সকালে ঘুম ভাঙলো আম্মুর চেঁচামিচি শুনে।কানের উপর বালিশ দিয়েও তা এড়ানো যাচ্ছে না।
গেলাম তার রুম এ।গিয়ে দেখি বাবার সাথে ঝগড়া শুরু করছে।
আমি: কি হইছে?
আম্মু: দেখনা তোর বাপ আমার ছবি দেখে ভয় পাইছে...
এর মাঝেই বাবা আমায় বলে দেখ এই ছবি যদি হঠাৎ দেখে তাইলে ভয় কে পাবেনা বল?
ছবি হাতে নিয়ে দেখি ন্যাশনাল আইডি কার্ড আম্মুর।
খালি নাম ই ঠিক আছে ছবির যাচ্ছেতাই করে দিছে।
বাবা হেসে হেসে বলে,সকালে ড্রয়ার খুলে এই ছবি দেখে পুরা সম্মোহিত হবার পালা আমার।
আর আম্মুর কাঁদা কাঁদা অবস্থা।
আম্মুর কষ্টের আগুন দ্বিগুণ করতে হাজির হল আমার নানী।
সে তার ন্যাশনাল আইডি নিয়ে এসে হেসে হেসে আমায় দেখাচ্ছে,দেখ আমার ছবিটা ভালো হইছে।এক গাল হাসি দিয়া নানী ছবি তুলছে।
আমি ছবি দেখে বললাম,কই ছবি তো তোমার মতন লাগেনা।
নানী আমায় ঝাড়ি দিয়া বলতেছে,আরে এখন তো ২টা দাঁত আছে কিন্তু তখন সব দাঁত ই ছিল।
দেখ ওই যে পশ্চিম পাশের দাঁত যেটা একটু উত্তর দিকে হেলানো ওটা তোর নানা আমায় ৫০তম বিবাহবার্ষিকী তে বাধিয়ে দিয়েছিল।
আমি: নানী দাঁত আবার উত্তর-দক্ষিন আছে?
নানী : হুম আছেতো।দেখ ওই দাঁত টা সব দাঁত এর চেয়ে উজ্জ্বল।
তোর নানা বলছিল এক এক বছর এক একটা দাঁত বাধায়ে দিবে।
আমি: তাইলে এখন ঘাটলা খালি কেন?বঁধায়না কেন?
নানী : একবার ডাক্তারের কাছে গেছিলাম দাঁত ফালাতে সে যেটা ফালানোর কথা সেটা না ফেলে আমার বাধানো দাঁত ফালায় দিছে।
আমি: ব্যাথা পাওনায়?
নানী : তাইলে আবার?গেছিলাম রিকশায় বাসায় ফিরছি এম্বুলেন্স এ।
ওই ডাক্তার রে রাগ করে বললাম আমার রূপার দাঁত এর টাকা দেন।সে বলে এ দাঁত নাকি রূপার না। কিন্তু তোর নানা আমায় বলছিল রূপার।
এতো মিথ্যাবাদী তোর নানা...তাই আর নতুন করে বাধাইনাই
দেখা যাবে মুক্তার দাঁত বলে আমায় পোমা মাছের দাঁত লাগাইয়া দিল।
আমি:নানী মাঝে মাঝে অনেক বুড়া মানুষ দাঁত দান করে যায়। তোমার ওই উজ্জ্বল দাঁত ও মনেহয় বুড়া কারো।
এখন নানীর কাঁন্না কাঁন্না অবস্থা।
এর মাঝেই আম্মু ক্ষেপে বলছে,মানুষ তার নাতীর কাছে ছবি দেখিয়ে বলবে দেখ তোর নানী কি সুন্দরী ছিল।
আর আমি বলবো, দেখ তোর নানী এলিয়েন ছিল।
বাবা আবার বলে,নাতীদের ভুতের ভয় দেখানো যাবে।
আম্মু: ধূর! আমি এখন ই যাব নির্বাচন অফিস এ।
আমি নানী আর আম্মু এই ৩জেনারেশন চললাম নির্বাচন অফিস এ।
আম্মু গিয়েই এক লোককে বলছে, আচ্ছা ভাই ১০নম্বর ওয়ার্ড এর ছবি যে তুলছে সে লোক কই?
লোক হেসে হেসে বলছে কেন মেডাম?
আম্মু: তার নামে মামলা করুম।
লোক ভয়ে পেয়ে বলতেছে,কেন সে কি করছে?কিসের মামলা?
আম্মু: এসিড মারছে।
লোক: কারে?
আম্মু ছবি তার হাতে দিয়ে বলছে,দেখেনতো এই ছবির চেহারার "চ" ও বুঝতে পারেন?
উনি ছবিতে এসিড মেরে চেহারাই ফালাইছে আউলা ঝাউলা করে।
লোক: আচ্ছা এ ছবি পরিবর্তন করা যাবে।
আপনি নতুন করে আজ ছবি তুলে যান।
আহ..যে মা বেশি সাজুগুজু করেনা সে আজ ছবি তোলার জন্য ৩০মিনিট ঘষা মাজা করছে।
নানী আমার কানের কাছে এসে বলতেছে তোমার আইডি আনছো?
আমি: না ওইটা দেখে আমি নিজেই ভয় পাইছিলাম তাই নিজের যাতে আর দেখা না লাগে এমন জায়গায় লুকাইছি,এখন তা নিজেই খুঁজে পাইনা।
এর মাঝে নানীর কাছে ওই লোক তার আইডি চাইলো।
আইডি দিতেই লোক নানীরে বলে কি আপনার টা ও চেইঞ্জ করবেন?
নানী তার হাত থেকে বাঘের মতন আইডি থাবা দিয়ে নিয়েই বলে,আমার রূপার দাঁত উঠাইয়া দেয়ার ধান্দা।এই বলেই আমায় নিয়ে তরতর করে অফিস থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
লোক পিছন থেকে চেঁচিয়ে বলছে,ও চাচী আমরা ছবি তুলি দাঁত ফালাইনা।
নানী : আপনারা সব পারেন।
আমি: নানী চলো আরেকবার এম্বুলেন্স এ উঠি ।
নানী : না তাড়াতাড়ি চল।
এমন ভাবে যাচ্ছে মনে হয় পিছনে পাগলা কুকুর ধাওয়া করছে....😂
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