āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3877 (3)

#প্রায়শ্চিত্ত ৫ম পর্ব।
লেখা: Umme Nipa

রিয়া: কি তাকিয়ে আছো কেন?

জিহান: এসব কে বলেছে?মা?

রিয়া: কোনসব?

জিহান: এই যে আমাদের পরিবার এর ইতিহাস?

রিয়া: নেশা করে মাথা গেছে নাকি?কিসের ইতিহাস-ভুগোল নিয়ে কথা বলছো?

জিহান: তুমি জানো ওই লোক আমার বাবা না?

রিয়া: কোন লোক?

জিহান: এহসান..

রিয়া: বাবা না হোক তবে সে তোমার বড় নয়?
নাম ধরে ডাকো কেন?
আজ সে না থাকলে তোমার মাকে ইনকাম এর জন্য চাকরী করতে হত।
মাকে কতক্ষন এর জন্য পেতে?

সমাজ এর কথা বাদ ই দিলাম।
মেয়ে মানুষ... হয়তো তোমার মায়ের দশা ও আমার মতন হত।
ছলনা করে কেউ ভোগ করে ফেলে দিত নর্দমায়..

জিহান এসব কথা শুনেই রিয়ার গলা টিপে ধরলো..
একদম চুপ...আমার মায়ের নামে আর একটা বাজে কথা বললে গলা টিপে মেরে ফেলবো।

রিয়া জিহান এর দিকে তাকিয়ে বললো তার সাথে কিন্তু এমন হয়নি।
তা শুধু তোমার এই বাবার জন্য।
সে ছায়ার মতন দাড়িয়েছে।

কিন্তু আমার অবস্থা দেখো...আমার উপর ছায়াটাই নেই।

জিহান: কেন?তোর বাপ...
সে দেখি মারতে আসছিল আমায়...

রিয়া: তাকে তো আমি মেরে ফেলেছি।

জিহান গলা থেকে হাত সরিয়ে নিল।
মারছিস মানে?

রিয়া: সেবারের ধাক্কা টা বাবা নিতে পারেনি।
এলাকার মানুষ বাবাকে অনেক কথা শুনাতো।
এর জন্য বাসা ও পরিবর্তন করেছিলাম তবে কাজ হয়নি।
দেড় মাসের মাথায় বাবা মারা যায়।

আমার বাবা আমায় আদর করে রিয়ামনি ডাকতেন।
ওই ঘটনার পর আমায় আর বাবা ডাকেনি।

জিহান এর জামার কলার ধরে রিয়া বলছে,এমনটা কেন করলে আমার সাথে?

ভালোই তো বেসেছিলাম।অল্প সময়ে খুব আস্থা রেখেছিলাম।
কেন করলে.?
আমার অতীতটা আর দশটা মেয়ের মতন হাসি-খুশি হতে পারতোনা?

জিহান কিছু বলছেনা।ওর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে পশুত্বের প্রলেপ দেয়া মনের ভিতর কোন এক আনাচে কানাচে লুকানো বিবেক টা জেগে উঠছে...

জিহান ওর কলার থেকে রিয়ার হাত সরিয়ে দিল।

জিহান: আচ্ছা আমার কি করতে হবে? পুলিশ এ দিয়ে দে আমায়..
ফাঁশি দিয়ে দে।

রিয়া হেসে দিল।যে হাসি তাচ্ছিল্যের...করুনার..

রিয়া: যেই মানুষ টা দিনের পর দিন মুখে খাবার তুলে দিল তাকেই সম্মান করতে পারিস না তারপর তো বাইরের মানুষ কে..
আমার বাবা মারা যাবার পর আমি বুঝি জীবন কি?
বাবার ভালোবাসা কি?
মানুষ কে আপন করতে শেখ...দেখবি মরার আগ অবধি ভালো থাকবি।
প্রায়শ্চিত্ত করতে শেখ,দেখবি মন পবিত্র লাগবে।

এই বলে রিয়া চলে যেতে নিল এর মাঝেই পিছন থেকে জিহান বললো,আচ্ছা আমি কি করা উচিৎ?

রিয়া ফিরে বললো,মায়ের কাছে ক্ষমা চা..বাবাকে বাবা বলে ডাক.

জিহান: বাবা বলে ডাকতে পারবোনা।

রিয়া: আচ্ছা তাহলে সম্মান কর অন্তত।কৃতজ্ঞ থাকতে শেখ।

জিহান: আচ্ছা আমি সব করবো তবে আমার কথা রাখতে হবে?

রিয়া: কি বাসা থেকে চলে যেতে হবে?

জিহান:না।
রিয়া: তো?

জিহান: আমার বন্ধুদের সামনে আসবেনা কখনো...

