2817 (3)

উপন্যাস
.
*****★★এমনত প্রেম হয় ★★*****
.
পর্ব ________৫
.
লেখক: Ashikur Rahman
.
আর কি রাত কাটে।
ঘুম তো ধরবেই নাহ।
আমি হাসিরে এতো বকি আমার রাগারাগি করি।
ঐ মনে হয় কোন দিন তুমি থেকে তুই বলে নাই।
হাসি শুধু বলে আশিক এতো কষ্ট কেন দেও।
আমি বলি ভালবাসি তাই তোকে দিবো নাহ কাকে দিবো।
হাসি বলে যদি মরে যাই তাহলে তো আর দিতে পারবে নাহ।
পাগলি টা কি করে যে কষ্ট শয় আল্লাহ জানে।
.
ঘুম ধরে নাহ ঘুমাইতে গেলে শুধু হাসির মুখ টা ভেসে উঠে
কেমন কেমন যে লাগে বুঝিনা।
স্যার বলছিল আশিক কাল কে ইস্কুলে এসো আমরা একটু পিটি করে ছুটি দিয়ে দিবো।
খুব সকাল ইস্কুলে গেলাম। গিয়ে পিটি করলাম। নয়ন আর করিম আসে নাই।
করিম কে অবশ্য বলে ছিলাম কাল কিন্তু হাসি কে নিয়ে পার্ক এ যাব তুই আসিস কিন্তু শালা আসে নাই। হয়ত কোন জিএফ নিয়ে বসে আছে।
যাই হোক কি আর করার সাথে কেউ নাই।
বাজারের দিকে যাইতে ছিলাম। গারিতে উঠতেই দেখি আমার আর এক বন্ধু ইস্কুলের দিকে আসছে অরে নিয়ে ওদের বারিতে গিয়ে কিছু খাওয়া করে আবার বাজারের দিক গেলাম।
১০ টা বাজে প্রায় হাসি কল দিচ্ছে নাহ। কিছুক্ষনের মধ্যে দেখি একটা এয়ারটেল নাম্বার হতে কল আসলো।
.
একটা ছেলে ধরে বলছে এই নেন কথা বলেন।
_আশিক কই তুমি (হাসি)
_ এই তো রাস্তায় আর একটু পর কলেজের ভিতর যাব।
_ আমি দেখো মসজিদ এর কাছে দাঁড়িয়ে আছি আসো তাড়াতাড়ি।
_ আচ্ছা ২ মিনিট লাগবে দাড়াও তুমি।
.
গিয়ে দেখি দাঁড়িয়ে আছে।
কি এক টা ড্রেস পরছে কি বলবো
এক গেঞ্জি নাকি কি বলে টপস নাহ কি। যাই হোক আর জিম্নসের  প্যান্ট।
আমার সাথে হাসিকে দেখে আর আমার এর এক টা ইস্কুল ফ্রেন্ড আমার সাথে পরে দেখি আসলো। অই তেমন জানেনা আমি হাসি কে ভালবাসি। এমনি শুনছে আর সবার মতো।
.
শরিফুল: কিরে আশিক বাবা ভালই তো!!
আমি: হুম দোস্ত একটু পার্ক এ যাব তুই কি যেতে পাড়বি।
শরিফুল: হুম চল।
আর এক টা মামা ছিল তাকে কল দিলাম। মামার সাথে পরিচয় jsc পরিক্ষার পর হতে কাওসার নাম। বিজ্ঞানে পরে। অই এসে বলছে কি মামা এই টা মামি নাকি।হাসি শুধু হাসছে। পরে গিয়ে সিএনজি করে পার্ক এ গেলাম। মামা বললো আশিক কোন প্রব্লেম হলে ফোন দিও আমি চলে আসবো।
এক টা সিএনজি নিলাম আমি আর হাসি পিছুনে। আর সামনে আমার দুই ফ্রেন্ড।
.
কেমন জানো এক টা ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে কাছে এগিয়ে যাই আবার নাহ যাবনা। হাসি শুধু বসে আছে। আমি যত অর দিকে এগিয়ে যাই অই বলছে কি অই দিক জায়গা নাই নাকি।।
.
