āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3941

গল্প: কিচিরমিচির
লেখা> Abir Hasan Niloy
..

কয়েকদিন ধরেই লক্ষ করছি একটি টাক মাথার ভুড়ি ওয়ালা লোক আমাকে সবসময় তার নজরে রাখছে। কখন কি করি না করি সবই যেনো তাকে জানা লাগবে। আর সবসময় ফোন কানে ধরে কার সাথে যেনো কথা বলে।

- কি ব্যাপার আবির? তোমার ভার্সিটিতে আসতে এত লেট হলো কেনো? (অথৈ)
- আর বলোনা,,একটা লোক আমাকে রোজই নজর রাখে।
- কে সে? তাকে চিনো নাকি?
- আরে চিনলে কি আর বলতাম তোমার সাথে? পাজি লোকটাকে মেরে বুঝিয়ে দিতাম কারো উপর নজরদারি করাটা কেমন বিরক্তিকর।
- সবসময়ই কি নজর রাখে তোমার উপর?
- হা সবসময়ই... এমনি বাসা অবদিও যায়। আবার বাসা থেকে বের হলেও লোকটাকে দেখি।
মাঝে মাঝে তো রাত ১০ টার সময় পর্যন্তও আমাদের বাড়ির সামনে দেখি।
- আচ্ছা টেনশন নিও না,,,আগে ক্লাসে চলো পরে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা যাবে।
- হুমম চলো...

।।

অথৈ হল আমার গার্লফ্রেন্ড। আজ ৮ মাস হল অথৈ এর সাথে রিলেশন।
খুব একটা জানিনা ওর ফ্যামিলি সম্পর্কে। যতদুর জানি
ওর ফ্যামিলিতে ও, ওর আব্বু আর এক ভাই আছে।
তবে ভাইয়া নাকি কি একটা চাকরি করে থাকে। আর ওর আব্বু একজন ব্যাবসায়ী।

আচ্ছা অথৈ লোকটাকে আমার পিছনে লাগিয়ে রাখিনি তো? কিন্তু ও তো বলে যে আমাকে সে খুব বিশ্বাস করে।
তাহলে কে উনি?
ধ্যাত ভাল্লাগে না। সারাদিন যদি কেউ আপনার উপর নজর রাখে তাহলে কেমন যে রাগ হবে তা খালি সেই ই জানবে।

ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনে গেলাম আমি আর অথৈ। যেয়ে দেখি লোকটা সেখানে আমাদের কিছু দুরে একটা চেয়ারে বসে সিগারেট খাচ্ছে।
মাথায় প্রচন্ড রাগ উঠে গেলো। প্রথমদিন ভেবেছিলাম হয়ত এমনি এমনি হবে ব্যাপারটা।
কিন্তু আজ গত ৭ দিন ধরে আমি যেখানেই যাই না কেনো লোকটাকে সবসময়ই দেখছি।

- আচ্ছা কে আপনি বলুন তো?
লোকটার কাছে গিয়ে জিগাস করলাম।
- মানুষ(লোকটি)
- সেতো বুঝতেই পারছি। কিন্তু নামটা কি?
- কেনো?
- আরে কেনো মানে?? রোজ আমার পিছু নিবেন আবার বলছেন কেনো?
- আবির চলে এসো,,লোকটাকে আমার সুবিধার মনে হচ্ছে না। (অথৈ)
- আরে ছাড়োতো... আজ দেখে নিবো লোকটাকে। এই যে হেলো,,,বলুন কে আপনি? রোজ রোজ গন্ডা মার্কা চেহারা নিয়ে আমার পিছু নেন। দেখতে যে বিরক্ত লাগে এটা আপনি বোঝেন??
- হুমমম
- আবার হুমম বলছে

অথৈ হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসলো লোকটার সামনে থেকে। ক্যামপাসে বসে আছি এখন..
- আচ্ছা তুমি এত রাগ করলে কেনো? (অথৈ)
- আরে রাগ করবো না? দেখোনি তুমি কেনো রাগ করেছি?
- হুমমম,,আচ্ছা বাদ দাও তো..
- বাদ মানে? এই লোকটাকে আবার তুমি ফিট করোনি তো আমার পিছনে?
-মানে? (অবাক হয়ে)
- মানে খুব সোজা। আমি অন্য মেয়েদের সাথে টাংকি মারবো কিনা এসব দেখার জন্য লোকটাকে আমার পিছনে ছেড়ে দিছো নাতো?
- এই আবির...কি বলছো এসব? তোমার কি তাই মনে হল??
- না মানে এমনি বললাম আর কি।
- যাও তোমার সাথে কথা নাই।
- আরে শোনো না...