রিয়া হেসে বললো দেখছিস...অন্যায় এমন জিনিস যা
লজ্জার কারন হয়।
আচ্ছা যাবনা। ওদের সামনে আমার যাবার ইচ্ছেও নেই।

রিয়া পাশের রুমে গিয়ে ওর বাবার ছবি নিয়ে কাঁদছে।
কার পাপের শাস্তি কে পেল।
বাবার ভুলটা আর ভাঙানো হলনা।
জিহান দরজার আড়ালে বসে দেখছে।
জিহান ওর রুমে গিয়ে গিটার বাজিয়ে গান গাইতে শুরু
করলো....

"তোমার জন্য নীল সেতারার একটুখানি আলোয়.....

রিয়া গান শুনে নিজের কান চেপে ধরে বলছে এ গান ই
আমার কাল...
সৃষ্টিকর্তা পশুর মাঝেও গুনাবলি দেন তবে পশুরা তা
বোঝেনা...

রিয়ার শ্বশুর মশাই রিয়ার ঘরে আসলো..
রিয়ার মাথায় হাত রেখে বলছে,মা তুই কি জাদু জানিস?
রিয়া কেঁদে কেঁদে বললো জাদু যদি জানতাম আমার
বাবাকে একবার আমি আনতাম জাদু দিয়ে।
একবার বলতাম বাবা আমি কিছু করিনি,শুধু ভরসা
করেছিললাম..বিশ্বাস করেছিলাম..

রিয়ার শ্বশুর: জিহান আজ আমার কাছে এসেছে।নিজ
ইচ্ছায় এসেছে।১৭বছরে এই প্রথম আমার সাথে এমন করে
কথা বললো..

রিয়া: কি বলেছে?

শ্বশুর: আমার কম্পনিতে তাকে যাতে একটা চাকরী দেই।

রিয়া: বাবা মানুষ সব কিছু শেষ করে তারপর কেন নিজের
ভুল বুঝতে পারে?
আমি কেন আগে বুঝলাম না জিহান এর উদ্দেশ্য?
আর জিহান এর বা ১৭বছর লেগে গেল কেন বুঝতে যে ও
খারাপ?
কেন বাবা বলতে পারেন?
শ্বশুর: কেঁদনা...এটাও বা কম কিসের?

আমার একটা মেয়ের শখ ছিল পেয়ে গেলাম...
কিছুদিন যাবত জিহান এর ব্যবহার অন্য রকম করছে,অনেক পরিবর্তন...
রিয়াকে তুই করে বলেনা।
মায়ের সাথে ও চেঁচামিচি করেনা।
বেশিরভাগ সময় ই বাসায় বসে সিগারেট খায় আর গান
গায়...

বিকালে রিয়া শুয়ে আছে জিহান রিয়ার রুমে এসে
বিছানার পাশে বসলো...
রিয়াকে বলছে,এ রুমে না শুয়ে আমার রুমে গিয়ে শুতে
পারো.

রিয়া উঠে বসে জিহান এর দিকে রাগ করে তাকিয়ে
বলছে,কেন তোর বন্ধুদের খবর দিবি?
জিহান: মানে?
রিয়া: কিছু বুঝনা? আগে তো ব্লাকমেইল করে আমায়
নিয়ে বন্ধুদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করতে চেয়েছিলি
আজ তো বিয়ে করা বউ...
ব্লাকমেইল লাগবেনা...বন্ধুরা মিলে...
এর মাঝেই ঠাটিয়ে চর দিল রিয়ার গালে।
আমি যদি আগের মতন থাকতাম এসব কথায় আমার কিছু
হতনা বরং ভালোই লাগতো কিন্তু তুমি আমার দূর্বলতার
সুযোগ নিতেছো..

রিয়া: তুমি.. তুমি করা বাদ দে।
তোর মুখে মানায়না এসব...

জিহান বাসা থেকে রাগ করে বের হয়ে গেল।
রাত ১০:৩০ রিয়ার মা রিয়ার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলছে...
একপর্যায় মা বলছে, রিয়া যা গেছে তো গেছেই,মন দিয়ে
সংসার কর মা।জিহান তো মেনে নিয়েছেই।

রিয়া: মা ও মেনে নেয়ার কে?
আমি ওকে মেনে নেইনি।

মা: তাহলে বিয়ে কেন করলি?আমি তো বারন
করেছিলাম।

রিয়া: ওকে আমি মারবো,তিলে.. তিলে....
পুলিশ এ দিলে ও ছাড়া পেয়ে যেত পরে আমার উপর
প্রতিশোধ নিত আবার।
তার চেয়ে ওর এমন অবস্থা করবো যাতে প্রতিশোধ নেয়ার অবস্থায় ই না থাকে।

এমন সময় ই জিহান দরজার পাশ থেকে বলে উঠলো তাহলে
আমার ধারনাই ঠিক?
তুই আমায় খুন করতে এসেছিস?
বাহ..

