#সতীদাহ ১ম পর্ব।
লেখা: Umme Nipa
মাকে যখন বললাম,মা আমার চাকরী হয়েছে মা এ কথা শুনেই মুখে পান গুঁজে বাবাকে বললেন,কি ছেলের একখানা বিয়ে দেয়া দরকার কিনা এখন?
আমি এ কথার মানে বুঝেছিলাম তবে এ কথার ওজন মাপতে আমি পারিনি।
আমারো আর দশটা ছেলের মতন আনন্দ লাগছে এই ভেবে আমি কারো পতিদেবতা হতে যাচ্ছি। আমারো কারো পূজো নেয়ার সময় হয়ে গেছে।আবার খানেক ভয় যে করছেনা তা নয়।
ভয় আমি কারো ভরণ-পোষণ এর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছি। তাকে শুধু ৩বেলা খাবার আর বছরে দু খানা শাড়ি দিলেই আমার দায়িত্ব শেষ নয়।তাকে প্রতি মিনিট এ হাসাবার দায়িত্ব আমার।
সে আমায় দেয়া সৃষ্টিকর্তার এমন ই এক পূজোর ফুল,যা কখনো শুকিয়ে যেতে দেয়া যাবেনা।
ভালোবাসা দেয়ার ভয় জেগেছে খুব।যদিওবা এ ভয় ভয়ানক নয়।এ ভয় আনন্দ ই দেয়।
আমি ভালোবাসবো কথা দিলাম,যে ভালোবাসায় কিঞ্চিৎ ছলনা থাকবেনা।
এই ভাবায় মগ্ন হয়ে আমি উঠনের ওপাশের বকুল ফুলের দিকে তাকিয়ে আছি।
এর মাঝেই মুকুর এসে আমায় ধাক্কা দিয়ে হেসে হেসে বললো কি ধ্যান এ পরলিনাকি?
মুকুলরানী সে আমার একমাত্র ছোট বোন হলেও আমার সাথে সম্পর্ক বন্ধুর মতন,অনেকটা বন্ধুর চেয়েও বেশি
আমি: কিসের ধ্যান?
মুকুল: নতুন বউ কে নিয়ে ভাবছিস?
আমি: তোর পড়ালেখা নেই?আমার বিয়ে হতে না হতেই তোর বিয়ে দিয়ে দিব।
মুকুল: দাদা তুই আমায় বলেছিস,আমায় বিয়ে দেরীতে দিবি।এখন কথা খেলাপ করলে তোর বউ কিন্তু সুন্দরী হবে না দেখে নিস..
ভোরে ঘুম ভাঙতেই উঠনে লোকের গুনজন শুনতে পেলাম।
মহিলাদের হাসির শব্দ।
ঘর থেকে বের হয়েই দেখছি,এলাকার যত, মাসী-বৌদি সব আমাদের উঠনে ভীড় করেছেন।
আমি মুকুলকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম,কি হয়েছে?
মুকুল: আরে দাদা তোর বিয়ের কথা শুনে তারা এসেছেন।
আমি: এতো মানুষ তো কেউ মারা গেলেও আসেনা।
মুকুল: চুপ থাক তো,সকাল-সকাল খারাপ কথা।আলপনা দিব সবাই।
আমি: মুকু,পাত্রী কি ঠিক হয়েছে?নাকি তাও এলাকার মানুষ ঠিক করে দিবেন?
মুকুল: পাত্রী আগে থেকেই ঠিক করা।গোপাল কাকুর আত্মীয়া।
আমি: গোপাল কাকুর?
মুকুল: হ্যা।আজ বিকালে আমি, মা -বাবার সাথে যাব বৌদিকে দেখতে।
আমি: আমায় কি নিবিনা?
মুকুল: ছিঃ ছিঃ লজ্জা নাই।নিজের বৌকে নিজে দেখবি।
এই বলেই মুকুল চলে যেতে নিল।
আমি: এই শোন,নাম টা বলে বলে যা।
মুকুল আমার দিকে ফিরেই হাসি দিয়ে বললো,মল্লিকা।
নামটা শুনেই যেন এ নাম এর প্রতি আমার প্রেম জমে গেল।
মল্লিকা নামের মেয়েটি আর কারো নয় শুধুই ইন্দ্রকুমার এর জন্য সৃষ্টি।
আচ্ছা সে কি মল্লিকা ফুল এর মতন সিগ্ধ হবে?
