#সব চরিত্র কাল্পনিক ৩
#সম্পর্কের গোলকধাঁধা।
১৫ বছর এর বড় হওয়া সত্ত্বেও রায়হান এর সাথে বিয়েটা
হয়েই গেলো।
এই ঈদ আমার শ্বশুর বাড়িতে প্রথম ঈদ।
আম্মা শিখিয়ে দিয়েছিল,বাসায় গুরু জনরে সবাইকে
পায়ে হাত দিয়ে সালাম করবে।
গাড়ি থেকে নেমে যখন রায়হান আর আমি বাসার ভিতরে
ঢুকবো,দরজার সামনে প্রায় ৩০জন দাড়ানো,কয় জনকে
সালাম দিব এই ভেবে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
সালাম দেয়া শুরু করলে রাত শেষ হয়ে যাবে।একদম
সামনে দুজন মহিলা দাড়ানো ছিল,রায়হান এর মা এবং
দাদি।
আগে মা কে সালাম দিলাম,সালাম দিয়ে উঠে
বললাম,ঈদ মোবারাক মা।
সে আমায় কিছু না বলেই ভিতরে চলে গেল।
কিছুই বুঝলাম না,হয়তো দাদির আগে তাকে সালাম দিছি
তাই রেগে গেছে।
যাক, দাদিকে সালাম দিয়ে বললাম,দাদি শরীর ভালো
আপনার?
দাদি ও কিছু না বলে হন হন করে ভিতরে চলে গেল।
চারদিকের সবাই হাসছে,ভাবলাম এ আমি কই আসলাম? :(
সবাই পাগল নাকি?
এর মাঝেই রায়হান আমার হাত ধরে রুম এ নিয়ে গেল।
আমিতো লজ্জা ই পেয়েছিলাম,বুড়া হলেও বউ এর প্রতি
কি টান। :p
আমি:- এই যে বুড়া লজ্জা নাই?সবার সামনে দিয়া নতুন বউ
কে নিয়ে রুম এ আসলা যে?
রায়হান:- রুম এ আসছি কি স্বাধ এ?
তুমি আমার বড় বোন কে মা বলছো
আমি:- তাহলে মা কই? :o
রায়হান:- তারে তো তুমি দাদি বানাইয়া দিছো। -_-
আল্লাহগো,কি মসিবত এ পরলাম আমি।সালাম দিয়া কি
ভেজাল এ পরলাম।ওর বড় বোন তাই আমার মায়ের বয়সি।
আর ওই বুড়া মহিলা আমার শাশুড়ি। :(
বিয়ের আগে ছবি দেখা উচিৎ ছিল।
যাই শাশুরীর মান ভাঙিয়ে আসি।
গিয়ে দেখি সে রুম এ দরজা দিয়ে রেখেছে।
অনেক নক করার পর দরজা খুলছে।
-মা আপনি রাগ করেছেন?
না মা আমি রাগ করিনি।
মন খারাপ।
-কেন মা?
আসলে আমার নানু খুব অসুস্থ।
আমি কতক্ষন হা করে তাকিয়ে বলি আপনার নানু?
বলে হি হি করে হেসে দিছি। :D
শাশুড়ি আম্মা ক্ষেপে আমায় বের করে রুম দিয়া বের
করে দিলেন। :(
আমার কি দোষ,শাশুড়ি আম্মাই এক পা কবরে দেয়ার বয়স
তার মা ও না,তার নানু এখনো জীবিত।
বেশ বয়স পেয়েছে।
মন খারাপ করে রায়হান এর রুম এ যাচ্ছি, এমন সময় আমার
বয়সী কয়েকজন আমায় পা ধরে সালাম দিল।
আমি তাদের উঠিয়ে বললাম,ওঠো ভাইয়ারা।ভাবলাম
দেবর-ননদ।ওরা হেসেই বলে,মামি তুমি আমাদের ভাইয়া
কেন বলো?
