āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3877 (2)

#প্রায়শ্চিত্ত ৩য় পর্ব
Umme Nipa

ল্যাম্পপোস্ট এর আলোয় বের হতেই এক মহিলা রিয়ার হাত ধরেই বললো এই তো রিয়া..
রিয়া ভয় বা আতংকিত হচ্ছেনা।রিয়া এখনো জিহান এর ঘোর থেকে বের হতে পারছেনা।

মা-বাবা উদগ্রীব হয়ে এলাকার সবাইকে জানিয়েছে।
জানাবেনা কেন তাদের বড় মেয়ে ৭ঘন্টা যাবত উধাও।

মহিলা রিয়ার হাত শক্ত করে ধরে চেঁচিয়ে বললো পাইছি রিয়ারে পাইছি..
রফিক ভাই এই যে আপনার মেয়ে।

মা তার কথা শুনে দৌড়ে এসে রিয়াকে জড়িয়ে ধরলো।
মা: কই ছিলি মা?

রিয়া চুপ হয়ে আছে।

রিয়ার বাবাকে রিয়ার মা কল দিয়েছে: শুনছো পুলিশ এর কাছ থেকে এসে পরো রিয়াকে পেয়ে গেছি।

রিয়া মায়ের কাছ থেকে ফোন টা কেরে নিয়েই বললো,বাবা পুলিশ নিয়ে আসো বলে কেঁদে দিল।

রিয়ার মা থমকে তাকিয়ে রইলো।

পাশের এক মেয়ে বলে উঠলো,কই ছিলা তুমি?

মহিলা উত্তর দিল: জিহান দের বাসা থেকে বের হল।

রিয়ার মা রিয়ার পাশে গিয়ে বলছে,এই রিয়া পুলিশ কেন?
কি হয়েছে বল..?

রিয়া কাঁন্নার জন্য কিছুই বলতে পারছেনা
এর মাঝেই রিয়ার বাবা এসে পরলো..
রিয়া তার বাবাকে দেখে বললো,বাবা পুলিশ আনো নি?

বাবা: মা আমি তাদের ফোন নম্বর এনেছি।আগে জেনে নেই কি হয়েছে,পরে কল দিব।

রিয়া ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বললো,বাবা জিহান আমায় শেষ করে দিল।
এই কথা শুনেই বাবার আর বুঝতে বাকি নেই,তার মেয়ের সাথে খুব বড়সড় প্রতারনা হয়েছে।

রিয়ার হাত ধরে ওর বাবা জিহান এর বাসায় গেল।

গিয়ে দেখে দরজা দেয়া।
নক করতেই জিহান দরজা খুললো..

রিয়ার বাবা জিহানকে দেখেই ওর গেঞ্জি ধরে টেনে বললো,তুই আমার মেয়ের সাথে কি করছিস?

রিয়া পিছনেই গুটিসুটি হয়ে দাড়িয়ে আছে।

এলাকার মানুষ রিয়ার বাবাকে টেনে সরিয়ে দিল।

জিহান এর মাঝেই চেঁচিয়ে বলছে,এটা ভদ্র লোকের বাসা।

রিয়া ওর বাবাকে বললো বাবা তুমি পুলিশ এ খবর দেও।ও এভাবে ঘায়েল হবেনা।

জিহান: এই তুই চুপ থাক।
তুই কি বাচ্চা নাকি?
যে তোরে  লজেন্স দেখায়া কিডনেপ করুম?
তুই নিজের ইচ্ছায় আসছোস..

টাকার বিনিময়ে আসছিলি।টাকার পরিমান পছন্দ হয়নায় তাই এখন বাপ রে নিয়া মাস্তানি করতে আসছোস?

রিয়া জিহান এর দিকে পলকহীন তাকিয়ে আছে।
যে মুখ দিয়ে রানী ছাড়া কথা বলতো না সেই মুখ দিয়ে আজ বিশ্রী শব্দ বের হচ্ছে।
অবশ্য মানুষ এর মুখ সব কিছুই বলতে পারে।
মুখের কথায় কাছে টানতে পারে আবার এই মুখের কথায় নর্দমায় ফেলে দিতে পারে।

জিহান: আপনার মেয়ের টাকা লাগবে কত বলেন?
আমি দিয়ে দেই।বিদায় হন তো...আমরা বিজি আছি।

রিয়ার বাবা ক্ষেপে আরো মারতে গেল..

