āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2816

তোমাকে কিন্তু খয়েরী পাঞ্জাবীতে
মানাচ্ছে না।
""
বাসা থেকে বের হতেই ফোনটা বেজে
উঠলো।এই সময় আবার কে।আমি ফোনটা বের
করে দেখি ঝিমলির ফোন।আরে এই মাত্রই
তো কথা বলে বাসা থেকে বের হলাম আবার কি।
মেয়েটা পারেও।
আমি ফোনটা ধরতেই ঝিমলি কথাটি বলে উঠলো।
আমি এবার আমার পাঞ্জাবীটার দিকে তাকালাম।হুম
খয়েরীই তো।কিন্তু ও কিভাবে জানলো।
কিছুদিন হলো আমি কি করছি না করছি সব ও বলে
দিচ্ছে। সেটা আবার পুরোপুরি মিলেও যাচ্ছে।
সেদিন সন্ধায় যখন গেইট দিয়ে ঢুকতে যাব তখনি
গেইটের সাথে পা আটকে ধপাস।আমি মাথা তুলে
একবার আশেপাশে তাকালাম। নাহ, দারওয়ান চাচা ছাড়া
কেও নেই।তার মানে কেও দেখে নি।
দেখলে তো মান সন্মান সব যেত।তবে ব্যাথাটা
ভালই পেয়েছিলাম।আমি উঠে রুমের দিকে রওনা
দিলাম।
""
রুমে ঢুকতেই ঝিমলির ফোন।আমি ফোনটা
ধরতেই ঝিমলি বললো,দেখে চলতে পারো
না।এত তাড়াহুড়া কিসের।যদি খারাপ কিছু হয়ে যেত
তখন।ঝিমলি রাগি গলায় কথাগুলা বলে থেমে গেল।
আর আমি ভাবতে থাকলাম এটা ঝিমলি কিভাবে
জানলো।দারওয়ান চাচা তো বলেনি।আর উনিই বা
ঝিমলিকে কিভাবে চিনবে।আমি তো কখনও বলিনি।
'
আমি যখনি কিছু বলতে যাব তখনি ঝিমলি একটু নরম
সুরেই বললো,ব্যাথা কি বেশীই পাইছো।এখন
যদি আমি বলি ব্যাথাটা একটু বেশীই তাহলে
মেয়েটা হয়তো কষ্ট পাবে।তাই বললাম,
-আরে না।তেমন কিছু না।কিন্তু তুমি কিভাবে
জানলে?
-সেটা তোমার না জানলেও চলবে।এখন ওইখানে
একটু বরফ লাগাও।আর ওষুধ খেয়ে নাও।
"""""""
তাহলে কোন পাঞ্জাবীটা পড়বো?ঝিমলি এবার চট
করেই উত্তর দিল না।কিছুক্ষন ভেবে বললো,-
- কালো পাঞ্জাবীটা পড়বা।
-আচ্ছা ঠিক আছে।কিন্তু তুমি এগুলা কিভাবে জানলে?
-ইচ্ছা থাকলে ভালোবাসার মানুষের সবকিছুই জানা
যায়।কথাটি বলেই ঝিমলি ফোনটা কেটে দিল।
"""""""""
ঝিমলির সাথে আমার রিলেশন প্রায় এক বছর
হলো।ও থাকতো ঢাকায় আর আমি সিরাজগঞ্জ। তাই
আমাদের দেখাও হতো কম।মাঝে মাঝে আমিই
গিয়ে ওর সাথে দেখা করে আসতাম।কিছুদিন
আগেও ওর সাথে দেখা করে আসলাম।সেদিন
ওর জন্মদিন ছিল।তাই ওকে না জানিয়েই আমি চলে
গিয়েছিলাম ওকে সারপ্রাইজ দিতে।
"
আমি যখন ওর বাসার সামনে গিয়ে ফোন দিলাম ও
হয়তো বিশ্বাসই করতে পারছিলনা।ও দৌড়ে একদম
আমার সামনে চলে এলো।খুশিতে মেয়েটার
মুখ একদম লাল হয়ে গেল।এই বুঝি চোখ দিয়ে
টুপ করে পানি গড়িয়ে পরবে।
সেদিন সারাদিন ওকে নিয়ে ঘুরেছিলাম ওর সব
পছন্দের জায়গায়।সবসময়ই মেয়েটা আমার হাত
ধরে ছিল।মনে হলো আমাকে ছেড়ে দিলেই
আমি হয়তো পালিয়ে যাব।মেয়েটা সেদিন
অনেক খুশি হয়েছিল আমাকে দেখে।
সন্ধার দিকে যখন ওকে বিদায় দিয়ে বাসে উঠতে
যাব তখনি ও এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে হু হু
কেদে দিল।আমিও ওকে দু হাত দিয়ে বুকের
সাথে আবদ্ধ করে নিলাম।তবে সেদিন ওর কান্না
দেখে আমারও চোখের কোনে পানি জমতে
শুরু করেছিল।
"
বাস চলতে শুরু করেছে। আমি জানালা দিয়ে
তাকিয়ে দেখি মেয়েটা এখনও দাড়িয়েই আছে।
চোখের পানি মোছার বৃথা চেষ্টা করছে।
যতক্ষন না পর্যন্ত বাস ওর চোখের আড়াল হচ্ছে
ততক্ষন ও দাড়িয়েই ছিল।মেয়েটা কেন আমাকে
এত ভালবাসে সেটা মাঝে মাঝে আমিও ভেবে
পাই না।
""""
আহাদ ভাইয়া।
"
সিঁড়ি দিয়ে নামতেই কেও একজন আমার নাম ধরেই
ডাক দিল।আবার কে!আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি
তাসনিম হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে।তবে মেয়েটার
হাসি মুখ দেখে আমার মুখটা শুকিয়ে গেল।
মেয়েটা আমাদের উপর তলায় থাকে।এর জ্বালায়
আমি বাইরেও বের হতে পারি না।যখনি বের হবো
তখনি বলবে,ভাইয়া এইটা এনে দেন ওইটা এনে
দেন।একদম বিরক্তিকর অবস্থা।আজ যে আবার কি
আবদার নিয়ে হাজির হয়েছে কে জানে।তবে
আজ আর কিছু করছি না।আমি ওর দিকে তাকিয়ে
বললাম,
-কিছু বলবে?