খাইলাম আবার বিলা
। :(
ভাবছি আর মুখ খুলবো না।রায়হান এর কাছে
গেলাম,ভাবলাম আজ ঈদ এর দিন,রায়হান কে একটা
সালাম দেয়া উচিৎ।
একমাত্র ওরে সালাম দিয়াই লজ্জা পাবোনা।বুড়া
আছে। ;)
সালাম দিব বলে প্রস্তুত হচ্ছি,
ভাবলাম হয়তো ও সিনেমার মতন আমায় তুলে বলবে,ওগো
তোমার জায়গা আমার বুকে।নিচু করে বসে সালাম দিতে
নিলাম,রায়হান আটকাচ্ছে না।সালাম দিয়ে দেখি
সামনে রায়হান নাই,আছে একটা বাচ্চা।আনুমানিক ৫বছর
হবে।
রায়হান সামনে দিয়া চলে গেছে।আমি ভুলে ওই
বাচ্চারেই সালাম দিছি। :(
এই বাচ্চা আবার কে!
যেহেতু বুড়া বুড়া পোলাপান ই আমার ভাগ্নে -ভাগ্নি
তাহলে এ বাচ্চা মনে হয় আমার নাতি।
বিয়ে হতে না হতেই আমি নানী হয়ে গেলাম।
বাচ্চারে কোলে নিয়া বলি,কি বাবু নতুন নানী কে পছন্দ
হয়েছে?
ও বলছে তুমি তো আমার রাঙা ভাবি।
পরে জানি ও রায়হান এর চাচাতো ভাই। -_-
কোন ঘরে আসলাম,বুড়া রা সম্পর্কে ছোট আর বাচ্চারা
সম্পর্কে বড়।
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি,রায়হান কাঁদছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে?
ও বলে ওর বড় মা মারা গেছে।
বললাল,আমার শ্বশুর আব্বার দুটা বউ আগে জানতাম
নাতো। >_<
রায়হান রেগে বললো,আমার মা এর নানীকে বড় মা বলি।
আমি আবার আহাম্মক হইলাম। :( এখন সান্তনা দেয়ার ভাষা
ই খুঁজে পাচ্ছিনা।নতুন বিয়ে স্বামীর প্রতি ই মায়া
হয়নায় তার উপর নানী শাশুড়ির প্রতি। :/
যাক একটা সান্তনা দেয়া উচিৎ। উঠেই বললাম,রায়হান,
সে মারা গেছে তুমি কিছু মনে করোনা।
ও আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,না কিছু
মনে করবো কেন,সে তো আমার বেয়াইন লাগে।
রায়হান ও হন হন করে চলে গেল রুম থেকে।
শ্বশুর বাড়ি আমায় পুড়া বিলা বানাইয়া দিল। :(
#সব চরিত্র কাল্পনাকি ৪😜
#বড় ছেলের বিয়ে😜
রিলেশন ২বছর হলেও আগে ভাবতাম বিয়া হবে।কিন্তু
ভেজাল হইলো বড় ছেলে নাটক দেখে।আমার সেও বড়
ছেলে। 😜
এখন আমি সিওর ও একদিন অপূর্ব এর মতন
বলবে,তুমি বিয়ে করে নেও।কারন আমি বড় ছেলে।😒
যদিওবা আগে যতবার বিয়ের কথা বলছি ও বলছে করবে।
আসলে ওগুলো সব ধান্দা।
এখন আমি সিমুল(আমার বি.এফ) এর মাঝে অপূর্কে
দেখতে পাই।আর নিজেকে কেমন যেন মেহেজাবিন মনে
হচ্ছে।😜
নাটক দেখার পর ই সিমুলকে কল দিলাম.. আমি:- সিমুল কি
কর?
সিমুল:- এই তো খাব।
আমি:- একটা কথা ছিল..
সিমুল:- হুম বলো..
আমি:- না খেয়ে নেও তারপর বলি...
