সেই তুমি (পর্ব ১)
লিখা: #রবিউল ইসলাম
.
ইরা আর ফাহাদ সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তাদের কে কথা বলার সুযোগ দিয়ে ওদের বাবা মা একটু দূরে চলে গেল।এখন তাহলে আসল কাহিনি টা বলা যাক।ওদের দুজনের বাবা মাই ওদের বিয়ে করানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।এদিকে দুজনের কেউই বিয়ে করতে চায় না,ফাহাদের বয়স আর কত হবে ২৩/২৪।এই বয়সে বিয়ে করার কথা চিন্তাও করতে পারে না।ভিডিও গেম আর ল্যাপ্টপ নিয়েই পড়ে থাকে সারাক্ষন।অবশ্য বেচারার তেমন কোন বন্ধু নেই।কেউই ওর সাথে মিশে মজা পায়না।ওরো কোনদিন এইসব নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল না।ভিডিও গেম খেলে আর বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পার্ট নিয়ে গুতাগুতি করেই সে খুশি।এদিকে ইরা একেবারেই তার বিপরীত।খুব চঞ্চল একটা মেয়ে।সারাক্ষণ বন্ধুদের নিয়ে হ্যাঙ্গাউট করে বেড়ায়।কতগুলো প্রেম করেছে তার কোন হিসেব নেই।ধনীবাপের বিগড়ানো মেয়ে যাকে বলে আরকি।তাই তার বাবা মা খুবি ভাল আর শান্ত কোন ছেলের সাথে ইরার বিয়ে দিয়ে চিন্তা মুক্ত হতে চায়।আর এজন্য ফাহাদের থেকে ভাল কেউ হতেই পারে না।ফাহাদ আর ইরার বাবারা একজন আরেকজনের বিজনেস পার্টনার।ইরার সাথে যদি ফাহাদের বিয়ে হয় তাহলে ইরার বাবার সব সম্পত্তি ফাহাদ ই পাবে।ফাহাদের বাবা মাও এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না।কিন্তু ইরা ফাহাদ কাওকেই বিয়ের জন্য রাজি করানো যাচ্ছিল না।তাই ওদের বাবা মা প্ল্যান করে ট্যুরের কথা বলে দুজন কেই কক্সবাযার নিয়ে এল।
-আপনাকে দেখে তো দুধের বাচ্চা মনে হয়।তা এই বয়সেই বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছেন কেন?
ইরার কথা শুনে ফাহাদের মাথা গরম হয়ে গেল।মেয়ে টার সাহস কত বড় তাকে দুধের বাচ্চা বলছে।আর তাছাড়া সে বিয়ের জন্য মোটেও পাগল হয়নি।
-এইভাবে কথা বলবেন না একদম।আমার মোটেও ইচ্ছা নাই আপনাকে বিয়ে করার।নিজের চেহারা আয়নায় দেখেছেন?একদম শাকচুন্নীর মত দেখতে।আমি মরে গেলেও আপনার মত কাওকে বিয়ে করব না।
বলেই মুখ ফিরিয়ে নিল ফাহাদ।
-আর আমারও আপনার মত গুড ফর নাথিং নাক টিপ্লেই দুধ বেরুবে এমন ছেলেকে বিয়ে করার ইচ্ছা নেই।
ফাহাদ রাগে আবার কি যেন বলতে চাচ্ছিল তখন ইরা হাসতে হাসতে বলল
-এই যে দেখুন আপনার এক্সপ্রেশন দেখে মনে হচ্ছে এখনই কস্টে কেঁদে ফেলবেন।যাই হোক আমার মনে হয় ঝগড়াঝাটি বাদ দিয়ে দুজনে মিলে কিভাবে বিয়েটা আটকানো যায় সেই প্ল্যান করা উচিত আমাদের।
এই প্রথম এই ফালতু মেয়েটার কোন কথা পছন্দ হল ফাহাদের।তারপর একটু মুড নিয়েই বলল,
-ঠিক আছে।তবে আমি যা প্ল্যান করব তাই আপনার মানতে হবে।
-শুনুন আপনার প্ল্যান করতে করতে আমাদের বিয়ে হয়েও যেতে পারে।আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে।রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে আপনি বের হয়ে ঠিক এখানে আসবেন।ওকে?
