধরে সল্প ভয়েস এ কেউ ডাকছে।
ভয়েসটা খুব অজানা...
দরজা খুলে দেখি হাবিব।
আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে কাঁদছি।কিছুটা ভয়েও কাঁদছি। কাঁন্নার
কারনে গলা দিয়ে সরি কথাও বের করতে পারছিনা।
হাবিব:- কাঁদছো কেন?
আমি শুধু মাথাই নাড়াচ্ছি।
হাবিব:- সেতারা..
আমি অবাক হয়ে হাবিব এর দিকে তাকালাম..
নাম টা আমার জানলো কিকরে!
হাবিব:- তুমি চশমা পরো কি এর জন্যই?
আমি:- কাঁন্না থামিয়ে,কিসের জন্য?
হাবিব:- এই যে তোমার চোখে পিসী নাই।
আমি ওর কথা শুনে হাত দিয়ে আমার চোখ ধরে দেখছি
আসলেই পিসী নাই কিনা।
এর মাঝেই ও হো হো করে হেসে দিল।
আমি লজ্জা পেয়ে আরো কেঁদে দিলাম।
হাবিব:- এভাবে আমার কথায় আস্থা রাখবে আজীবন?
আমি কথার মাথা মুন্ডু না বুঝে হা করে তাকিয়ে
ছিলাম...

___________>>

এভাবেই আমাদের জীবনের পথ চলা শুরু।পরে জানতে
পারলাম হাবিব আমায় অনেক আগ থেকেই পছন্দ করতো।
ক্যামপাস এর সবাই আমাদের বর-বউ বলে জানতো। হাবিব
আমায় পড়াতো ও।

এক সময় ভার্সিটি থেকে উভয়ের বাসার মানুষ ও জেনেগেল।

৪বছর সম্পর্কের পর আমাদের বিয়ে হলো।
বাসার সবাই হাবিব কে মেনে নিয়েছিল আর আমাকেও
ওদের বাসায়।
বিবাহিত জীবনে আমার মনে নেই,হাবিব এর সাথে আমার
কিছুসময় ও কথা কাটাকাটি হয়েছে।দুজন দুজনকে খুব
বুঝতাম।
বিয়ের ৩বছর এর মাথায় আমাদের প্রথম সন্তান ফায়াজআসলো।

তার ২বছর পরে জন্ম নিল আমাদের ছোট সন্তান সিয়াম।
বাকি সময় সন্তান দের মানুষ করায় কেটে গেল।কবে যে চুলে পাক ধরলো দুজনের,
কবে যে আমরা মা-বাবা থেকে দাদা-দাদি হয়ে গেলাম
টেরই পেলাম না।না পেলাম আয়নায় নিজের পরিবর্তন ধরতে,না পারলাম উভয়ের চোখে উভয়ের পরিবর্তন ধরতে।
তবে এখন হাবিব বেশি হাসলেও হাপিয়ে যায়, আর আমার,বেনীর গোছায় আর হাবিব এর ফুল লাগানো হয়না।বেনী আর হয়না যে চুল এ।

বড় ছেলের ফুটফুটে বাচ্চা,ইফানকে নিয়ে আমাদের বুড়ো
বুড়ির কেটে যেত বেশ।

সিয়াম আমেরিকাতে পড়তো,কয়েকবছর বাদেই বিয়ে
করে বউ নিয়ে হাজির।
সন্তান আমাদের,মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারিনি।

কিছুদিন পর ফায়াজ বললো,আমাদের দুজনকে ওর একার
পক্ষে রাখা সম্ভব নয়।হয় আমায় নয় ওর বাবাকে সিয়াম
নিয়ে যাবে।
কপাল তবুও ভালো, আমাদের সন্তান আমাদের বৃদ্ধাশ্রম এ
পাঠাতে চায়নি।আমি হাবিব কে বলেছিলাম,একসাথে
বৃদ্ধাশ্রম এ যাবার কথা,ও মান-সম্মান রাখার জন্য রাজি
হয় নি।
মাঝে মাঝে বাংলাদেশে এসে আমায় দেখে যাবে।
______> >

