āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2829 (2)

আমার বিয়ে-২
লেখকঃSabbir Hossain Sohag Salmaniac
পর্বঃ৩
লাঞ্চ শেষ করে রেস্ট নিয়ে বের হলাম ক্যালিফোর্নিয়া ঘুরার উদ্দেশ্য,সাথে জয় আছে।হাটতে লাগলাম, হাটতে হাটতে একটা পার্কে বসলাম, পা লেগে গেছে।
--রানা পপকোর্ন নে।
পপকোর্ন খেতে খেতে আবার পথ ধরলাম।
একটা লোক জয়ের সাথে কথা বলছিলো,জয় আমাকে ডাক দিয়ে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
ওর নাম হচ্ছে মি.রন সেসলার।
জয় যেই বাসায় ভাড়া থাকে তার মালিক।
সেখানে আর বিছুই দেখা হলো না,।
ভালো লাগতে ছিলো না,জয় একটা ট্যাক্সি নিলো সোজা বাসায় আসলাম,তখন রাত ৮ টা বাজে।
জয় ডিনার তৈরি করছে।
ফোন বের করে দেখলাম মায়ের মিসডকল। মাকে ফোন দিলাম,তখন বাংলাদেশে সকাল ৮টা।
--কেমন আছো মা?বাবা দাদু কেমন আছে?
--আছি সবাই ভালো,তোর দাদুর একটু প্রবলেম।
--কি হইছে দাদুর?
--কিছু না একটু শ্বাসকষ্ট।
--আচ্ছা ঠিক আছে মা,বাবাকে বলে আবার চেকআপ করে হসপিটাল এ ভর্তি করাও,?
--আচ্ছা ঠিক আছে,তোর কাজ কেমন হচ্ছে বাবা?
--হচ্ছে ভালোই,রাখি তাহলে মা পরে কথা হবে।
***
একটু টেনশন হচ্ছে,দাদুটা যেন আজকাল বেশিই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
--কিরে রানা,দেখে মনে হচ্ছে টেনশন এ আছিস,কি হইছে রে?
--না তেমন কিছু না,দাদু একটু অসুস্থ।
--আচ্ছা বাদ দে, ঠিক হয়ে যাবে, টেবিলে আয় খবার দিচ্ছি।
--চল্
(খেতে খেতে গল্প করছিলাম)
--আচ্ছা জয় তুই বিয়ে করছিস না কেনো? প্রেম টেম করছিস নাকি,কারো সাথে।
--সেআরকি একটা প্রেম করছি,বিয়ে একটু দেরি হবে।
--কে সে,কোন মেয়ে?
--আরে সন্ধায় যে কথা হলো,রন সেসলার আঙ্কেলের মেয়ে, জেরিয়া সেসলার।
ও চালিয়ে যা।
***
খাওয়া ততক্ষণে শেষ।
রুমে এসে বসে জয়কে ডাকলাম।
--কিরে কি হইছে?
--তেমন কিছু না জয়,তোর wifi এর সাথে hotspot টা একটু দেতো,সালমান খানের এবারের ঈদের মুভি টিউবলাইট ডাউনলোড দিবো।
--ওকে, দিচ্ছি তুই ডাউনলোড দে আমিও দেখবো।
ডাউনলোড শেষ দুজন মিলে মুভিটা দেখে শেষ করলাম,দারুণ emmotional+comedy মুভি।
***
তখন মনে মনে একটা কথা নারা দিচ্ছিলো,আচ্ছা সালমান যদি ওর হারিয়ে যাওয়া ভাইকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে তবে আমি কি পারি না আমার অভিমানি হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা সাবরিনাকে ফিরিয়ে আনতে।
---পেছন থেকে জয়েরর ডাক,রানা সিগারেট খাবি?
