প্রিয়ার চোখে জল
পর্বঃ ৩৩
লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল
আকাশ বললো, এ তো খুশির কথা। সুমি বললো, খালা, মেয়ে কোথায় থাকে চলেন, আমরা সবাই মিলে যাবো। খালা বললো, প্রিয়াকে আমার পছন্দ হয়েছে। দেখতে সুন্দর, কথাবার্তা ভালো। আমি এতদিন এমন একটা মেয়ে খুঁজছিলাম। আকাশ আর সুমি চুপ হয়ে গেল। আকাশ বললো,খালাম্মা আপনি প্রিয়াকে পছন্দ করেছেন, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু কিরণ তো বলছে সে কখনো বিয়েই করবে না। বিয়ে দূরে থাক ও তো মেয়েদের নামটাও শুনতে পারে না। খালা বললো, আমি ওকে রাজী করাবো। আমার বিশ্বাস ওর সাথে প্রিয়ার বিয়ে দিলে আস্তে আস্তে ওর মনের পরিবর্তন ঘটবে। প্রিয়ার উপর আমার সেই বিশ্বাস আছে। আকাশ বললো, খালাম্মা জোর করে কি সংসার হয়? তাছাড়া কারো মনের উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। কিরণ খুব শক্ত মনের ছেলে। সেই সাত বছর আগে ওর সাথে এক মেয়ে প্রতারণা করেছে, সেই থেকে ও সব মেয়েকে ছলনাময়ী ভাবে। আমরা সবাই মিলে এত বছর ধরেও ওর সেই ভুল ধারণা ভাঙাতে পারিনি। সুমি বললো,খালা, আমরা না হয় জোর করে বিয়ে করিয়ে দিলাম। কিন্তু পরে যদি ও কখনো না বদলায়? তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে! আর তাছাড়া আপনার চোখের সামনেই তো সব ঘটলো। প্রিয়ার কারণে আজ নীলা সুখের মুখ দেখেছে। আমি চাই না আমাদের সুখের কথা চিন্তা করতে গিয়ে প্রিয়াকে আর কোন দুঃখ দিতে। আকাশ বললো, হ্যাঁ খালাম্মা, আমারও তাই মনে হয়। প্রিয়া যে হাতে আমার বোনের সুখ তুলে দিয়েছে, আমি চাই না আমার হাত দিয়ে প্রিয়াকে দুঃখের সাগরে ভাসাতে। প্রাচুর্যের মাঝে থাকলেই মানুষ সুখি হয় না। মনের সুখই আসল সুখ। আর একটা নারীর কাছে তার স্বামীর আদর ভালোবাসাই বড় সুখ। প্রিয়া এতক্ষণ আড়ালে দাঁড়িয়ে সব শুনেছিল। আকাশের সামনে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়ালো।
কিছু বলবে প্রিয়া?
জ্বী ভাইজান, আমি এতক্ষণ আপনাদের সব কথা শুনেছি। তার জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। আপু আপনারা আমার বড়, আমি জানি আপনারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন, আর আমার ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করেন। তবুও আমার একটা মতামত আছে। যদি আপনারা আমার উপর রাগ না করেন, তাহলে বলতে পারি।
প্রিয়া তোমার কোন কথায় আমরা কখনো রাগ করবো না, কি বলতে চাও নির্ভয়ে বল।
ভাইয়া আমি এই বিয়েতে রাজি।
আকাশ আর সুমি অবাক হয়ে দু'জন দু'জনের দিকে তাকালো। আকাশ ভাবলো প্রিয়া নিজেকে এই বাড়ির বোঝা মনে করছে, তাই এই বিয়েতে মত দিচ্ছে। আকাশ প্রিয়ার কাছে দাঁড়িয়ে বললো, নীলা আমার কাছে যেমন, ঠিক তুমিও আমার কাছে তেমনই। তুমি নিজেকে কখনো আমার কাঁধের বোঝা মনে করো না। আমরা শুধু কথা বলছিলাম, খালাম্মা তোমাকে পছন্দ করেছে। পছন্দ তো যে কেউ করতে পারে, তার জন্য তো বিয়ে হয়ে যায় না। আর তাছাড়া তুমি তো কিরণের ব্যাপারে সবই জানো, সব কিছু জেনে আমরা কিরণের সাথে তোমাকে বিয়ে দিতে পারি না। আমি খুব ভালো মনের একজন ছেলের সাথে তোমার বিয়ে দেবো। যাতে তুমি কখনো কষ্ট না পাও। ভাইয়া দুঃখ -কষ্টকে এড়িয়ে চলার নাম জীবন নয়। দুঃখ -কষ্টকে জয় করে চলার নাম জীবন। আর আমি তো জন্মের পর থেকেই লড়াই করছি, আর একবার দেখি না চেষ্টা করে, এক মায়ের ভরসা আমার উপর। যদি তার আশা পূরণ করতে পারি, তার চিন্তা দূর করতে পারি, তবে ভাববো জীবনে কিছু করতে পেরেছি।
প্রিয়া বিয়ে পুতুল খেলা নয়, আর বিয়ে দু'দিনের জন্যও নয়, এটা সারাজীবনের ব্যাপার। আমরা জানি তুমি বিশাল মনের মানুষ, কিন্তু সেই বিশালতা দিয়ে সব সময় সব কিছু জয় করা যায় না। কিরণ আমাদের আপনজন, আমরা একবার তোমার সুখ ছিনিয়ে নিয়েছি। আরেকবার নিতে চাই না। আমরা চাই তোমাকে সুখী দেখতে, তোমার সুখই আমাদের শান্তি।