জিহান এর মাঝেই আতিক কে বললো,আতিক ফোনটা নিয়া আয় তো ওনারে দেখাই তার মেয়ে কি দুধে ধোঁয়া তুলসী পাতা নাকি?

রিয়া এর মাঝেই জিহান এর পায়ে পরলো,প্লিস জিহান এমন করোনা।
আমি তো তোমার ক্ষতি করিনি আমার সাথে তোমার শত্রুতা নেই।
আমার বাবার চোখে আমায় খারাপ বানিয়ে দিওনা।

বাবা তার মেয়েকে এমন আকুতি করতে দেখে জিহান এর বাসার সামনে থেকে চলে গেল।

রিয়ার মা জিহান এর কাছে গিয়ে হাত জোর করে বলছে,বাবা আমার মেয়ের এর পর কি করে মুখ দেখাবে...?
আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করোনা তুমি।

জিহান হো হো করে হেসে দিল।
আরে চাচী আপনার ধারনা আছে আমাদের ফ্যামিলি সম্পর্কে।ওমন হাজার রিয়া আমি দাশী বানিয়ে রাখতে পারি।

প্রতিবেশী রা নিরব দর্শক এর ভুমিকা পালন করছেন।শুধুই কানাঘুষো করছে..

রিয়ার মা রিয়াকে নিয়ে চলে গেল....
মেঝে থেকে গ্লাস ভাঙার কাচ মেঝে থেকে পরিস্কার করছে আর রিয়া মনে মনে হাসছে।

এমন ই ভেঙে ছিলে একসময় আমার সম্মান-আমার মন।
আজ আমিও তিল তিল করে ফিরিয়ে দিচ্ছি।

একদিন তুমি এমন ই খন্ড -বিখন্ড হয়ে কাঁদবে আমি তখন অট্টহাসি দিব।এই ভেবে রিয়া খুশি হচ্ছে।

জাহিন এর মা এসে রিয়াকে বলছে, কষ্ট পেওনা মা...
আমি আমার সন্তান কে ঠিক শিক্ষা দিতে পারিনি।
ওর বাবা ও এমন ছিলেন..
একরোখা ...জেদী...

রিয়া ওনার কথায় থমকে গিয়ে বললো,মা ছিলেন মানে?
বাবা তো এখনো আছেন।
আজ তিনি না চাইলে আমি এখানে থাকতাম না.....
জাহিন এর মা কিছু না বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেল।

রাত ৩:০০ টা আবার ঘরির শব্দ।দেয়ালের একই জায়গায় এখনো ঘরিটা আছে। এত রাত জিহান বাসায় ফিরে নি।

মেয়েদের বিয়ের রাত নিয়ে কত আকাঙ্ক্ষা থাকে।
কত ইচ্ছে থাকে..কত স্বপ্ন..
রিয়ার ও ছিল তবে তা এখন আর নেই।
তা জিহান ১বছর আগেই নষ্ট করে দিয়েছে।
এখন শুধু প্রতিশোধ নেয়ার পালা...
এখন শুধু মনের ভিতর পুষে রাখা রাগ এর বহিঃপ্রকাশ করার পালা।

এর মাঝেই রিয়ার মা কল দিল।

রিয়া: মা বলো..
মা: তুই কাঁদছিস কেন?

রিয়া: কি বলো?কাঁদিনাতো..

মা: জিহান কিছু বলছে তাইনা?
এতো বললাম ওকে বিয়ে না করে সারাজীবন একা থাকা ভালো।

রিয়া: থাক মা।কপালে যা ছিল তাই হয়েছে...
মা: তা যা হয়ে যাক কিছু হলেই আমায় জানাবি।আমি তোর মামাকে নিয়ে আসবো।

রিয়ার মা কাঁন্নার জন্য আর কথা বলতে পারছেনা।

রিয়া: আরে মা ভেবনা..
আমি মরবো না এতো তাড়াতাড়ি।
একবার যেহেতু বেঁচে গেছি তাহলে এতো তাড়াতাড়ি মরবো না।

মায়ের কাঁন্না যেন থামছেইনা।
রিয়া ফোন কেটে দিল।
এ কাঁন্না আজ নতুন নয়।একই কাঁন্না শুনতে শুনতে আজ আর অনুভুতি নেই রিয়ার।

