āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3580 (3)

প্রিয়ার চোখে জল

৫ম পর্ব

লেখকঃসাইদা ইসলাম বকুল

শাহেদ এসে পেছনে দাঁড়ালো, শীলার মাথায় হাত রাখলো। শীলা চমকে উঠলো,শাহেদ ভাই আপনি! 
-কেন, তোর ঘরে আসতে বারণ আছে নাকি? 
-শাহেদ ভাই আমি সে কথা বলিনি। আপনি হঠাৎ করে এসে আমার পেছনে দাঁড়িয়েছেন তো, তাই চমকে গেছি।
-আমি সবাইকে চমকে দিতে ভালোবাসি।
-আপনি বসুন শাহেদ ভাই।
-না বসবো না, তুই পড়, আমি চাই না আমার জন্য তোর পড়ার ক্ষতি হোক।খালাম্মা কোথায়?
-মা আপনার জন্য পিঠা বানাচ্ছে।
-কেন, তোদের বাড়ির ওই কাজের মেয়ে কোথায়?
-শাহেদ ভাই,প্রিয়া আপু কাজের মেয়ে নয়, আমার ফুফাতো বোন। ওনার বাবা মা মারা গেছেন, তাই এই বাড়িতে থাকে। আমি আপুকে বড় বোনের মতই দেখি।
-ও, তাই ভুল করে কাজের মেয়ে বলে ফেলছি, মন খারাপ করিস না। আর কখনো এমন ভুল হবে না। আচ্ছা ওসব বাদ দে, এবার তোর কথা বল।  তোর স্কুল জীবন, তোর বন্ধু বান্ধব।
-ভাইয়া আমার কোনো বন্ধু নেই, দু'জন বান্ধবী আছে।
-কেন বন্ধু থাকা কি খারাপ নাকি?
-খারাপ নয়,তবে ছেলেদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
-কেন ছেলেদের ব্যাপারে তোর কোন খারাপ অবিজ্ঞতা আছে নাকি, যে কারণে ছেলেদের এড়িয়ে চলিস? 
-শাহেদ ভাই, সব কিছুতে নিজের অভিজ্ঞতার প্র‍য়োজন হয় না,অন্যেরটা দেখেও অনেক কিছু শেখা যায়।
-তা অবশ্য ঠিকেই বলেছিস, তুই গ্রামে থেকেও তোর মন মানসিকতা অন্যরকম, গ্রামের উন্নতি হয়েছে।
-শাহেদ ভাই গ্রামের উন্নতির সাথে সাথে গ্রামের মানুষের ও উন্নতি হয়েছে, তাদের মন মানসিকতার উন্নতি হয়েছে, তাদের বিচার বুদ্ধিরও উন্নতি হয়েছে। আপনি বসুন আমি মাকে ডেকে নিয়ে আসছি।
-থাক,তোকে যেতে হবে না তুই পড়, আমিই যাচ্ছি। শাহেদ ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। শীলা মনে মনে খুব রাগ হলো,শাহেদকে সে ভালো মনে করেছিল, কিন্তু শাহেদ অন্য রকম ছেলে, তার কথার ধরণ, তার চাহনির ধরণ কোনটাই ভালো নয়। এরকম ছেলের সাথে মা তাকে বিয়ে দিতে চাইছে। শীলা রাগ করে বই বন্ধ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল,বাইরে এসেই বাবার  গলার আওয়াজ শুনতে পেল।