সারাক্ষন ই আমার মনের মাঝে এক দেবীর ছবি আঁকতে লাগলাম।
যে লাল পাড় আর সাদা শাড়ি পরে ঘুরে বেড়াবে সারা ঘর।
পায়ের নুপুর এর শব্দে ঘুম ভাঙবে আমার।
যার ভিজা চুলের স্পর্শে আমি এলোমেলো হব প্রতিনিয়ত।
বিকাল হতে না হতেই মা-বাবা আর মুকুল রওনা দিলেন।
মা বলে গেলেন,ইন্দ্র মেয়ে পছন্দ হলেই কিন্তু বিয়ের দিন-ক্ষন পাকা করে আসবো।শুধু কুষ্ঠি দেখার পালা।
আমাদের পছন্দ তে তোর কোন অমত নেই তো?
আমি নিচু হয়ে মাথা নাড়লাম।
বাবা: ইন্দ্র গোপাল আমার ছোটবেলাকার বন্ধু।ও মিথ্যা বলবেনা।মেয়ে ভালোই হবে..
এই বলে সবাই রওনা দিলেন।আমি উঠনের এক কোনে বসে মল্লিকাকে চিঠি লিখতে বসলাম।
এক অচেনা-অজানা মানুষ কে চিঠি।
প্রিয় মল্লিকা..
লিখেই কেটে দিলাম।প্রিয় লিখলে ভাববে আমার চরিত্র ঠিক নেই।
মল্লিকা,
আশা করি আপনি ভালো আছেন।
আপনি কি জানেন,আমি আপনার নামের ভক্ত হয়ে গেছি।
আচ্ছা,আপনার নাম মল্লিকা রাখা হল কেন?
আপনার মা-বাবার কি পছন্দের ফুল মল্লিকা??
আমার মনে হয়,আপনাকে দেখার পর এই নাম ছাড়া অন্য নাম আর তারা দিতে পারেন নি।
আমি কিন্তু আপনাকে অনেক নামে ডাকবো।আমার নাম এর সাথে মিলিয়ে ইন্দ্রা বলে ডাকবো।
আপনার আপত্তি নেই তো?
আচ্ছা আমার মা-বাবা কি আপনাকে নানান প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করছে?
চিঠি লিখতে এবং মল্লিকাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই কখন যে বিকের গড়িয়ে সাঁঝ হয়ে গেল টের ই পেলাম না।
মা-বাবা এখনো আসছেনা কেন?
মুকুল বললো বেশি দূর নয় তাহলে এখন তো চলে আসার কথা।
বিয়ের কথা, সময়তো লাগবেই।
বিছানায় শুতেই চোখ লেগে গেল।
হঠাৎ ই কে যেন আমার পায়ে হাত রাখলো..
আমি তাকিয়ে দেখি,সাদা শাড়ি পরা এক মেয়ে।খোঁপায় সাদা ফুল গোঁজা।হাত ভরা চুড়ি,আর কপালে বড় লাল টিপ।একদম ই দেবীর মতন।মুখ মলীন করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি: কে আপনি?
উনি কোন উত্তর দিচ্ছেনা।
আমি: কি কথা বলবেন না?
উনি আমার দিকে তাকিয়েই আছেন।
আমি উঠে বসে পরলাম।
মেয়েটি বিছানায় এসে বসলো।
কি বিষণ্ণ মুখ।মনে হয় কোন গভীর ব্যাথা নিয়ে এসেছে।
আমি: আচ্ছা কথা বলছেন না কেন?
মেয়েটা উঠে চলে যাচ্ছে। যাবার সময় খোঁপা থেকে একটি ফুল বিছানায় পরে গেল।
দরজার পাশে গিয়েই আমার দিকে ফিরে বলছে আমি মল্লিকা।
আমি তার কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
আমি: ফুল নিয়ে যান।
মল্লিকা: ফুল বেশিদিন ফুলের জায়গাতে থাকতে পারে কি?
হঠাৎ মা মুকুলকে ডাক দিতেই আমার ঘুম ভেঙে যায়।
তাকিয়ে দেখি দরজা দেয়া।কেউ নেই চারপাশে।
বিছানায় কোন ফুল নেই।
তার মানে মল্লিকা আমার স্বপ্নে এসেছিল।
দরজা খুলে দেখি মা এসেছেন।
মা মুকুলকে প্রদীপ জ্বালাবার কথা বলেই তার রুমে চলে গেলেন।
মুকুল মুখ মলীন করে প্রদীপ জ্বালাচ্ছে।
আমি ওর পাশে গিয়ে বললাম:কি হয়েছে রে?
মুকুল: তাদের সাথে কথাকাটাকাটি।
আমি: কেন?
মুকুল: মেয়ে কালো..
আমি: তাতে কি?
মুকুল: মেয়ের বাবার কাছে মা বিয়ে উপলক্ষে যা চেয়েছেন তা তারা দিবেন না।এই নিয়ে ঝামেলা..
হয়তো মল্লিকাকে আর আমার দেখা হবেনা।কিছু ফুল দূর থেকেই দেখতে হয়।যাকে স্পর্শ করা যায়না..
চলবে...