--দে একটা।
***
সিগারেট খেয়ে ঘুমানোর আগে সাবরিনার লেখা চিঠিটা আবার বের করে একবার পড়ে নিলাম।
চিঠিটা পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বলতে পারি না,।
রাতের এক স্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেল,স্বপ্নটা ছিলো,আমি আর সাবরিনা আবার হানিমুনে গেছি রাঙ্গামাটি,এবার তার সাথে কোনো
বান্ধবি নেই,আমি আর ও।পাহাড়ের ওপর দিয়ে হাটছি হাত ধরে,হঠাৎ হাত ফসকে ও পাহাড় থেকে পরে যায়,তখনই আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।
রাতে আর ঘুম হলো না,সারারাত একটার পর একটা সিগারেট খেয়ে রাত কাটিয়ে দিলাম।
***
আজ সকাল থেকে গুরিগুরি বৃষ্টি হচ্ছে,আজ আর কাজে বের হইনি।
জয় তবুও অফিস চলে গেলো।
আমি বাসায় থেকে, একাকিত্ব কাটানোর জন্য youtube এ সালমান খানের "দা-ব্যাং টর"২০১৭ শো দেখছিলাম।
তারপর হুমায়ন আহমেদের দেবী উপন্যাস টা পড়ি।
ততক্ষণে দুপুর শেষের দিকে।জয় আসলো ফ্রেশ হয়ে এক সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে,রেস্ট নিয়ে বিকাল বেলা বেরুলাম।জয়ের সাথে জেরিয়া ছিলো।হাটতে হাটতে
রাস্তার পাশে একটা দোকানে চোখ গেলো,
সেখান থেকে মার জন্য একটা গোল্ড এর ব্রেসলেট নিয়ে নিলাম।তারপর একটা সিনেমা হলে Spider Man Home Coming মুভিটা দেখে ডিনার করে একবারে বাসায় চলে এলাম।মার সাথে একটু কথা বলে নিলাম,দাদু আগের চেয়ে একটু সুস্থ আছে।
কথা বলার পর দুচোখ ঘুমে বুজে যাচ্ছে,দেরি না করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
(৪র্থ পর্ব চলবে)

আমার বিয়ে-২
লেখকঃSabbir Hossain Sohag Salmaniac
পর্বঃ৪
ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট ছাড়লাম।
জয় ওর অফিসে চলে যায়, আমি আমার অফিসে চলে যাই।
আজকের দিনটা অনেক ভালো,আকাশটা অনেক পরিষ্কার।
হেটে হেটেই যাচ্ছিলাম,হঠাত সামনে রন আঙ্কেল কে দেখতে পাই, তার সাথে
কিছুক্ষণ কথা বলে,আবার হাটতে শুরু করি।
হঠাত জয় ফোন দিলো...
--রানা কোথায় তুই.?
--এইতো অফিসের সামনে চলে আসছি,কেনো?
--না,এমনি।আজকে আমার অফিস থেকে একটু কাজের চাপ পরে গেছে, ফিরতে সন্ধা হবে,তুই লাঞ্চটা বাইরে ছেরে নিস।
--আচ্ছা,ঠিকআছে।
***
অফিসে ঢুকলাম,আমার সাথে তাদের ম্যানেজার আছে।
তাদের কাজগুলো আমাকে দেখাচ্ছে।
আমি একজন কর্মীর কাছে গেলাম,তার জাভা আর পাইথন স্ক্রিপ্ট টা তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে।
আমি একটু তার কাজে সাহায্য করলাম।
ম্যানেজার চলে যায় তার কাজে।
আমি তার সাথে একটু খোশ গল্প করলাম
সময় যে কখন পেরিয়ে গেলো বুঝতেই পারি নি।
ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি দুপুর ২:৩০ টা বাজে।
অফিসের কাজ শেষ করলাম।
খিদা পাইছে,কিছু খাওয়ার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে দিকে আগালাম।
___________
রেস্টুরেন্টে ঢুকে অর্ডার দিলাম।
খাওয়া শেষ।বিল পে করতে যাবো এই সময় আমার চোখ গেলো রেস্টুরেন্টের কোণে।
আরে এ তো সাবরিনার বান্ধবী।
_________________
তার কাছে গেলাম।
--আরে তুমি,কেমন আছো?
--রানা ভাই,আপনি..কেমন আছেন?
--হুম ভালো তুমি কেমন?
-- জ্বি ভালো,কিন্তু আপনি এখানে আমেরিকা কিভাবে?
--এইতো অফিসের কাজে আসছি।
(ওর পাশে একটা ছেলে ছিলো, মনে হয় ওর
হাসব্যান্ড,আরেকটা বাচ্চা ছেলে,মনে হয় ওর ছেলে)
--তোমার, পাশে ওরা কারা?
