“ভার্চুয়াল বনাম রিয়েলিটি”
.
"এক গায়ক, পাঁচ ছয় বছর ধরে এক মেয়ের সাথে তার রিলেশন। একদিন তারা বিয়ে করলো, বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে গেলো। এতদিন ধরে একে অন্যের কাছে যে ফেক রুপ ধরে ছিলো একসাথে চার মাস সংসার করেই সেই মোহ ভেঙে গেছে।
.
স্বামী ভালোমত ব্রাশ করে না বলে বিয়ে ভেঙে গেছে এরকম উদারহণ শুনেছি। আমার হলে একটা ছেলেকে চিনি, দ্বীনি, অত্যন্ত সুদর্শন। কিন্তু ছেলেটা এত বিশ্রীভাবে খায়, খাওয়ার সময় তার পাশেই বসতে ইচ্ছে করে না। হলে একই রুমে থেকেছি এরকম অনেককে দেখি গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে। গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় কয়েক গ্যালন বডি স্প্রে মেখে বের হয়, অথচ তাদের প্র্যাত্যহিক জীবনের অবস্থা দেখলে বমি আসে। এই ছেলেগুলোকে বিয়ে করে এক সপ্তাহ সংসার করলে প্রেম প্রেম ভাব জানালা দিয়ে পালিয়ে যাবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
.
ফেসবুকে ভালো লেখালেখি করে বলে বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুনেছি অনেকের। ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত। আচ্ছা যদি বিয়ের পর সে লেখালেখি বন্ধ করে দেয় তাহলে কি মেয়েটা তার সাথে আর সংসার করবে?
.
একটা ছেলেকে বিয়ে করা মানে শুধু ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাট্যস চেঞ্জ করা নয়, ফেসবুকে ছবির পর ছবি আপলোড দেওয়াও নয়। কাউকে বিয়ে করার মানে হলো একটা মানুষের সাথে সারাজীবন একসাথে থাকা, একই বিছানায় ঘুমানো, একসাথে খাওয়া। খাওয়ার সময় মানুষটা হয়তো খচখচ শব্দ করে কিংবা বিশ্রীভাবে ভাত মাখায়। ঘুমানোর সময় হয়তো সে বিকট শব্দে নাক ডাকে। সে হয়তো বাজার করতে জানেনা। ফেসবুকে মজার মজার পোস্ট দিলেও হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে সে একেবারেই রসকষহীন। কাউকে বিয়ে করা মানে উঠতে বসতে একে অপরের সত্যিকারের চারিত্রিক ব্যাপারগুলো ফার্স্ট হ্যান্ডে দেখা। কারো প্রকাশ্য আর গোপন রুপ সামনাসামনি উপলব্ধি করা। বিয়ের আগে 'বয়ফ্রেন্ড' এর যে মানিব্যাগ সবসময় ভর্তি দেখেছেন, সে মানিব্যাগটাও মাসের কোন এক সময়ে খালি হয়ে যায় সেই বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া। মানুষের রাগ, দুর্বলতা, খারাপ দিকগুলোর মুখোমুখি হওয়া। নিজের সন্তানের পিতা হিসেবে তাকে দেখা, তার দায়িত্ববোধের সাথে পরিচয় হওয়া।
.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়ের সময় সর্বপ্রথম এবং সবার উপরে যে জিনিসটাকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন সেটা হলো দ্বীন, আল্লাহর সাথে সেই মানুষটার সম্পর্ক কেমন সেটা দেখা। যদি দ্বীন ঠিক থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ্ বাকি ব্যাপারগুলো অটো ঠিক থাকবে। ব্যক্তিগত জীবনে যার দ্বীনের প্র্যাক্টিস আছে, যে সুন্নতের উপর আছে ইনশাআল্লাহ্ তার জীবনের সাথে সহজেই কেউ খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। আর যার দ্বীন ঠিক নেই সে বাকি সব বেলাতেও বিশৃঙ্খল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বিয়ের আগে সবার আগে কারো ব্যক্তিগত জীবনে দ্বীনের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। ফেসবুকে সে কত ভালো দ্বীন চর্চা করে সেটা নয়। আল্লাহ্ সবার জন্য সহজ করুন।"
যারা ফেইসবুক পোস্ট দেখে কাউকে আহামরি লেভেলের ধার্মিক ভেবে বসেন, তাদের জন্য।
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