-হুম।যদি একটু ফুসকা এনে দিতেন।
কি বলে মেয়েটা।আমি ফুসকা আনবো।
জীবনেও না।
-আমি পারবো না।তুমি খাবা তুমিই যাও।
কথাটি বলেই আমি নিচের দিকে পা বাড়ালাম।
-আমি না।ঝিমলি আপু খাবে।
তাসনিমের কথায় এবার আমি দাঁড়িয়ে গেলাম।ও কি নাম
বললো।ঝিমলি।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
-ঝিমলি কে?
-আমার ফুফাতো বোন।কিছুদিন হলো বেড়াতে
এসেছে।ভাইয়া একটু এনে দেন না।
এবার আমি একটু ভাবনায় পড়ে গেলাম।এই ঝিমলি
আমার ঝিমলি নয় তো।কিন্তু ওর যে এখানে
আত্বীয় আছে আমাকে তো কোন দিন
বলে নি।আচ্ছা একবার দেখা যাক।
-যদি তোমার আপু এসে বলে তাহলে এনে
দিতে পারি।
-আচ্ছা আপনি দাড়ান।আমি আসছি।
মেয়েটা এবার দৌড়ে উপরে চলে গেল।
আমিও সিড়িতে বসে পরলাম।একবার ভাবলাম
ঝিমলিকে ফোন দেই।আবার ভাবলাম না থাক আগে
দেখেই নেই।
"""""
ভাইয়া।এইতো ঝিমলি আপু।
'
আমি তাকিয়ে দেখি তাসনিমের পাশে ঝিমলি
দাঁড়িয়ে।আরে এতো আমার ঝিমলি।তার মানে
এতদিন ও সব দেখেই আমাকে বলেছে।
-ভাইয়া।আমি ফুসকা খাবো।
ঝিমলির মুখে ভাইয়া ডাক শুনে আমার মুখটা মলিন
হয়ে গেল।এদিকে দেখি ফাজিল মেয়েটা মিটিমিটি
হাসতেছে।
"
আমি কিছু বলার আগেই ঝিমলি আবার বললো,
-তাসনিম তুই বাসায় যা।আমি তোর ভাইয়ার সাথে ফুসকা
খেয়ে আসি।
-আচ্ছা আপু।আমি যাচ্ছি।এটা বলেই তাসনিম চলে
গেল।
-আমি তোমার ভাইয়া।একটু রাগি ভাব নিয়েই কথাটি
বললাম।
-আরে রাগ করো কেন।তখন যদি তোমাকে
জান বলতাম তাহলেতো তাসনিম সব বুঝে
ফেলতো।
-তুমি আমাকে বলবেনা যে তুমি এখানে
এসেছো।
-বললে তো আর এই সারপ্রাইজ পেতে না।
হুম।তাও ঠিক।আচ্ছা চলো।নতুন বউয়েই সাথে
ফুসকা খাওয়া যাক।
ঝিমলি এবার আমার হাতের মধ্যে হাত দিয়ে জড়িয়ে
ধরে বললো,হুম চলো আমার নতুন জামাই।
""
আমি আর ঝিমলি হাটছি।গন্তব্য ফুসকার দোকান।
মেয়েটা এখনও আমার হাত শক্ত করেই জড়িয়ে
ধরে আছে।এখন আমার একটি গানই মনে পড়ছে,
""আমি হাটতে চাই তোমার সাথে
শুরু থেকে পথের শেষে.
হঠাৎ থমকে দিয়ে বলতে চাই ধন্য তোমায়
ভালোবেসে।
-----------------------------
(ভালোবাসার পথ চলা)
"
Abdul Ahad(অলস বালক)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