মেয়েটার ভাবে আর প্রত্যেকটা কথায় ফাহাদের রাগ উঠছে।কিন্তু বুঝল এই মেয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে লাভ নেই।সে রাজি হল।এর মদ্ধেই ওদের বাবা মা এল।ইরার মা ফাহাদকে জিগ্যেস করল,
- ইরাকে কেমন লেগেছে বাবা?
ফাহাদের বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল যে
-খুবই বাজে।আপনার মেয়ের মত এমন বেয়াদব মেয়ে জীবনে দেখি নি।
যাই হোক কথা টা মনের মধ্যেই রাখল।মুখে একটা ছোট্ট হাসি দিয়ে বুঝালো যে ভালই লেগেছে।ইরার মা ্সেকি খুশি।ফাহাদের গাল টানতে টানতে বলল,
-কত ভদ্র ছেলে।ভাবি একটা হিরার টুকরা জন্ম দিয়েছেন আপনি।
ফাহাদের মনে হচ্ছিল তার গাল ছিড়ে যাবে যেকোন সময়।এর মধ্যেই মহিলা গাল ছাড়লেন।সেযেন হাঁফ ছেড়ে বাচল।গালে হাত বুলাতে বুলাতে ওর মাকে বলল
-মা আমি রুমে গেলাম।খেতে বের হউয়ার সময় ডেক।
বলেই তারাতারি হাটা দিল।এখানে কোথাও বরফ পাওয়া যায় কিনা কে জানে।গালটা প্রচন্ড জ্বলছে। (চলবে)
সেই তুমি (২য় পর্ব)
লিখা: #রবিউল ইসলাম
.
রাত বাজে ১টা।ইরা ঠিক যে জায়গায় আসতে বলেছিল ফাহাদ সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।পুরা বীচ ফাঁকা ।একা দাড়িয়ে থাকতে ভয় করছে ফাহাদের।খুব অন্ধকার চারপাশে।ছোটবেলায় ভুতের গল্প শুনেছে অনেক।যদি সত্যিই ভুত ধরে ওকে!এইসব ভেবে হাত পা কেমন যেন ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল।এই মাথা মোটা মেয়ের এখনও কোন খোঁজ নেই।এই মেয়ে মজা করল নাতো ওর সাথে।মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল ফাহাদের।বুঝল এই ফাজিল মেয়ে আসবে না।ফিরে যাবে চিন্তা করছিল।তখন ই ইরা পিছন থেকে এসে খপ করে ওর গলা ধরল।
-ওমাগো প্লিজ ছেড়ে দাও। আমাকে মেরো না।আমি এখন ই মরতে চাই না
ভুত গলা ধরেছে ভেবে ফাহাদ গলা ছেড়ে চেচিয়ে এইসব আবল তাবল বলতে লাগল।ইরা হাহা করে হেসে উঠল।ইরার হাসি শুনে পিছন ফিরে দেখে ওই ডাইনি টা গলা খুলে হাসছে।রাগে গদগদ করতে করতে ফাহাদ বলল,
-ফাজলামির এক্টাসীমা আছে?আপনার সাহস কত বড় আমার গলায় ধরেছেন?অপরিচিত ছেলের শরীরে হাত দিতে লজ্জা করে না?
-আপনার ভাষণ রাখুন তো।এখন চলুন অনেকদুর যেতে হবে?আপ্নি একটা লুতুপূতু ভিতুর ডিম আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।বলে ইরা আবার হাসতে শুরু করল।
রাগে ফেটে যাচ্ছিল ফাহাদ।তবুও নিজেকে সংবরন করে বলল,
-অনেকদুর যেতে হবে মানে?কোথায় নিয়ে যেতে চান আমাকে?