#সতীদাহ ২য় পর্ব।
লেখা: Umme Nipa
আমি আমার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
বিছানায় যে পাশটায় মল্লিকা বসে ছিল সেই পাশটায় হাত রেখে স্পর্শ করলাম।
মনে হচ্ছে মল্লিকা এখানেই আছে।আমার খুব কাছে।
শুধু একটি বেলা মল্লিকার প্রতি আমার এতো মায়া জন্মে গেল কি করে?
ভালোবাসা কি কখনো অপরিচিতার উপর জন্মে?
স্বপ্নে আমি কেন মল্লিকাকে যেতে দিলাম?
আমার লেখা চিঠিটা হাতে নিয়ে কাঁন্না পাচ্ছে খুব।
এই চিঠি আর মল্লিকাকে দেয়া হবেনা।বলেই চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকলো ক্রমাগত..
ছেলেদের যে কাঁদতে নেই।মেয়েরা কাঁদলে হয় মায়াবতী,অসহায়..
আর ছেলেরা কাঁদলে হয় কাপুরুষ।
আমি সেই কাপুরুষ, যে কিনা চার দেয়ালের মাঝে বসে কাঁদছি।
এ কাঁন্নার কারন যে বেশ লজ্জার।
কিছুক্ষন বাদেই মুকুল আসলো আমায় ভাত খেতে ডাকতে..
আমি বলে দিলাম রাতে খাবনা।
রুম এর ভিতর থেকে শুনছি,মা -বাবা মল্লিকাকে নিয়ে কথা বলছে।
আমি দরজার পাশে গিয়ে শুনছি।
বাবা: ৩মেয়ের বাবা তার উপর এতো গুমোর?
মা: বাদ দেন তো।ছেলে আমাদের একটা। মেয়ের অভাব হবেনা।কালো মেয়ে আনা লাগবে কিসে?
ঘরের বউ যদি সাক্ষাৎ দূর্গার মতন দেখতে না হয় তাহলে তা দিয়ে কি পুজো করবো?
খুব যে বলতে ইচ্ছে করে,দূর্গার সাথে কি আমরা দেবী কালির পূজো দেইনা মা?
মুকুল: মা মেয়ের চেহারা তো সুন্দর।তাছাড়া কালো কই,শ্যাম বরনের।
মা: চুপ থাক।শ্যামলা তো তুই।মেয়েকে আমি প্রদীপ এর আলো দিয়ে ভালো ভাবে দেখেছি।মেয়ে কালোই।
বাবা: গোপাল জানে যে আমাদের ইন্দ্র এতো সুন্দর।তার জন্য কি করে এমন মেয়ে আনে?
গোপাল এর কথা ভেবে রাজি হলাম, ভাবলাম মেয়ের বাবার নাকি ১৬কানি জায়গা আছে।তা যদি ইন্দ্রর নামে লিখে দিত তাহলেও মানতাম।
আরে মেয়ের বাবা হলে মেয়ের জন্য কিছুতো দিতেই হবে।
মা: আপনি ভালো করে শুনেন,আমার ছেলের জন্য আমি সুন্দরী বউ চাই এটাই শেষ কথা।
মেয়ে কালো হলে আমার নাতী ও কালো হবে।আর আমার ছেলে কম কিসে।চাকরী করে মেলা বেতন এর।
এর সাথে বিয়ে দিতে কয়দিন পর লাইন লাগবে কন্যার বাপদের, দেখে নিয়েন।
১৬কানি জায়গা নয় ১০০কানি জায়গাতেও আমার ছেলের মত ছেলে পাওয়া জায়না।
তাদের কথা শুনে এখন আমি বুঝলাম আমার চাকরীর সাথে আমার বিয়ের সম্পর্ক এখানেই।
এখন বেশ বুঝছি,আমি শুধু পুরুষ নই আমি এমন নিখাদ স্বর্ণ যার দাম দিনে দিনে বাড়তেই থাকে...
আমি জানালার পাশে চেয়ারে এসে বসলাম।
জানালার পাশটা আমার ভিষন প্রিয়।ছোট বেলা থেকেই আমি অন্যান্য ছেলেদের মতন চঞ্চল ছিলাম না।যে সময় ছেলেরা খেলত আমি তখন জানালার পাশে বসে কবিতা লিখতাম।লেখাপড়ার দিকে আমার ঝোঁক বরাবরই বেশি।
তাই কাজ ও করি লেখাপড়া নিয়ে।পাশের নিকেতন স্কুল এর আমি মাস্টার মশাই।এর আগেও সবাই আমায় মাস্টারমশাই বলে চিনতো কারন আমি অনেক আগ থেকেই পাঠশালায় পড়াই।
রাতে ঘুম না আসলে জানালার পাশটায় এসে বসি।তুলসী তলার প্রদীপ দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে।
এ প্রদীপ মল্লিকার আর জ্বালানো হবেনা।
মল্লিকাকে নিয়ে কবিতা লিখতে বসলাম,
তুমি চির সবুজ মল্লিকা...