বাবা বাড়িতে এসে প্রথমে শীলাকে ডাকে,তারপর ঘরে ঢুকে। কিন্তু আজ বাবা শীলাকে ডাকলো না কেন? রান্না ঘরে তাকিয়ে দেখলো প্রিয়া চিন্তিত  মনে একা বসে পিঠা বানাচ্ছে। শীলা ভাবলো প্রিয়ার কাছে যাবে,কিন্তু ঘর থেকে বাবা মা দ'জনের গলার আওয়াজ শোনা গেল। বাবা আজ মায়ের মুখে মুখে কথা বলছে। কিন্তু বাবা তো কোন দিনও মায়ের সাথে ঝগড়া করেনি। তবে আজ কি হল,শীলা ঘরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। মা খাটে বসে আছে, আর বাবা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। বাবাকে এই অবস্থায় দেখে শীলার খুব কষ্ট লাগলো কিছুদিন আগেও শীলা বাবার গলা ধরে কোলে বসেছে, বাবাকে আদর করেছে। এখন আর তা করতে পারে না, শীলা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। তাই বাবার সাথে দূরত্বও বাড়ছে। সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছু বদলে যায়। বাবা মাথা তুললো চোখের কোণে পানি। মা চেঁচিয়ে বললো,মাইয়ারে তো আর সারাজীবন ঘরে রাখন যাইবো না,পরের ঘরে দেওন লাগবো।
-তাই বলে আমার এতটুকু মেয়েকে তুমি বিয়ে দিতে চাইছো! ওর এখন পড়া লেখার বয়স,আনন্দ ফুর্তি করার সময়, আমাদের তো একটি মাত্র সন্তান।
-আনন্দ ফুর্তি যা করার বিয়ার পরে করবো,আর নেহা পড়া যতটুকু করছে তাতেই চলবো। শাহেদ তো আর ওরে দিয়া চাকরী করইবো না যে লেহাপড়া শিখন লাগবো। শাহেদ তোমার মত দুই টেকার চাকরি করে না, যে আমার মাইয়ারে সুখে রাখতে পারবো না? বিদেশ থাইকা শাহেদ অনেক টেকা কামাই করছে।
- রাহেলা টাকাই সব কিছু নয়,আমি চাই শীলা পড়া লেখা শিখে বড় ডাক্তার হোক। তুমি ওকে এই বয়সে বিয়ে দিয়ে ওর জীবনটা নষ্ট করে দিও না।আমি তোমার স্বামী হয়ে তোমার কাছে হাত জোড় করে বলছি।জীবনে আমি কোন কাজে তোমাকে বাঁধা দেইনি,কিন্তু আজ দিচ্ছি তুমি আমার এই অনুরোধটা রাখো।
-শীলা কি তোমার একলার মাইয়া আমার কিছু না, আমি ওর মা।ওর বালা মন্দ সব আমি তা করুম আর তুমি ভাইবো না যে তোমার কাছে অনুমতি নেওয়ার লাইগা, আমি তোমারে এই কতা কইছি তুমি ওর বাপ তাই জানাইলাম,এইবার যা করার আমি একলাই করুম। শীলা ঘরের কাছ থেকে চলে এলো, মায়ের কথা আর সহ্য হচ্ছে না শীলা প্রিয়ার সামনে এসে দাঁড়ালো। প্রিয়া অসহায় দৃষ্টি নিয়ে শীলার দিকে তাকিয়ে রইলো,শীলা প্রিয়াকে জরিয়ে ধরে বললো,
-আপু এসব কি হচ্ছে আমার কিছু ভালো লাগছে না, আমি দেখেছি প্রতি পদে পদে বাবাকে কষ্ট সহ্য করতে,আমি কখনো চাইনি আমার জন্য বাবার কোন কষ্ট হোক। সেই বাবা আজ আমার কথা ভেবে চোখের পানি ফেলছে। এরচেয়ে বড় কষ্ট আমার জন্য আর কি হতে পারে। আমি মনে প্রানে চাই বাবার স্বপ্ন স্বার্থক করতে, কিন্তু আমার মা তার বোনের ছেলের টাকা দেখে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছে, আমি তো তার একমাত্র সন্তান, আমি আমার মায়ের কাছে এত তাড়াতাড়ি বোঝা হয়ে গেলাম।

