āĻļāύিāĻŦাāϰ, ⧍ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

702

#সেই_রাত্রির_যাত্রী
.

ধীরে ধীরে শহরের আলো গুলো মলিন হয়ে আসছে। আকাশের পূর্ণ চাঁদের জন্য অন্ধকারের রংও ফিকে হয়ে গেছে। গাড়ি চলছে স্ব গতিতে।
দেখতে দেখতে জেলা শহর পার হয়ে গেল আমাদের গাড়ি। আমাদের গাড়ি তো নয়, পাবলিক পরিবহণ। জেলা শহর পার হবার শুরু হল যাত্রি নামার হিরিক পরে গেল। আরার মাঝে মধ্যেই নতুনভাবে কেউ কেউ উঠছে গন্তব্যে পৌছানের আশায়।
শহরের আলো গুলো ক্রমেই দুরে চলে যাচ্ছে। আমার পাশের যাত্রি বেশ আগেই নেমে গেছে, তাই খানিকটা অসস্থি বোধ হচ্ছিল। জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি দিলাম, এবার আর আমি একা নয়। আকাশের চাঁদও আমার সফর সঙ্গী হল। আমি ফিকে আধারের মাঝে অবাক নয়নে দেখছি রাস্তার পাশের বৃক্ষরাজি। 
কখনও অজানা কোন বাড়ি, ফসলের মাঠ, উঁকি দিয়ে যাচ্ছে গাছে গুলোর ফাকে, আবার হারিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত সুন্দর, দুনিয়া!
আবার কখনও গাড়ি থামছে। দু একটা যাত্রী উঠা নামা করছে। আবার গাড়ি চলত ঠিকানার উদ্দেশে।
.
আমি আনমনে হয়ে দেখছি প্রকৃতির সাজ। এমন সময় পাশ থেকে, আমার কাধে কারও হাত স্পর্শ করল। আমি খানিকটা বিষ্ময় নিয়ে পাশে তাকালাম। অজান্তেই মুখ ফুটে বলে উঠলাম "কে?"।
লোকটা বলল "আমার নাম ছলিম, ছলিম শিকদার। তা, ভাইজানের নাম কি?"
আমি আর কথা না বাড়িয়ে বললাম,"আমি জলিল খন্দকার"।
জলিল ভাই কোথায় নামবেন? -লোকটা প্রশ্ন করল।আমিও বেশ সোজাসাপ্টা ভাবেই উত্তর দিলাম "নগরের পরের স্টপিস এ।
লোকটা এবার ইতস্তত করে বলল "ভাই যদি কিছু মনে না করেন তাইলে একটা কাহিনী শুনাইতে চাই। আমার জীবনের একটা গল্প।"
লোকটার কথায় সরলতা থাকলেও তার বেশভুষাতেও  অশিক্ষিত মনে হয় না। এমনিতেই বেশ একঘেয়ে লাগছিল, তাই আমি আর আপত্তি করলাম না। সম্মতি সূচক মাথা নাড়ালাম।
বলা শুরু করল ছলিম-
.
এই গত কালের ঘটনা। আমিও আপনার মতোই শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছিলাম। লেখাপড়া করতাম শহরে, মানে জেলা শহরে। রাত সাড়ে ন'টায় নগরের বাস স্ট্যান্ডে নামলাম।আশ পাশ থেকে অনেক রিকশা চালকের ডাককে উপেক্ষা করেই, নিজের মত হাঁটা শুরু করলাম। তাই অনেক পরিচিত মুখ আমাকে দেখে বিস্মিত হল। এই টাই আনন্দ। রিকশায় উঠলে আরামে বাড়ি যাইতে পারতাম। কিন্তু এই মহব্বত টা কই পাইতাম, কন?