নামলাম এক বন্ধু ভাড়া দিলো। ইটের ভাটার মাঝ খানে দিয়ে গেলাম পার্কে।
ভিতর তেমন মানুষ নাই! আজ ২৬ মার্চ এই জন্য তো মানুষ অনেক থাকার কথা। কিন্তু কই মানুষই নাই।
_আশিক তোরা অই দিক  যা আমরা এই খানে দাড়িয়ে আছি আর ফোন কাছে রাখ কেও ওই দিক গেলে কল দিবো ঠিক আছে (শরিফুল)
_ আচ্ছা থাক আর কিছু কিনে খা বসে।(আমি)
আমি দুই পেকেট চানাচুর নিছিলাম।
_ চানাচুর খাবা হাসি (আমি)
_ না তুমি খাও (হাসি)
_ তোমার বোনকে রেখে আসলে অই বাসায় গিয়ে কি বলবে আর তুমি কি বলবা বাসায়।
_ আমি বলব আমি আমার বিজ্ঞানের বান্ধুবিদের সাথে দেখা হইছিল তাই আসতে দেড়ি হইছে।
_ অহ তাই ভাল তো। নেও চানাচুর খাও প্যাকেট ছির।
_ খাবনা তুমি খাও।
_ ফালাই দিলাম তাহলে।
_ নাহ দিবানা ( হাত ধরে)
_ তো খাবনা কি করব আমি।
_ তুমি খাওয়ায় দেও।
_ আচ্ছা নেও খাও।
_ এই ভাবে খাবনা (হাসি)
_ তো কোন ভাবে খাবা।
_ তুমি খাবা তারপর.......  খাওয়াবা।
_ অহ তাই হুম নেও।
.
_ হইছে আর খাবনা
_ ঠিক আছে ফালাই দিলাম। হাসি এমন একটা যায়গা আহ একটা মানুষ নেই এই খানে।
_  অনেক ভালবাসি আশিক তোমায় অনেক অনেক। শুধু তোমার শুখের জন্য সব পারব আমি।
_আমি জানি।
.
দুই জন দুই জন কে এতো জরে চেপে ধরছিলাম কি বলবো। হাসির চুলের মাঝে আমার নাক ডুবিয়ে রেখে ছিলাম। এতো ভালবাসা কি বলব আর।
_ আশিক এক টা পহুরী যাচ্ছে। (শরিফুলের  ফোন)
_ এই খান হতে অই দিকে যান এই খানে থাকবেন নাহ (পহুরী)
_ আচ্ছা যাচ্ছি।
.
হাসি সামনে গিয়ে এক টা ছিটে বসলো।
_ কিরে কিছু হলো নাকি (শরিফুল)
_ আরে নাহ অই সব হয় নাকি অই পাশে ফাকা নাহ।
_ ধুর শালা কতক্ষন লাগে করতে।
_ ধুর বাদ দে।
_আচ্ছা এই পাশে আছি তোরা অই দিকে যা।
.
হাসিকে নিয়ে চলে গেলাম অন্য দিকে এক টা আম গাছ ছিল। ছাপড় আম গাছ। এক টা ডাল নিচে হেলানো ছিল। পুকুরের ধারে। আম গাছ টা। এই পাশে বসে থাকলে অন্যদিক হতে সব দেখা যায়। কিন্তু অনেক দূরে।
!
হাসি আমার বুকে শুইয়ে ছিল। আর আমি পাগল হাসির চুলের গন্ধে। এক এক টা কিচ করি আর চেয়ে চেয়ে দেখি। কি মায়া অই রুপে আমার পাগল করে দেয়।
ক্লাস ৯ এ পরি এসেছি ডেটিং এ ভাবতেই কেমন লাগে। আমাদের কান্ড কারখানা দেখে অন্য পারের মানুষ হাসে। পাশ দিয়ে অন্য জিএফ বিএফ যায় হাসি আমার কোলে গায়ের অপর হেলান দিয়ে শুয়ে আছে এই গুলা দেখে শুধু হাসে। আমার তেমন লজ্জা লাগে নাই। কেন বলতে পারবো নাহ।
.
