āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3872

ক্রাশের বংশবিস্তার
Umme Nipa

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় শব্দ ক্রাশ।
আসুন যুগের সাথে সাথে এই শব্দের বিস্তার এবং ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই...

১৯৭২-১৯৯০সাল...

এ সময় কেউ ক্রাশ খেলেও নিজের মাঝে হজম করে নিত..
ঘরের বউ যদি ২মিনিট এর বেশি পর পুরুষের দিকে তাকিয়ে থাকতো শাশুড়ি  এসে বলতো ছি..ছি! লজ্জা শরম এর মাথা খেয়েছো নাকি?

বা নতুন বউ তার হবু বরকে দেখে ক্রাশ খাইছে।
বলতেও পারেনা..কারন সে যুগে ক্রাশ যে খাওয়ার জিনিস তাও জানেনা।
খালি মা- বাবাকে হেসে হেসে বলে তোমরা যা ভালো মনে করো এই বলেই দৌড় দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে ক্রাশের ছবির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে নিজেকে শাবানার মতন ভাবাটা সেসময়ের ধরন ছিল।
আগে ক্রাশ মানেই প্রেমের প্রথম ধাপ ছিল।তখন "ভালোলাগা ভালোবাসা "এক  ভাবা হত।

তখন যদি কোন বউ বরের কানের কাছে গিয়া বলতো,শুনছেন পাশের বাড়ির রমিজ মিয়ার দাড়ি কি সুন্দর।ওমন রাইখেন..
তখন ই বর হাই টেম্পারেচারে রাগ করে ৩তালাক দিয়া দিত।
বউ আল্লাগো বলে মেঝেতে গড়াগড়ি খাইতো,বিমান ক্রাশ এর মতন..
আর তার বর নতুন বিয়ে করে আনতো তাকে যার উপর কয়েকদিন আগেই ক্রাশ খেয়েছিল..
পরে এক ক্রাশ নিয়ে দুজনের মাঝে প্রতিদিন মারামারি।ঠিক যেমন এক ক্রাশ দুই বধু..

১৯৯১-২০৩০ সাল।

ধীরে ধীরে স্লোগান পরিবর্তন হয়ে যখন ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক নয় এসেছে এই এসেছে পরিবর্তন।
এখন সহজেই এক বান্ধবী আরেক বান্ধবীকে বলে দোস্ত তোর বরের উপর ক্রাশ খাইছি।
বান্ধবী এটা তার বরের প্রশংসা ভেবে লাজুক হাসি দেয়।

আবার প্রেমিকা তার প্রেমিক কে ট্যাগ করে কোন গায়ক বা নায়ক এর ছবি দিয়ে ক্যাপশন দেয় মাই নিউ ক্রাশ।
প্রেমিক আবার তাতে ক্রাই রিয়েক্ট দেয়।

আবার বউ বাপের বাড়ি চলে গেলে বর বউকে বলে জান তোমার বিয়ের আগের একটা পিক দেখে ক্রাশ খাইছি আবার।
মেয়ের রাগ গলে তখন জল।
সে লুতুপুতু করে বলে,আর এখন খাওনা?
জামাই তখন আমতা আমতা করে বলে বাসায় এসে পরো না হলে ক্রাশ কি করে খাই?
আসলে তো ক্রাশ এ হয়েছে বদহজম তা তো বলতে পারছেনা।

২০৩১এর পরের সময়..

সে সময় স্লোগান হবে বর -বউ যার যার ক্রাস সবার।

আবার ক্রাশ ই সকল সুখের মূল।
বা

কিসের হাসি,কিসের কাঁন্না।
বিনা অনুমতিতে ক্রাস খাবেন্না।

বা,ক্রাশ খান পরিবেশ বাঁচান।

তখন বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে গেলে পাত্রীপক্ষের প্রথম প্রশ্ন থাকবে, পাত্র কি ঠিক মতন ক্রাশ খেতে পারে?
আর পাত্রের বাবা বলবে,আর বলবেন না ছেলেরে জন্মের পর ক্রাশ নিয়ে জ্ঞান না দিয়েও তার  ক্রাশ দামিয়ে রাখা যায়নায়।
ও ক্রাশ নিয়ে অনেক উন্নতি করবে।

মেয়ে খুশি হয়ে বলবে,বাবা আমি ছেলে আর ছেলের বাবা দুজনের প্রতি ক্রাশ খাইছি।
বিয়ে যার সাথে ইচ্ছে দিতে পারো..
মেয়ের বাবা হেসে হেসে বলবে, হ ঠিক ই বলছিস ক্রাশ খাবার মতন ই পরিবার একখান।
ছেলের মাকে দেখে আমি ক্রাশ না খেয়ে পারলাম না।
মেয়ের মা রাগ হয়ে বলবে,সব ই তোমরা -তোমরা খাও আমার কথা ভাবনা।যদিওবা ঘটক টা মন্দ ছিলনা..