আহ কি সুন্দর
অপূর্বের মতন কথা..😍
বলতে নিছি এর মাঝেই বলে,আচ্ছা
পরে কল দেও,ক্ষুধা লাগছে।
আহ,এ কেমন বড় পোলা...👿
ও আছে ওর গেলা নিয়া। :/
৩০ মিনিট পর মিস্ড কল.. অপূর্ব আর যাই হোক,কিপ্টা
ছিলনা। কল দিতো,ওর মতন মিস্ড না।
কল দিলাম..
>সিমুল বাসা দিয়া বিয়ে ঠিক করছে... কথা বলি আর বার
বার আয়না দেখি যে আসলেই মেহেজাবিন এর মতন বলতে
পারছি কিনা। 😜
ভাবছি ও চুপ থাকবে কিছুক্ষণ, সে চুপ না
থেকেই বলে,কার সাহস তোমায় বিয়া করার?👿 মাইর একটা
ও নিচে পরবেনা।
ধূর,এমনতো অপূর্ব বলেনায়।😒 যাক, ও
হয়তো একসময় হাপিয়ে উঠে ব্রেক আপ করবে।
ভাবলাম,ওর
জন্য মেহেজাবিন এর মতন কিছু কিনবো। কয়েকটা
রিজার্ভ কার্ড দিব,যাতে আর মিস্ড কল না দেয়।
😎 টিসু দিয়া লাভ নাই,যে ঘাম দেয় একটা হাত পাখা
দিব,বাতাস করতে করতে আসবে..ঘাম মুক্ত সিমুল। 😜
ডায়রী দিয়া লাভ নাই,ওইটা আবার ওর নিউ জি এফ রে
দিয়া দিবে।😂
একটা ঘড়ি দিব।আর চকলেট কেনা দিয়া বাইচা গেছি..ওর কোন ভাগ্নে
নাই।😜
সব কিনে কল দিলাম..
সিমুল কাল একবার শেষ বারের মতন দেখা করবে..
সিমুল:-শেষ বার মানে?
আমি:- বারেহ,আমার বিয়ানা?
সিমুল:- মাইরে টানে
তোমারে?
ধূর..ফোন রেখে দিলাম..
এইডা নামেই বড় ছেলে,কোন কামের না। দুইদিন পর দেখি
বাসায় সত্যিই বিয়ের প্রপোজাল আসছে।😫
এতোদিন তো মিথ্যা বইলা সিমুল রে দৌড়ানির উপর
রাখতাম।
এখন তো ওরে বিলিভ ও করাতে পারবোনা।😒 আর
মেহেজাবিন সাজলে চলবো না।
কল দিলাম..
সিমুল,আমি বিয়ে করতে চাইনা প্লিস,তুমি আমায়
বাচাও..😭
সিমুল:-সরি,তুমি বিয়ে করে নেও। ও মাহ,এখন দেখি ও
অপূর্ব সাজছে... আমি ভয়ে কেঁদে দিলাম।😭
> কি বলো বাটপারির জায়গা পাওনা?
সিমুল:- দেখো, এই
সময় আমার বিয়ে করা পসিবল না। বলে ফোন কেটে
দিল।
এখন আমার মেহেজাবিন এর চেয়েও বেশি কান্না
পাচ্ছে।
কান্নার মাঝে মাঝে একটু মেহেজাবিন এর মতন
বিছানায় গড়াগড়িও খাইছি। 😜
সকাল এ ঘুম ভাঙলো সিমুল
এর কল পেয়ে।
আমি:- হুম বলো..
সিমুল:- একটু দেখা করতে পারবা শেষ বারের মতন? এ
দেখি মেহেজাবিন এর ডায়লগ ও বলে? নিশ্চই নতুন কোন
মাইয়া পাইছে..
আমি:- হুম পারবো..
সিমুল:-আমার দেয়া লাল জামাটা পরে এসো। মনে মনে
বলি,দিছো তো ওই একখান ই জামা,লাল আবার বলা লাগে
কিসে? :/
আমি:- ওই জামার ওড়না ছাদ দিয়া চোরে নিয়া গেছে।
লাল আরেকটা পরে আসবো।
সিমুল:- আর আমি তোমার টা
পরে আসবো।
আমি:- ১বছর ধরেতো ওইটাই পরো।তা আর
নতুন কি?