রাগ করে চলে গেলো অথৈ। ধুররর যত ঝামেলা ঐ ফইন্নি মার্কা লোকটার জন্য।
আবার অথৈ চলে যাওয়াতে রাগ করে এইটা দেখেও লোকটা হাসছে...ধুররর কি যে করি...
আজ তিনদিন পদ বাড়ি থেকে বের হলাম। লোকটার প্যারাই তিন দিন ধরে গৃহবন্দী।

ফাজিল লোকটা না ছাড়ছে আমার পিছু না বলছে কে ও।
তাই গৃহবন্দীর পদেক্ষেপ নেওয়া।
আজ রাস্তায় বের হলাম। উদ্দেশ্য.. আবুল মামার চায়ের দোকান।

.

আরে আজ কি হল লোকটাকে যে দেখছি না কোথাও? না না এমন তো হওয়ার কথা না।
আঠারমত লেগে থাকা লোকটার আজ কোনো পাত্তা নেই? কাহিনি কী?
আর এদিকে অথৈ সেই যে গেলো আর কোনো কল বা মেসেজ এমনকি দেখাও হয়নি।

দুই হাত পকেটের মধ্যে দিয়ে মাথাটা নিচু করে রাস্তার এক সাইড দিয়ে হাটছি।
হঠাৎ দেখলাম রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে কেউ একজন আমার নাম ধরে ডাকছে।
আরে সেই লোকটা,,কিন্তু লোকটা পুলিশ হলো কবে?
খাইছে রে,,,এতদিনে তাইলে আমার সব ইনফরমেশন নিচ্ছিলো? কিন্তু কেনো?
আমি আবার কি করেছি?
উমমম কি করেছি তো মনে পড়ছে না। নাহ কাল একটা মশা মারছিলাম
আর একটা কুকুরকে হেব্বি পিটুনি দিছিলাম। এক পিচ্চির কাছ থেকে খাবারের প্যাকেট নিয়েছিলো বলে..

আর একটা বান্দর পিচ্চিকে পিছন থেকে প্যান্ট খুলে দিয়ে দৌড় মারছিলাম।
এতদিনে তো তাই করেছি বলে মনে পড়ছে..
হায়: হায়: এর জন্য কি আমাকে ধরে নিয়ে যাবে? নাকি ফইন্নি, গন্ডার বলেছিলাম বলে নিয়ে যাবে?
এসব ভেবে যখনি দৌড় মারতে যাবো তখনি লোকটা এসে আমার হাত ধরে বললো..

- আরে আবির পালাচ্ছো কেনো?
- আমি আর মারবো না মশা। আমি আর প্যান্ট খুলবো না।
- হা হা হা হা হা..
- আরে লোকটা এমন করে হাসে কেনো?
কি বললাম আমি?
- আচ্ছা আগে থানায় চলো..
- মা....তোমার ছেলেকে বাচাও.. আমি খুন করিনি..
- ঐ চুপ... কোনো সমস্যা নাই। চলো, তোমার সাথে কতদিন দেখা হয়নি তাই ভাবলাম থানায় বসে বসে একটু আড্ডা দিবো তোমার সাথে..

মনে একটু খুশিই হলাম। যাক বাবা বাচলাম তাইলে আমি খুন করিনি।
জিপে উঠে চলেই আসলাম থানার সামনে।
নেমে লোকটি বললো..যাও ভিতরে আমি আসছি।
লোকটার নাম টা এখন দেখলাম। নামটা হলো আজিজ মিয়া..

যেমন দেখতে নামটাও তেমন।
যাইহোক কথা মত দেখিয়ে দেয়া অসির রুমে ঢুকলাম।
ঢুকে দেখি একজন সুন্দর হ্যান্ডসম পুলিশ বসে আছে। আমার পায়ের শব্দে আমার দিকে তাকালো...

- আরে আবির যে...

খাইছেরে... লোকটা আমার নাম জানলো কেমনে?
আমি তখনি বুকের দিকে তাকালাম।
- কি দেখছো ওখানে?
- না মানে দেখছি আপনাদের মত বুকের উপর আমার নাম প্লেট আছে কিনা?
- হাহহাহাহা...আগে এসে বসো..
- আরে বলদের মত হাসি দেয়ার কি হল? পুলিশরা কি সব বলদ নাকি? (মনে মনে)
- তা অনিক স্যার আমাকে কেনো ডাকলেন?
আর আমার নাম কেমনে জানেন?
- খালি নাম না অনেক কিছুই জানি।
- এ আল্লাহ অনেক কিছু মানে? আমি যে পিচ্চির প্যান্ট খুলে দৌড় দিছিলাম সেটাও জানে নাকি? (মনে মনে)
- অনেক কিছু জানি বলতে? অথৈ কে চিনো?

