āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧝ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3685

---: গাজাখুরি :---
,
,
লুঙ্গিটা উলটো করে বেধে খালি গায়েই নিজের বাড়ির
উঠোনে এলো-পাতারি হাটছে আকাশ। অনেকটা
মাতালের মতো। আর মনে মনে কাকে যেন গুষ্টি উদ্ধার
করছে। রাগে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা হচ্ছে ওর। এতটা
অস্থির ওর কখনো লাগে নি। আসলে কোন কাজ ঠিকমতো
শুরু করার আগেই যদি ভেস্তে যায়, তাহলে তো রাগ হবেই।
একেবারে গোড়ায় গলদ।
---ধুর! শালা কারেন্টের বাচ্ছা! যাওয়ার আর সময় পেলি
না। অনেকদিন পর নিজের পছন্দ মতো একটা প্লট পেলাম,
আর এখন শালা কারেন্ট নাই। কেন যে ল্যাপটপ না কিনে
ডেস্কটপ কিনতে গেছিলাম, আল্লাহ জানে। আর শালা
মোবাইলটারো চার্জ শেষ হওয়ার আর সময় পেল না। সব
শালা একবারে মরেছে। ধুর! ভাল্লাগে না।
নিজেই নিজেকে কথাগুলো বললো সে। আজ ও একটা গল্প
লিখবে। মনে মনে গল্পটার নামও ঠিক করে ফেলেছে।
গাজাখুরি। হ্যা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এই নামটাই দেবে
ও। কিন্তু লোডশেডিংটাই সব উলট পালট করে দিলো। সবই
ঠিক-ঠাক, কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে তো আর পিসি অন
করা যাচ্ছে না। ও ভাবছে......
বিদ্যুতটা আসলেই.........
ঘরে গিয়ে পিসির সুইচটা অন করে, জানালার পর্দাটা
টেনে দিয়েই সে কাজে বসে যাবে। রান কমান্ডে গিয়ে
winword লিখে এন্টার দিলেই এমএস ওয়ার্ড ওপেন হয়ে
যাবে। আর ও লিখতে শুরু করবে.........
,
,
(
কথা হচ্ছিলো আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড “তাবাসসুম” এর
সাথে...
---আচ্ছা কিছু টিপস দিতে পারেন?
---কিসের?
---ভাবছি অবন্তিকাকে প্রোপোজ করবো। এই ব্যাপারে
টিপস।
(আসলে আমি অবন্তিকা নামে কোন মেয়েকে চিনিই না।
আমি শুধু তাবাসসুমকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বললাম)
---আমি কি ছেলে? যে টিপস জানব।
---আরে ভাই আপনি মেয়ে বলেই তো বলছি। কীভাবে কি
করলে একটা মেয়ে রাজি হবে, সেটা একটা মেয়েই
ভালো জানে। তাই না?
---সব মেয়েই এক না।
---আমি জানি। তাই তো আপনাকে বলছি। আমি চাই
আমার প্রোপোজটা একটু আলাদা হোক। আর আপনিই তো
বললেন যে আপনি একটু আলাদা। তাই আপনাকেই বলছি।
---আমি কই বললাম আমি আলাদা।
---তাহলে তো ঠিকই আছে। আপনি আমাকে কিছু পরামর্শ
দিতেই পারেন।
---আমার জানা নেই।
---আরে একটা মেয়ে কি পছন্দ করে তা নিশ্চই আপনি
জানেন।
---না জানি না।
---তাহলে আপনার আইডি কি ফেক?
---না।
---তাহলে আপনি মেয়ে না?
---হুম মেয়ে। কিন্তু ধ্যান ধারনা সবার মতো না।
---তাহলে আপনার এই ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা নাই?
--না।
---আচ্ছা! অন্তত এটা তো বলতে পারেন কি ফুল দিয়ে
প্রোপোজ করলে মেয়েটা পছন্দ করবে?
---মেয়েটার যে ফুল পছন্দ সেটা দিয়ে করেন।
---আরে আমি তো ওর এতটা ক্লোজ না।
---তো?
---কেমনে জানবো যে ওর কি ফুল পছন্দ?
---ক্লোজ না হুলে না বোধক শব্দ শুনতে হবে।
---আরে ভাই সেজন্যই তো বান্ধবীদের কাছ থেকে
পরামর্শ নিচ্ছি। আর আপনাকেও বললাম। একটু হেল্প
করেন প্লিজ...
