āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2828 (4)

________আমার বিয়ে_________
লেখক: ShoheL Rana
__________পর্ব:-০৭____________
বাইকে আমার পেছনে উঠল সাবরিনা। আমি যখন বাইক চালাতে শুরু করলাম, তখন সে ফোন বের করে তার বান্ধবীদের ফোন করতে শুরু করল। সবাইকে সে শপিং সেন্টারে আসতে বলল। আর বলে দিল কে কি কিনবে তার লিস্ট করে আনতে।
.
তার কথাগুলো শুনে আমার ইচ্ছে হলো বাইকের ব্রেকটা নষ্ট করে দিয়ে তাকে একা বাইকটা নিয়ে পাঠাই দিই। তারপর সে স্বর্গে যাবে নাকি নরকে যাবে তা আমার দেখার বিষয় নই। এমন দাজ্জাল মেয়ে স্বর্গে যাবেনা আশা করি। তবে যেখানেই যাক, দাজ্জালগিরি তার কমবেনা।
.
যাইহোক, আমরা শপিং সেন্টারে পৌছার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবরিনার ৪/৫ টা বান্ধবী এসে হাজির হলো। এসেই এমন ভাব করল, যেন আমার পকেটটা তাদের বাপের সম্পত্তি, একেবারে উইল করা। আমার বাধা দেয়ার যেন কোন অধিকার নেই। কি আর করা? কপালে এরকম বউ থাকলে এটাই স্বাভাবিক।
.
সবাই যখন ভেতরে ঢুকতে যাবে, তখন আমি সাবরিনাকে বললাম:
--তোমরা পছন্দ করে করে যা কেনার কেনো, আমি এখানে বসে একটু ঘুমায়....." বলেই সিকিউরিটি গার্ডের চেয়ারে বসে পড়লাম।
সাবরিনা অবাক হয়ে বলল:
--তুমি যাবেনা ভেতরে? আর ঘুমাব মানে কি?"
--আমি ভেতরে গিয়ে কি করব? আমার কাজ তো শুধু টাকা পে করা,, আর তোমাদের শপিং তো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবেনা, শেষ হতে হতে আমি কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারব।
--ওকে তুমি নাক ডেকে ডেকে ঘুমাও। আমরা ভেতরে গিয়ে জিনিস কিনতেছি।
--হুমমম তাই যাও....." মনে মনে বললাম, পারলে একটা ভিক্ষার তালা কিনে নিও আমার জন্য।
.
ওরা ভেতরে চলে যাওয়ার পর আমি শপিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে আসলাম। তখন দেখলাম ঘটক চাচা একটা মেয়ের হাত ধরে এদিকে আসতেছে। তাকে দেখেই আমার মেজাজটা হিমালয়ের শীর্ষে উঠে গেল। এই বেটার জন্যই আজ আমার এই করুণ পরিণতি।
আমাকে দেখেই ঘটক চাচা মুখ লুকিয়ে চলে যেতে চাইল। আমি পেছন থেকে ডাক দিলাম:
--চাচা, কই যান?"
ঘটক চাচা যেন আমাকে এই মাত্র দেখল এমন ভান করে বলল:
--ও রানা বাবাজি, তুমি এখানে?"
--কেন? আমাকে দেখেই তো মুখ লুকিয়ে চলে যাচ্ছিলেন......."
ঘটক চাচা দাঁত বের করে হেসে বললেন:
--কি যে বলোনা বাবাজি... আমি তো তোমাকে দেখতেই পাইনি.....
--তাই নাকি? সাথে মেয়েটা কে? আমার জীবনটা তো নরক বানিয়ে নিজে আপনি খুব মজায় আছেন...."