ভাইয়া এক মায়ের বিশ্বাস আছে আমার উপর, জয়ী হতেও পারি। এই জীবনটার সাথে অনেক যুদ্ধ করেছি, আরেকবার না হয় করে দেখি। আর যদি হেরে যাই তাহলেও কষ্ট পাবো না। এই জীবনে এত সহ্য করেছি যে, এখন আর কষ্টকে কষ্ট মনে হয় না। আর তাছাড়া আপনারা তো আমার পাশেই আছেন।
আকাশ আর কিছু বললো না, নিজের রুমে চলে গেল। সুমি বললো,প্রিয়া তুমি আমার খালার জন্য জীবনের বাজী ধরলে। আমাদের সবার দোয়া তোমার মাথার উপর থাকবে। খালা খুশী হল। প্রিয়া মাথা নিচু করে চলে গেল। সুমি খালাকে বললো,কিরণের সাথে কথা বলার জন্য। খালা কিরণের কাছে গেল। কিরণ মিতুর সাথে গল্প করছিল। সুমি এসে মিতুকে নিয়ে গেল, যাতে খালা কিরণের সাথে কথা বলতে পারে। আকাশ চিন্তিত মনে খাটের উপর হেলান দিয়ে বসে আছে। সুমি এলো মিতুকে নিয়ে। আকাশকে দেখে বললো, কি হয়েছে, এভাবে মন খারাপ করে বসে আছো কেন, কিছু হয়েছে নাকি? সুমি এতকিছু হয়ে যাবার পরও বলছো, কিছু হয়েছে নাকি! প্রিয়া সব কিছু জেনে শুনে আগুনে পা দিতে যাচ্ছে। আর তুমি বলছো... অবশ্য তুমি তো চাইবেই তোমার খালার মনের আশা পূরণ হোক। সুমি তুমি আমাকে ভুল বুঝ না, আমিও চাই কিরণ স্বাভাবিক জীবনে চলে আসুক, সংসারী হোক, সুখে থাকুক। কিন্তু তার জন্য প্রিয়াকে দাবার গুটির মত ব্যবহার করা ঠিক হবে না। আমি চাই না যে আমার বোনের সুখের জন্য এতকিছু করেছে, তার কোন কষ্ট হোক।
আকাশ তুমি প্রিয়ার জন্য যতটা চিন্তিত, ঠিক ততটা আমিও চিন্তিত। বিশ্বাস করো, আমিও মন থেকে চাইনি খালার এই আশা পূরণ হোক। কিন্তু বুঝতে পারছি না প্রিয়া কি ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিল। তবে ও যেহেতু আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে ওর মতামত প্রকাশ করেছে, আমাদের উচিৎ ওর এই সিদ্ধান্ত খুশিমনে মেনে নেয়া। আমার আপন বলে বলছি না, কিরণ খুব ভালো ছেলে। যদি প্রিয়া এই পরীক্ষায় পাশ করে, তবে ও সারাজীবন সুখে থাকবে। আর তুমি তো খালাকে ভালোভাবেই চেন, প্রিয়াকে কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দেবে না। মানুষ যখন মন থেকে কিছু করতে চায়, তখন সৃষ্টিকর্তা তার মনের আশা পূরণ করেন। প্রিয়ার ধৈর্য আর ভালোবাসার কাছে কিরণকে হার মানতেই হবে, এটা আমার বিশ্বাস। আকাশ দাঁড়িয়ে গেল। সুমিকে বললো, তুমিই আমার মনোবল, আমার মন যখন খুব অস্থির হয়ে উঠে, তখন তুমি আমাকে সান্ত্বনা দাও। আমি জানি, তুমি নীলার মত প্রিয়াকেও ভালোবাসো। আর আমি ভাগ্যকে বিশ্বাস করি। প্রিয়ার ভাগ্যে যা আছে, তাই হবে। তবে আমি বেঁচে থাকা পর্যন্ত ওর কোন ক্ষতি হতে দেব না। ওর সুখের জন্য যা যা করা দরকার, আমি তাই করবো। সুমি বললো,এই তো বড় ভাইয়ের মত কথা। এখন কিরণ রাজি হলেই হয়। আকাশ মিতুকে কোলে তুলে নিল। সুমি তা দেখে হাসলো।
চলবে,,,,,,,,,,
প্রিয়ার চোখে জল
পর্বঃ ৩৪
লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল
খালা কিরণের সামনে বসে আছে। কিরণ বুঝতে পারলো মা তাকে কঠিন কিছু বলবে। তাই কিরণও চুপচাপ বসে রইলো। খালা কঠিন সুরে বললো, আমি তোর জন্য একটা মেয়ে পছন্দ করেছি ওর নাম প্রিয়া মেয়েটাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে, আমি চাই তুই ওকে বিয়ে কর। মা তুমি এসব কি বলছো,আমাকে বিয়ে করতে হবে! অসম্ভব, আমার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। মা তুমি সব কিছু জেনেশুনেও আমাকে কেন এসব কথা বলছো। মা তুমি আমাকে অন্য কোন হুকুম করো, দেখবে আমি তা সাথে সাথে পালন করবো। তবুও এই কথা বলো না।
থাক আমার কোন কথাই তোকে আর রাখতে হবে না। তুই ইচ্ছে হলে এখন চলে যেতে পারিস।
চলে যাবো মানে! আমি একা যাবো, তুমি যাবে না?