তিন টার দিক বের হয়ে আসলাম।
বাসায় আসতে না আসতে হাসি তো পাগল।
ফোনের ওপর ফোন। এক টা মুহুর্তো জেনো কথা না বলে থাকতে পারে নাহ।
_ খাইছো রাতে (আমি)
_ কি করছ আশিক খাইতে পারি নাহ ঠোট ছিলে গেছে।(হাসি)
_ আহারে সরি বাবু।
_ আশিক আমি থাকতে পারছি নাহ তোমায় ছাড়া। কিছু ভাল লাগে নাহ কি করলা আমায় তুমি।
_ কি হইছে আমি আছি তো নাকি। ঘুমাও কাল কথা হবে।
.
ফোন কেটে দেই নাহ ফোনের উপর ফোন।
সারা রাত কথা বলা সারাদিন কথা বলা। দিন দিন হাসিও যেমন  পাগল আমি আর কি বলবো আমিও পাগল। এক টা দিন ইস্কুলে গিয়ে যদি অরে কাছে না পাই আমার রাত দিন কিছু কাটেনা।
এই ভাবে চলে দিন কাল।
ক্লাস ৯ এর ৮ মাস রানিং।
বাসায় কেও তেমন কিছু জানেনা।
ক্লাস six এ আমার ছোট বোন কে ভর্তি করায় দিছিলাম। অই গিয়ে হাসির সাথে ঝগড়া করে।
.
একদিন আমার আপু আমার টেবিল এর ডয়ার ভাংগে।  তারপর কি যত চিঠি ছিল সব দেখে ফেলে। আমাকে বলছিল কিরে তোর ডয়ার তালা কেন। কি আছে অর ভিতর চাবি দে আমাকে। আমি দেই নাই। আমি ইস্কুলে গেছি। এসে দেখি এই অবস্থা। কি আর করার মাথা তো খারাপ হয়ে গেলো। বাসাতে সবাই জেনে গেলো।
.
আপু বলে আব্বু কে বলব। আমি বলছি আমি ভুলে যাব তাও কিছু বলিস নাহ। তবুও আব্বু কিছু টা জানতে পারে। কিন্তু কিছু বলে নাই।
হাসির ফ্যামিলি তেও কিছু টা জানতে পারে।
কিন্তু তেমন নাহ।
একদিন শুক্র বার আমি হাসি কে অনেক বার কল দিছি। কিন্তু হাসি ধরে নাই। আমি গোসল দিতে গেছি নামাজ পরতে যাব। এসে শুনি হাসির আম্মু কল দিছিল। আব্বু কে বলছে আমি যদি আর কল দেই আমাকে নাকি হাত পা ভেংগে বাড়িতে পাঠাইয়া দিবে। আব্বু কে বলছিলাম আর কল দিব না।
.
কিছু দিন সাবধানে চলি। কিন্তু সেটা বেশি দিন হল নাহ। রমজান মাস চলে আসে। কিছু ভাল লাগেনা। ইস্কুলে যেতে পারিনা। হাসিও কল দেয় নাহ।
কি হল হাসির। অই এমন করতেছে কেন। আমি যে বাঁচবো নাহ অরে ছাড়া।
কি হল হাসির কল দেয় না কেন। চীঠি লিখে অদের গ্রাম এর এক ছেলে কে দিয়ে আসি। একদিন বিকালে কল দিয়ে বলছে। আশিক আমি খুব প্রব্লেম এ আছি ফোন আমার কাছে একদম থাকেনা। আমি ভুলি নাই তোমায়। তোমায় ভুল্লে যে আমি মরে যাব।।
তারপর আবার সব ঠিক হয়ে যায়।
.
ঈদের পর ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস করি। অনেক দিন হাসিরে কাছে পাইনা। আমি জেনো পাগল হয়ে গেছি। দিন দিন পাগল পারা অবস্থা।
একদিন হাসির এক বান্ধবী এর বয় ফ্রেন্ড এর বাড়িতে যাই। ছেলেটাকে আমিও চিনি। অদের বাসায় গিয়ে দেখা করি।
এই টা কেমন করে জানি হাসির ফ্যামিলি জেনে যায়। পরে আমার বাসায় জানিয়ে দেয়।
অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়।
হাসির ইস্কুল যাওয়া অফ করে দেয়।
আল্লাহ এ কি হল আমি যে পাগল হয়ে গেলাম।
আমারও ইস্কুল ভাল লাগেনা।
.
