āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3873 (1)

#দ্বিতীয়  বিয়ে।(১ম পর্ব)
লেখা: Umme Nipa

ভোরে ইকবালের নানীর চেঁচামেচি শুনে ঘুম ভেঙে
যায় বাসার সবার।

"সব শেষ কইরা দিল কাল নাগিনী এই বলে দরজার
পাশে বসে বসে কাঁদতে থাকে।তোরা শান্তির ঘুম ঘুমাস?এদিকে তো সব শেষ "

ইকবালের মা,আর বোন ইতি দৌড়ে এসে পাশে বসে
বার বার জিজ্ঞেস করতেছে কি হয়েছে?
কিন্তু কে শুনে কার কথা..সে চেঁচামিচি করে মরা
কাঁন্না জুড়ে বসেছে।

আশেপাশের সব মানুষ জড়ো হয়েছে।
ইকবাল এর মা রাগ করে বলে উঠলো বাসার সব কিছু
ঠিক আছে,চুরি হয়নি তবুও এমন করছো কেন মা??

নানী : ওরে মিনু,ইকবাল রে খবর দে।
ইতি(ইকবাল এর বোন): কি হয়েছে নানী?

নানী : মান-ইজ্জত আর রইলো না কিছু।
ইতি ওর ভাবি লুবনাকে ডাকতে গেল রুম এ।
গিয়ে দেখে লুবনা নেই।
ইতি: মা ভাবি রুমে নেই।কই গেলো?

নানী : ওরে বলি কি আমি সাধ এ।নামাজ পড়তে
উঠাতে গিয়া দেখি বউ রুমে নাই।
সারাবাড়ি খুঁজলাম পাইনাই।
পরে দেখি দরজা খোলা।
বউ নিশ্চিত কারো সাথে পালাইছে।

ইকবালের মা ফিস ফিস করে বলছে মা আস্তে
বলো,সবাই কি ভাববে?বুদ্ধি সব গেছে নাকি?
ঘরের কথা পরকে বলো?

নানী : লোকের কি আর অজানা থাকবো?
এই চিঠি পাইছি।দেখ তো কি লেইক্ষা গেছে?

ইকবাল এর মা চিঠি নিয়ে বললো,ইকবাল কে লিখছে,ওর চিঠি আমরা পড়বো কেন?
ইতি এই চিঠি ইকবাল কে দিস.
ইতি যা তো ইকবাল কে ডেকে নিয়ে
আয়..
প্রতিবেশীরা কানাঘুঁষো করছে।

ঘরের বউ না বইল্লা চইল্লা যায় এ আমরা বাপের
জন্মেও দেখিনাই।
কেউ আবার বলছে,ইকবাল এর মতন পোলার কপালে এই
ছিল।

ইতি মসজিদ এ গেল ইকবাল কে ডাকতে।
গতরাত এ লুবনার সাথে ঝগড়ার পর ইকবাল মসজিদ এ
গিয়ে ঘুমোয়।
এটা ইদানীং রোজ ই হয়..

ইতি গিয়ে দেখে মসজিদ এর মেঝেতে শুয়ে আছে।
ইতি পাশে গিয়ে ভাইয়া বলে কেঁদে দিল।
ইকাবাল তড়িঘড়ি করে উঠে বসলো..
ইকাবাল: কি হয়েছে?বাসার সবাই ঠিক আছে?
ইতি: ভাবি বলে কেঁদে দিল।
ইকবাল: কি হয়েছে লুবনার?
কাল আমি ওকে চড় মেরেছিলাম
ও রাগের মাথায় কিছু করেনি তো?
এই বলে ইকবাল বাসার দিকে যেতে নিল।

ইতি: ভাইয়া এই চিঠিটা নে।

ইকবাল: কার?

ইতি ইকবাল এর হাতে চিঠি দিল।

চিঠি খুলেই ইকবাল দেখে লুবনার লেখা...
ইকবাল,
তুমি ঠিক ই বলেছো,আমার এ সংসার ভালো
লাগেনা।
সাথে তোমাকেও ভালোলাগেনা আমার।
আমি অনেকদিন যাবত ই বলতে পারিনি,আমি দিহান
কে ভালোবাসি।
ওর সাথেই আমি চলে গেলাম।
তুমি বাসার পছন্দ মতন কাউকে বিয়ে করে নিও।
ভালো থেকো...
ইকবাল চিঠি পড়ে বসে পরলো..

ইতি ইকবাল এর পাশে এসে বসে কাঁদতে শুরু করলো..
ইতি: বাড়ি চল ভাইয়া।

ইকবাল: তুই যা আমি আসছি।

ইকবাল এর সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে।

৫টা বছর এর সম্পর্ক লুবনার সাথে সে কি করে ভেঙে
দেয়?
যে মেয়ে আমার জন্য মা-বাবার সাথে যোগাযোগ
রাখেনি সে কি করে আমায় ছেড়ে যায়?
ইকবাল এর সবকিছু এলোমেলো লাগছে..