ঘটক চাচা তখন আমাকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে কানে কানে বললেন:
--এভাবে বলছ কেন বাবাজি? এই মেয়েটা আমার মেয়ের মতো, ওকে দেখে মায়া লাগছে তাই কিছু কিনে দিতে এলাম।"
আমি মেয়েটাকে শুনিয়ে বললাম:
--আপনার কোন মেয়ের মতো? জীবনে এখনো বিয়ে করেননি..... মেয়ের মতো হলে এভাবে হাত ধরে গা ঘেষে হাটছিলেন কেন?"
ঘটক চাচা আমার মুখে হাত চেপে ধরে বলল:
--আস্তে বলো বাবাজি, ও শুনতে পাবে তো....
--শুনলে শুনুক.... আমার জীবনটা হেল করে আপনাকে মজা করতে দেবনা।" বলেই ঘটক চাচাকে মেয়েটার কাছে নিয়ে গেলাম। চাচা তখন কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলল:
--বাবাজি আমি কি করেছি? আমার সাথে এমন করছ কেন?"
ঘটক চাচার মুখটা খোলা ছিল। আমি তখন সামনের পাটির আলগা দাঁতটা ধরে টান দিলাম। তারপর তার সাথের মেয়েটাকে বললাম:
--দেখ তোমার সুইট জান্টুসকে দেখতে কেমন লাগে..... উনি আগেও একটা সম্পর্ক করেছে সখিনা নামের মেয়ে সাথে। কিন্তু বিয়ে করেনি।"
আমার কথা শুনে ঘটক চাচা কেঁদে ফেললেন প্রায়। তাড়াতাড়ি আমার হাত থেকে দাঁতটা নিয়ে আবার লাগালেন দাঁতের পাটিতে। তারপর সাথের মেয়েটাকে বললেন:
--ওগো মনু, তুমি ওর কথা বিশ্বাস করোনা। ও মাঝেমাঝে আমার সাথে এরকম মজা করতে ভালেবাসে।"
মেয়েটা ঘটক চাচার কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে মুখ ছিটকে চলে গেল। চাচা তখন চোখের পানি মুছে আমাকে বললেন:
--বাবাজি , তুমি আমার এতবড় ক্ষতি কেন করলা?
--কেন করেছি? আমার জন্য কি মেয়ে দেখেছেন ওটা? সাবরিনা তো আমাকে দু'দিন পর ভিক্ষুক বানায় ছাড়বে। আর আপনি তখন ঐ মেয়ের হাত ধরে যাওয়ার সময় আমাকে দেখলে ২ টাকা ভিক্ষা দিয়ে যেতেন। এটা আমি সহ্য করতে পারবনা।"
--কেন বাবাজি? সাবরিনা তো খুব ভালো মেয়ে।
--হুমমম, কতো ভালো মেয়ে তা হাড়ে হাড়ে ঠের পাচ্ছি......
--কিন্তু বাবাজি তুমি এটা ঠিক করনি। এই বুড়ো বয়সে এসে একটা ঠিকানা পেয়েছিলাম, তাও হারাতে হলো তোমার জন্য। জানো, ঘটকালি করতে করতে কতো কষ্ট করে এই মেয়েটাকে পটায়ছি? আজ তাকে হারিয়ে আবার সখিনাকে হারানোর ব্যথা নতুন করে জেগে উঠল বুকে।"
--চাচা, আপনি যে এসব করে বেড়াচ্ছেন, তা কি আপনার সখিনার কানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব?"
ঘটক চাচা তখন দাঁত করে হেসে বললেন:
--আরে কি বলো বাবাজি, আমি তো এতক্ষণ মজা করছিলাম। এই মেয়েটা তো আমার মেয়ের মতো....." বলতে বলতে চাচা উল্টোদিকে ঘুরে চলে যেতে লাগল। খেয়াল করলাম উনি চোখ মুছছেন। অদ্ভুত লোক! এই হাসে তো এই কাঁদে। বর্ষাকালের ব্যাঙের মতো। খুব জব্দ করেছি বেটাকে। বুড়ো বয়সে এসে কচি একটা মেয়ের সাথে প্রেম করতেছে। আবার শপিং করাতেও নিয়ে এসেছে। বেটা শয়তান!