কি করব এখন। কারও কারও মুখে শুনি হাসিকে নাকি বিয়ে দিয়ে দিবে। মানে কি শুনি এই গুলা। আমার যে ধরে পানি নেই।
হাসি সারাখক্ষন কল দিয়ে কান্না করে।
নিজের ফ্যামিলির দিকেও তাকাইতে পারিনা আমি।
আব্বু দেখি এই খানে বসে থাকে অই খানে বসে থাকে। মা কান্না করে।
আমি হাত কেটে রক্ত দিয়ে ডাইরিতে হাসির নাম লিখে তার উপর শুয়ে থাকি।
.
রাতে শুয়ে থাকি ঘরের দরজা অফ করিনা নাহ। মা এসে দেখে আমি রক্ত মাখা হাত নিয়ে শুয়ে আছি।
হাসি বলে অর মা নাকি আমার সাথে কথা বলবে। পরে একদিন চলে গেলাম অদের গ্রামে।
আমার এক ফ্রেন্ড ছিল অদের বাসায় গিয়ে দেখি বসে আছে।
কি বলব কেন ডাকলো হাসির আম্মু আমি জানিনা কি বলবে।
সামনে বসে আছি কিছু বলছেনা না হাসির আম্মু।
আমার তো বুক পুড়ে ছাই ছাই হয়ে  যাচ্ছে। কি করব আমি। হাসির সাথে দেখা নাই কত দিন হলে।
হাসির ইস্কুলে যাওয়া বন্ধ।
আমিও পারিনা বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকাতে।
আম্মু আমার দিকে তাকিয়েই কান্না করে।
বাসায় রান্না হয় কেউ খাওয়া-দাওয়া কারো হয়না
.
.
.
to be continue

উপন্যাস
.
*****★★এমনত প্রেম হয় ★★*****
.
পর্ব ________৬
.
লেখক: Ashikur Rahman
.
কি বলব কিছু বলছি নাহ শুধু বসে আছি।
সাথে আমার বন্ধুর পরিবারে প্রায় সবাই আছে।
এ কেমন পরিস্থিতি তে পরলাম আমি।
_ কি বলব বল কেন তোমাকে ডাকলাম জানো (হাসির আম্মু)
_........  (আমি চুপ)
_ আমার মেয়ে কে তো আমরা বিয়ে দিবো কি করবে তুমি বল
_........ ( চুপ)
.
_ কি হল আশিক কিছু বল চুপ করে আছো কেন বল (বন্ধুর ভাবি)
_ কি বলব আমি (চোখ দিয়ে পানি চলে আইছে)
_ কি বলবা তুমি যে এই সব করে বেরাইতেছো আমাদের তো মান সম্মান আছে। এই সব করলে আমাদের মান সম্মান কই যাবে বল? হাসি কে বিয়ে দিবো তো  (হাসির আম্মু)
.
_ মানে আন্টি বিয়ে কেন দিবেন অই পড়ুক না (আমি)
_ পরবে বলতেছো তোমরা যা শুরু করছো এলাকায় মুখ দেখাতে পারিনা।
তোমাকে এই যায়গায় ডাকছি হাসির আব্বুও জানে। শুধু আমার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তোমাকে এই যায়গায় ডাকছি মেয়ে আমার কিছু খায়না। সারাখন শুয়ে থাকে। কি করবা বল তুমি ওকে তো বিয়ে দিবো।
_ কি করব আমি আন্টি বুঝতে পারছি নাহ।
_ তুমি হাসিকে বিয়ে করবা বল?
.
_ কি করে বিয়ে করব আমি মাত্র ৯ এ পরি।
_ আচ্ছা বিয়ে করতে হবেন না কাবিন করে রাখো। তুমিও পর হাসিও পরুক হাসি আমার বারি থেকে পরুক তারপর তুমি ssc কম্পিলিট কর চাকরি দেওতার দায়িত্ব আমাদের।
.
_ কি হল আশিক কিছু বলতেছো নাহ (বন্ধুর ভাবি)
_ আন্টি আমি বাসায় কথা বলি আগে পরে আপনাদের জানাচ্ছি।
_ আচ্ছা তুমি বাসায় জানাও। আমি শুধু মেয়ের মুখের দিক তাকিয়ে তোমায় কথা গুলা বললাম। যা পার কর না হলে আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো। পরে যে বিয়ে হলে আবার কি সব করবা দুই জন এই গুলা কিন্তু মানতে পারবো না বলে দিলাম।
.