রিয়া ফোন কেটে দিয়ে বললো,তুই আজ ও নেশা করেছিস?

জিহান: চুপ থাক খুনি।
এই বলেই রিয়ার চুল ধরে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে
দিল।

জিহান: দেখ আজ কে কাকে খুন করে?
আজ ই তোর শেষ দিন...আমায় মারবি তুই এই বলে রিয়ার
গলা টিপে ধরলো..

রিয়া জিহান কে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।
রান্নাঘর থেকে তেতুল পানি নিয়ে এসে জিহান এর মুখে
তুলতেই
জিহান নেশার ঘোরে বলছে,কি বিষ দিচ্ছিস?
বিষ?
আচ্ছা দে আমি খাই।আমি মরতে ভয় পাইনা।তুই না
বলছিলি প্রায়শ্চিত্ত করতে, নে আজ করলাম।
এই বলে তেতুল পানি খেয়ে নিল...

খাবার পর রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে বলতেছে,কি
খুশি?তোর প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে?
এরপর গিয়ে একজন দেখে বিয়ে করে নিস কেমন।
রিয়ার ওর এ অবস্থা দেখে খারাপ লাগছে খুব...
মানুষ এর মন আর যে মনে এই মানুষটির জন্য ভালোবাসা
ছিল তার এমন অবস্থা দেখে রিয়া নিজের চোখ কে
সামলাতে পারছেনা।

এর মাঝেই জিহান বমি করে দিল...
রিয়া সব নিজের হাতে পরিষ্কার করে জিহানকে বিছানায় শুয়িয়ে দিল..
জিহান চোখ বন্ধ করে আছে।চোখ বেয়ে পানি ঝরছে...

রিয়া জিহানকে শুয়িয়ে দিয়ে যেতে নিলেই জিহান হাত
ধরে বললো,তুই কিরে?আমি এতো মারলাম...আর তবুও তুই
আমার বমি পরিস্কার করছিস?
এখন আমায় মারতে সুবিধা হবে মেরে ফেল।

রিয়া জিহান এর কানের কাছে এসে বললো,আমি দূর্বল
মানুষ এর উপর প্রতিশোধ নেইনা।
যে প্রতিশোধ নিলে কষ্ট সবচেয়ে তীব্র হয় আমি সেভাবেই নিব।

জিহান উঠে রিয়ার হাত ধরে বলছে আমায় মাফ করা
যায়না রিয়া?

রিয়া হাত সরিয়ে নিয়ে বললো,না...

জিহান উঠে অন্য রুম এ চলে গেল...
রিয়া গিয়ে দেখে রুমের দরজা বন্ধ করে ফেলেছে...

রিয়া দরজায় নক করছে কিন্তু কোন সারা শব্দ নেই।

রিয়া:জিহান আমি কি এতো রাতে বাসা থেকে বের হয়ে
যাব?

জিহান:অপেক্ষা করো মুক্তি দিতেছি।

রিয়া ভয় পেয়ে গেল।ও যদি ওর বাবার মত সুইসাইড করে
তাহলে তো আমার আর প্রতিশোধ নেয়া হবেনা।এই ভেবে
রিয়া দরজা ধাক্কা দিতে থাকে...

জিহান খোল দরজা,আমি ক্ষমা করে দিয়েছি...

জিহান দরজা খুললো..

রিয়া ভিতরে গিয়ে দেখে তার ধারনাই ঠিক,। পাখায়
রিয়ার ওড়না ঝুলছে।

রিয়া: জিহান এসব কি?

জিহান রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়ে বললো,রিয়া
আমায় ক্ষমা করে দেও প্লিস।আমি বড় অন্যায় করে
ফেলেছি।কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি আমি ভালো রাখবো
তোমায়।

রিয়ার ও কাঁন্না থামাতে পারছেনা।
আজ রিয়া জিহান কে প্রত্যাক্ষান করতে পারছেনা।

রিয়া: জিহান সুইসাইড করলে তো আমার প্রতিশোধ নেয়া
হবেনা।
জিহান আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,আমি আমার
ভালোবাসা আদায় করে নিব।

সকালে ঘুম ভেঙে যায় রিয়ার।জিহান এর হাতের উপর
মাথা রেখে শুয়ে আছে।

রিয়ার নিজের প্রতি খুব রাগ হচ্ছে।
গতরাতে নিজেকে সামলানো উচিৎ ছিল।
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে রিয়া ছাদ এ গিয়ে ভিজছে।
পাশের ছাদ দেখে নিজের অতীত সব মনে পরে যাচ্ছে।
নিজের অতীত কে সে চাইলেও ভুলতে পারবেনা কখনো।
আচ্ছা আমি কি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি? না আমার আরো শক্ত হতে হবে,এসব ভাবনায় রিয়া মগ্ন..

