āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2819

আগের মাসেই বিয়ে হল কিরন আর নিসার, সম্পূর্ণ বাড়ির পছন্দে, যাকে বলে বিশুদ্ধ অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। নিসার তেমন ইচ্ছা ছিল না বিয়ের এতো তাড়াতাড়ি, তার উপরে কিরনকে নিসার একটুও বর বর টাইপ মনেও হয়নি, কত স্মার্ট ছেলে ওর চারপাশে ঘুরছে আর ও কি না এরকম শান্ত শ্রিষ্ট হাবাগোবার মতো দেখতে ছেলে কে বিয়ে করবে! কক্ষনো না। পড়াশোনাতে ভালো, ভালো চাকরি করে, ভালো ব্যাবহার এতেই মা বাবা গলে গেল, একবারও ভাবল না যে নিসার রোজ স্বপ্নে শাহরুখ খানের মত ছেলে দেখে! আরে বাবা নিসা এত বোকা না যে শাহরুখ খান চাই বলে বায়না জুড়বে, কিন্তু ঐরকম কিউট একজন তো পাওাই যেত, যত সব ভুলভাল পছন্দ। আসলে নিসার দাদুর বন্ধুর নাতি হল কিরন, তাই দাদুর তো একপেশে পছন্দ ছিলই কিরন, তার উপরে বাবা মায়ের তো এত পছন্দ যে পারলে সেদিনই জামাই বানিয়ে ফেলে। ভেবেই রাগ হয়েছিল নিসার, তার দাদু কি না ওই কিরন ছেলেটার হয়ে ওকালতি করছে, ছিঃ ছিঃ। দাদুকে কি কি বলে বকা দেবে সে সব ভেবে নিয়ে গিয়েও ছিল দাদুর কাছে রাগি মুখে, কিন্তু দাদু যখন বলল, “দিদিভাই আমার এই দাদুভাইটাকে বিশ্বাস করেই দেখো না, ঠকবে না। আমার জহুরীর চোখ, লোক চিনতে খুব একটা ভুল হয়না। দিদিভাই এই বুড়োভাইয়ের একটা আবদার রাখো, ভালোই হবে, আমি আর কতদিনই বা আছি বলো!”, তখন নিসা কিছুই বলতে পারেনি, উল্টে কেঁদেই ফেলেছিল, আর বলবেই বা কি, বুড়ি হতে চলল এখন একটা বয়ফ্রেন্ড জুটল না, যার সাথেই প্রেম শুরু হয়, নিসার মেজাজের ঠ্যালায় কদিন কাটতে না কাটতেই, ছেলে ভাগলবা।
বিয়েটা নিসা করেছিল, মনটা ব্যাজার হয়ে ছিল কিন্তু মুখে হাসিটা ধরে রেখেছিল, সাজগোজের ও কমতি ছিল না, আরে বাবা বিয়ে নিয়ে পরে ভাবা যাবে, কিন্তু ফেসবুকের জন্য ভালো ছবিগুলো তো খুবই জরুরি। হাসি মুখে বিয়ে থেকে বউভাত অব্দি ছবির তুলে তুলে যখন শেষে ফুলসজ্জা উপস্থিত নিসা তো ভেবেই পাচ্ছিলো না কিরনকে কি বলবে। রাতে কিরন ঢুকতেই নিসা বলা শুরু করল, “দেখ, আমার তোমায় একদম পছন্দ না, তুমি কিন্তু একদম আমার কাছে আসার চেষ্টাও করবে না, নেহাত দাদু আবদার জুড়ল তাই তোমায় বিয়ে করলাম, নাহলে তোমার মত হাঁদা গঙ্গারাম মার্কা ছেলেকে কখনো আমি বিয়ে করি! যাক গে, তুমি এখন থেকে ওই সোফাটায় সুয়, আমি এই বিছানাতেই ঘুমবো, বলে দিলাম পরিস্কার।” এক নিঃশ্বাসে কথা শেষ করে একটা বড় শ্বাস নিলো নিসা। কিরন শুধু হেসে বলেছিলো, “বেশ কথা। তা হাঁদা গঙ্গারাম মার্কা বন্ধুতে আপত্তি নেই তো কোনো আশা করি।” নিসা একটু অবাক হয়ে বলেছিল, “হ্যাঁ, সে বন্ধু তো হওয়াই যায়, তোমায় ফেসবুকেও অ্যাড করে নি তাহলে।” কিরন উত্তরে শুধু হেসেছিল।