_ আমি বাসায় আগে কথা বলি আন্টি।
_ হ্যা কয় দিন এর ভিতর আমাকে জানাবা।
_ আন্টি আপনি হাসিকে ইস্কুলে পাঠান কাল হতে পিলিজ।
_ না অর ইস্কুল বন্ধ তোমাকে যা বললাম তাই হলে ভাল। না হলে অর পড়ালেখা বন্ধ অরে বিয়ে দিবো।।
_ ঠিক আছে।
_ জা করার কর বাসায় বলবা কি কি করবা তুমি জানো
_ আচ্ছা।
.
বাসায় চলে আসলাম। সারা রাস্তা রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে আইছি।
_ কি আশিক কই গেছিলে কি অবস্থা তোমার ( রাস্তায় একটা ফ্রেন্ড)
_  এই তো সামনে গেছিলাম।
.
রাস্তায় লোক জন দেখলে টিটকারি করে। সবাই বাকা চোখে তাকায় আমার দিকে। কি করছি আমি এই ভাবে কেন তাকাবে আমার দিকে।
কিছু ভাল লাগেনা রাস্তায় বের হতে পারিনা।
এই কেমন যন্তনা। আমি যে শইতে পারিনা।
.
কি হইছে আমার। মনে হচ্ছে কেও একজন আমার বুকের ভিতর ছুড়ি আঘাত করছে। এমন কেন লাগে।।
সোজা এসে ঘরে দরজা অফ করে শুয়ে পরলাম।
.
এ রাসেল কি হইছে ওঠ খা ভাত খা দরজা খোল মা ডাকছে। কে শোনে
কার কথা।
সারা দিন না খেয়ে রুমের ভিতর কান্তে কান্তে জীবন শেষ। কি করব আমি এই কথা কাকে বলে। বাসায় কেও নেই বড় বোনদের বিয়ে হয়ে গেছো।
.
চাচাতো ভাই এর বউ দের বলব টিট কেরি দেবে। সমাজের এই সকল কাজ সকলের চোখের হাসির কারন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সেই বুঝে জার সাথে এমন ঘটনা হয়। এ জেনো বেচো থেকেও মরন যন্তনা ভোগ করা।
.
আমি হাসির আম্মুর সাথে কথা বলে এসেছি আব্বু আম্মু কেউ জানেনা। রাতে আব্বু এসে ডেকে তুলে ভাত খাওয়াইছে। ভাত কি গলা দিয়ে নামে। নামেনা। খাইতে পারিনা আমি।
.
এ জেনো পাথর আমার গলার ভিতর আটকে গেছে। আমি কি করব কোন দিক যাব আমার কি বিয়ের বয়স হইছে!! যে বাসায় বলবো আমি বিয়ে করব। ফোন টা কাছে পাই নাহ।পাইলেও কল দিলে হাসি ধরে নাহ। দিন দিন আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি আয়নাতে তাকালে নিজেকে চিনতে পারিনা।
.
রাতে রুমে হাসির পিক সামনে নিয়ে শুয়ে আছি দরজা লাগাবো মনে নেই।
আম্মু রুমে ঢুকছে।
_ হায়রে আল্লাহ এই জন্য এমন অবস্থা কি হইছে আমায় বল (আম্মু)
_ কি হবে কি আর (কান্না করে যাচ্ছি)
_ মা হাসির বিয়ে দিয়ে দিবে আমি কি করব আমি তো মরে যাব।
.
_ ওরে ভুলে যা অর চাইতে সুন্দর মেয়ে পাবি তুই বাবা আগে বড় হ।
_ না মাহ আমি মরে যাব অরে ছাড়া আমি হাসির মায়ের সাথে কথা বলছি। হাসির মা বলছে কাবিন করে রাখতে।
.
_ কি তুই কেন কথা বলছিস আল্লাহ রে তোর বাপ জানলে কি হবে। দেখিস না কি অবস্থা ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে নাহ এই সব শুনলে কি হবে।
_ আমি জানিনা মা তুমি কি করবা কর (কান্না করে)
.
_ কান্না থামা দেখি তোর বাপের সাথে কথা বলি। বিয়ে করা আর কাবিন করা তো সমান কথাই। এখন যদি এই সব করি তোর পড়াশোনা হবে নাকি ক?