প্রিয়ার চোখে জল

৬ষ্ঠ পর্ব

লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল

শীলা তুই এভাবে ভাবছিস কেন। মামী হয়তো যা করছে, তোর ভালোর জন্যই করছে, হয়তো এত ভালো ছেলে হাত ছাড়া করতে চাইছে না,তাই.....

-থাক আপু কতটা ভালো তা আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি,আর মা আমার যত ভালোই চাক,আমি বাবার অমতে কোন কিছুই করবো না তাতে যা হবার হবে।
-শীলা,মাথা গরম করিস না,তাতে অশান্তির সৃষ্টি হবে।
-আপু তোমার কি মনে হয়।এই সংসারে শান্তি আছে? আমি তোমার মত মুখ বুজে সব সহ্য করবো না, আমি প্রতিবাদ করবো। তুমি আর বাবা সব অন্যায় মুখ বুঝে  সহ্য করো,আমি করবো না।এমন সময় শাহেদ এলো,প্রিয়া ভেতরে চলে গেল,শাহেদ শীলাকে বললো, তোর কি এখন কোন কাজ আছে?
-না শাহেদ ভাই কেন, আপনার কিছু লাগবে?
-চল তো একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি, অনেক দিন হয় খোলা মাঠে হাঁটি না,নৌকায় চড়িনি চল,দু'জন মিলে ঘুরে আসি, মনটা ফ্রেশ হয়ে যাবে।
-শাহেদ ভাই এই ভর সন্ধ্যায় আমি এখন বাইরে যাব না, সামনে পরীক্ষা, আমি এখন পড়তে বসবো,কাল সকালে কাউকে আপনার সাথে দিয়ে দেব, ঘুরে আসবেন। এই বলে শীলা চলে গেল।শাহেদ অবাক হয়ে ওর চলে যাওয়া দেখলো।প্রিয়া রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে।শাহেদের মনে হল প্রিয়ার সাথে কোন কথা বলবে। প্রিয়া শাহেদকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। শাহেদ এদিক ওদিক তাকিয়ে প্রিয়ার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, দরজায় টোকা দেবার চেষ্টা করলো,আবার হাত সরিয়ে আনলো।এদিকে শীলা জানালা দিয়ে সব দেখলো।শীলা দৌড়ে তার মায়ের কাছে গেল,মা বসে পান খাচ্ছে। আর একা একা বাবাকে বকছে,শীলা মায়ের সামনে বসলো,মা তোমাকে একটা কথা বলতে এসেছি বল আমার কথাটা রাখবে তুমি?
-এত ভনিতা না কইরা কি কবি ক।
-মা তুমি প্রিয়া আপুকে শাহেদ ভাই এর সাথে বিয়ে দিয়ে দাও দু'জনকে মানাবে ভালো।
কি কইলি তুই,আমার বইনের পোলা বিয়া করবো ওই কামের মাইয়ারে, তোর এত বড় সাহস অইলো কেমনে।বুঝছি এই কথা নিশ্চয়ই তোর বাপ তোরে শিখাইয়া দিছে।
- বিশ্বাস করো মা বাবা এই ব্যাপারে কিছুই জানে না,আমি মন থেকে তোমাকে এই কথা বলছি। তাছাড়া আমি এই মুহূর্তে বিয়ে করবো না,আমি অনেক পড়ালেখা শিখে ডাক্তার হবো,তাছাড়া প্রিয়া আপুকে বিয়ে দেওয়া তোমার দায়িত্ব, তুমি আর অমত করো না মা।
-ওরে বিয়ে দিলে আমার সংসার সামলাইবো কে! বিয়া দিতে খরচ আছে,খরচ দিবো কে,ওর বাপের যতটুকু সম্পত্তি আছিলো, তা  তো ওর পড়ার পেছনেই তোর বাপে খরচ করছে,কি অইলো শিক্ষিত বানাইয়া পড়ালেহা ধুইয়া কি এহন পানি খাইতাছে। ছোটকাল থেকা ও  আমার সংসারে খাইয়া পইরা বড় অইছে,যতদিন বাইচা থাকবো,এই সংসারের কাম কইরাই ওরে থাকতে অইবো, বিয়া ওর কপালে নাই,এই জীবনে আর স্বামী সন্তানের চেহারা দেহন লাগবো না,আর তুই যা কইছোস,একবার কইছোস, ভবিষ্যতে আর কহনো এমন কথা মুখেও আনবি না।আর তোর ভবিষ্যতের চিন্তা তোর করন লাগবো না,যা করার আমিই করুম। শীলা রেগে মায়ের সামনে থেকে উঠে এল। দরজার সামনে বাবা দাঁড়িয়ে, এতক্ষণ সব কথা শুনেছে, শীলা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাবাকে দেখলো, বাবা কাঁদছে,শীলাকে দেখে বাবা হাঁটতে হাঁটতে পুকুর পাড় চলে গেল। শীলা বুঝতে পারলো বাবা সব শুনেছে, শীলাও গেল পুকুর পাড়।বাবার হাত ধরে বললো,তুমি চিন্তা করো না বাবা,দেখো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
কোন কিছুই ঠিক হবে না মা,আমি জানি তুই আমার সাহসী মেয়ে। কিন্তু প্রিয়া,ওর কি হবে?
আমার সব চিন্তা ওকে নিয়ে।ওকে এভাবে রেখে গেলে আমি যে মরেও শান্তি পাব না।
-বাবা এভাবে বল না, দেখবে একদিন আপুর  দুঃখের দিন শেষ হবে,তুমি আর কেঁদো না বাবা,তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয় না,তুমি একজন পুরুষ মানুষ হয়েও নিজেকে এত অসহায় আর দুর্বল ভাবো কেন?
-মা রে এই পৃথিবীতে যার অর্থ নেই সে পঙু মানুষের মতোই অচল, আর তার মনও দুর্বল থাকে। শীলা  আর কখনো তুমি এই কথা বলবে না আমি আরেকটু বড় হই, তখন দেখবে তোমাকে আমি কারো কাছে ছোট হতে দেব না।
- তুই তো আমার মা,আমার ছোট মা। বাবা শীলাকে মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে দিল।শীলা বাবার চোখের পানির দিকে তাকিয়ে রইলো, শীলা বুঝতে পারে না এই ছোট দুটো চোখ থেকে এত পানি কোথা থেকে আসে, মানুষের মনের কল্পনার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই,মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক, সংসারের এত দুঃখ কষ্ট দেখে শীলার কাছে জীবনটা তুচ্ছ মনে হয়।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