সেবার জিহান এর কাছে প্রতারিত হয়ে বাসায় গিয়ে কেউ ই রিয়ার সাথে কথা বলেনি।
সারারাত ভাবার পর ভোর হওয়া নাগাদ রিয়া আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল।
গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পাখার সাথে ঝুলে পরতেই ছোটবোন টের পেয়ে যায়। বাসার সবাই সেদিন হাসপাতালে না নিয়ে গেলে রিয়া মরে যেত। সব গল্পের সমাপ্তি।
কিন্তু তা হয় নি বেঁচে গিয়েছিল...
কিন্তু কথা বলতে পারেনি ১মাস।

ওই ঘটনার পর সবকিছু এক নিমিষে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল।

ফুলসজ্জায় মেয়েরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে আর রিয়া উল্টোয় অতীত এর পাতা।

সব  ভাবতে ভাবতেই রিয়ার চোখ লেগে এলো,
হঠাৎ ই বিকট শব্দ শুনে রিয়ার ঘুম ভেঙে গেল...
চলবে...

#প্রায়শ্চিত্ত ৪র্থ পর্ব।
Umme Nipa

রিয়া ভয়ে উঠে বসে দেখে জিহান দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেছে।
ঘরের ভিতর এসে সবকিছু ভেঙে লন্ড-ভন্ড করছে।
রিয়া বিছানায় গুটিসুটি হয়ে বসে আছে।

জিহান রিয়া পাশে এসে দাঁড়ালো।
রিয়া বুঝছে ও নেশা করে এসেছে।
করাটাই স্বাভাবিক।

বিয়ের আগে বলা হয়েছে মেয়ে পরহেজগার।পর্দা করে..
কাউকে দেখা দেয়না।
জিহান ভেবেছে দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো মেয়েকে সে পেতে যাচ্ছে।

তবে পর্দার আড়ালে যে তার নোংড়া অতীত এর সাক্ষী তা সে ভাবতে পারেনি বটে।
এতো বড় আঘাত কমাতে নেশা করাটাই স্বাভাবিক।

মানুষ নোংড়ামি করলেও তার সে নোংড়া মুখ নিজে দেখতে লজ্জা পায়।
এই দিক দিয়ে মানুষ নিজেকে নিজের কাছে আড়াল করতে ভালোবাসে।

রিয়া: কিছু বলবে?

জিহান: তোরে আমি কি বলবো নষ্টা মেয়ে..

রিয়া হেসে হেসে দাড়ালো..

নষ্টা যদি আমি হই তাহলে তুই কি?
তুই সস্তা?
আমার একটা বেপারে হাসি পায় কি জানিস?
তুই এতো অপকর্ম করেও নিজের বউ হিসেবে তোর বিপরীত মানুষ চাস।
তার মানে তুই জানিস যে তুই খারাপ।শুধু মানার সাহস নেই।

জিহান: ইঁদুর ভাত এটো করলে সেই ভাত কেউ খায়?সেটাকে নষ্ট ভাত ই বলে।

রিয়া: কিন্তু ইঁদুর কি আর তাতে মানুষ হতে পারে?
তুই ও সেই ইঁদুর... যে আমাকে নষ্ট করায় আল্লাহ তোর কপালেই আমাকে লিখে রেখেছে।
তুই কি করে আসা করলি, তুই ইঁদুর এর মতন কাজ করে বিয়ে করবি পবিত্র কোন মানুষ কে।
এক দিক দিয়ে তুই এখনো জিতেছিস।তোর মত ছেলে এখন জেলে থাকতিস কিন্তু আমি তোকে করুনা করেছি।রিয়া হেসেই যাচ্ছে,অনেদিন এর হাসি তোলা আছে যে।

জিহান এর চোখ রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে। নেশার ঘোর কেটে যাচ্ছে রিয়ার কথায়।
রিয়ার হাত ধরে,রিয়াকে দরজার বাইরে ধাক্কা মেরে ফেলে দরজা দিয়ে দিল...

রিয়া দরজার ওপাশ থেকে হেসে হেসে বলছে,জিহান তুই শুধু আমায় তোর রুম থেকেই বের করতে পারবি তবে আজ আর আমায় বাড়ি থেকে বের করতে পারবিনা।
একদিন তুই আমায় তোর রুমে নিতে চাইবি তবে সেদিন তার প্রতিটা জবাব দিয়ে দিব।

সকাল হতেই জিহান চেঁচামিচি শুরু করলো...
রিয়া রান্নাঘর থেকে দৌড়ে এসে দরজার পাশে দাড়িয়ে আছে...
জিহান ওর মাকেও তুই সম্মোধন করে কথা বলছে..?অবশ্য ও আর কি বা পারে!
এই ভেবে ঘৃনা বাড়ছে রিয়ার..

