----গল্প : সোনা বউ
,,
৪র্থ /#শেষ_অংশ
..
লিখাঃগল্পের উপসংহার
,,
,,
ধুর মিয়া, বিয়ের পাঁচ মাস পর বাসর
ঘরের কাজটা সেরেই ফেললাম,(কি
করলাম জানতে ইচ্ছে হয়?)রাতে তুসির
আবেদনময়ী সময়টা আমি প্রত্যখান
করতে পারি নাই, আর প্রত্যখান
করতেও চাই না, এতো দিনে অনেক
কিছু মিস করেছি, শুধু শুধু কেন অন্য
একটা মেয়ের জন্য নিজের এতো সুন্দর
লক্ষী সোনা বউকে কষ্ট দিবো?
অরনী আমার সাথে প্রতারণা করেছে,
কিন্তু তুসির তো কোনো দোষ করে
নাই,তাহলে অরনীর দোষ কেন তুসিকে
শাস্তি দিবো, বিবেকের প্রশ্নের
কাছে অসহায় হয়ে, তাই চিন্তা
করেছি, তুসিকে আর কষ্ট দিবো না,
..
.
.
জয় আজ বেশ কয়েকদিন দেখা করতে
বলেছে, কিন্তু সময়ের অভাবে দেখা
করতে পারছি না, আগে বন্ধুদের সাথে
সব থেকে বেশি সময় কাটানো
ছেলেটা,আজ অফিসের কাজে জন্য
বন্ধুদের সাথে একটু দেখা করার সময়
পাচ্ছি না, (দায়িত্ববোধ মানুষকে
বাস্তবতা শিখায়),তুসির জন্য আমার
জীবনটা আবার নতুন করে শুরু করতে
পেরেছি, তুসি পাশে না থাকলে
হয়তো অরনীর দেওয়া কষ্ট কাটিয়ে
উঠতে পারতাম না,
.
যাইহোক তুসি আজ ওর আব্বুকে দেখতে
গেছে, আমারও যাবার কথা ছিলো
কিন্তু ব্যবস্তার কারণে যাওয়া
হয়নি,অবশ্য তুসিকে ফোন করে স্যরি
বলে দিয়েছি, মেয়েটা তাতেই খুশি,
অল্পতেই মেয়েটা অনেক খুশি
হয়,বিয়ের প্রায় এক বছর হতে চললো,
কিন্তু কোনো দিন আমার কাছে কিছু
চায়নি,
.
আজ বাসায় দেরি ফিরলে সম্যসা নেই,
কারণ তুসি বাসায় নেই, তার হুকুম রাত
আটটার মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে
নাইলে সম্যসা আছে, আমিও তার কথা
মতো যাই, আসলে শাসনগুলো এখন খুব
ইনজয় করি ...
হঠাৎ জয়ের কথা মনে পড়লো, আমাকে
দেখা করতে বলেছিলো, ব্যবস্তার
কারণে সময় করে উঠতে পারি নাই,
তাই জয়কে একটা ফোন দিলাম,
---দোস্তু, তুই কই আসিস বল(আমি)
---বাজারে টং দোকানো (জয়)
---তুই একটু ওয়েট কর আমি আসছি
অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা
বাজারে চলে গেলাম, দেখি জয়ের
সাথে হিমেল, আসাদ সবাই বসে আছে,
পুরোনো সব বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে
মনটা ভরে গেলো, (আসলে ব্যবস্তার
মাঝে পুরোনো কিংবা নিয়মের
বহির্গত কিছু পেলে আনন্দ লাগে)
গল্প শেষ হলে রাত বরোটার দিকে
সবাই বাসায় ফিরছিলাম, জয়ের বাসা
আমাদের রোডে হওয়ায় গাড়ীতে
নিয়ে আসলাম,
----দোস্ত তোকে যা বলার জন্য ডাকা
হয়েছে, সেটা কিন্তু বলা হয়নি (জয়)
--সত্যি পুরোনো সব বন্ধু পেয়ে আসল
কথা শুনাই হয়নি, (আমি)
--অরনীর কথা মনে আছে?
--হুম, ওর কথা আমি কোনোদিন ভূলবো
না, আমার লাইফের খারাপ স্বপ্ন
একটা..