ইকবাল বাড়িতে যেতেই নানী দৌড়ে এসে ইকবাল
কে ধরে মরা কান্না জুড়ে দিল।
ইকবালরে তোর এ কি হয়ে গেল?
ওই মাইয়ারে আগেই আমার সুবিধার লাগছিল না।
অপয়া খালি খালি হয়,নষ্টা মাইয়া।
এহন গ্রামে মুখ দেখামু কেমনে?

ইকবাল: নানী থামো।আমার ভালোলাগছেনা এই
বলে নিজের রুমে চলে গেল।

রুমে গিয়ে দেখে লুবনা কিছু ই নিয়ে যায়নি। এমন
কি মোবাইল ও রেখে গেছে।
ইকবাল এর কি করা উচিৎ বা কি করবে কিছুই বুঝতে
পারছেনা।
ঘৃনা লাগছে নিজের প্রতি।
মনে মনে ভাবছে, আমি যে কাপুরুষ তা তুমি ই প্রমান
করে দিলে লুবনা।
কাপুরুষ না হলে আমায় ছেড়ে অন্য কাউকে নিয়ে কি
করে ভাবতে পারো তুমি?
ইকবাল এর মা রুমে এসে ইকবাল কে বুঝাচ্ছে, বাবা
আজ তোর বাপ বেঁচে থাকলে কি বলতো আমি
জানিনা তবে আমি চাই ওই মেয়েকে তুই আর কখনো
না খুঁজিস...
তুই ওকে ভুলে যা। যে মেয়ে স্বামীর মান-ইজ্জত এর
কথা ভাবেনা সেই বউ থাকার চেয়ে মরে যাওয়া
ভালো...

এর মাঝেই নানী এসে বলে,হ,বউ মরলেও ছেলেরা
কাঁদেনা তার উপর বউ পালাইছে তার জন্য মন
খারাপ করবি কেন?
ওই বউ তরে কি দিছে?
তরে আবার বিয়া দিমু।এইবার বাড়ির যোগ্য বউ আনুম
তুই দেখে নিস..

ইকবাল: লুবনা রাগ করে নিশ্চই বাবার বাড়ি গেছে।
ও ঠিক ফিরে আসবে।

নানী : মিনু দেখ তর পোলা কি কয়..
ছি..ছি যে মাইয়া একবার ও ওর কথা ভাবলো না..
সে এখনো ওর কথা ভাবে।

ইকবালের মা শাড়ির আঁচল দিয়ে নিজের চোখ মুছে ফেলছে।

ইতি: ভাইয়া তুই একবার ভাবির বাসায় কল দে।

নানী : কেন..?ওর কি মান-সম্মান নাই?

ইকবাল ফোন নিয়ে কল দিল।
তিন বার কল বাজার পর রিসিভ করলো লুবনার মা।

ইকবাল: লুবনা কি আপনাদের বাসায়?

মা: কেন?ওর কি আমাদের বাসায় আসার কথা ছিল?

ইকবাল:না আসলে ও বাড়িতে নেই?

মা: কই গেছে আমার মেয়ে?আমার মেয়েকে ঘর ছাড়া করেই ফেললে?

ইকবাল:আচ্ছা মা পরে কথা বলি।

নানী : কি যায়নায় তাই না?
আরে ও কি বাপের বাড়ি যাবার জন্য গেছে?
ও পলাইছে শুইন্না রাখ।

ইকবাল: মা তোমরা এখন যাও আমার ভালোলাগছেনা।

#দ্বিতীয় বিয়ে(২য় পর্ব)
লেখাঃ Umme Nipa

ইকবাল কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা।
৫বছরের সম্পর্ক কি করে লুবনা ভেঙে দিতে পারে?
লুবনাকে আমি তো কিছুর কমতি দেইনি।

কখনোই যেহেতু কিছুতেই জবরদস্তি করিনি আজ ও খুঁজবো না এই ভেবেই নিজেকে সান্তনা দিচ্ছে ইকবাল।

গতসপ্তাহে দিহান নামে লুবনার এক ক্লাসমেট বাসায় আসা নিয়েই লুবনার সাথে মনমালিন্য এর শুরু হয়...

অনেদিনযাবত ই লুবনার পরিবর্তন।
প্রায় ই ফোনে অনেক সময় নিয়ে কথা বলে যা ইকবালের কাছে খারাপ লাগতো।

তবে লুবনার মনে এই ছিল তা কখনই ভাবতে পারেনি ইকবাল।আন্দাজ করতে পারলেই বা কি করার ছিল!

যে মেয়ে তার বরের চাকরী না থাকা অবস্থায় ও তাকে ছেড়ে যায়নি সে কি করে এখন এমন করে?
এই প্রশ্নের উত্তর নেই ইকবালের কাছে...