বাজার থেকে খানিকক্ষণ দক্ষিনে যাবার পর, কড়ই গাছের সারি। তার পর বায়ে, ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটা শুরু করলাম। জোসনা রাত। আকশে সাদা ধবধবে চাদ রুপোর থালার মত লাগছে। দুই ধারের ধান ক্ষেতে যেন আলোর বারি বর্ষিত হচ্ছে। গ্রাম এলাকা বলেই এখন অনেক রাত।চারদিক স্তব্ধতা আর শূন্যতা। মাঝেমধ্যে দক্ষিণের হাওয়ার  ধাক্কায় নেচে উঠে ধান গাছ গুলো। আমি একলা বলেই বেশ উপভোগ করতে করতে চলছি। দুরের আকাশের দিকে তাকালাম যেন তারার মেলা বসেছে। এমন সময় কোন নারী কন্ঠস্বর শুনলাম। হ্যাঁ আমাকে ডাকছে আমিও পেছনে তাকালাম, একটা নারী মূর্তি বেশ জোর পায়েই এগিয়ে আসছে। ছলিম ভাই দাড়ান। আমি মনের অজান্তেই বললাম কে?
কাছে আসতেই আবারও বললাম, তুমি কে? মেয়েটির হাত আমার মুখের উপর চাঁপা দিয়ে বলল,  চুপ করেন আস্তে কথা বলেন। আমি থেমে গেলাম, ততক্ষণে ওর মুখটা ঠেকে রাখা ওরনা সরে গেল।
আমি তাকিয়ে দেখছি, এক অদ্ভুত সুন্দরী কে। সুশ্রী বদনে, চন্দ্র আলোকের বান নিক্ষিপ্ত হচ্ছে, চাঁদের আলোয় তার চেহারাটা ঝলমল করে উঠছে। যেন চাঁদ আর আকাশে নাই, আমার সামনে। কালো কেশ গুলো নিয়ে খেলা করছে দখিনা হাওয়া। চাঁদ যেন তাতে, আলোর স্নিগ্ধ পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। তার ডাগর নয়ন জোড়ায় মায়া খেলা করছে,যেন বিদুত্ বিচ্ছুরিত হচ্ছে।
মুখের উপর থেকে হাত সরিয়ে নিল এক ঝাটকায়।
.
সহসাই মেয়েটির ঠোঁট দ্বয় কেঁপে উঠল। বলল ভাল আছেন, ছলিম ভাই।
আমি বিষ্ময় কন্ঠে বললাম, সামিয়া তুমি!
ও, তাহলে চিনছেন? আমার কথা মনে আছে তাহলে? তার মুখে অভিমানের সুর।
-আমি তো দুর থেকে চিনতেই পারিনি। যেন দেখছিলাম এক ফুটন্ত গোলাপকে।
-মশাই, গোলাপের তো কাঁটা আছে। স্মিত হেসে বলল সামিয়া।
-আমি ভয় পায় নাকি। দাও সে কাঁটা, আমার হৃদয়ে গেথে দাও। আমার .....
আমার কথা শেষে না হতেই সে বলল।
-ব্যস হয়েছে।
- কি  হয়েছে?

-কিছু না।
আমি লক্ষ করলাম তার প্রশস্ত ললাটে কুন্জন রেখা। চোখে মুখে চিন্তার ভাব স্পষ্ট। আমি বললাম" কি? কিছু বলবে?"
-আচ্ছা, তুমি কি আমায় ভালোবাস?
সামিয়ার প্রশ্নে হঠাত্ যেন, আমার মনে অদ্ভুত এক শিহরণ খেলে গেল।
-আচ্ছা পাগল তো, তুমি। এই কথা বলতেই এত রাতে....
এবার রিতিমত ক্ষেপে গেল সামিয়া।
বলল"আমি পাগল না। শোন এত রাতে আমি শখ করে এখানে আসিনি। তুমি প্রতি বৃহস্পতিবার আস তা আমি জানি। তাই তুমার অপেক্ষায় ছিলাম। যা হোক, বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন। এখন কি করব। কাল দিন বাদেই বিয়ে।"
একবার থেমে আবার এক রাশ হতাশা নিয়ে সামিয়া বলল "চল আমরা পালিয়ে যায়। দুরে কোথাও, যেখানে কেউ আসবে না আমাদের খোজে।"
আমি না হয় ভেবে দেখব। পরে তুমাকে জানাব। ফজরের পরপরই পুকুর ঘাটে যাবে। ঘাটের নিচে দেখবে চিঠি পাবে। সেখানেই উত্তর দিবে।"
সামিয়া শুধু ভার গলায় বলল "ঠিক আছে"। আর কিছুই বলল না। সোজা হাঁটা শুরু করল তার বড়ির পথ ধরে।
"দাড়াও সামিয়া" একসাথে যায়। আমার কন্ঠের জবাব এল না। আমি বুঝলাম আমার হৃদয় রাণী রাগ করেছে।আমার হৃদয়টা যেন মুচর দিয়ে উঠল।
আমি খানিকক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। আবার হাঁটা ধরলাম, বাড়ির দিকে।
রাতে অনেক ভাবলাম। তারপর চিঠি লিখে ফজরের সময় ঘাটের নিচে রাখলাম, ওজু করার বাহনায়।
তাতে লেখেছি সকল কিছু। সে অপর পাশে জবাবে লিখেছিল "রাজি"।
বিকেলি আমি বাবার মোটরবাইক নিয়ে বের হলাম। সন্ধ্যার খানিকটা আগেই ওর কোচিং শেষ হল। আমি সামিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। আমাদের গন্তব্য এখনও অনেক দুর। কেউ জানেনা আমাদের কথা।
.
ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে এল। পৃথীবির বুকে কালো চাদর বিছিয়ে দিল রাত। নির্জন হাইওয়েতে চলছে একটা মোটরসাইকেল। তাতে বসে আমি আর সামিয়া।বাইকের গতি খানিকটা বাড়িয়ে নিয়েছি।রাতের নিরবতা কাটিয়ে সা সা শব্দে চলছে বাইক।কখনও দু চারটি গাড়ি পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।রাতের আধার বেশ কম। আকাশের চাঁদ তখনও পিছু ছারেনি।
আমি আর সামিয়া খানিক পর পর দু চারটা কথা বিনিময় করছি।একসময় সামিয়া করুণ সুরে বলল "গাড়ি থামান, চাকায় উর্ণা আটকে গেছে"।
আমি পরিস্থিতি সামলাতে পেছনে তাকালাম।ব্রেকে পা দেবার আগেই বাইকের নিয়ন্ত্রন হারালাম।আমি আর সামিয়া ছিটকে পরলাম বাইক থেকে। আমি গাছের সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে পরে গেলাম ধান ক্ষেতে।