(চলবে......

________আমার বিয়ে_________
লেখক: ShoheL Rana
__________পর্ব:-০৮____________
গুন্ডী মেয়েগুলোর শপিং শেষ হতে আর কতো দেরি হয় কে জানে..... আমি আবারও সিকিউরিটি গার্ডের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। গার্ডটা দাঁড়িয়ে তার দায়িত্ব পালন করছে। আর মাঝেমাঝে ফ্যালফ্যাল করে তাকাচ্ছে আমার দিকে। মনে হয় এমন সুদর্শন ছেলে আর কোনদিন দেখেনি। মেয়ের জামাই করার ইচ্ছে আছে নাকি জিজ্ঞেস করতে মন চাইল। তবে জিজ্ঞেস করলামনা। সাবরিনার চেয়ে উনার মেয়েকে বিয়ে করলে আজ এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতোনা।
.
আরো ঘণ্টাখানেক পর এলো মিসেস গুন্ডীরা। এসেই আমার হাতে শপিং এর বিল ধরিয়ে দিল। কি আর করা.... ক্রেডিট কার্ডটা ব্যবহার করতে হলো বিল পে করতে। কতো টাকা বিল এসেছে সে কথা আর নাইবা উল্লেখ করলাম।
.
সাবরিনার বান্ধবীরা নিজেদের শপিং করা জিনিসগুলো নিয়ে চলে গেল। এবার সাবরিনা তার একগাদা জিনিস আমার হাতে তুলে দিয়ে বলল:
--এইগুলো নাও।"
প্রতিবাদের সুরে বললাম:
--তোমার জিনিস আমি নেব কেন?
--আমি মেয়ে মানুষ হয়ে এগুলো নেব?
--আরে আমি বাইক চালাব নাকি এগুলো ধরব?
--বাইক পর্যন্ত নিয়ে যাও...... আর শুনো, শক্ত করে ধরো জিনিসগুলো। এখানে মেকআপ এর বক্সটা পুরো শপিং সেন্টার ঘুরে এই একটাই পছন্দমতো পেয়েছি। সাবধান! যেন পড়ে না যায়।"
--জি আচ্ছা মহারাণী।" মনে মনে বললাম, দাঁড়া- বের করছি তোর পছন্দের মেকআপ। হাটার সময় ইচ্ছে করেই ফেলে দিলাম ওর মেকআপের বক্সটা। পেছন থেকে ও চিল্লায় উঠল:
--হায়! হায়! এ কি করলে তুমি?"
--স্যরি স্যরি। ভুল করে পড়ে গেল।" বলতে বলতে মাটি থেকে ওটা তুলে নিলাম। সাবরিনা চোখ বড় বড় করে তাকালো আমার দিকে। বলল:
--ভেঙে ফেললে???"
আমি অপরাধবোধমার্কা একটা হাসি দিয়ে বললাম:
--স্যরি, বুঝতে পারিনি.....আমি তোমাকে আরেকটা কিনে দেব।"
--আরে এরকম আর নেই এখানে। জানো, আমরা সব বান্ধবী মিলে এটা পছন্দ করেছি। এই একটাই ছিল এরকম।"
--তাহলে কি আর করা? এই ভাঙা মেকআপ সেটটাই ইউজ করতে হবে আর কি। চলো এখন...." বলতে বলতে বাইকে উঠে বসলাম। মন খারাপ করে পেছনে উঠে বসল সাবরিনা। আমি তার জিনিসগুলো তার হাতে তুলে দিয়ে বাইক স্টার্ট দিলাম।
বাসায় পৌছা পর্যন্ত আর কোনো কথা হয়নি আমাদের। বুঝেছি ওর মন খারাপ। গর্ব করে ভাঙা মেকআপের সেটটা আর কাউকে দেখাতে পারবেনা সে। বেচারি! আমাকে ফকির বানিয়ে উনি মজা নিতে চেয়েছিলেন। উচিত শিক্ষা হয়েছে।
.