_ হ্যা হবে তা না হলে আমি যে শেষ হয়ে যাব।। আম্মু আব্বু কে সব বলছে। আব্বু আমার সামনেই আসে নাহ। কিছু খায় ও নাহ।
দুই দিন পার হয়ে গেছে। আমি হাসির মায়ের সাথে মাঝে মাঝে কথা বলি।
বলে সব ঠিক আছে আমার সাথেই বিয়ে দিবে কিন্তু আমি জানি হাসিকে কল না দেই অর ফোন না ধরি। আমিও দেই না। আমি আর ইস্কলে যাই নাহ। কিছু ভাল লাগেনা। হাসি নাকি ইস্কুলে যায় আমার ছোট বোন বলছে। আমি ইস্কলে যাই না  জেনো হাসির পরিবার থাকে বুঝে  আমি
হাসিকে ভুলে গেছি অরে জানি
ইস্কুলে পাঠায় এই জন্য!!!
.
রাত ৩টার দিক হাসির পিক দেখছি।ঘুম তো নেই ই চোখে। এক টা আননন নাম্বার থেকে কল আসছে।
_ আশিক আমি হাসি
_ হাসি কেমন আছো তুমি হাসি ভাল আছো (আমি)
_ আর ভাল!! " আশিক আমি এক ভাবির কাছ হতে ফোন নিয়ে এসে তোমাকে কল দিছি ফোন আমার কাছে থাকে নাহ।আশিক তুমি ইস্কুলে কেন আসো না। আমি তোমায় দেখার জন্য জোড় করে বাসা হতে ইস্কুলে যাই আর তুমি কেন আসনা জান (কান্না করে)
.
_ আরে কান্না করনা হাসি তোমার আম্মুর সাথে আমার কথা হয় প্রতিদিন তোমার সাথেই আমার বিয়ে দিবে।  পিলিজ কেদো নাহ।
_ আশিক তুমি জানোনা ওরা কি করছে বিয়ে দিবে নাহ। ওরা এমনি বলছে তোমায়!! ওরা আমায় অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে আশিক তুমি কিছু কর আশিক আমি মরে যাব তোমায় ছাড়া (কান্না করে)
.
_ কেদনা তুমি আমি বাসায় বলছি হাসি দেখি কি করে (কান্না করে)
_ আশিক আমি অনেক কষ্টে আছি। কিছু খাইতে পারিনা। আমি মরে জাচ্ছি আশিক কিছু কর তুমি।
_ হাসি জত জাই হক তুমি কিন্তু বিয়ে করবানা। বল করবানা।
_ হ্যা আশিক আমি যে তোমার জায়গায় অন্য কাওকে বসাতে পারবো না।
.
_তুমি কেদনা হাসি আমি আছি তো। তুমি কাদলে আমার কি হবে।
_আশিক চলো আমরা অনেক দূরে যাই যেই খানে কেও থাকবে নাহ।
_ কি খাওয়াবো তোমায় আমি হাসি আমি যে নিরুপায়।
_ আশিক আমার কাছে অনেক টাকা আছে ৫ লাখ এর মতো অনেক গহনা আছে চল হারিতে যাই। আমি তোমায় নিয়ে বাচতে চাই আশিক।
.
_ পাগলামো কর না। যদি কোথায় যাই তো আমার বাবা মা কেও বাঁচবে না। দুই জন ই মরে যাবে। এক টাই সন্তান আমি তাদের। বুঝো তুমি।
.
_ তোমার বাসায় নিয়ে যাও তাইলে।
_ না হাসি এতে আমার চাচা তার মানসম্মান সব যাবে। তিনি একজন প্রামাণিক গ্রামের যত বিচার সালিশ তিনি করেন আর আমার বিচার করবেন আমার চাচা নাহ হাসি এর চাইতে যে মরে যাওয়া ভালো। তার কোন সন্তান নেই তিনিও মরে যাবেন।
.
_ তুমি কিছু করবানা আশিক কিছু করতে হবেনা। এক টা কথা শুনে রেখো তোমায় যদি বিয়ে না করতে পারি এই হাসি বিষ খাবে তবুও অন্য ছেলেকে বিয়ে করবে নাহ।
_ হ্যালো কি হইল কথা বল।
আবার কল দিলাম (আপনার কাঙ্খিত নাম্বারটিতে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে নাহ)
.