---কেমনে?
---আরে ভাই, আপনাকে কি ভাবে একটা ছেলে প্রোপোজ
করলে আপনি এক্সেপ্ট করবেন সেটা বলেন। বাকীটা
আমি বুঝে নেব।
---যে ছেলে আমার মার সহ্য করতে পারবে, তাকেই
এক্সেপ্ট করবো।
---আমার “নিউটনের তৃতীয় সূত্র” গল্পের নায়কের মতো?
---না।
---আপনি কিন্তু এখনও আমার টিপস দেন নাই।
---আমার জানা নাই।
---আরে ভাই, আপনাকে কেমন ছেলে প্রোপোজ করলে
এক্সেপ্ট করবেন, সেটা তো জানা আছে নাকি?
---বলছি দাড়ান।
---হুম। এই যে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালাম। এবার বলেন।
---স্মার্ট না হলেও চলবে..... শ্যামলা হতে হবে। ...।
আমাকে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে......সব কাজে আমার
পাশে থাকবে...ভুল হলে ধরিয়ে দেবে... আর একটু কেয়ার
করবে।
---তা এমন পোলা কয়টা নজরে পড়েছে?
---একটাও না। হয় বেশি সুন্দর নয়তো আমাকে বোঝে না...
---এই পর্যন্ত কয়টা প্রোপোজ পাইছেন?
---১০০ আপ।
--- উহুম উহুম... চাপাটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
---না।
---তাইলে স্বীকার করছেন যে আপনি চাপা মারছেন।
---না। এটা চাপা না।
---না এটা চাপা না, মারাত্মক চাপা।
---আই ডোন্ট নো। তবে মিথ্যে বলি নি।
---তাহলে আপনার বিএফ কয়টা?
---বিএফ নাই। বেস্ট ফ্রেন্ড বানাইয়া রাখছি।
---আরে ঐটাই তো বিএফ।
---হুম।
---এইচইউএম।
---আমি কিন্তু প্রোপোজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।
আপনি প্রোপোজ পাইছেন ১০০ এর উপরে। আর আমার এটা
প্রথম বার।
---তো?
---তো আমারে জ্ঞান দেন। এক কথা কয়বার বলবো?
---আরে ভাই সবাই ফুল নয়তো পুতুল নিয়া প্রোপোজ করতে
আসছে। একজন আসছিলো নাইফ নিয়া।
---ইন্টারেস্টিং! কাহিনিটা বলা যাবে?
---হুম।
---বলেন।
---“আচ্ছা শুনুন। আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। আমার আর ঐ
ছেলের প্রথম দেখা হয় স্কুলের সামনে। প্রায়ই ও
আমাদের স্কুলের সামনে দাড়িয়ে থাকতো। আমি তখন
বুঝতে পারি নাই। আমার চাইতে আমার বান্ধবীগুলো
বেশি সুন্দরি ছিলো। সে কারনে আমি ভাবতাম হয়তো
আমার কোন বান্ধবীকেই সে পছন্দ করে। আর আমি তো
নেকাব পড়ে স্কুলে যেতাম। ফলে আমার চোখ ছাড়া আর
কিছুই দেখা যেতো না।
তো একদিন স্কুল ছুটির সময় আমকে ভালোভাবে ডাক
দিলো। আমিও ভদ্রভাবে তার সামনে গেলাম। তাকে
সালাম দিলাম। কিন্তু ছেলেটা কোন উত্তর না দিয়ে হা
করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। একটাও কথা বলেনি।
আমি কতক্ষন চুপ করে দাড়িয়ে থেকে ঐদিনের মতো চলে
আসলাম।
এর কয়েকদিন পর আবার ডাক দেয় এবং আমাকে সাহস
করে বলে ফেলে যে আমাকে ও ভালোবাসে। ওর
প্রোপোজের স্টাইলটা ছিলো অদ্ভুত। ও আমাকে এভাবে
বলছিলো...
(---শোন আমি খেলাপ্রিয় একজন মানুষ। আমার দ্বারা
কবিতা টবিতা হয় না। তাই আমার যা বলার আমি খেলার
ভাষায় সরাসরি বলছি।)
বলেই, আমার সামনে হাটু গেড়ে বলতে লাগলো......
