āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2835

মায়াবতী....
আমি আবির।একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে
চাকরি করি।বাবা- মায়ের একমাএ সন্তান।
-
খুব মজার একটা ঘুম দিচ্ছিলাম।হঠাৎই চিৎকার
শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল।হাত দিয়ে দেখি পাশে
মায়া নেই।
দেয়াল ঘড়িটাতে তাকিয়ে দেখি ভোর ৫ টা
বাজে।বুজতে বাকি রইল না,মায়া রান্না করছে।
দৌড়ে গেলাম রান্না ঘরে।
গিয়ে দেখি মায়ার হাতে গরম তৈল পড়ছে।
হাতটা অনেক টুকু পুড়ে গেছে।তাড়াতাড়ি
পানিতে ডুবিয়ে দিলাম।পরে প্রাথমিক সব রকম
চিকিৎসা করে মায়া কে শুয়িয়ে দিলাম।ও
বলল,আমি শুয়ে থাকলে রান্না টা কে করবে
শুনি?
আরে বাবু পুড়া হাত নিয়ে রান্না কিভাবে
করবে?আজকের মতো আমিই রান্না করে নিচ্ছি।
তুমি শুয়ে থাকো,তোমার ভাবতে হবে না।
দূর বোকা তুমি পারবানা,আমিই করে দিচ্ছি।কেন
পারবনা? আমি যখন মেসে থেকে পড়াশোনা
করতাম,তখন বুজি তুমি এসে রান্না করে দিতে ?.?
ওকে যাও,পারলে রান্না করো।
অনেক দিন যাবত রান্না করি না তাই একটু কষ্ট
হলো।তাও রান্নাটা শেষ করলাম।এতখনে মায়া
ঘুমিয়ে পড়ছে।
পরে গোসল করে অফিসের জন্য রেডি হয়ে মায়া
কে ডেকে তুললাম।কারন মায়ার ডান হাতটা পুড়ে
গেছে।আমি না খায়িয়ে দিলে খাবে কি করে
তাই খায়িয়ে দিলাম।ডাক্তারের কাছে যেতে
খুব জোর করলাম,কিন্তু সে যাবেনা।কি অদ্ভুদ
মেয়ে রে বাবা।ডাক্তারের কাছে যেতে বললেই
তার নানা সমস্যা।অসুখে মরে যাবে তাও
ডাক্তারের কাছে যাবেনা।কি আর করার আমি
অফিসে চলে গেলাম।
সারাদিনে অনেক বার কল করে খবর নিলাম।
বেচারি দুপুরে খায় ও নি।তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে
বাসায় যাবার জন্য রওনা দিলাম।ডাক্তারের
কাছ থেকে ঔষুধ নিয়ে নিলাম মায়ার জন্য।
মায়াবতীর একটু কষ্টে আমার হাজার গুন বেশি
কষ্ট হয়।কারন এই অল্প কয়েক দিনেই মায়াবতী
কে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।মায়া ও
আমাকে অনেক ভালোবাসে।মেয়েটি খুবই
ভালো।এইবার অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছে।তবে
সমস্যা একটাই গায়ের রং টা কালো।সে জন্যই
আজকে সে আমার বউ।না হলে এতদিনে অন্যের
সংসার করতো।
ঘটনাটা তবে খুলেই বলি।
মায়া আমার দূর সম্পর্কের খালাতো বোন।আমার
মায়ের ফোফাতো বোনের মেয়ে।সম্পর্ক টা
দূরের বলে আগে কখনই মায়া কে দেখিনি আমি।
তবে মায়ের খুব জোড়াজুড়িতেই মায়ার বিয়েতে
গিয়েছিলাম।গায়ে হলুদের দিন গিয়েছিলাম।
তাই ২ দিন এ ভালো পরিচিত হয়ে গিয়েছিলাম
মায়ার সাথে।তখনই বুজে ছিলাম মায়ার মনটাতে
ও মায়ায় ভরপুর।
বিয়ের দিন মায়ার বর মায়াকে বিয়ে করতে
অস্বিকার করল।
সে আগে মেয়ে দেখেনি।বাবা-মায়ের পছন্দেই
নাকি বিয়ে করবে।আর এখন তার আর মায়াকে
পছন্দ হচ্ছে না।অনেক বুজানোর চেষ্টা
করলাম,কিন্তু সে মানতে নারাজ।কিছুই করার
ছিল না।চোখের সামনে মায়ার সাজানো
স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যেতে দেখছিলাম।মায়া
একেবারে নিরব হয়ে গিয়েছিল।অধিক কষ্টে সে
পাথর হয়ে গিয়েছিল।বিয়ের আসর থেকে বিয়ে
ভেঙ্গে যাওয়াটা যে কত কষ্টের,তা শুধু মাএ
একটা মেয়েই বলতে পারবে।আমার মা অবশেষে
কোন উপায় দেখতে না পেয়ে,তার বোনের
সম্মান বাচাঁতে মায়াকে আমার বউ বানানোর
জন্য মনে মনে সিদ্বান্ত নিয়েই নিল।কিন্তু
আমার ইচ্ছে না জেনে কিছুই জানাতে পারছে
না।তাই আমাকে একা একটা রুমে নিয়ে গিয়ে
জিঙ্গাসা করল,মায়াকে তোর কেমন লাগে?