-আপনি বিয়েটা আটকাতে চান।রাইট?তাহলে যা বলি করুন।আজাইরা প্রশ্ন করবেন না।
ফাহাদেরও এই মেয়ের সাথে কথা বাড়াতে ইচ্ছা করল না।ইরার সাথে হাটা শুরু করল।খেয়াল করে দেখল ইরার কাধে একটা ব্যাগ।ব্যাগ নিয়ে এই মেয়ে কোথায় যাচ্ছে?ওকে নিয়ে পালানোর প্ল্যান নাতো?ধুর ওকে নিয়ে পালানোর কি দরকার?ওর বাবা মা তো এমেনি ওর ঘাড়ে এই মেয়ে কে চাপিয়ে দিতে চায়।হঠাত একটা বাস মেইন রোডে থামল।রাস্তা পুরা ফাকা।কোথাও কোন মানুষ অথবা গাড়ী ঘোড়া নেই।এত রাতে এখানে এই বাস থামবে এইটা এই মেয়ে জানে কিভাবে?তার মানে আগে থেকেই সব খোজ খবর নিয়ে রেখেছে।
খুব নিরব একটা রাস্তায় মাঝপথে ফাহাদকে নিয়ে নেমে পড়ল ইরা।হাটতে হাটতে জঙ্গলের ভিতর ঢূকে যাচ্ছে মেয়েটা।বিয়ে আটকানোর জন্য এখানে কেন আনল ওকে?হঠাত ভিষণ ভয় করতে শুরু করল ফাহাদের?এই মেয়ের প্ল্যান কি?ওকে জঙ্গলে মেরে ফেলে রেখে চলে যাবে নাতো?হূম অকে মেরে ফেললে তো বিয়ে করার কেউ থাকবে না।সো ইরার পথ ক্লিয়ার।
-এইখানে তাবু খাটানো যায়?
ইরার এই কথায় সংবিত ফিরে এল ফাহাদের
-মানে?
-আমার খুব ইচ্ছা ছিল জঙ্গলে তাবু খাটিয়ে থাকার,কিন্তু বাবা মা কখনই ঢাকার বাইরে দেয়নি আমাকে।কক্সবাজার আসার প্ল্যান হউয়ার সাথে সাথেই ঠিক করে ফেললাম এইবার স্বপ্ন পূরন হবে।একাই আসতে পারতাম তারপর ভাবলাম সাথে আরেকজন থাকলে ভাল হয়।আপনি ভিতুর ডিম জানি তবুও নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল তাই আপনাকে সাথে করে নিয়ে এলাম।
-আপনার কি মাথায় সমস্যা?আপনার সাহস কত বড় মিথ্যা বলে আমাকে জঙ্গলে নিয়ে এলেন?আমি রাতে খালি রাস্তায় একা বের হই না আর এই ঘন জঙ্গলে থাকব ভাবলেন কি করে?আপনাকে আমি খুন করে ফেলব।
ফাহাদ রাগ কন্ট্রোল করতে পারল না।মন চাচ্ছে এই মাথা খারাপ মেয়েকে কষিয়ে একটা চড় মারে।
-দেখুন আপনার যদি ভাল না লাগে চলে যান।আপনাকে কি আমি আটকে রেখেছি নাকি?তবে বলে দিচ্ছি সকালের আগে এই রাস্তায় আর বাস নেই।হেটে গেলে যেতে পারেন।
ফাহাদের নিজেকে খুব অসহায় লাগছে।এত রাতে অন্ধকার রাস্তা ধরে কোথায় যাবে?এই মেয়েকে আস্ত চিবিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে।এই ডেঞ্জারাস মেয়ের সাথে আর কোন ঝামেলায় জড়ানো উচিত হবে না।তাই সে রাগে গদগদ করতে করতে বসে পড়ল।
-আমি কাল ফিরে গিয়ে সবাইকে বলব আপনি কোন লেভেলের পাগল।আমার বাবা মায়েরও মাথায় নিশ্চয়ই সমস্যা আছে নাহলে নিজের ছেলের জন্য আপনার মত মেয়ে কে পছন্দ করত না
ইরা কিভাবে যেন আগুন ধরিয়েছে।এখন ব্যাগ থেকে সরঞ্জাম বের করছে তাবু খাটানোর জন্য।
-একটু হেল্প তো করতে পারেন।একটা মেয়ে কাজ করছে আর আপনি বসে বসে দেখছেন।
-আপনার শখ জঙ্গলে থাকার।আপনার কাজ আপ্নিই করুন।আর আপনি মরে গেলেও আপনাকে আমি হেল্প করতে যাবনা ।
বলেই ফাহাদ গাছের পাতা ছেড়ায় মনযোগ দিল।ইরা মনে মনে ফাহাদকে বকতে বকতে তাবু খাটাতে লাগল।হঠাত কেমন যেন শব্দ হল।কেউ আসছে মনে হয়।দুজনেই জঙ্গলের দিকে তাকাল দেখার জন্য।কিছু মানুষ এদিকেই আসছে।মানুষ গুলোর হাতে কি যেন দেখা যাচ্ছে।খেয়াল করে দেখল বন্দুক হাতে কিছু লোক ওদের দিকেই এগিয়ে আসছে।ফাহাদ ভয়ে চুপসে গেল। (চলবে)
সেই তুমি (৩য় পর্ব)
লিখা: #রবিউল ইসলাম
.