--ও,হ্যা আমার হাসব্যান্ড, জাহিদ হাসান।আর আমার ছেলে মিলু।
***
---হায়,আমি রানা
--হ্যালো,আমি জাহিদ হাসান।
(ওর স্বামীর সাথে করমর্দন করে)
মিলু কে দেখতে অনেক কিউট।আসলে
ছোট বাচ্চারা এমনিতেই খুব কিউট হয়।
--রানা ভাই,এর পরে কি সাবরিনার সাথে আপনার আর কথা হয়নি?
--না,ডিবোর্স হওয়ার পর সেই হসপিটাল এ একবার দেখা হয়েছিলো,এর পর আর কথা হয়নি।তা তুমি এখানে যে,কবে আসছো?
--জাহিদ এখানেই একটা জব করে,বিয়ের পর থেকে আমরা ক্যালিফোর্নিয়ায় সেটেল আছি।তা আপনি চলেন আমাদের বাসায়।
--না,আজ আর না,একটু কাজ আছে,আজ যাই।
--আচ্ছা ঠিক আছে।
চলে যাচ্ছিলাম এই সময় আবার জিগ্যেস করলাম।
--আচ্ছা সাবরিনা কেমন আছে,ওর সাথে কি তোমার কথা হয়?
--না রানা ভাই,ও ইতালি যাওয়ার পর আমাদের কোনো বান্ধবীদের মধ্যে আর যোগাযোগ হয় না।
--ও,আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থেকো।
***
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে ATM কার্ড থেকে কিছু টাকা উঠাই।
হাটতে হাটতে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।এখান থেকে প্রায় ৪ কি.মি. তবুও কেনো যানি হাটতে ভালো লাগছে।
হাটছিলাম আর সাবরিনার কথা মনে করছিলাম,ওর দুষ্টামির কথা,ওর বিছানায় ঘুমানো আর আমার সোফায় ঘুমানোর কথাগুলি।
ঠোটে বসানো ওর চুমুটা এখনো আমার ঠোটে লেগে আছে।
ঠোটটায় একটু হাত বুলাতে বুলাতে মুচকি হাসি দিলাম।
***
হঠাৎই একটা কথা মনে পরলো,আচ্ছা আমি যেভাবে সাবরিনাকে মিস করি,ও কি আমাকে সেভাবে মিস করে নাকি ভুলে গেছে আমাকে।
বাসার কাছাকাছি চলে এসেছি,।
এখন বাজে ৪ টা।
কিন্তু জয় বললো ওর আসতে সন্ধা হবে।
তাই ভেতরে ঢুকে পোষাক চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
বিছানায় বসে টিভি দেখছিলাম,।
_________________
হঠাৎ কলিং বেলের শব্দ শুনা যায়, ৬:৩০ টা বাজে হয়তো জয় এসেছে।
--কিরে জয় হঠাৎ কি কাজে আজ দেরি করলি।
--আর বলিস না,প্রজেক্টটা তৈরিতে গোলমাল হইছে,সারাদিন বসে ওগুলো ঠিক করলাম।তুই কখন এসেছিস,আর দুপুরে খেয়েছিস তো?
--৪ টায় আসছি,হুম খাইছি।তুই
যা এখন ফ্রেশ হয়ে নে।
জয় ফ্রেশ হয়ে আসে,দুজনই বসে টিভি দেখছিলাম।
***
রাত ৯টা পর্যন্ত টিভি দেখি।
জয় বাইরে থেকে খাবার আনতে যায়।
একসাথে রাতের খাবার খেয়ে নেই।।
খেয়ে রেস্ট নেওয়ার পর
জয় ওর অফিসের ফাইলগুলো ঠিক করছিলো।
আমি রুমে এসে একটু ফেসবুক চালাচ্ছিলাম।
ঘুম চেপে বসেছে,জয় ওর রুমে কাজ করছে।
জয়কে বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।
এভাবেই জয়ের এখান থেকে আমার ১ম সপ্তাহ কেটে যায় এবং কাজ করা হচ্ছিলো।
(৫ ম পর্ব চলবে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