এর মাঝেই রিয়ার কাঁধে কারো হাত টের পেয়ে থমকে গিয়ে
পিছনে তাকিয়ে দেখে জিহান..

জিহান: ভিজছো কেন?

রিয়া কথা বলছেনা।

জিহান: আচ্ছা উনি তোমায় পেল কি করে?
রিয়া: কে?

জিহান আমতা আমতা করে বলছে...,
বা.....বা

রিয়া : ছোট বোনের স্কুলে স্পোর্টস ছিল।
আমি গিয়েছিলাম ওর সাথে।
তোমার ভাই ও সেই স্কুল এ পড়ে। ও আমায় দেখে বাবাকে
বলছে আমার কথা সে তখন প্রথম আমার সাথে কথা
বললো।
প্রথম আমি চিনিনি পরে যখন শুনলাম সে তোমার বাবা
তখন আমি তার সাথে কথা না বলে বাসায় চলে যাই।

একদিন হুট করেই আমার ছোট বোনের সাথে বাবা
আমাদের বাসায় চলে আসে..
সে নাকি দেশের বাইরে ছিল।এসে সব ই শুনেছে।অদ্ভুত
বেপার হল সে আমায় খুঁজেছিল অনেক।
আমায় বললো আমি যদি পুলিশ এ দিতে চাই তাহলে দিতে
পারি।
অন্যায়ের শাস্তি না পেলে আরো অন্যায় করার সাহস পেয়ে যায়।
আমি বললাম,আমি কিছু চাইনা আমি ওকে বিয়ে করতে চাই।
এর চেয়ে বড় শাস্তি কি হতে পারে..
আমি ওকে বুঝিয়ে দিতে চাই আমি ফেলে দেয়ার মতন
মেয়ে নই।

মায়ের মত ছিলনা তবুও আমার জন্য রাজী হয়েছিল।

যে পাত্রীর ছবি তোমায় দেখানো হয়েছিল সে আমার কাজিন।
বাকি সব লুকিয়ে বিয়েতে যা যা করা হয়েছে সব ই বাবা
সামলেছেন.
এই দিক দিয়ে আমি খুব ভাগ্যববতী।

জিহান: এখনো কি আমার উপর ক্ষোভ আছে?আমরা কি
সংসার করতে পারিনা?

রিয়া জিহান এর দিকে তাকিয়ে হাসছে...
সংসার?তাও তোর সাথে?
তুই কি ভেবেছিস গত রাতের জন্য আমি তোর উপর দূর্বল
হয়ে যাব?
তুই আমার বাবার খুনি..তোকে আমি আজ ও শত্রু ভাবি আর
আগামীদিন ও ভাববো এই বলে ছাদ থেকে নেমে গেল...
জিহান ভিজছে একা একা আর ভাবছে
কিছু কর্মের জন্য আজীবন কাঁদতে হয়।
হয়তো আমার কপালেও তাই ছিল..

আচ্ছা,এই প্রায়শ্চিত্তের শেষ কোথায়?
এটা ভেবেই জিহান এর চোখ ঝাপ্সা হয়ে এলো..

চলবে..
...

#প্রায়শ্চিত্ত (৬ষ্ঠ এবং শেষ পর্ব)
লেখাঃ Umme Nipa

এর পর রিয়া যতটা পেরেছে জিহানকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে..
জিহান যতক্ষন বাসায় থাকে রিয়া তার রুমে দরজা বন্ধ করে থাকে।

শ্বশুর -শাশুড়ি  ভাবছে ঝগড়া কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।

ধীরে  ধীরে জিহান খুব গোছালো হয়ে উঠে আর রিয়া ভেঙে পরে।
তার কি করা উচিৎ সে বুঝতে পারেনা।

জিহান কথা বলার হাজার চেষ্টা করায় ও লাভ হচ্ছেনা..

এইতো সেদিন জিহান রিয়ার রুমে যেতেই রিয়া চেঁচিয়ে ঘর মাথায় তুলে ফেলে।
বাসার সবাই ঘুম ভেঙে রিয়ার রুমে এসে দেখে জিহান মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
নিজের বউয়ের ঘরে রাত-বিরাতে লুকিয়ে চোর এর মতন এবং তা সবাই দেখে ফেলা এটা সত্যি ই লজ্জাজনক।
জিহান সেদিন ই শেষ রিয়ার ঘরে যায়।
বার বার রিয়ার দরজার সামনে এসে কাশি বা বিভিন্ন ইংগিত দেয় তা রিয়া বুঝেও না বোঝার ভান করে।

শুক্রবার দুপুরে রিয়া কিছু রিপোর্ট হাতে নিয়ে দিধায় পরে যায়। কিছু মানুষ সারাজীবন ই ভুল পদক্ষেপ নেয় আমিও সেই ধরনের মানুষ..
এই ভেবে মেঝের এক কোনে বসে বসে কাঁদছে।

পেটে হাত দিয়ে ভাবছে,শেষ পর্যন্ত আমি ওই লম্পট, চরিত্রহীন এর সন্তান এর মা হতে যাচ্ছি!
আমি কেন সেদিন আবার ওর মুখ দেখে ভুলে গেলাম স
কি করে ভুলে গেলাম আমি বলেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে...