--অরনী, আমাকে অনেক বার ফোন
দিয়েছিলো, তোর সাথে যোগাযোগ
করে দেওয়ার জন্য
---দোস্ত, আমি তুসিকে নিয়ে অনেক
হ্যাপি আছি, তোকে বলতাম না আমার
একটা সোনা বউ লাগবে, যে নিজের
থেকে আমার খেয়াল বেশি করবে,
ঠিক তেমনটা তুসি
--অরনী, তোর সোনা বউ হতো চায়
--সেটা এখন পসিবল না,কেন মাহাবুরে
কি হয়েছে?
--মাহাবুব, অরনীকে ছেড়ে দিয়েছে,
অরনী তোকে ছেড়েঁ যাওয়ার দুইমাস
পর মাহাবুব ওর গফ সিনথীকে বিয়ে
করে, অরনীকে ফেলে রেখে চলে যায়,
অরনী ওর পরিবারের কাছে ফিরতে
চাইলোও আরমান সাহেব(অরনীর
বাবা)তাকে বাসায় ফেরত নেয়নি,
---জানিস দোস্ত, আমার এখন প্রাণ
খুলে হাসঁতে ইচ্ছা করছে, যদিও অন্যের
কষ্ট দেখে হাঁসতে নেই, তবুও ওর
বিপদে আমি সব থেকে বেশি খুশি...
আমি যতোটা না কষ্ট পেয়েছিলাম
অরনীকে হারিয়ে, তার থেকে বেশি
কষ্ট পেয়েছিলাম সেদিন আমার
আব্বুকে অপ্রমাণিত হওয়া দেখে, বন্ধু
সমাজে সবাই তোরা আমাকে নিয়ে
ঠাট্টা করেছিস, আমি বোকা
বলেছিস, সত্যি আমি অনেক বোকা,
আর বোকা না হলে কি আমি অরনীর
ফাঁদে পা দেই?
--তাহলে অরনীকে কি বলবো? (জয়)
--দোস্ত জয় আমি তোকে অনেক
ভালোবাসি, তুই আমার ছোট্ট সময়
থেকে ফেন্ড, আমি চাই না তুই অন্য
কারে পক্ষ নিয়ে আমাদের বন্ধুত্বটা
নষ্ট করে ফেলিস, আশা করি তুই আমার
কথাটা বুঝতে পারছিস,?
--হুম, বুঝতে পারলাম, আর সাথে এটাও
বুঝতে পারলাম তোর আগে থেকে
অনেক উন্নতি হয়েছে, অনেক বুন্ধি,
অনেক সুন্দর গুছিয়ে কথা বলতে
শিখেছিস,
--মামা, বুঝতে হবে, সব ক্রেডিট আমার
সোনা বউয়ের, ওর জন্যই অরনী দেওয়া
ধাক্বা এতো সহজে কাঁটিয়ে উঠতে
পেরেছি,
--সালা আমারও কপাল, প্রেম করে
বিয়া করলাম, আমারে সব সময় ধাক্কা
দিয়ে খাঁদের কিনারায় ফেলে দেয়,
তোর বউকে পাঠিয়ে দিস, দেখবো
কেমন করে টেনে তুলে,
দুইজেনই প্রাণ খুলে হাসঁতে শুরু করলাম,
জয়ের স্বভাবটা একটু পরিবতর্ন হয়নি,
সিরিয়াস মুহূতে যে কাউকে হাসাঁতে
পারে,
.
.
. সেদিন বিদায় নিয়ে বাসায় চলে
আসলাম, বাসায় একদম ফাঁকা লাগছে,
তুসিকে ছাড়া ঘরটা বড্ড বেমানান,
রাতের খাবার আড্ডা থেকে খেয়ে
এসেছি,তাই ঘুমাতে গেলাম, এমন সময়
ফোনের স্ক্যনে দেখি ৭২টা মিস কল,
সেটা সোনা বউয়ের নাস্বার থেকে,
তুসির নাম্বারটা আমি সোনা বউ
লিখে সেভ করেছি, ফোন সাইল্যান্ড
থাকায় বুঝতে পারি নাই, সাথে সাথে
কয়েকবার ফোন দিলাম, কিন্তু সারা
পেলাম না, হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে
নয়তো অভিমান করে ফোন ধরছে না,
ঘুমাইলাম ....
.
.
তুসির ফোনে সকালে ঘুম ভাঙ্গলে,
--হ্যালো, সোনা বউ গুড মরনিং
--এই তুমি কি বলো, এখন গুড মরনিং,
এখন দুপুর বারোটা বাজে, তুমি এখানো
ঘুমাচ্ছো?