না ফোন অফ কি করব আমি। কোন দিক যাব।
সকালে ইস্কুলে গেলাম। না হাসি আসে নাই।
নয়ন ও ইস্কুলে নাই। আমার কিছু ভাল লাগেনা। সারাখন একাই দাড়িয়ে থাকি ক্লাসে জাইনা। টিফিনে চলে গেলাম বাসায়। গিয়ে দেখি নয়ন বসে আছে  আমাদের বাড়িতে। নয়ন সব জানে নয়ন কেন আইছে। রুমে ঢুকলাম আব্বু বসে আছে বিছানায়। নয়ন চেয়ারে।
.
_ কিরে এতো তাড়াতাড়ি চলে আসলি যে (নয়ন)
_ না এমনি ভাল লাগছে নাহ (আমি)
_ বসেক এই যায়গায় কি বলিস রে তুই নাকি বিয়ে করবি তোর আব্বু আমাকে ডেকে আনলো। (নয়ন)
_..........  (চুপ আমি)
.
_ দেখো বাবা নয়ন কি বলবো আমি আমি যদি এখন অরে বিয়ে করাই দিই তাহলে কি হবে ভেবে দেখো।(আব্বু)
_ এই তোর বিয়ের বয়স হইছে নাকি এখন বিয়ে করলে লোহার গাড়ি গোয়া দিলে ঠেলা লাগবে বুঝলি। (নয়ন)
_ আমি কি বিয়ে করতে চাইছি আমি কাবিন করে রাখতে চাইছি(আমি)
_ দেখো তো বাবা কি বলে কাবিনে আর বিয়ে তো একি।(আব্বু)
_ কি বলিস আশিক এই সব
.
_ হায়রে আমি কি বলবো আমার বুকের ভিতর পুরে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে কি করে বুঝাবো।
_ দেখ তো তাহলে বাবা আমি অর বাপ  আমার সামনে কি বলছে এই গুলা। (আব্বু)
.
আমি রুম থেকে বের হয়ে চলে আসলাম পরে নয়ন আব্বু কি বলছে জানিনা।
নয়ন চলে গেলো এক টু পর দেখি বড় বোনের জামাই আসলো
জানিনা কেন আইছে। মনে হয় আব্বু সব বলে দিছে। দুলাভাই আগে হতে সব জানে কিন্তু এতো কিছু হইছে জানেনা।
.
আম্মু বলছে তোর বাসায় থাকতে হবে নাহ শেরপুর চলে যা। আমার বড় বোনের বিয়ে হইছে বগুড়া শেরপুরে। আপু ফোন দিয়ে বলছে ছ্যারা কে কান ধইরা নিয়ে আসো অরে বিয়ে করাই তেছি।
.
_ কি এই সব সময় গেছে অনেক পাবে অনেক  আমার ইচ্ছা ছিল এসে পিটাবো আগে তার পর শেরপুর নির যাব। কিন্তু তোমার মুখের দিক তাকিয়ে আর হলনা। বাড়ি থেকে বের হউ শেরপুর চলো বই খাতা কিছু নিতে হবে না কয়দিন পর এসে আমি নিয়ে যাব। ভাত খাইতে হবেনা বের হউ। (দুলাভাই)
.
_ না বাবা ভাত খাক আগে কিছু খায় নাউ সকালে অরে নিয়া খাইতা বসো তুমি তারপর নিয়ে যাও।
কি আর করার ভাত খাইয়া চলে গেলাম শেরপুর। আমি এই কারনে শেরপুর চলে আসলাম হাসির ফ্যামিলি জেনো জানে আমে অনেক দূরে চলে আইছি হাসিকে জেনো আবার ইস্কুলে পাঠাই।।
.
আধার রাত আপু খালা বসে আছে গেটে। আমার খালাতো ভাইএর সাথে আমার বোনের বিয়ে হইছে। খালা বুঝাইতেছে। এই গুলা ভুলে যাও আপুও বুঝাইতেছে। কিন্তু আমজ অই গুলা শুনে অঝর ধারায় কান্না করছি।

হাসিকেও কিছু বলে আসি নাই আজ আমি কত দূর হাসিকে ছেড়ে।
কি করব আমি কি হবে আমার হাসির???
!
!
!
!
!
to be continue