ফাহাদকে গাছের সাথে বেধে রাখা হয়েছে।ভয়ে থরথর করে কাঁপছে ও।ইরা মেয়ে বলে ওকে বাধেনি।একটু দুরেই চুপচাপ বসে আছে।আজব মেয়েটার চোখে মুখে ভয়ের কোন ছাপ নেই।এই মেয়ের মাথায় আসলেই সমস্যা আছে।এখন নিশ্চিত হল ফাহাদ।সামনে অনেক বড় আগুন তৈরি করা হচ্ছে।যতটা বুঝতে পারছে এই আগুনেই লোকগুলো ওকে ফেলবে।এরমাঝেই একটা লোক যাকে দেখে দলের সর্দার মনে হচ্ছে চেঁচিয়ে উঠল,
-তারাতারি হাত চালা।এই দুইটাকে নিয়ে বসে থাকলেই হবে নাকি?এদের মত আরও নস্ট পোলাপান এলাকায় আছে কিনা দেখতে হবে।সবগুলাকে মুরগির মত আগুনে ঝলসাবো।
এই কথা শুনে ফাহাদের আত্মায় আর পানি রইল না।যা ভাবছিল তাই,সত্যিই ওকে আগুনে পোড়াবে।এই পাগল মেয়ের চক্করে পড়ে শেষ পর্যন্ত জীবনটাই খোয়াতে হচ্ছে।অনেক বুঝানোর চেস্টা করেছে যে এখানে কোন নস্টামি করছিল না।এই পাগল মেয়ে ওকে ধরে নিয়ে এসেছে।কিসের কি!পাত্তাই দিল না কেউ।ফাহাদ ভাবছে,এত তারাতারি মরে যাবে সে?কতগুলো নতুন ভিডিও গেম আছে বাসায়।এখনও খেলতেই পারেনি।খুব আফসোস হচ্ছিল।ইশ একবার যদি রশিটা খুলে দিত কেউ তাহলে গিয়ে এই মেয়েকে ঠাস করে একটা চড় লাগাতো।এটলিস্ট মরার আগে শেষ ইচ্ছা টা পূরণ হত।কিন্তু মনে হচ্ছে না এটা সম্ভব হবে ।হঠাত দলের সর্দার বলে উঠল,
-ছেলেটারে আগুনের উপর ঝুলাইয়া দে।আস্তে আস্তে মরবে তাহলে।সমাজ টারে নস্ট করতেছে এইগুলা।
ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ফাহাদ বলল,
-প্লি-প্লি-প্লিজ এরকম টা করবেন না।দেখুন আ-আ-আমি এখনও বাচ্চা ছেলে।আমার এখনও মরার বয়স হয়নি।প্লি-প্লি-প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে।আর আ-আ-প্নারা এরকম করছেনই বা কেন?এ-এ-এগুলো তো ঠিক না।
-মেয়ে মানুষ নিয়া জঙ্গলে আসার সময় মনে ছিল না তুমি দুধের শিশু?বাচ্চা ছেলে?আর আমরা এইগুলা ক্যান করতেসি?করতেসি সমাজ পরিস্কার করার জন্য।আমাদের সংগঠনের নাম আবর্জনা দূরীকরন সংগঠন।আর এই আবর্জনা সেই আবর্জনা না।তোদের মত আবর্জনা সমাজ থাইকা দূর করি।
ফাহাদ ভাবল কিছুতেই এদের আসল কাহিনি বিশ্বাস করাতে পারবেনা তার থেকে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলে যদি রক্ষা পায়।বুঝতে পারছে এদের থেকে রক্ষা পাওয়ার পসিবিলিটি খুবই কম।তবুও শেষ চেষ্টা করা উচিত।ইচ্ছা হলে দুইটা পাই ভেঙ্গে দিক ওর শাস্তি হিসেবে।তাতেও ফাহাদ রাজি তবুও তো বেঁচে থাকবে।ফাহাদ তোতলাতে তোতলাতে বলল,
-আ-আমি হয়ত ভুল করেছি,কিন্তু প্লি-প্লি-প্লিজ আমাকে পোড়াবেন না।আ-আ-আপ্নারা আমাকে অন্য শাস্তি দিন।ইচ্ছা হলে আমার দুইটা পা ভেঙ্গে দিন।এটাও প-প-পছন্দ না হলে হাত দুটোও ভেঙ্গে দিন।ত-তবুও মারবেন না প্লিজ।