৭টি বছর....
হাবিব কে দেখিনা।ও যাবার পর আমি ডানা ভাঙা পাখি
হয়ে গিয়েছিলাম।
মাঝে মাঝে ওর ভয়েস শুনতে খুব ইচ্ছে হতো।
এক ভাই আরেক ভাইকে ভুলেও কল দিতনা।তাই আমাদের যোগাযোগ টাও মুশকিল হয়ে গিয়েছিল।
ছেলের আমার
পোষা কুকুরের মন এর খবর নেয়ার সময় হলেও আমার মনের
খবর নেয়ার সময় হতোনা।

১৫দিন অন্তন সবার আড়ালে গিয়ে হাবিব কে কল
দিতাম,ওপাশ থেকে এক দূর্বল কন্ঠের অনিচ্ছাকৃত হাসির
শব্দ শুনেই বুঝতাম,হাবিব ভালো নেই।ওর প্রতি রাগ হয় খুব মাঝে মাঝে,সারাজীবন ওর কথায় আস্থা রাখতে বলে,নিজেই আমায় রেখে চলে গেছে একা এতদূর।
হয়তো আমার মৃত্যুর আগে আর ওকে দেখা হবেনা।ভাবলেই দুনিয়া কেঁপে ওঠে আমার।

খুব অসুস্থ হয়ে ৩দিন যাবত হসপিটাল এ ভর্তি।
চোখ খুলতেও আর ইচ্ছে হয়না।খুললেই তো সেই সব ফাঁকা।

ফায়াজ ওর বাবাকে জানিয়েছে কিনা তাও জানিনা।
মানুষ টা আমি মরে গেলে আর নকল হাসি শোনানোর মতন
কাউকে পাবেনা।

হঠাৎ হসপিটাল এর কেবিন এর দরজায় হাত নিয়ে নককরছে।
হয়তো সেবিকা,এই ভেবে চোখ খুলছিনা।
কিছুক্ষন বাদেই সেতারা বলে ডাক দিল,
সেই একই ভাবে..অডেটেরিয়াম এর দরজায় যেভাবে নক
করে ডেকেছিল আমায় সেভাবে।
আমার বুকে মোচর দিয়ে উঠলো।
চোখ খুলে বললাম,কে?
দরজার পাশে আবছা আবছা দেখছি,হাবিব এর মতন
দাড়িয়ে আছে।
আমি:- হাবিব?
ও আস্তে আস্তে আমার পাশে এসে বললো,হুম আমি।
আমি হাউ মাউ করে কেঁদে দিলাম।
হাবিব:- কাঁদছো যে?
আমি ওর হাত শক্ত করে ধরে কাঁদছি।
হাবিব:- পিসী তো ঠিক ই আছে।চশমা ও পড়া নেই,কাঁদছো
কেন বুঝতে পেরেছি।
আমি:- কেন?
হাবিব:- আমার চুল দেখে হিংসা হচ্ছে তাই কাঁন্না
পাচ্ছে।
আমি:- হিংসা?
হাবিব:- হুম,আমার চুল তোমার চেয়েও বেশি আছে এখনো।
তোমার চুলে আর বেণী হবেনা,হা হা হা...

আমি আবার ও ওর কথায় আস্থা রেখে আমার মাথায় হাত
দিয়ে বলি,কই যা চুল আছে তাতে এখনো তোমার মতন
২-৩জন হাবিব কে পটাতে পারি।
হাবিব অনবরত হাসছে..
আবার ও ওর হাসির প্রেমে পরে গেলাম,৫০বছর আগে যেভাবে পরেছিলাম...

আমার শরীরর বৃদ্ধ হলেও মনের মতন চোখ দুটি আজ ও
সতেজ আছে।হাবিব কে আমি ৫০বছর এর আগ এর থেকে
আজ ও আলাদা করতে পারিনা।
হাবিব এর হাসি ঠিক
আগের মতন ই লাগে।

হাবিব আমার হাত শক্ত করে ধরে বললো,কি ভাবছো?
> হাবিব আগে চশ্মা পরে তোমায় যতটুকু স্পষ্ট দেখতাম,আজ
চশমা ছাড়া তার চেয়েও বেশি স্পষ্ট লাগে।
এতই স্পষ্ট যে,হাবিব এর চশ্মার পিছনের চোখজোড়া পানিতে ছলছল করছে তাও আমার চোখ এড়াচ্ছেনা.....
নিপার লেখাগুচ্ছ

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