হায় হায়... এ কেমন কথা? তাইলে কি আমার সন্দেহ ঠিক?? ঐ অথৈ ছেমড়ি তাহলে আমাকে রাগহানির মামলা দিলো? আচ্ছা একবার জিগাস করলে কেমন হয় যে থানায় কেউ রাগ করলে রাগহানির মামলা হবে কি না?

- কি ভাবছো আবির? ভাবছো যে আমি এতকিছু কেমনে জানি?
আজিজ....

দেখলাম সেই টাকবেটা ডাক শুনেই চলে আসলো...

- জ্বি স্যার..
- আমাদের জন্য দু কাপ কফির ব্যবাস্থা করো..
অর্ডার শুনে চলে গেলো টাকু।
- শোনো আবির... অথৈকে কেমন ভালোবাসো?
- ভূলে গেছি ভাই..সরি ভাইয়া ধুরর সরি স্যার
- ভাইয়া বইলো...
- ওকে
- জানো অথৈ এখন কোথায়? তিন দিন ধরে কোনো কথা বলছো না..
- কোথায়?
- অথৈ...

ডাকশুনে দেখলাম পাশের রুম থেকে অথৈ বের হল।
- আরে এ এখানে কেনো? একে কি চোরাচালানকারী হিসেবে ধরে আনলো নাকি?
বলা যায় না, এখনাকার মেয়েরা সুন্দর রুপের ভিতরে আকাম করে বসে।

- চিনতে পারছো আবির?(অনিক)
- হুমম...আচ্ছা একটু সবকিছু কাপড় চোপড় বাদে খুলে বলবেন কি হচ্ছে?
মাথার মধ্যে সেই কখন থেকেই সব কিছু ঘরছে। (নরম হয়ে)

- এ হল অথৈ। আর আমি হলাম অথৈ এর জামাই।।
-মানে?????
- আরে হতাম আর কি? আসলে ওর বাবা আর আমার বাবা বন্ধু হওয়াতে আমাদের বিয়ে ঠিক করে বসে আমাদের না জানিয়ে..
- ওও বুঝলাম।
- নাহ আগে শোনো,, কমাস হল জানতে পারলাম অথৈ তোমার সাথে প্রেম করে। যেহেতু বিয়ের জন্য অথৈকে বেছে নিয়েছে আমার পরিবার, তাই বিয়ে করতেই হত। কিন্তু তোমার সাথে প্রেম করাতে ওকে বিয়ে করলে কপালে আমার কিছুই হত না।

তাই আজিজ এর দিয়ে তোমার সব খবরাখবর নিতাম। যে তুমি ছেলেটা কেমন। কতটুকু ভালোবাসো? আবার অথৈও তোমাকে কতটুকু ভালোবাসে এসব দেখার জন্য খোজ নিয়েছিলাম..

- তা এখন?? (আমি)
- নাহ তুমি ছেলেটা খারাপ না। আর তাছাড়া তোমাদের দুজনকে মানাইছেও ভালো।
- আচ্ছা অথৈকি এসব জানতো?
- হুমম জানতো।
- সেই কারনেই বলি টাকু টাকে বকলে ও থামাইয়ে দিতো কেনো??
- ঐ টাকু কে?

পাশে তাকিয়ে দেখি আজিজ কফি নিয়ে হাজির।
খাইছেরে এইবার মনে হয় জেল এর মধ্যে ভাত খাইতে হবে..
- হাহাহাহা...সবাই হাসে।।।
বাট আমি হাসতে পারছি না।
- আচ্ছা শোনো আবির.. ভয় নেই তোমাদের বিয়ের ব্যাবস্থা আমিই করবো...
অথৈএর পরিবারে রাজি আমি করাবো...
- তাহলে আর কি...চলো অথৈ বিয়ের আগে বাসর সাইরা ফেলি...
- কি????? সবাই একসাথে...

আর এদিকে আমি তো দৌড়...মনে উসাইন বোল্টকে আজ হারাতে পারবো...
(৫৭)
---------(সমাপ্ত)-----রিপোষ্ট

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