ইকবাল নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে প্রায়।
কারো সাথে তেমন কথা বলেনা।
এর মাঝে ইতি এসে ইকবাল কে বলে,ভাইয়া ভাবির মা এসেছেন।

ইকবাল শোয়া থেকে উঠে বসে বলে লুবনা ও এসেছে?

ইতি মাথা নিচু করে বলে,না।

লুবনার মা এসে চেঁচামেচি শুরু করলো।
ইকবাল আমার মেয়ে কই?

ইকবাল মাথা নিচু করে চুপ করে আছে।

এর মাঝেই নানী উঠে বললো,মাইয়া তো অন্য বেডার লগে ভাগছে।
ইকবাল কি কইবো?

লুবনার মা: আপনি থামেন,আমি ইকবালকে জিজ্ঞেস করেছি।
ইকবাল আমার মেয়ে প্রেম করে আসেনি তোমার সাথে।আমি ই দিয়েছিলাম পরে আমি ই আবার এখানে দিতে চাইনি। আমার মেয়ে আমাদের সাথে সব সম্পর্ক নষ্ট করে তোমার কাছে চলে এসেছে।কি তুকতাক করেছো আমার মেয়ের আল্লাহ জানে।
আজ আমার মেয়ে তাহলে ঘর ছাড়া কেন?

ইকবাল: লুবনা ওর ক্লাসমেট এর সাথে চলে গেছে।
লুবনা আর আমার সাথে থাকতে চায়না এই বলে ঘরে চলে গেল।

লুবনা মা: আমার মেয়ে আর যাই হোক এ কাজ কখনো করবেনা।
আমার মেয়েকে তোমরা ঘর ছাড়া করেছো।

ইকবাল এর মা এসে বললো,আপা লুবনা আর ইতির মাঝে আমি তফাৎ দেখিনি।
ও কেন এ কাজ করলো তা আমিও বুঝছিনা।
এলাকায় মান সম্মান সব শেষ।

লুবনার মা: আপনি আছেন মান সম্মান নিয়ে?আমি আমার মেয়েকে পাচ্ছিনা।ওর ফোন বন্ধ।

ইতি: ভাবি ফোন রেখে গিয়েছে।

লুবনার মা: যে মেয়ে পালায় সে কিছু রেখে যায়না। এই বলে কেঁদে দিল।

ইকবাল আমার মেয়েকে ২দিনের মাঝে আমার কাছে এনে দিবা নইলে আমি পুলিশের কাছে যাব ।আমি আর কিছু চাইনা এই বলে চলে গেল।

নানী মুখ বাঁকিয়ে বলে,মামা বাড়ির আবদার।মেয়ে গেছে নিজের ইচ্ছায় এহন আমার নাতী খুঁজবো কেন?আমার নাতীর উপর মেয়েরে চাঁপাইয়া দিতে চায় আবার।
শোন তোরা আবার আমার নাতীর বিয়া দে।
পুরুষমানুষ বউ ছাড়া থাকলে খারাপ হইয়া যাইব।
আমার কথা শোন তোরা...

ইতি: নানী তুমি থামবা দয়াকরে।তুমি ই সংসার টা নষ্ট করলা।

ইকবালের মা বসে কেঁদে দিল,আজ ইকবাল এর বাপ বেঁচে থাকলে আমি এতো অসহায় হয়ে পরতাম না.

ইকবাল ঘরের দরজা দিয়ে লুবনার একখানা ফটো নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

চোখ থেকে টুপ করেই পানি গড়িয়ে পরলো ছবিতে।
লুবনা তুমি কই গেলে?আমি চড় মেরেছিলাম তুমি ও আমায় মারতে।তবুও আমায় এ শাস্তি দিতেনা...

এর মাঝেই ইকবালের ফোনে কল আসলো..
ইকবাল লুবনা ভেবে তড়িঘড়ি করে ফোনটা নিল...

নিয়ে দেখছে জুয়েল এর ফোন ইকবালের বন্ধু...

ইকাবাল: হুম জুয়েল বল।

জুয়েল: দোস্ত ভাবি কই?

ইকবাল ভাবলো এই কথা ওর কানেও গেছে এখন মজা নিতে কল দিচ্ছে।

ইকবাল: আমি জানিনা।

জুয়েল: ভাবির মতন একজন কে দেখলাম সাগরের পাড়ে হাঁটছে।

ইকবাল: জুয়েল ওর সাথে আমার সম্পর্ক নেই।রাখলাম...

ইকবাল এর ভুল ভাঙলো।এতক্ষণ ভেবেছে লুবনা আবার ফিরে আসবে কিন্তু না সে আর আসবেনা।
পছন্দের মানুষ নিয়ে সাগর পাড়ে হাঁটার ইচ্ছে ছিল লুবনার বহুদিন আগের।
আমি ব্যর্থ মানুষ তাই হয়তো আমার হাত ধরে সাগর পাড়ে যাওনি।

যাক তবুও তো তোমার মনের চাওয়া পূরন হলো তাইনা লুবনা?...

চলবে...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