-বুদ্ধি খারাপ না।চারটা হাত পাই গুড়া কর এই পোলার।পড়ে আগূনে ফালাইয়া দে।
ফাহাদ ভয়ে কাঁদতে শুরু করল।এর মাঝেই ইরার গলা শুনল সে,
-প্লিজ আমার স্বামী কে কিছু করবেন না।দরকার হলে আমাকে মেরে ফেলুন।
ফাহাদ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।বলে কি এই মেয়ে।এখন আবার কি নতুন নাটক শুরু করল?যাই হোক এই ছাগল মেয়ের নাটকের জন্য এক্টুক্ষন হলেও বেশি বাচতে পারবে।তাই আর কথা বলল না।দেখা যাক এই পাগল কি করে।
-স্বামী মানে?নাটক করেন?এই ছেলে তো একবারও কইল না যে আপনারা বিবাহিত?আর আপনিও তো বলেন নাই।
-দেখুন আমি ভয়ে কিছুই বলতে পারছিলাম না।ভেবেছিলাম ও ব্যাপারটা সামলে নেবে।কিন্তু ও আরোও ভয় পেয়েছে।তাই কিছুই স্বীকার করছিল না।ও হয়তো ভেবেছে এটা বললে আপনারা বিশ্বাস করবেন না।আজকেই বিয়ে করলাম আমরা।বাসরও করতে পারলাম না আপনাদের জন্য।আমাদের বাবা মা আমাদের বিয়ে দেওয়ার জন্যই এখানে নিয়ে এসেছে।আমরা ভাব ধরেছিলাম যে আমরা পছন্দ করি না একজন আরেকজন কে।আজকেই দুজন মিলে প্ল্যান করে বিয়ে করে ফেলেছি।ভাবলাম সারপ্রাইজ দিব আমাদের বাবা মাকে।
-মজা নেন ?যদি বিয়ে করে থাকেন তাহলে রাতের বেলা জঙ্গলে কি করতেছিলেন?
-আসলে আমার ইচ্ছা ছিল জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে বাসর করব।আমার ইচ্ছা পূরনের জন্যই এই হাঁদারাম জঙ্গলে এসেছেন।প্লিজ বিশ্বাস করুন।আর বিশ্বাস না হলে আমাকে পুড়িয়ে ফেলুন কিন্তু আমার ভুলের শাস্তি আমার স্বামীকে দিবেন না প্লিজ,পায়ে পড়ি আপনাদের ।
বলেই ন্যাকা কান্না কাঁদতে শুরু করল।।যদিও মানুষগুলোর কাছে কান্না টা ন্যাকা মনে হল না কারন ফাহাদ দেখল ওরা একজন আরেকজনের দিকে চাওয়া চাওয়ি করছে। দেখে বুঝা যাচ্ছে যে এই মেয়ের কথা বিশ্বাস করেছে তারা।
-এই ছেলে এতক্ষন ধইরা মাইয়া মানুষের মত ইনতি বিনতি করতেছিল।আসল ঘটনা বললেই তো হইত।এই উনার হাতের বাঁধন খুইলা দে।
ইরা অতিরিক্ত ভালবাসা দেখানোর জন্য দৌড়ে গিয়ে ফাহাদের বাঁধনখুলতে লাগল,
-বাবু তুমি টেনশন করো না আমি আছি তো।কিচ্ছু হবে না তোমার।
অন্য সময় হলে রাগে ফাহাদের শরীর জ্বলে যেত কিন্তু এই মূহুর্তে এই কথা টায় কেন জানি একটু ভরসা পেল।এখন এখান থেকে যেতে পারলে হয় ভালয় ভালয়।আর জীবনেও এই মেয়ের ধারে কাছে আসা যাবে না।হোটেলে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে সোজা ঢাকার রাস্তায় যাবে সে। (চলবে)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