--কি বলো? আমার অফিসে সকাল
দশটায় গুরুত্বপুর্ণ মিটিং ছিলো,তুমি
ফোন দিবা তো একবার?
--হুম, জনাব আমি আপনাকে অনেক বার
ফোন দিয়েছি সকালে, জানতাম
আপনি এমনটা করবেন, তাই চলে
আসলাম, এবার দরজাটা খুলুন
--তার মানে তুমি?
--হ্যাঁ, দারজার সামনে
দরজাটা খুলে আমার ঘরের চাঁদকে
আমন্তত্রণ জানলাম প্রবেশের জন্য,
--তোমাকে ছাঁড়া যে অামার চলবে
না, সেটা আমি বুঝে গেছি,
-- তা মহারাজ আর কি কি বুঝেন
আপনি?
--সেটা কি এখানেই বুঝাবো?
--না, থাক, তোমাকে এখন দুষ্টামি
করতে হবে না,
সেদিনের পর থেকে তুনি কোনো দিন
তার আম্মু, আব্বু বাসায় যায়নি, বরং
তারা নিজে এসে দেখা করে গেছে,
আমার খেয়াল রাখা, অফিস যাওয়া
অনিয়ম হবে দেখে, তুসি ও বাড়ী
যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে.এতোটাই
আমাকে ভালোবাসে
.
.
।
-----তিন বছর পর -------
তুসি এতো সময় লাগে তোমার বের
হতে,যখন নতুন বউ ছিলে তখন এতো সময়
নাওনি, এখন..
--জনাব, আপনার মেয়েকে রেডি করতে
সময় লাগছে, আর পুরাতন হয়ে গেছি
বলে কদর কমছো নাকী?
-না, একটুও কমেনি,তোমার স্থান
চিরদিন আমার বুকের মাঝে......
মেয়ে? আপনারা ভাচ্ছেন মেয়ে
আসলো কোথা থেকে? হুম আমাদের
তিন বছরের প্রেমের বৈধ ফসল সন্তান
আমার এক মাত্র মেয়ে রুহি, রুহি আমার
আমার তুসির জান,
--লিয়ন, কোথায় হারিয়ে গেলে,
--হারাইনি, পাঠকের বুঝিয়ে বললাম ..
তুসি আমাদের গার্মেন্টস পরিদর্শনে
যাবে, তার অনেক দিনে ইচ্ছে, আজ
পূরণ হচ্ছে ...
গার্মেন্টসের ভিতরে ঘুড়তে থাকার
এক পর্যায়ে একটা মেয়ের দিকে
আমার চোখ আটকে গেলে, হ্যাঁ আমি
সঠিক দেখছি, এই মেয়েটা অরনী, আজ
সে গার্মেন্টস কর্মী, যা হওয়ার কথা
ছিলো মালিকের বউ...
ভাগ্য পরিক্রমায় তার আজ এই
পরিস্থিতি ...
.
তুসিকে নিয়ে দ্রুত চলে আসি, কারণ
সুখের সংসারে নতুন কোনো সম্যসা
সৃষ্টি হয় সেটা আমি চাই না,মানে
তুসি অরনীকে দেখা আগে নিয়ে চলে
আসলাম, তুসিকে অরনীকে চিনে,
কারণ আমার ডায়রীর ভিতরে অরনী
একটা ছবি ছিলো, পরে তা আমি
ছিড়ে ফেলেছি, অরনীর মধ্যে আগের
সেই রুপ, চেহারা মধ্যে ভাব-অহংকার
কিছুই নেই ....
...
চলছে আমাদের টুনাটুনির সংসার,
চলছে চলবে অবিরাম,ছোট্ট মেয়ে রুহি
ঘিরে আমাদের সকল স্বপ্ন....
.
মোরাল : জীবনকে তুমি যা দিবে,
জীবন তোমাকে তা ফেরত দিবো,
নিজেক বুঝতে চেষ্টা করো, সফলতা
আসবে,
সব সময় নিজের খুশিকে নয়, মাঝে
মধ্যে অন্যের খুশি নিজের মনে করতে
পারার মধ্যে আনন্দ লুকিয়ে থাকে।.,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,
,,
,,
,,
,,``Nil T-Shirt N``,,
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ē āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3691 (3)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Šā§Ģ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