চাকরীর ক্ষেত্রে চাইবে অন্তত ১হাজার ক্রাশ এর অভিজ্ঞতা।

বিয়ের পর বর অফিসে যাবার সময় বউ বলে দিবে অফিসে গিয়ে খালি ঝিমাইয়ো না একটু ক্রাশ খাইয়ো।
পাশের ঘরের ভাই এর কি এনার্জি প্রতিদিন ৩০০ক্রাশ খায়।

বর: তোমায় খেতে মানা করছে কে?

বউ: আমিতো খাই ই।
সকালে পেপার বিক্রেতার উপর ও তো খেলাম।
তখনকার সিনামায় গুন্ডা বন্দুক ধরে বলবে,ক্রাশ খাবি না গুলি খাবি?
ছবির নাম,বেশ করেছি,ক্রাশ খেয়েছি খাবই তো...
গান থাকবে জীবন ফুরিয়ে গেল,ক্রাশ ফুরাবেনা জীবনে..

বাঁচ্চা মাকে এসে বলবে,মা, মা বাবা টিভি দেখা রেখে বুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

মা: ছি বাবা বড়দের এভাবে বলতে নেই।
তোমার বাবা ক্রাশ খাচ্ছেন।

তুমি ভালোভাবে পড়াশুনা করো তুমিও ক্রাশ খাবা।
মা ছেলেকে কবিতা পড়াবে, আমাদের ঘরে হবে সেই ছেলে কবে?
৩বেলা ভাত এর বদলে শুধু ক্রাশ খাবে...

এক ভাবি আরেকভাবিকে বলবে,ভাবি আমার বরটা একদম আদিম যুগ এর একটুও ক্রাশ নাই মনে।

ভাবি: আমার বরটাও ওমন ছিল।
এক ফাইল কলিকাতা ক্রাশ ফাইল খাওইছিলাম তারপর বাবুর আব্বু বাবুর চেয়েও দৈনিক ক্রাশ বেশি খায়।
প্রতিদিন আমাদের মা -ছেলের ক্রাশের লিস্ট  এর চেয়ে ওর লিস্ট বড় থাকে।

আবার,প্রতিবেশী : পাশের ঘরের মেয়ের বিয়ে হবে কি করে,সে ক্রাশ খেতেই জানেনা।
মা ও কিছু বলেনা।এই যুগ এর মেয়ে ক্রাশ খায়না।কি লজ্জার কথা....

এভাবে চলতে চলতে ক্রাশ মহামারী আকারে ছড়িয়ে যাবে।

তারপর স্লোগান আসবে ক্রাশ মুক্ত পৃথিবী চাই।
ছেলে-মেয়ে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে ক্রাশ খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে যাবে।
ক্রাশ খেতে খেতে মাঝে মাঝে হাসপাতাল ও ভর্তি হবার অবস্থা হবে।
বাচ্চারা কথা বলতে শিখেই বাবাকে বলবে,বাবা.. বাবা ক্রাশ খাবো...

৫বছরের মেয়ে স্কুল থেকে দৌড়ে এসে মায়ের কোলে উঠে বলবে মা আজ আমায় স্যার রচনায় ১০এ ১০দিয়েছেন আর চুমো ও দিয়েছে।
মা বলবে কি রচনা?
মেয়ে: ক্রাশ...আমি লিখেছি আমার প্রথম ক্রাশ আমার স্যার সেই খুশিতে চুমো দিয়েছে আর বলেছে আমিও তার ক্রাশ।

মা মেয়েকে নিয়ে রাগতে রাগতে স্যার এর রুমে গিয়ে বলবে,আপনার ঘরে বাচ্চা নাই?
এটুক মেয়ের ক্রাশ হয়ে চুমো দেন?
স্যার মহিলার দিকে তাকালেই দু মিনিট.দুজনই হা করে থাকবে।

কয়েকবছর আগে দুজন ই দুজনের প্রথম ক্রাশ ছিল যে।

মা বাসায় গিয়ে ফেবুতে পোষ্ট দিবে,আমার সন্তান কে ক্রাশ প্রতিষেধক টিকা দিয়েছি,আপনার সন্তান কে দিয়েছেন তো?

আর স্যার তাতে কমেন্ট দিবে,১টি ক্রাশ এর বেশি নয়,না খেলে ভালো হয় :p

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