সারাদিন মন খারাপ করেছিল সাবরিনা। আমি দেখেও না দেখার ভান করলাম। সে কিন্তু ঠিকই শোধ তুলল রাতে। এভাবে সে প্রতিশোধ নেবে বুঝতে পারিনি।
.
রাতে ঘুমানোর জন্য আমি সোফায় শুইলাম। আড়চোখে দেখলাম সে মন খারাপ করে বসে আছে বেডে। আমার দিকে তার কোন খেয়াল নেই। যাকগে, তাতে আমার কি? এখন আরামে ঘুমাব আমি। সোফায় পা টান করে শুইলাম। হঠাৎ অনুভব করলাম বালিশের নিচ থেকে একঝাক পিপড়া বের হয়ে আমার গলা বেয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ল। সাথে সাথে চিল্লায় উঠলাম আমি। তাড়াতাড়ি শার্ট খুলে শরীর থেকে পিঁপড়া ঝাড়তে লাগলাম। সাবরিনা আমার অবস্থা দেখে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ইচ্ছে হলো শালির চুলগুলো ধরে আছাড় মারি।
ওদিকে বাবা মা এসে দরজায় কড়া নাড়তে লাগল। সাবরিনা গিয়ে দরজা খুলে দিল। আমার মা ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করল:
--কি হয়েছে? এভাবে চিৎকার করছিস কেন?"
আমি বললাম:
--না, কিছু হয়নি..... তোমরা যাও...
--কি হয়েছে বলবি তো?" বাবা জোর গলায় বললেন।
--না বাবা, কিছু হয়নি। তোমার বউমাকে একটা জোক শুনাচ্ছিলাম।
--ওহ আচ্ছা, ঠিক আছে...."
বাবা-মা বেরিয়ে গেল রুম থেকে। আমি দরজা লক করে দিয়ে রেগেমেগে তাকালাম সাবরিনার দিকে। সে কোনো পরোয়া না করে বেডে শুয়ে পড়ল। মুখ থেকে তার হাসিটা তখনও মুছে যায়নি। আমি রেগে গিয়ে বললাম:
--ঐ হাসি থামাও.... আমার বালিশে পিঁপড়া দিয়েছ কেন?"
--আমি পিঁপড়া দিয়েছি তার কোন প্রমাণ আছে তোমার কাছে?" জোর গলায় বলল সে।
--প্রমাণের দরকার নেই। এটা তোমার কাজ আমি জানি।
--বাজে বকোনা তো, ঘুমাব আমি। ডিস্টার্ব করোনা।" বলতে বলতে উল্টো কাত হয়ে শুইল সে। আমি আর কিছুই বললামনা। তবে হাল ছাড়বনা। এর শোধ আমিও নেব। ও তেলাপোকা ভয় পাই। এখন থেকে আমার কাজ বেশি করে তেলাপোকা জোগাড় করা।
.
বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর আমি তেলাপোকা অভিযান চালালাম সারা বাড়িতে। শালার তেলাপোকারাও বড্ড শয়তান হয়ে গেছে। এমনিতেই চোখের সামনে ঘুরঘুর করে, এখন আমি খুঁজতেছি একটা তেলাপোকাও চোখের সামনে পড়ছেনা। মেজাজটাই তুঙ্গে উঠে গেল।
.
সারারাত তেলাপোকা অভিযান চালিয়ে ১২ টা তেলাপোকা সংগ্রহ করতে পারলাম। ভোর বেলায় সাবরিনার বেডে মশারি টাঙিয়ে দিয়ে তেলাপোকা গুুলো মশারির ভেতর ছেড়ে দিলাম। তারপর সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। একটুপর ঘুমিয়ে পড়লাম আমিও......
(চলবে.....

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