সামিয়া খানিকটা সামনেই পরেছে, তার উপরেই বাইকটা। আমার মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার পরও, কিছুটা হামাগুড়ি দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেলাম সামিয়ার কাছে। সে নিস্পলক দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে আকাশের পানে। রক্তাক্ত তার হাত, আমি তার হাতে হাত রেখে বুঝলাম, সে আর নেই। হ্যাঁ, তার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমারও একই দশা হল। পূর্ণ হল সামিয়ার আশা। সত্যিই এখন আর কেউ আমাদের খুজতে আসবে না। খুজে পাবেনা, আমরা সার্থকভাবে পালাতে পেরেছি। পালাতে পেরেছি জীবন থেকে।
.
আমার (জলিল) আগ্রহ তখন তুঙ্গে। আমি (জলিল) বললাম "মানে কি? এখন তাহলে, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?"আমার(জলিল) চোখে চোখ পরতেই আবার সরিয়ে নিল ছলিম।
ছলিম স্মিত হেসে বলল" এখন যাচ্ছি সামিয়ার কাছে। যাচ্ছি সেখানে যেখান থেকে কেউ ফিরে না।"
আমি (জলিল) আবার কিছু বলব। কিন্তু তার সুজুগ পেলাম না। ড্রাইভার সজোরে ব্রেক কসলো। আমি সামনের সিটের সাথে আঘাত পেলাম তার পর আর কিছু জানিনা।
.
আমার (জলিল) ঘটনা শুনে ডাক্তার খানিকটা বিস্ময় চোখে তাকাল। তারপর পাশে ফিরে আরেক জন ডাক্তারকে কি যেন বলল। সেই ডাক্তার আমার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিল তারপর বলল "মনে হয় আসলেই ওনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়েছে।আঘাত যদিও অনেক কম। কিন্তু তারপরও অনেকক্ষণ চেতনা ছিল না।ওর স্বজনদের খবর দিয়ে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা কর।"
আমিও শুনেছি, কিন্তু ওরা বোধ হয় বুঝেনি।
.
ছলিমের ঘটনার পরদিন আমি অমি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলাম। মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছি। তাই তেমন গুরুত্ব না দিয়ে, সন্ধ্যার সময় একাই গেলাম দুর্ঘটনা স্থানে। আসলেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল আর দুজন মারা গিয়েছিল। ছলিম সম্ভান্ত ঘরের ছেলে বলে। তাই সবারই জানা হয়ে গেছে কাল ছলিম পৃথিবী ছেরেছে।
হু হু করে বাতাস বইছে। আমি নরম ঘাসের উপর পা ছড়িয়ে বসলাম। আজও চাঁদ আছে। পৃথিবী থেমে নেই সময় ও চলছে। শুধু মৃত্যু নামের একটা শিকল, কাল এখানে দুজনকে পরানো হয়েছিল এ সময়ে।আজ তার রেশ নেই আবার আগের মতোই হয়ে গেছে। যেন কিছুই ঘটেনি।আমি অনুভব করলাম আমাকে । একদিন আমার পায়ে জরাবে সে শিকল। আমিও চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলব রঙিন এ ধরাকে দেখার শক্তি, পা দুটো হারাবে বিচরণ ক্ষমতা, বাহু হারাবে বল।
সে দিনের ঘটনা কাউকে বলিনি, পাছে কেউ পাগল ভাবে।
.
সে দিনের পর, কেটেছে কয়েক বছর। আমি অনেক বার গিয়েছি সেই পথ দিয়ে।কিন্তু আর দেখা মিলেনি ছলিমের। ছলিম আর বলেনি আমি একটা গল্প শুনাতে চাই। বলবে কি করে? ছলিম যে, আর ফিরবে না সে ছিল শুধু "সেই রাত্রির যাত্রী"।
.
লেখক: মো. সাইফ উদ্দিন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