এর মাঝেই জিহান এর রুম থেকে গান ভেসে আসলো,
" এখন আমি অন্য আমি হয়ে ছুটে
চলি তোমারি শহরে হারিয়ে চোখের যত ঘুম"

আজকাল জিহান এর গানে রিয়ার বিরক্তি যেন বেড়ে যায়।
রিয়া জিহান এর রুমে গিয়ে গিটার টা জিহান এর কাছ থেকে নিয়ে ফেলে দিল।

জিহান: কি বেপার?

রিয়া চেঁচিয়ে বলছে গান আমার ভালোলাগেনা বলছিনা একবার?

জিহান: আস্তে বলো।

রিয়া: একদম চুপ।ন্যাকামি রাখ অনেক হয়েছে অভিনয়।

সাপ যতই খোলস বদলায় না কেন সাপ এর বিষ এক ই থাকে।

জিহান: রিয়া মানুষ এর নেয়ার কিন্তু লিমিট আছে।

রিয়া: আমার ও তেমন।আমি ও এর চেয়ে বহুত নিয়েছি।
বিশ্বাস ভেঙেছে, বাবাকে হারিয়েছি আর এখন লম্পট এর বাচ্চা ধা..

জিহান: কি?

রিয়া: কিছুনা।

জিহান: বাচ্চা শুনলাম।

রিয়া পা দিয়ে গিটার কে লাথি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

একের পর এর ধোঁয়ায় জিহান এর রুম অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে তবুও তার কিছুর উত্তর মিলেনা।
রিয়া কি বলে থেমে গেল!

ভোরে ঘুম ভাঙতেই জিহান বালিশের পাশে চিঠি পায়।

চিঠিতে লেখা,
জিহান একসময় আমি তোমায় বর হিসেবে চাইতাম।আমার চাওয়ায় ছলনা ছিলনা কিন্তু তখন পাইনি বরং সে চাওয়াই যেন অভিশাপ হয়ে এসেছিল।
আর যখন চাইনি কিছু হিসেবেই তখন ই বউ হয়ে গেলাম।
আমি কখনই মানতে পারবো না তোমায়।
প্রতিশোধ নেয়ার ছিল তবে তা নিতে আমি পারিনি।
কিছু মানুষ আসলে শক্ত হতে পারেনা।
দূরে রাখতে গিয়ে নিজেকে বারংবার আমি তোমার কাছে এসে পরেছি।
আমি তোমার অনিচ্ছা এবং জোর করে আমায় সহ্য করাতে চেয়েছিলাম,যাতে তুমি কষ্ট পাও তবে তুমি আমার ইচ্ছায় পানি ঢেলে দিলে।
তুমি নিজেকেই পাল্টে ফেললে..
সাথে আমার জীবন ও।
আমি আজ একা ফিরে আসিনি সাথে তোমার সন্তান কেও নিয়ে এসেছি।
অনেক ভাবার পর ও আমি ওকে পৃথিবীতে না এনে পারছিনা।
শত হলেও মা তো আমি?
তবে ওকে কখনই তোমার কথা জানাবো না।
ওর আশেপাশেও তোমার ছায়া পরতে দিবনা।
আমি চাইনা আমার সন্তান ও লম্পট এর সান্নিধ্য পাক..
আশা করি আমায় আমার মতন থাকতে দিবে।
মুক্তি  দিলাম তোমায়...আল্লাহ হাফেজ..

চিঠি পড়া মাত্রই জিহান এর সব এলোমেলো লাগছে।

রিয়া ক্ষমাতো মহৎ গুন,তুমি একবার পারলেনা আমায় ক্ষমা করতে?
তাহলে আমার সাথে তোমার পার্থক্য কই রইলো...
এই ভেবেই জিহান নিজেকে সান্তনা দিচ্ছে।

রিয়া মায়ের কাছে গিয়েছে,ভবিষ্যৎ কি করে চলবে তা রিয়া জানেনা।

রিয়া ওর মায়ের পায়ের উপর মাথা রেখে মাকে বলছে,মা আমি আমার বাবার খুনের বিচার করেছি।

রিয়ার মা কাঁদছে।

আমার বাবার কাছ থেকে তার সন্তানকে যেমন দূরে সরিয়ে দিয়েছিল আমিও তেমনি ওকে ওর সন্তান থেকে সরিয়ে দিলাম।

মা: দেখ ও আর তুই কি এক?