জিহান: তুই ওনাকে জিজ্ঞেস কর উনি আমার জীবনের ডিসিশন নেয়ার কে?

মা: আস্তে বল,সে শুনবে।

জিহান: আমি কি ওরে ভয় পাইনাকি?
ও আমার বাপ এর বিজনেস দেখে।আমার বাপ এর কর্মচারী।চাকর ও।
ও আমায় বিয়ে দেয়ার কে?

রিয়া এসব কথার মানে বুঝছেনা।
কাকে বলছে এসব?
বিয়ে তো দিয়েছে ওর বাবা তবে সে কি করে চাকর হয়!

জিহান: আমি দেশে থাকবো না।
ওরে বল আমার টাকা -পয়সা সব কড়ায় গন্ডায় বুঝাইয়া দিতে আমি চলে যাব। তোদের কারো মুখ আমি দেখতে চাইনা।

রিয়ার মনে খুব জেদ শুরু হয়।জিহান এর প্রতি ঘৃনা ১০০গুন বেড়ে যাচ্ছে।
আসলে ও তো মানুষ ই না।

এর পর মা জিহান কে বলছেন,কিসের টাকা?
সব টাকা এহসান এর।জামিল তো সব শেষ করে দিয়ে গেছে...

জিহান: আচ্ছা আমি কি তাহলে জারজ সন্তান?
জিহান এর মা জিহান কে সজোরে চড় মেরেই কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে গেলেন..

আমি খুশি ই হয়েছিলাম।ওরে চড় মারাই উচিৎ।

বাবাকে চা দিতেই বাবা হেসে বললেন,মা আসতে না আসতেই তোমার শাশুড়িকে বিশ্রাম দিলা নাকি?
শাশুড়ি কিন্তু ঘোড়া দেখলে খোরা হয়ে যাবে বলে হাসতে লাগলো..

রিয়া: বাবা মা শুনলে আপনাকে পুলিশ এ দিবে।

বাবা খুব হাসি-খুশি একজন মানুষ।রিয়ার  এই পরিবারের সবচেয়ে পছন্দের মানুষ এই লোকটি।

জিহান এর মাকে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা।

সারাবাড়ি খুঁজে জিহান এর ছোট ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখে বিছানায় শুয়ে কাঁদছে।

রিয়া ভিতরে গিয়ে ওর ছোটভাইকে ইশারা দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দিল।

বিছানায় বসে রিয়া জিহান এর মায়ের গায়ে হাত দিয়ে বলছে,মা চা নিন।

মা: তুমি যাও আমি পরে উঠবো।

রিয়া: মা সন্তান এর কথায় কিছু মনে করতে নেই।
আমিও কত কিছু বলি মাকে,মা কিছুই মনে করেনা।
পরে যখন জড়িয়ে ধরি মা ভুলে যায়।

জিহান এর মা উঠে বসলো..
কেঁদে কেঁদে বলছে আমার সন্তান কে আমি শেষ কবে জড়িয়ে ধরেছি আমি ভুলে গেছি।
তার হাতে একখানা বাচ্চার ছবি দেখে রিয়া জানতে চাইলো, ছবি কার?

মা: জিহান এর ছোটবেলার ছবি।
আমায় খুব আগ্রহ নিয়ে দেখাচ্ছে।
দেখো ওর যখন ৫বছর,আমি ও আর ওর বাবা ঘুরতে গিয়েছিলাম।
ওকে খেলা থেকে উঠিয়ে এনে জোর করে ছবি তুলিয়েছিলাম।তাই দেখো মুখ কি রাগি করে রেখেছে।

কি নিষ্পাপ দেখাচ্ছে জিহান কে।
এখনকার মতন হিংস্রতা নেই।
রিয়া ছবি দেখে ভাবছে...

রিয়া: মা ও আপনার সাথে এমন আচরন করে কি আজকেই শুধু?

মা: না..১০বছর বয়স থেকেই।
তবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

রিয়া: কেন মা?

জিহান এর মা চুপ করে আছেন..

রিয়া: আচ্ছা বলতে হবেনা।আমি যাই তাহলে।
জিহান এর মা বলে উঠলো যেওনা। বলবো..