না আমি আর কখনো ওই বাড়িতে ফিরে যাবো না। তুই একা শান্তিতে থাক, আমি আর কখনো তোকে বিরক্ত করবো না।
মা তুমি এসব কি বলছো?
আমি যা বলছি ভেবেচিন্তেই বলছি। আমার আর একা একা থাকতে ভালো লাগে না। এখানে সবাই আছে, আমার দিনটা ভালোই কাটে। মানুষ ছেলে বড় করে তার বউয়ের হাতের সেবা - যত্ন পাবার জন্য। আমার ভাগ্যে এত খারাপ, যে সেবা - যত্ন পাব তো দূরের কথা, ছেলের বউয়ের মুখ দেখার ভাগ্যও আমার নেই। তোর বাবার সাথে যদি আমারও মৃত্যু হত, তাহলে ভালো হতো। এত যন্ত্রণা আমাকে সহ্য করতে হতো না। কিরণ মায়ের মুখ চেপে ধরে বললো, মা তুমি আর কখনো এসব কথা বলবে না। বাবার মৃত্যুর শোক আমাকে এখনো কাঁদায়। আর তুমি তো আমার মা, ঠিক আছে তুমি যাকে পছন্দ করেছো, আমি তাকে বিয়ে করবো। খালা খুশি মনে আকাশ আর সুমিকে কথাটা বললো। শুনে সবাই খুশি হল। খালা আকাশকে বললো,আকাশ আমি জানি তুমি প্রিয়াকে নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু তুমিই বলো, আমাদের কিরণ কি খুব খারাপ ছেলে? হয়তো ওর মনটা ভেঙে গেছে, তাই আমাদের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখে। আমরা যদি ওর ভাঙা মনটাকে জোড়া লাগাবার চেষ্টা না করি, তবে কে করবে বলো! আমার মন বলছে প্রিয়ার সাথে ওর বিয়ে হলে আস্তে আস্তে ও ঠিক হয়ে যাবে। নারীই সংসার ভাঙে, আবার নারীই সংসার গড়ে, তাই না?
আকাশ বললো, আপনার ধারণাই যাতে সত্য হয় খালাম্মা তা না হলে সারাজীবন নিজেকে স্বার্থপর আর অপরাধী মনে হবে। সুমি কিরণের কাছে গেল। কিরণ হেলান দিয়ে বসে আছে। মনে হচ্ছে সে সাগরের মাঝখানে পড়ে গেছে। কিরণ বিয়ে করবে ভাবতেই বুকের ভেতর কেমন যেন করছে। কিন্তু এছাড়া আর কি করার আছে। মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। মাকে সে খুব ভালোবাসে। মায়ের হাসিমুখ দেখার জন্য তাকে এই বিয়ে করতেই হবে। সুমি এসে সামনে বসলো, তুমি বিয়ের জন্য রাজি হয়েছো আমরা সবাই খুশি হয়েছি। প্রিয়া আমার কাছেই থাকে, তুমি ওকে দেখবে? কিরণ বললো, না আপু।
সুমি বললো, আশ্চর্য! যাকে বিয়ে করবে তাকে দেখবে না?