(তুমি যদি লিউনেল মেসি হও,
আমি তাহুলে বার্সেলোনা হবো।
যদি তুমি রোনালদো হও,
তাহলে আমি রিয়াল মাদ্রিদ হবো।
মেসি ছাড়া বার্সা আর রোনালদো ছাড়া রিয়ালের যে
রকম অবস্থা, তুমি ছাড়া আমিও তাই।
আমি তোমাকে ভাল বাসি।)
এমনিতেই ও আমাকে ফুল, পুতুল, চকলেট এসব কিছু ছাড়াই
প্রোপোজ করছিলো, তার উপর এই অদ্ভুত কবিত। এসব
দেখে আমার রাগ চরমে উঠে যায়। আর তাই রেগে ওর
গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেই। তারপর সেখান থেকে
চলে আসি।
এর পরের দিন স্কুল ছুটির পরে গেট থেকে বের হবার সময়,
হঠাতই আমার বাম হাতে টান অনুভব করি। কেউ আমাকে
টেনে বাম পাশে নিয়ে যাচ্ছে। মুখ তুলে তাকিয়ে দেখি
কালকের সেই ছেলেটা। আজ ওর হাতে একটা ছুরি।
আমকে একটু দুরে টেনে নিয়ে গিয়ে বললো......
(---শোন তাবাসসুম তুমি যদি আমার প্রোপোজ এক্সেপ্ট
না করো তাহলে আমি আজ হাত কাটবো। তবে ভুলেও
ভেবো না আমার হাত কাটবো। আমি তোমার হাত কেটে
রক্তের বন্যা বয়ে দেবো আজ। যদি তুমি আজ আমার কথা
না শোন।)
ওর কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই আমার
হাতে থাকা কাটা কম্পাস দিয়ে ওর হাতে এক ঘা বসিয়ে
দেই। তারপর কোন মতে হাতটা ছাড়িয়ে আমি সেখান
থেকে পালিয়ে আসি”।
---তারপর?
---“আমি কয়েকদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
তারপর ধীরে ধীরে সব কিছু নর্মাল হতে থাকে। আর
আমিও স্কুলে যাওয়া শুরু করি। হঠাতই একদিন ছেলেটা
আমাদের বাসায় আসে। ঐদিন আমি জানতে পারি সে
আমার বাবার এক বন্ধুর ছেলে।
ঐদিন সে আমাকে স্যরি বলে। আর যাবার সময় বলে যায়
চার বছর পর স্টাডি কমপ্লিট করে ফিরে এসে আমাকে
নাকি বিয়ে করে নিয়ে যাবে। তারপর আর দেখা হয়নি।
তবে গত জন্মদিনে সে আব্বুর ফোনে ফোন করে আমাকে
উইশ করার জন্য। আব্বু যখন আমাকে ফোনটা দেয় তখন সে
বলছিলো......
(---শোন কোন ছেলের সাথে কথা বলবানা। আর তো মাত্র
এক বছর বাকি। আমি যেন এসে আমার আমানত ফিরে
পাই।)”
---আচ্ছা ছেলেটার নামটা যেন কি?
লিখে মেসেজ টা সেন্ড করতে যাবো অমনি, কুত কুত low
battery shatdown দেখিয়ে, ট্যাট্যা... ট্যা... ট্যা...ট্যা......
করতে করতে ফোনটা বন্ধ হয়ে গেলো।
ধ্যাত্তেরি! এটা কোন কথা হলো। ফোনটা বন্ধ হওয়ার আর
সময় পেলনা। যাই হোক মোবাইলটা চার্জে দিতে গেলাম।
সবে মাত্র কানেকশন দিলাম আর সাথে সাথেই
কারেন্টটাও চলে গেলো। লোড শেডিং এর আর সময়
পেলো না? এতক্ষন যার কাহিনি শুনছিলাম সেই নায়কের
নামটাও জানতে পারলাম না। তবে ওকে নায়ক বলা হবে
না ভিলেন বলা হবে এটা তাবাসসুমই ভালো জানে।
মনে মনে বলতে লাগলাম...
---শালা টাকলার বাচ্চা তোর লাইগা আজ আমার এই
অবস্থা। সব দোষ তোর। তুই শিক্ষা মন্ত্রী হইছস না?
