āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2802

ফিরে আয় বন্ধু
.
Arif Al Araf (চাঁদের বুড়ির বয়ফ্রেন্ড)
.
---দোস্ত এই দেখ একটা জিনিস (আরিফ)
---কি ?(আকাশ)
---একটা ব্যাগ
---হুমম তাইতো এটা কার ?
---আরে আমিতো এতক্ষন তোর সাথেই ছিলাম
---কে ওখানে ?
---জ্বি আঙ্কেল আমরা দুজন ।
---তা তোমরা কারা আর ব্যাগের কাছে কি চাই ?
---জ্বি মানে আঙ্কেল না মানে দেখতেছিলাম আর
কি
---কি দেখছিলে ?জীবনে বুঝি কোনোদিন ব্যাগ
দেখোনি ?
নাকি তোমরা এলিয়েন ?
---আঙ্কেল এলিয়েনও চেনে ?(আকাশ)
---মনে তো হচ্ছে তাই (আরিফ)
---কি ফুস ফুস করতেছো ?(আঙ্কেল)
---না আঙ্কেল কিছুনা ।
---আচ্ছা তোমরা কি বলতে পারো রুম নাম্বার ৩০৫
কোন দিকে ?
---একি এতোদেখি মায়ের কাছে মামাবাড়ির খবর
জানতে চায় (আরিফ)
---আরে ফাজলামো রাখ (আকাশ)
---আঙ্কেল উপরে উঠে বাম দিকের প্রথম রুমটাই
৩০৫
---ওহ আচ্ছা ধন্যবাদ তোমাদের
---কিন্তু আঙ্কেল ৩০৫ নম্বর রুমে কেন জানতে
পারি ?
---ওহ হ্যা আমার ছেলে কলেজে নতুন জয়েন করছে
আর
ওইটাই ওর রুম আজকে থেকেই ওখানে থাকবে ।
---ওহ আচ্ছা ।যাক আমাদের রুমের একজন সদস্য
বাড়লো

---মানে তোমরাও ওই রুমের ?
---জ্বি আঙ্কেল ।
---ও আচ্ছা ভালো ।
---আব্বু
পেছন থেকে কেউ একজন ডাক দিলো ।
হয়তো এই সেই ছেলেটা ।
---বাবা এদিকে আয় ।পরিচয় করিয়ে দিই এই আমার
ছেলে আর ওরা হলো তোর রুমমেট ।
---হাই ভাইয়া আমি প্রান্ত
---হ্যালো আমি আকাশ আর ও আরিফ ।
---আচ্ছা চলো তোমায় রুমে নিয়ে যাই ।
আঙ্কেল আর প্রান্তসহ ওরা দুজনে রুমে গেলো ।
প্রান্তর সবকিছু গোছগাছ করে দিয়ে আঙ্কেল বিদায়
নিলো ।
রাত প্রায় ১টা
হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আরিফের ।
আর ঘুম ভাংতেই
---এই চোর চোর আকাশ নিরব ওঠ ।
আরিফের চেচামেচিতে উঠে যায় সবাই ।
ঘরের লাইট জ্বালাতেই দেখতে পায় প্রান্ত
টেবিলে বসে পড়ছে ।
ওরা তিন জনই হা হয়ে গেছে ।
এতো রাত জেগে পরতেছে ?
হুমমম ছেলেটা লেখাপড়ার প্রতি খুব আগ্রহি ।
পরের দিন সকাল বেলা সবাই মিলেই কলেজে গেলো

কিন্তু আশ্চর্য্যর বিষয় হলো ছেলেটা কলেজে গিয়ে
কারো দিকেও তাকালোও না ।
যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার দরুন অনেক মেয়েই প্রান্তর
সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো কিন্তু মেয়ে তো দুরের
কথা শুধু ২টা ছেলের সাথেই কথা বল্লো।
এভাবেই কিছুদিন গেলো ।
প্রথম প্রথম একটু আলাদা থাকলেও পরবর্তিতে আরিফ
আকাশ ও নীলয়ের সাথে খুব ভালো ভাবেই মিশে
যায় প্রান্ত ।
যদিও ওদের থেকে জুনিয়র কিন্তু বন্ধুর মতো হয়ে
যায় সবাই ।
একদিন লেকের পাশ দিয়ে হাটতেছিলো ওরা চারজন
---দোস্ত চলো আজকে একটা গান হয়ে যাক (নীলয়)
---আচ্ছা আকাশ তাইলে একটা গান শুরু কর ।(আরিফ)
---আমি পারবো না ।আমার গলাতো ভাঙ্গা
স্পিকারের
মতো (আকাশ)
---আচ্ছা তাইলে প্রান্ত একটা গান শুনাও (নীরব)
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ,আজ আর নেই

কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালি বিকেল গুলো সেই
আজ
আর নেই।
প্রান্তর কন্ঠে মান্নাদের সেই বিখ্যাত গান ।
সত্যি ছেলেটার প্রতিভা আছে ,যেমন লেখাপড়ায়
তেমন গানের গলা ।
হঠাৎ প্রান্ত থেমে যায় ।
---একি থামলা যে ?(আকাশ)
কোনো কথাই নেই প্রান্তর মুখে ।হা করে তাকিয়ে
আছে ।
আরিফ প্রান্তর দৃষ্টি লক্ষ্য করতেই দেখলো অবাক
করা এক জিনিস ।
---একি এ আমি কি দেখছি ।যে ছেলেটা সব সময়
নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে সে আজ অপলক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে একটা মেয়ের দিকে ?(আরিফ)
সেদিনের মতো প্রান্ত আর কোনো কথাও বলেনি ।
বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে শান্ত ভাবেই
ঘুমিয়ে পরলো ।
আজ আর রাতে পরতেও বসলো না ।
প্রায় কয়েকদিন এভাবেই নিরব থাকে প্রান্ত ।
বাকিদের বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি ।
---হায়রে শেষ-মেস তুমিও এই ক্রাস নামক কুখাদ্য
খেলে ?(আরিফ)
---আরে থামতো এমনিতেই ওর মনের অবস্থা ভালো
না
(আকাশ)
কোনো কথা বলে না প্রান্ত শুধু কি জেনো ভাবে ।
পরের দিন সকালবেলা তিনজনই এসে প্রান্তকে
জড়িয়ে ধরে ।
---দোস্ত একটা খুশির খবর আছে ।
---কি ?
---অর্থির সব ডিটেইল জোগার করে ফেলছি ।
---অর্থি ?এইটা আবার কে ?
---আরে মিঞা এইটা তোমার ক্রাস ।
---তাই ?দোস্ত বলনা প্লিজ প্লিজ ।
---আরে শান্ত হও চলো আমাদের সাথে ।
দুর থেকে একজনকে দেখিয়ে বলে
যাও তোমার ক্রাসের কাছে ।
প্রান্ত গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যায় ।
পেছনে দাড়িয়ে আছে কিছুই বলতে পারছে না ।
একবার ডাক দিতে গিয়েও থেমে যায় ।
এভাবেই দুর থেকে প্রায় একমাস ফলো করে অর্থিকে

অর্থি কিছুটা টের পেলেও কিছু বলেনা ।
অবশেষে একদিন
---এই যে মিষ্টার কি ব্যাপার আপনার ?
অনেক দিন ধরেই দেখছি ফলো করেন ।কেনো ?
কিছু বলবেন ?
---না মানে কিছুনা ।
---ও আচ্ছা
---আচ্ছা বাই
বাই বলে প্রান্ত চলে আসবে এমন সময় পেছন থেকে
---এই যে মিষ্টার দাড়ান ।
---জ্বি কিছু বলবেন ?
---কালকে লেকের পাশে দাড়াবেন কথা আছে
---আচ্ছা
প্রান্ত যেন আকাশের চাঁদ পেয়েছে ।
দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরে নীরব আরিফ ও আকাশকে ।
---আরে কি হইছে ?
---দোস্ত অর্থি আমাকে দেখা করতে বলছে ।মনে হয়
প্রোপোজ করবে ।
---আরে মামা পাইয়া গেছো ।
যাই হোক পরের দিন দেখা করতে যায় প্রান্ত ।
এদিকে ওদের আজকের দিনটাকে স্মরনীয় করে
রাখার জন্য আকাশ আরিফ আর নীরব একটা
কমিউনিটি সেন্টার
ভাড়া করে ।
খুব ভালোভাবে সাজিয়ে রাখে ।
প্রান্ত লেকের পাশে যেতেই অর্থি ডাক দিলো
---এই যে এদিকে
---কেমন আছেন ?
---ভালো তুমি
---ভালো ।আপনি হয়তো কিছু বলার জন্যই
দেকেছেন ?
---এতদিন ধরে একটা মেয়ের পেছনে ঘুরতেছো আর
আজ তাকে এত কাছে পেয়েও কিছুই বলবে না ?
---হুমমম না মানে আমি আপনাকে ভালোবাসি
---হাদারাম এখনও আপনি করেই বলবে ?
---সরি তুমি ।আচ্ছা চলো
---কোথায় ?
---আমার বন্ধুরা একটা ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন
করেছে আমাদের জন্য
---আচ্ছা চলো
বেরোতে বেরোতে আকাশকে ফোন দেয় প্রান্ত
---দোস্ত আমরা আসতেছি
---আচ্ছা আয়
বাই বলে ফোনটা রেখে দেয়
এদিকে আসছি বলে অনেক্ষন হয়ে গেলেও দুজনের
কারোরই দেখা নেই ।
কিছুক্ষন পর প্রান্তর নাম্বার থেকে ফোন আসে
কিন্তু কথা বলছে অন্য কেউ
---হ্যালো
---জ্বি আপনি কে
---আমি কে সেটা না হয় পরেই বলি আগে বলুন আপনি
কি আকাশ ?
---জ্বি কেনো আর আপনি কে ?প্রান্ত কোথায় ?
---কিছুই বলতে পারবো না আপনারা দয়া করে ***
লেকের পাশের রাস্তায় আসুন
আর কোনো কথা না বলেই ফোন কেটে দেয় ।
দৌড়ে যায় ওরা তিনজনই ।
দুর থেকে অনেক ভির লক্ষ করা যাচ্ছে ।
দৌড়ে গিয়ে ভির ঠেলে ভেতরে যেতেই থমকে যায়
তিনজনই ।
রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর হয়ে পরে আছে দুটি দেহ
কিন্তু না এ যে সেই প্রান্ত ।
সঙ্গে সঙ্গে জরিয়ে ধরে প্রান্তকে
দোস্ত এই ওঠনা রে ।দেখ আমরা আসছি তো ।এই
স্বার্থপর খুব তো ঘুমিয়ে আছিস একবারও ভাবলি না
আমাদের কি হবে
বন্ধুরে কোথায় তুই
ফিরে আয়
ফিরে আয় দোস্ত
আমরা যে তোরই অপেক্ষায় ।
.
.
ফিরবে না আর কোনোদিনই তাদের প্রান্ত ।
চলে গেছে না ফেরার দেশে ।
[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