রিয়া চুপ করে আছে।

ভোরে ঘুম ভাঙলো মায়ের কথা শুনে..
বাবা পা ছাড়ো.কি করছো..

রিয়া রুম থেকে বের হয়ে দেখে জিহান ওর মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাচ্ছে।
মা আমি আমার বাবাকে পাইনি বেশিদিন। আমার সন্তানকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে দিয়েন না মা।রিয়াকে কিছু বলেন।

রিয়া ওর রুমে গিয়ে বিছানায় বসে রইলো।
কিচ্ছুক্ষন পর জিহান এসে পাশে দাড়ালো.

রিয়া: কি এই একটা জিনিসেও ছাড় দিতে পারলেনা?
সন্তান কেও চাই তোমার?
সবকিছু পাওয়ার দলে থাকতে চাও তাইনা?
ওকে আসতে দেও আমি দিয়ে দিব তোমায়।
শুধু আসতে দেও।আমি কিছুই রাখিনি নিজের জন্য আজ ও রাখবো না।

জিহান রিয়ার পায়ের কাছে বসে রিয়ার হাত ওর কপালের কাছে নিয়ে বলছে রিয়া তোমার উপর জোর খাটানোর মতন আমার সাহস নেই।
আমার সন্তান এর কথা বলে একটু জোর খাটাতে পেরে আমি খুশি।
যে মানুষ আমায় বাচ্চার বাবা কি এটা শিখালো সেই মানুষটার কাছে আমার যে অনেক কিছু শেখার বাকি...
রিয়া মানুষ ভুল বুঝতে পারা কি প্রায়শ্চিত্ত নয়?
আমি ভালো মানুষ হয়ে মরতে চাই রিয়া।
আমার সন্তান কে আমি সুন্দর ভবিষ্যৎ দিতে চাই।
আমার সন্তান অন্য কারো পরিচয় বড় হোক তা আমি চাইনা।
আমার মতন আমার বাচ্চা হোক বিশ্বাস করো আমি তা চাইনা।
আমায় একবার সুযোগ দেও প্লিস।
জীবনে কখনো প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ এলে আমি ভয় পাবনা।মাথা উঁচু করে সে শাস্তি মাথা পেতে নিব।
শুধু একবার আমায় প্রমান করার সুযোগ দেও আমি মানুষ হতে পেরেছি..

রিয়া  বিছানা থেকে নিচে নেমে বসে জিহান এর হাত ধরে কাঁদছে।

রিয়া: আমি আর শাস্তি দিতে পারলাম না তোমায়...
আমি আমার সন্তান কে নিয়ে ভালো থাকতে চাই...

জিহান রিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,এর চেয়ে আস্থার জায়গা কি রিয়া আছে?

রিয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

জিহান এর চোখ যায় রিয়ার গলায় দাগ এর দিকে।

রিয়া এ দাগ কিসের?

রিয়া: অপমান এর দাগ।মরতে চাইবার দাগ।ওড়না পেঁচিয়ে মরতে গিয়েও সেবার বেঁচে গেছি তার প্রমান।

জিহান গলায় চুমো দিয়ে বললো আর কোন দাগ লাগতে দিবনা আমি।কখনো না..

৪মাস পর..

জিহান মা আর সন্তান এর খুব খেয়াল রাখছে।
রিয়ার কিছু লাগবে কিনা তা রিয়ার আগে জিহান বুঝে যায়।

বাবা হয়ে জিহান এক ধাক্কায় বেশ বড় হয়ে গেছে।
সকালে ঘুম ভেঙে দেখে জিহান সেভ করছে।

রিয়া: তোমায় না বললাম আমার খোঁচা দাড়ি ভালো লাগে।
তুমি সেভ করছো যে?

জিহান: এখন আর বাচ্চার মায়ের কথা ভাবার সময় নাই।বাচ্চারে চুমো দিব ভেবে সিগারেট বাদ দিলাম তারপর তো আবার দাড়ি
পুটির নরম গালে দাড়ির খোঁচা লাগলে ব্যাথা লাগবেনা বুঝি?

রিয়ার চুপ হয়ে গেল।চোখে পানি ছল ছল করছে।
জিহান রিয়ার কাছে এসে বলে,কি হয়েছে?

রিয়া: আমার বাবাও পুঁটি ডাকতো আমায়।

জিহান: তুমি এখন আমার বাচ্চাকে কাঁদাচ্ছ কেন?

রিয়া: কই?