তোরে হাতের কাছে পাইলে, কলা গাছের ডাজ্ঞোয়া
(কলাপাতার শক্ত অংশ) দিয়া কচু গাছের লগে বাইন্ধা
কুট-কুটানি(চুলকায় এমন) মুখি কছুর ডাইল খাওয়াইয়া
দিতাম। শালা।
আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি পাগল হইয়া গেছি। তা না
হলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিদ্যুৎ মন্ত্রী গালি না দিয়া
শিক্ষা মন্ত্রীরে গালি দিচ্ছি কেন? কারন আছে, আর
তা হলো ঐ শিক্ষা মন্ত্রী নিজে যদি পড়ালেখা করতো,
তাহলে আমাগোর উপর সাতটা সৃজনশীল, পিএসসি,
জেএসসি, এসব ভুত চাপাইয়া দিত না। ফলে আম্মাও
আমারে পড়ার কথা কইতো না। ফলে আমি আরো আগে
ফেসবুকে ঢুকতে পারতাম। ফলে আমার মোবাইলের চার্জ
থাকতো, আর কারেন্ট ও যেতো না। আর এই সবের ফলস্বরুপ
আমি ঐ হিরো থুক্কু ভিলেনের নামটা জানতে পারতাম।
এহন আপনারাই কন কার দোষ?
যাই হোক এই গল্পের বাকী অংশে দুটো ঘটনা ঘটতে
পারে......
-এক-
হয় ছেলেটা চার বছর পর ফিরে এসে তাবাসসুমকে বিয়ে
করে নিয়ে যাবে। অতঃপর তারা আনন্দে দিন-যাপন
করবে। আর সেই ছেলেটা তাবাসসুমর কাছে হিরো হয়ে
যাবে।
-দুই-
অথবা ঐ ছেলে ফিরে আসার আগেই তাবাসসুম অন্য কোন
ছেলেকে পছন্দ করবে। তারপর তারা সু্খে শান্তিতে দিন
কাটাবে। আর সেই ছেলেটা তখন তাবাসসুমর জিবনে
ভিলেন হিসেবে পরিচিত হবে।
যাইহোক না কেন, সব নির্ভর করে আল্লাহর ইচ্ছা এবং
তাবাসসুমর সিদ্ধান্তের উপর। তবে আরেকজনের উপর ও
বিষয়টা নির্ভর করে আর তিনি হলেন পাঠক নিজে।
পাঠকও ঠিক করে দিতে পারেন পরের গল্পটা এক হবে না
দুই হবে। ছেলেটা হিরো হবে না ভিলেন হবে।)
আর এভাবেই গল্পটা শেষ হবে।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই কারেন্ট এসে পড়ে। আর
আকাশ ঘরের দিকে পা বাড়ায় পিসি অন করে গল্পটা
লিখে ফেলার জন্য। ঘরে এসে পিসির সুইচটা অন করে ও।
কিন্তু পিসিটা চালু হচ্ছে না। তখনই ওর মনে পড়ে যে,
আজ দুপুরেই ওর ভাগ্নে আব্দুল্লাহ পিসিতে বসে ছিলো,
আর ভাইরাসওয়ালা একটা পেনড্রাইভ লাগিয়েছিলো।
ওর পিসিতে কোন এন্টি ভাইরাস ইনস্টল করা না থাকায়
ওর পিসিটা হ্যাং মেরে যায়। মানে ওর পিসিটা আজ
দুপুর থেকেই নষ্ট। আবার নতুন করে উইন্ডোজ দিতে হবে।
ভাবতে ভাবতেই মাথাটা আবার বিগড়ে গেলো ওর।
তাহলে আজও গল্প লিখতে পারবেনা সে।
পরের অংশটা আর লিখতে পারলাম না। আম্মা এসে ঘুমটা
ভাঙ্গিয়ে দিল।
ভালো না লাগলে কিচ্ছু করার নাই, কারন এটা গাজাখুরি
গল্প।
[বিদ্রঃ আমার এক বন্ধুর বলা কাহিনিটাই আমি রঙ
মাখিয়ে লিখলাম। কারো গল্পের সাথে মিলে গেলে
আমার দোষ নাই। দোষ আমার ঐ বন্ধুর। যে আমাকে
কাহিনিটা বলেছে।]
,
..........অতঃপর শুরু..........

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