সিমুল:- বাদাম আনবো?
আমি:- ওই তুমি ও কি নাটক টা দেখছো?😱
সিমুল:- কি?আমার
ভালোবাসা নাটক লাগে? ওকে আর দেখা করতে
হবেনা,বলে কেটে দিল। 😒
বারেহ,জীবনেও বাদাম আনলো
না,আজ বাদাম ও আনতে চায়।কি এমন ভুল বললাম আমি।
এর মাঝে বাবা বললো,পাত্র আমার সাথে আলাদা দেখা
করবে।
আমি সিমুল কে কল দিয়ে যাচ্ছি, ও ফোনটা অফ করে
রেখেছে।
শেষ সময় ও আমায় ফাঁকি দিয়ে পালালো? বড় ছেলে না
ছাই,কাপুরুষ একটা। আমার ওকে রান্না করেও খাওয়ানো
হলোনা। 😭
যাক, এই উছিলায় বাটপার চেনা হলো।সিদ্ধান্ত
নিলাম বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে ওরে
দেখিয়ে দিব। শুনলাম ছেলে পুলিশ।
বিয়ার পর ই সিমুল রে একলাছা মাইর দেয়াবো তাতে
কোন ভুল নাই👿
বিকালে,পাত্রপক্ষ আসলো বাসায়। কিছুক্ষন পর খালা এসে
বলে পাত্র ছাদ এ,আপনাকে যেতে বলছে ৫মিনিট এর
জন্য। বাবাও বললো যেতে তাই গেলাম।
গিয়ে দেখি
পাত্র উল্টা দিকে ফিরে দাড়িয়ে আছে, আমি পিছন
এ,তাকাচ্ছেই না। কি বলবো ভাবছি,
.....
বললাম,কিছু কথা বলার ছিল। পাত্র তাকাচ্ছেই না।
লোক কি লজ্জা পাচ্ছে!
নাকি নিজের চেহারা দেখাতে ভয় পাচ্ছে?👿
আমি:-আসলে আমার একটা রিলেশন ছিল,ছেমড়া বাটপার
একটা।
অনেক খারাপ,ভন্ড একটা।
ওরে একলাছা মাইর দিতে পারবেন??যতক্ষণ লরবে ততক্ষণ মারবেন প্লিস..😒
পাত্র:- হুম,সব
ভন্ডদের ই মারবো।
আমি:- কে আপনি?গলাটা চেনা চেনা
লাগে? আমার দিকে ফিরতেই দেখলাম সিমুল.😫
আমি:-তুমি এখানে?😱
সিমুল:- কও কারে কারে মারতে হবে?ভন্ডতো আমার
চেয়েও তুমি বেশি।
আমি:- কেন?
সিমুল:- এই যে একবেলা ফোন অফ পেয়েই বিয়ে করতে
রাজি অন্য ছেলেকে।👿
আমি:- বিয়ে করতে না,তোমায় মাইর খাওয়াবো পুলিশ
দিয়া তাই রাজি হইছিলাম।
সিমুল:- পুলিশ এর গায়ে হাত
তোলার সাহস কার?
আমি:- পুলিশ?😱
সিমুল:- জি,পুলিশ আমি হয়ে গেছি বেলা শুনছো? 😃
আমি:- বেলা কে?
সিমুল:- ওই তো তোমার ছদ্মনাম। 😁
তোমার
আব্বাও রাজি,এখন তুমি রাজি কিনা বলো.. আমি:-আমিতো কবে থেকেই বড় ছেলের প্রেমে পরে আছি,এ বড়
ছেলে শুধু প্রেম করতেই নয়,দায়িত্ব নিতেও জানে বলে
সিমুল এর নাক ধরে টান দিলাম।😍
নাক লাল হলে সিমুল কে
বেশ লাগে,সয়ং অপূর্ব ও তাতে হার মেনে যায়।😍😍
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