তুমি শিব নয়নের মহাতাপ..
মহাতাপ তুমি মহাতাপ...
তুমি সেই লাল চাঁদ,যত রূপের তুমি অপবাদ..
তুমি ইন্দ্রের অনুতাপ,তুমি অনুতাপ..
তুমি কুয়াশা ঝরা মেঘ..
স্রষ্টার তুমি মহাআবেগ..
তুমি যে ইন্দ্রের ই কায়া...
পৃথিবীর মায়া মল্লিকা...
স্বপনে যখন দেখলাম তোমায়..
যুগল কাঁপিলনা তোমার..
চোখের পাতাও পরিলনা একটিবার..
ডানা নেই তবু উড়ে উড়ে.
চলে গেলে তুমি না ফিরে..
ঘুম ভেজা চোখে লাফিয়ে উঠে বলি..
যেওনা. যেওনা... তুমি যে আমার ই মল্লিকা...
কবিতা লিখতে লিখতেই চোখে ঘোর লেগে এলো।
ঘুম ভেঙে যায় বাবার গলার আওয়াজে।
উঠে দেখি চেয়ারেই শুয়ে ছিলাম।
সারারাত এখানেই ঘুমিয়ে ছিলাম!
দরজা খুলে দেখি,গোপাল কাকু এসেছে।
বাবা বলছেন,দেখ গোপাল,ছেলে আমাদের ৫টা না ১০টা না একমাত্র ছেলে।ও মাষ্টার,এলাকায় ওর সম্মান আছে।
ওর স্কুলে যাবার জন্য একটা সাইকেল ই তো চেয়েছিলাম।
আমি ভাবছি মাস্টারমশাই শ্বশুরের দেয়া সাইকেল এ করে স্কুলে গেলে সম্মান কি আকাশ ছুঁই ছুঁই করবে?
গোপাল: দেখ চন্দ্র,নিমাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে।ওরে বুঝিয়েছি পণ ছাড়া মেয়ে বিয়ে দিতে পারবেনা।
মা: আহা দাদা,এটাকে পণ কেন বলছেন?এটা তো মা-বাবার দায়িত্ব মেয়েকে দেয়া।
গোপাল: বৌদি নিমাই রাজি হয়েছে।
বাবা: আর জায়গার বেপার?
গোপাল: দেখ তার আরো ২মেয়ে আছে তাদের বিয়ে দিতে হবেনা।
৪কানি করে এক একজনকে দিবে।
মা: না না তাহলে কি করে হয়?
আমি এর মাঝে বললাম,মা একটা দাঁড়িপাল্লা এনে আমার ওজন মেপে তাদের সেই পরিমানের অর্থ দিতে বলো।তাহলে ই তো হয়।
মা: তুই কথা বলিস না।মুকুল ইন্দ্রকে মুড়ি, গুড় দে।
আমি : গোপাল কাকুরে দে,আমি খাবনা।
মা: সে কি?রাত এ তো খাস নি?
আমি: না খেলে মরে যাব না।
তোমরা যা শুরু করেছো তাতে তো বোঝা যাচ্ছে আমাদের কিছু নেই।কয়দিন পর এমনিতেই না খেয়ে থাকা লাগবে।তাই জায়গা চাচ্ছো অন্যের কাছে।
বাবা: থাক বাবা তুই ঘরে যা।গোপাল তোর মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হলাম।
সামনে পূজো,পূজোর ৩দিন পর বিয়ের জন্য ভালো দিন আছে।
গোপাল কাকু খুশি হয়ে বললেন,তাহলে তো সময় খুব কম।আমি যাই নিমাইকে বলে আসি।কত আয়োজন বাকি...
এ কথা শুনে আমার মন অজান্তেই শান্ত হয়ে গেল।কেন জানিনা আমার খুব ভালো লাগছে..
মল্লিকার সাথে আমার বিয়ে হতে চলেছে..
এটা আমার কাছে অন্যতম পাওয়া..
একবার তাকে দেখার ইচ্ছে যে মনের ভিতর সুপ্ত করে রেখেছি...
সব স্বপ্ন লাগছে।নিজের গায়ে চিমটি দিয়ে বললাম,না এ স্বপ্ন নয়।আচ্ছা স্বপ্নে ও তো চিমটি কাটা যায়.
এই ভেবে নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে আর হাসিও পাচ্ছে...
গতরাতেও আমি তাকে স্বপ্ন দেখেছি।
মল্লিকা উঠনে এসে প্রদীপ জ্বলাচ্ছে আর বলছে,মাস্টারমশাই দেখুন প্রদীপ এর আলো কি আমার চেয়ে উজ্জ্বল??
চলবে...
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