রিয়া এসে পাশে বসে বললো,হুম মা বলুন।

মা: ওর বাবাও প্রচুর নেশা করতেন।বিয়ের আগ থেকেই।
তবে জিহান এর বয়স যখন ৬তখন থেকে বেশি করতেন।
আমায় মারধর করতেন।অকারনে খুব রেগে যেতেন।
জিহানকেও মারতেন।একটু কথার খেলাপ হলেই মারতেন।
আমি নিজের উপর টর্চার মানতে পারলেও আমার বড় ছেলের উপর এতো নির্যাতন আমি মানতে পারিনি।

একদিন ছেলে পরীক্ষায় নম্বর কম পেয়েছে বলে ধাক্কা মেরেছে দেয়ালের সাথে।
আমার ছেলে সেদিন মরেই যেত।
ওর নেশা কেটে গেলে কিছুই মনে থাকতোনা।
আমি ছেলেকে নিয়ে আমার বাবার বাড়ি চলে যাই।
পরের দিন জানতে পারি ওর বাবা আত্মহত্যা করেছে।

আমি এর জন্য কখনো নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি বিশ্বাস করো।
আমি সেদিন থাকলে হয়তো ও বেঁচে থাকতো তবে আমার ছেলে পাগল হত নয় মরে যেত।

জিহান এর বাবা সব বিক্রি করে গেছে শুধু জুয়া খেলে।
রাখার মাঝে শুধু এই বাড়ি ই।

ওর বয়স যখন ১০আমার মা-বাবা জিহান এর বাবার অফিসের ম্যানেজার এর সাথে আমায় বিয়ে দেয়।সেই থেকেই জিহান আমায় ও ঘৃনা করে আর এহসান কে তো দেখতেই পারেনা।
মানুষ টা ওর সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি।
ও ভাবে আমি ওর বাবাকে মেরে ফেলেছি। এহসান এর সাথে মিলে ওর বাবাকে খুন করেছি।
বিশ্বাস করো মা এহসানকে আমি চিনতাম ই না।

এই বলে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলেন।
রিয়া ও কাঁদছে। মেয়েদের জীবন কখন কোথা থেকে কোথায় যায় কেউ বলতে পারেনা।কেউনা....

রিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে বললো, মা সব ঠিক হয়ে যাবে।

মা: ওর যত খরচ সব ই কিন্তু এহসান দেয় তবুও ওর মন পায়না।

রিয়ার জিহান এর জন্য ও খারাপ লাগছে।
মেয়েদের মন শত কঠোরতাও মায়ার ধাক্কায় গলে যায়...

রিয়া ভাবছে,ও ছোট থেকেই কাউকে ভরসা করতে পারেনি।
আপন বলে কাউকে জড়িয়ে ধরতে পারেনি।

রিয়া চা নিয়ে জিহান এর রুমে গেল।

জিহান সিগারেট টানছে আর গিটার বাজাচ্ছে।
সেই গিটার যা রিয়ার দেয়া উপহার ছিল।

রিয়া: এটা এখনো আছে?

জিহান গিটার বাজানো বন্ধ করে দেয়।

জিহান: তুই আবার আমার রুমে?

রিয়া: চা নেও।

জিহান : রাখ তোর চা।তুই দিবি আর আমি খাব।তুই বিষ দিবি তা কি আমি বুঝিনা।
তুই আমায় মারতে এসেছিস।

রিয়া: আমার হাতের বিষ খেয়ে মরলে তুমি জান্নাতেই যাবা।

জিহান: তুই আমার সামনে থেকে যা। খুন করে ফেলতে বাধ্য করিসনা।
সেদিন ই মেরে ফেলা উচিৎ ছিল।
দু দিন জেল খাটতাম তারপর মুক্তি।

রিয়া: মুক্তি?
তারপর একটা বিয়ে করতে। বাচ্চার বাবা হতে এরপর কারনে অকারনে তাদের মারতে।হয় তারা মরতো নয় তুমি সুইসাইড করতে।
এই তোমার মুক্তি?

রিয়ার মুখে এসব কথা শুনে জিহান অবাক হয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।
এসব কথা রিয়ার জানার তো কথা নয় তবেকি এমনেই মিলে গেছে?
তাই বলে এতো? চিন্তায় গুলিয়ে ফেলছে সবকিছু....
চলবে...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