একমাসে বন্ধুত্ব জমে গিয়েছিলো নিসা আর কিরনের, সপ্তাহান্তে এখান ওখান বেড়ানো, আড্ডা, খাওয়া দাওয়া। কাল তেমনই একটা রবিবার ছিল, আর খেতে খেতেই নিসা বলে ফেলল, “এই জানো তো, কাল আমার জন্মদিন।” কিরন বলল, “জানি তো, যেদিন তোমায় দেখতে গিয়েছিলাম প্রথম সেদিন থেকেই জানি।” নিসা খানিকটা মুখ বেঁকিয়ে বলল, “ওসব বাজে কথা রাখো, নিশ্চয়ই ফেসবুক থেকে জেনেছো। আমায় প্রতিবার জন্মদিনে কতজন উইশ করে জানো!” কিরন শুধু হেসে বলেছিল, “ফেসবুক থেকে জন্মদিনটা তুলে দিয়ে দেখো তো কে কে তোমায় উইশ করে!কার মনে আছে তোমার জন্মদিন!”
আইডিয়াটা খুব মনে ধরেছিল নিসার, সত্যিই তো, তার এতো বন্ধু, কে কে ওকে সত্যি সত্যি মিস করে, মনে রাখে জানতে হবে না! তাই কালই টুক করে উড়িয়ে দিয়েছিল জন্মদিনটা। সেই রাত বারোটা থেকে অপেক্ষা করেই যাচ্ছে, এতদিনের প্রিয় বন্ধু দিয়া, সেও ভুলে গেল আজকের দিনটা, মনটাই খারাপ হয়ে গেল নিসার। অপেক্ষা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছে বোঝেইনি, সকালে চোখ খুলে চিনতেই পাঁচ মিনিট লাগলো যে কোন ঘরে আছে, পুরো ঘর রঙিন হয়ে, লাল বেলুনে কিন্তু সারপ্রাইজ তখনও বাকি ছিল। পায়ে পায়ে নিচে নেমে এলো নিসা, চারিদিকে কতো বেলুন, যেন বাচ্চা কারোর জন্মদিন। নিচে কেউ নেই, কোথাও কেউ নেই, নিসার অস্বাস্তি হতে লাগলো, আর তারপরই আওয়াজ বেলুন ফাটার, সাথে একসাথে সবার সেই চেনা গান, “হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থ ডে ডিয়ার নিসা, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ।” ক্ষণিকের অবাক হওয়া কাটিয়ে চারপাশে দেখল, মা-বাবা, আংকেল-আন্টি মানে কিরনের মা-বাবা আর নিসার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড দিয়া। দিয়াকে দেখেই একরাশ অভিমান এলো নিসার, বলল, “তুইও আমার জন্মদিনটা ভুলে গেলি?” দিয়া মুচকি হেসে বলল, “বাকিরা হয়তো সত্যি ভুলে গেছে, কিন্তু আমায় তোর এই লাজুক বর বাবাজী মানা করেছিল ফোন করতে, সকালে সারপ্রাইজ দেবে বলে।ও তোকে সত্যিই ভালবাসে রে, ওকে এরকম দূরে সরিয়ে রাখিস না।” নিসার চোখে জল এসে গেল, সত্যিই তো কিরনকে সেও ভালোবেসে ফেলেছে কখন নিজের অজান্তে, নিজেই বোঝেনি। পায়ে পায়ে কখন কিরনও নিসার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে নিসা বুঝতেই পারেনি। ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে, কিরনকে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না নিসা, কিরনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল হু হু করে। এই প্রথম নিসার একটা অন্যরকম জন্মদিন উপহার পেল, ফেসবুকের বাইরে, শুধু আপনজনদের নিয়ে, আর সাথে একটা ভালোবাসার মানুষকেও।
.
writer:-কায়েছ আহমেদ কিরন(কাল্পনিক রাজপুত্র)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