কিরণ বললো,আমার দেখার দরকার কি, আপনারা দেখলেই তো হবে । সুমি বুঝতে পারলো ওর মনের অবস্থা, তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল।
প্রিয়ার চোখে জল
পর্বঃ ৩৫
লেখকঃ সাইদা ইসলাম বকুল
রাত আটটার দিকে আকাশ কাজী নিয়ে এল।প্রিয়াকে বিয়ের শাড়ি পরানো হয়েছে। সুমি নিজ হাতে সাজিয়েছে। মিতু খুব খুশি কিন্তু আকাশ আর সুমির মন খারাপ। কারণ তারা চায়নি এভাবে প্রিয়ার বিয়ে হোক। কোন হৈ চৈ নেই, কোন আনন্দ নেই। আশেপাশের কেউ জানে না এই বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে। সবাই ড্রইংরুমে বসে আছে। সুমি প্রিয়াকে নিয়ে এল। হঠাৎ করে প্রিয়ার বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠলো। মামা আর শীলার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। খুব জোড়ে জোড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু তা পারছে না। যদি আকাশ আর সুমি মনে কষ্ট পায়, তাই। আগে যখন প্রিয়া কাঁদতো, তখনও কাউকে বুঝতে দিত না। যদি মামী আরো রেগে যায়, যদি মামা মনে কষ্ট পায়, যদি শীলা মন খারাপ করে থাকে। এই ভেবে নীরবে কেঁদেছে আগে । কি হবে প্রিয়া তা জানে না। খালার চোখের পানি আর হাহাকার দেখে প্রিয়া এই বিয়েতে রাজি হয়েছে। হয়তো তার মনে যাতে কোন কষ্ট না পায়, তার জন্যও প্রিয়া নীরবেই কাঁদবে। প্রিয়া নিজেও জানে না তার এই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়েছে, না ভুল হয়েছে। কিরণ তাকে কখনো স্ত্রীর মর্যাদা দেবে কি না, প্রিয়াকে সে ভালোবাসতে পারবে কিনা। সুমি প্রিয়াকে কিরণের পাশে বসালো, কাজী বিয়ে পড়ালো। তারপর সবাই মিষ্টমুখ করলো। কাজী চলে গেল। প্রিয়া তার শাশুড়িকে সালাম করলো। আকাশ মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিল। তারপর সুমিকে সালাম করতে গেল। সুমি প্রিয়াকে টেনে বুকে নিল, প্রিয়া আর কান্না সামলে রাখতে পারলো না। জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো। প্রিয়ার কান্না দেখে আকাশ মাথা নিচু করে বসে রইলো। বুয়া কাঁদছে। মিতু বললো, মা, বুয়া কাঁদছে কেন? সুমি বললো, তোমার আন্টি আজ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে তো, তাই কাঁদছে। সুমি আদর করে প্রিয়ার কান্না থামালো। আকাশ উঠে এসে প্রিয়ার সামনে দাঁড়ালো। প্রিয়াকে বললো, দোয়া করি তুমি সুখি হও। আমাদের জন্য তুমি এত কিছু করেছো। জানি না তার ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবো কিনা। তুমি সব কিছু জেনেশুনে এই বিয়েতে মত দিয়েছো। আমি জানি খালার ইচ্ছার মূল্য দিতে গিয়ে তুমি এই বিয়ের মালা গলায় পরেছো। আমি তোমাকে এভাবে আমার ঘর থেকে বিদায় দিতে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম নীলার মত করে তোমাকে বিদায় জানাবো, তা তো আর হলো না। খালা আর তোমার ইচ্ছের কাছে হার মেনে আমি এই বিয়েতে মত দিয়েছি । তবুও মন থেকে বড় ভাই হিসেবে দোয়া করি, তুমি সফল হও। তবে যখন যা প্রয়োজন হবে আমাকে বলবে, কখনো নিজেকে একা আর অসহায় ভাববে না। সব সময় ভাববে তোমার ভাই তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আর যদি কখনো মনে হয়, ওই বাড়িতে থাকা সম্ভব নয়। তবে সোজা আমাদের এখানে চলে আসবে। আমার এই ঘরের দুয়ার তোমার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। সুমি প্রিয়ার কপালে চুমু দিয়ে বললো, মন খারাপ করো না। আমি প্রতিদিন তোমার সাথে কথা বলবো। আর খালা তো আছেই, সে তোমাকে বুক দিয়ে আগলে রাখবে। মায়ের আদর ভালোবাসা কি তা খালার কাছ থেকে পাবে।
কিরণ অনেক আগেই নিচে চলে গেছে। হয়তো গাড়িতে বসে আছে, কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। আকাশ, সুমি, মিতু,বুয়া সবাই প্রিয়াকে বিদায় জানাতে নিচে নেমে এলো। কিরণ গাড়িতেই বসে আছে। খালা আর প্রিয়া পেছনের সিটে বসলো। সুমি হাত নেড়ে বিদায় জানালো। কিরণ গাড়ি নিয়ে চলে গেল। সবাই গাড়ির দিকে তাকিয়ে রইলো।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