আমি বললাম খারাপ না।
তুমি কি মায়াকে নিয়ে কিছু ভাবছো মা?
মা মাথা নাড়িয়ে জানালো হুম।
পরে আমি বললাম,তোমার ইচ্ছেই পূরন হোক।
অবশেষে মানসিক ভাবে তৈরি না হয়েই
মায়াকে বউ করে নিয়ে আসলাম।
বাসর রাতে মায়া আমাকে বলল,আপনি এত সুন্দর
হয়ে আমার মতো কালো মেয়েকে কেন বিয়ে
করলেন?
আমি বললাম,মায়া দৈহিক সুন্দর্য টা ক্ষণস্থায়ী
কিন্তু মনের সৌন্দর্য টা চিরস্থায়ী।
আর নিজেকে কখনই অসুন্দর বা কুৎসিত মনে করবে
না।কারন আল্লাহ তায়ালা সবাই কেই কোন না
কোন উদ্দশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
আর নিজেকে অসুন্দর মনে করা মানেই তার
সৃষ্টিকে অবহেলা করা।
সেদিন মায়া আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক
কান্না করেছিল আর বলেছিল সবাই যদি আপনার
মতো চিন্তা করতো তবে,আমার মতো অসুন্দর দের
এত ধিক্কার পেতে হতো না।
তবে আজকে যে সম্মান আপনি আমাকে
দিয়েছেন তার অমার্যাদা আমি আমার জীবন
থাকতে করবোনা।
তারপর থেকে বুকে আগলে রে খেছি মায়াকে।
এতটুকু অমার্যাদা পেতে দেইনি তাকে আমি ।খুব
সুখেই আছি দুজন।
মায়া পরিবারের সবার ছোট।খুব আদুরে।তাই
কাজকর্মে আমড়া কাঠের ঢেঁকি।
রান্না করতে গেলে হয়তো হাত কাটবে,না হয়
হাত পুড়বে।আবার আমাকে কোন কাজ করতে
দিবেনা।বলবে মেয়েদের কাজ কেন তুমি করবে?
তবে আজকে একটু বেশি ই পুড়ে গেছে।
ভাবতে ভাবতেই বাসায় এসে পড়লাম।
কলিংবেল চাপতেই মায়া এসে দরজাটা খুলে
দিল।তাকিয়ে দেখি মায়াবতীর মায়াময়
চেহারাটা আজকে মলিন হয়ে আছে।
হাতটা ধরে দেখতে দেখতে বললাম,খুব ব্যাথা
করছে বুজি?
মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উওর দিল।
ফ্রেশ না হয়েই আগে মায়ার হাতটাতে ঔষুধ
লাগিয়ে দিলাম।
পরে বললাম,কিছু খায়িয়ে দিচ্ছি পরে ঔষুধ টা
খেয়ে নাও।
না সে একা একা খাবেনা।
মেজাজ গেল গরম হয়ে,দিলাম এক দমক।ভয়েই
খেয়ে ঔষুধ খেয়ে নিল।পরে মহারানী রাগ করে
গিয়ে শুয়ে আছেন।
আমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে গিয়ে দেখি খুব রেগে
আছে।কথাই বলছেনা
বুজতে পারলাম,আজকে মহারানীর রাগ ভাঙাতে
অনেক কাঠ কয়লা পুড়াতে হবে।
অনেক চেষ্টা করলাম,কিন্তু কাজ হলোনা।
অবশেষে সর্বশেষ পন্থা কাজে লাগালাম।
বললাম,গেলাম আমি আমার সেই রিমার কাছেই।
রিমা হলো আমাদের সাথের এক কলিগ।
সে আমাকে খুব পছন্দ করে।এইটা মায়া জানতো।
ভাবলাম কাজ হবে কিন্তু পরে দেখি বিপরীত
রিয়েকশন।
কিছুই না বলে,কেদেঁ বুক ভাসাচ্ছে।
কেননা মায়া হয়তো এখন ও বিস্বাস করতে
পারছেনা যে,আমি তাকে মন থেকে মেনে
নিয়েছি।
কি আর করার,রাগ তো ভাঙাতেই হবে।তাই পিছন
থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,কেন নিজের
ভালোটা নিজে বুজোনা?
পাগলামি কেন করো এত বলো তো?
আর তুমি কি মনে করো,আমি তোমাকে মন থেকে
মেনে নেইনি??
কিছুই বলছেনা,কিন্তু কান্নার স্পিড বাড়ছে।
বললাম,মায়া একটা প্রশ্ন করবো?
হ্যা করো।
তোমাকে কি তুমি বানিয়েছো??
মায়া বলল, না তো।
আমাকে কি আমি বানিয়েছি??
না।
তবে আমাকে যিনি বানিয়েছেন,তোমাকেও
তিনিই বানিয়েছেন। কেন আমরা নিজের
সৌন্দর্য নিয়ে এত গর্ব বোধ করবো বা,অন্যকে
গৃণা করবো বলোতো??
আর কখনোই যদি নিজের সৌন্দর্য নিয়ে
নিজেকে ছোট মনে করো,আমার চেয়ে খারাপ
কেউ হবেনা।
পরে আর কি লক্ষি মেয়ের মতো আমাকে
জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
তারপর মায়া সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত বাসার সব
কাজ আমিই করলাম।
-
আজকে আমাদের বিয়ের তিন বছর পূরন হলো।
মায়ার কোল জুড়ে এসেছে এক ছোট্ট রাজকন্যা।
আমাদের মেয়ে তনয়া ফাতিমা জান্নাত তোয়া।
তার বয়স এখন ৯ মাস।
আমার বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ঘুড়তে বের
হয়েছি।
হঠাৎই দেখতে পেলাম সেই ছেলেটিকে,যার
সাথে মায়ার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।তার পাশে
দাড়িয়ে আছে এক সুন্দরী মেয়ে।বুজতে ভূল
হলোনা,ইনি হয়তো তার বউ।যাই হোক ব্যাপারটা
যাচাই করার জন্য মায়াকে বাসায় পাঠিয়ে
দিয়ে আমি তার কাছে গেলাম এবং অনেক কথার
পর জানতে পারলাম,সুন্দরী মেয়েটিই তার বউ।
তাদের ও বিয়ের ২বছর ৯ মাস হয়ে গেছে।কিন্তু
তাদের কোন বাচ্চা হয়নি।অনেক চিকিৎসার পর
জানা গেছে ওই মেয়ের নাকি গর্বধারন ক্ষমতাই
নেই।
কি আর করার,আল্লাহ না দিলেতো আর কিছুই
করার নেই।
বাসায় পৌছে মায়াকে সব খুলে বললাম।মায়া
কিছুই বলল না।
ভেবে দেখলাম একদিন মায়া কালো বলে যে
বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে চলে গেয়েছিলো,সে সুন্দরী
বউ পেয়েছে ঠিক ই।কিন্তু তার সাংসারিক
জীবনটা কালো অন্ধকারে ডাকা।তাদের কোন
সন্তান নেই।কিন্তু যে মেয়েটি কালো বলে
বিয়ে করেনি,তার মানে আমাদের ঘরটা আলোই
ঝলমল করছে।সুখের কোন অন্তই নেই।
-
সেজন্যই কখনও কাউকে অবহেলা বা ছোট মনে
করা উচিত না।কেননা আল্লাহ দান সব মানুষের
মূল্যই সমান।
কখনই নিজের সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করা ভালো না।
কারন ফুলের সৌরভ,আর মানুষের গৌরব চিরকাল
থাকেনা।
.
Collected

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