জিহান: এই যে মা খেলে নাকি বাচ্চা খায়।তেমনি মা কাঁদলে তো বাচ্চাও কাদে তাইনা?

রিয়া হেসে দিল,শোন দাড়ি রাখো,বাচ্চার বাবার মত লাগতে হবেনা?
নইলে ছেলে আর বাবাকে বন্ধু লাগবে।

জিহান: ছেলেনা,পুটি আমার মেয়ে।মেয়ের বাবা ইয়াং থাকতে হয়।

রিয়া: হয়েছে যাও গোসলে।

জিহান গোসলে যেতেই জিহান এর ফোন বেজে উঠলো।
রিয়া ফোন হাতে নিয়ে দেখে আতিক...

আতিক এর সাথেও এখনো কথা বলে..ফোন কেটে দিল..
আবার কল দিচ্ছে।

রিয়া রিসিভ করতেও ওপাশ থেকে,মামা জব্বর খবর আছে,নতুন মাল এর সন্ধান পাইছি।
মাইয়া সেই সুন্দরী.. আজ বিকাল ৫টায় রেইনবো বডিং এ আসবে।
তুই ৪টায় ৩০৪ নম্বর রুমে আসিস।লিমন ও আছে।এইবার নিজেদের ভিডিও করতে হবেনা।সি.সি ক্যামেরা আছে..

রিয়া শুনেই ফোন কেটে দিল।
রিয়া স্তব্ধ হয়ে আছে।জিহান এখনো এসব ভাবে?
ছিঃ কি করে এমন বন্ধুর সাথে এখনো যোগাযোগ রাখে..
আমার সন্তান এর কসম দিয়েছিলে আর কোন নোংড়া কাজ করবেনা তবুও এমন করছে,আচ্ছা তাহলে চরম শিক্ষা পাবে..

জিহানের বের হবার শব্দ শুনেই ফোন রেখে দিল।

জিহান:রিয়া মাকে বলো ভাত দিতে,আমি বের হবো।

রিয়া:কই যাবে?

জিহান: কাজ আছে কিছু কেনাকাটা ও লাগবে।

রিয়া ভাবছে,ছি এখনো এতো মিথ্যা কথা...

জিহান বের হতেই রিয়া তৈরী হয়ে বের হলো।
আজ হাতে নাতে ধরে সব কিছুর অবসান করবে এই ভেবেই চললো গন্তব্যে...

৩০৪ নম্বর রুমের সামনে গিয়ে  রিয়া ভাবছে, আজ ই জিহান আর আমার সম্পর্কের ইতি।
চিরজীবন এর মতন ওর চোখে ওর অপরাধ ধরিয়ে দিয়ে আমি চলে যাব আমার সন্তান কে নিয়ে।আমার সন্তানকে আর ওর ছায়া মাড়াতে দিবনা।

দরজা নক করতেই লিমন দরজা খুললো..

রিয়া ভিতরে গিয়েই জিহান...জিহান কই?
একবার তুই আমার সামনে আয়..
কুকুরের লেজ যে সোজা হয়না তা তুই প্রমান দিলি।
আয় সামনে...

১ঘন্টা পর আতিক জিহানকে কল দিল...
জিহান: হুম বল..

আতিক: তোরেনা বডিং এ আইতে কইলাম।

জিহান: দেখ আমি আজ বাদে কাল বাবা হবো,আমি আর নিজেকে কোন নোংড়ামিতে জড়াতে চাইনা।

আতিক: দোস্ত একটা বড়সড় ঝামেলায় ফেঁসে গেছিরে।বাঁচা দোস্ত..

জিহান: আতিক আমি পরে কথা বলছি,তোর ভাবিকে খুঁজে পাচ্ছিনা।

আতিক: জিহান আমরা ভুল করে ১টা মাডার করে ফেলছিরে..

জিহান: কি বলিস?কাকে?

আতিক: আরেহ তুই ও চিনস,ওই যে রিয়া আসিলনা তোগো এলাকার ওই মাইয়া আমাগো প্লান ই নষ্ট করে দিতে চাইছে,আমি বুঝতে পারিনি যে ও মারা যাবে।

জিহান এর সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে এলো..
কিনে আনা অনাগত সন্তানের জন্য খেলনা হাত থেকে পরে গেল..

জিহান সেই মুহূর্তেই বডিং এ গিয়ে দেখে রিয়া মেঝেতে পরে আছে।সারা মেঝে রক্তে ঢুবে গেছে...

মনে হচ্ছে বড্ড অভিমান করে পরে আছে।
রিয়ার মাথা তুলে জিহান বুকে চেপে ধরে বললো তোরা আমার বউটাকে মেরে ফেললি?
আমার সন্তান কে তোরা শেষ করে ফেললি?

লিমন: কি কস?

জিহান চেঁচিয়ে বলে,রিয়া তুমি জিতে গেছো... সবচেয়ে বড় শাস্তি তুমি আমায় দিতে পেরেছো..
রিয়া তুমি খুশি তো?
আমায় আর পাপী বলতে পারবেনা...আমার কাছ থেকে তুমি সব কেড়ে নিতে পেরেছো রিয়া।

আতিক: দোস্ত আস্তে সবাই এসে পরবে।

জিহান এর কাঁন্না শুনে আশেপাশে অনেক লোক এসে ভিড় করেছে।
কিছুক্ষন এর মাঝে পুলিশ ও এসে গেছে...

পুলিশ: খুনটা কিভাবে হলো?

কেউ কিছু বলছেনা।জিহান রিয়াকে জড়িয়ে ধরে আছে।

পুলিশ বডিং এর কতৃপক্ষকে বললো সি.সি ফুটেজ দেয়ার জন্য।

রিয়া জিহানকে খুঁজতে ছিল।
এমন সময় আতিক,রিয়ার হাত ধরেই বলে এখনো জিহানকে খুঁজলে হবে? এবার আমাদের  খোঁজ সোনা।

রিয়া: ছাড় আমায়।আমি জিহান এর স্ত্রী।

লিমন হেসে দিল।জিহান এর ভুত এখনো কাটেনি..

আতিক রিয়ার হাত ধরে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেললো..
লিমন মুখ চেপে ধরলো..
এক পর্যায় রিয়া আকুতি করে বলছে আমায় যেতে দে..আমার গর্ভে যে জিহান এর সন্তান।

আতিক চুল ধরে বললো,শালি আমাদের ভুল বুঝাও?কার না কার সন্তান জিহান বলে চালাও?

রিয়া এক পর্যায় ধস্তাধস্তি করতে করতে আতিক কে কামড় দিল হাতে, ও পালিয়ে আসতে নিলেই লিমন পিছন থেকে মাথায় জগ দিয়ে বারি দেয় রিয়া মেঝেতে পরে যায়। ব্যাথায় চেঁচাতে থাকে।
আতিক রিয়ার পেটের উপর বসে বলতে থাকে,শালি আমায় কামড় দিছে,দেখ আমায় কামড় দিলে কি হয়..

লিমন এসে মুখ চেপে ধরে যাতে বাইরে কেউ না শুনতে পায়।
কাতরাতে কাতরাতে রিয়ার মুখের আওয়ার বন্ধ হয়ে যায়।
চোখ থেকেও রক্ত ঠেলে বের হতে চাইছে।

এসব ফুটেজ দেখে পুলিশ আতিক আর লিমন কে এরেস্ট করে।
পুলিশ জিহান এর পাশে এসে তার কাঁধে হাত রেখে বলছে,আপনাকে কি বলে সান্তনা দিব বুঝতেছিনা।তবে ওদের শাস্তি যাতে কঠোর হয় তার ব্যবস্থা করবো।

জিহান: আচ্ছা ওদেরকে দিয়ে যে এই কাজটা করিয়েছে তার শাস্তি দ্বিগুণ দিতে পারবেন?

পুলিশ: হুম অবশ্যই।আমরা তদন্ত করে নেই।

জিহান: তদন্ত  করতে হবেনা।ওদের দিয়ে আমি ই কাজটা করিয়েছি।
রিয়া আমায় জোর করে বিয়ে করেছে তাই প্রতিশোধ নিয়েছি।
দেখুন আমার ফোন,ওরা খুন করেই আমায় জানিয়েছে।

পুলিশ স্তব্ধ হয়ে যায়। আতিক এবং লিমন জিহানের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে।

পরের দিন খবরের কাগজে বড় বড় হেডলাইনে বের হয়,স্ত্রী এবং অনাগত সন্তানকে পরিকল্পনামাফিক খুন" অপরাধী আটক..

পুলিশ জিহান এর হাজদের সামনে এসে বলছে, ছিঃ একবার ও নিজের বাচ্চার কথা ভাবলিনা?মেরে দিলি?
আমি যদি পারতাম কুকুরের মতন গুলি করে মারতাম।

জিহান: স্যার প্রকৃতির প্রতিশোধ বোঝেন?কেউ প্রতিশোধ না নিলেও প্রকৃতি তিল পরিমানও ছাড় দেয়না।

পুলিশ: এখন গাঁজাখুরি কথা না বলে গুনতে থাক ফাঁসির দিন।

জিহান হেসে বিড়বিড় করে বললো,রিয়া আমি কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত করতে ভয় পাইনি।
আমি পেরেছি প্রায়শ্চিত্ত করতে...আমি পেরেছি পবিত্র হতে।ক্ষমা করেছো?
        *সমাপ্ত*

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