āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2829 (5)

আমার বিয়ে-২
পর্বঃ৯
.
সাবরিনাকে চিনতে
আমার কোনো অসুবিধা হয়নি।
যাকে এতো বছর শুধু মিস করেছি,
আমার চোখের সামনে তার চেহারা
ছবি ভেসে উঠতো,
তাকে চিনতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি।
কিন্তু সাবরিনার কেনো এই পরিস্থিতি।
ও কেনো হুইল চেয়ারে বসে আছে।
--জয়,সাবরিনা কেনো হুইল চেয়ারে বসা।
ওর কি হয়েছে।
--আচ্ছা,ঠিকআছে চল আমরা রুমের
ভেতর গিয়ে ব্যাপারটা দেখি।
***
রুমে ঢুকতেই দেখি সাবরিনার পাশে
একটা লোক মনে হয় ওর মামা।
--(সালাম দিয়ে)আমি রানা,আমি
সাবরিনার খোজে এখানে এসেছি।
--ও তুমি সেই রানা।কিন্তু এখানে কেনো এসেছ?
--জ্বি সাবিরিনার সাথে আমার কিছু কথা
আছে।
এই কথা বলতেই সাবরিনা নিজেই হুইল
চেয়ারটা ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
এমন ভাবে তাকিয়ে আছে।মনে হয় আমাকে
জীবনের এই প্রথম দেখলো।
--সাবরিনা কেমন আছো তুমি?
সাবরিনা তুমি প্লিস আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
সেদিন যা করেছিলাম,তা রাগের মাথায়
আবেগের বশবর্তী হয়ে করেছিলাম।
কিন্তু বিশ্বাস করো আমি,
তোমাকে গিয়েছিলাম ফিরিয়ে আনতে।
কিন্তু পারি নি।ততক্ষণাৎ তুমি ইতালির পথে
উড়াল দিয়েছো।
বিশ্বাস করো সাবরিনা তোমাকে আমি
অনেক ভালোবাসি।এই দুটো বছর তোমাকে
অনেক মিস করেছি।
নিঝুম রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে
শুধু তোমাকেই ভাবতাম।
প্রত্যেকদিনের মতো তারারা আছে,
বিষণ্ন রাত আছে।
শুধু তুমিই আমার পাশে ছিলে না।
তোমাকে আমি অনেক অনেক মিস
করেছি।প্লিস আমাকে ক্ষমা করে দাও।
কি ব্যাপার সাবরিনা কিছু বলছো না কেনো।
.
হঠাৎ আমি ওর সামনে কাদতে কাদতে
মাথা নিচু করে বসে পড়লাম।
ওর চোখের পানি আমার ঘারের
ওপর পড়লো।
মাথা উঠিয়ে দেখি ও শুধুই কান্না করতেছে।
কিন্তু ও কিছু বলছে না কেনো।
হঠাৎ সাবরিনার মামা আমা ঘারে হাত দিয়ে
উঠিয়ে নিলো।
--আঙ্কেল,সাবরিনার কি হয়েছে কথা বলছে না কেনো?আর কেনোই বা হুইল চেয়ারে
প্লিস আমাকে খুলে বলুন?
--আসলে কি বাবা,দেড় মাস আগে ওর
একটা এক্সিডেন্ট হয়।
--কি এক্সিডেন্ট(আমি আর জয় একসাথে বললাম)।কিভাবে হলো?
--ও তোমার কাছ থেকে চলে আসার পর আমার কাছে আসে।আমাকে সব
খুলে বলে,তোমাদের ঘটনা।
এখানে এসে ও বে-সরকারি কম্পানি তে
জব করে।ওর দিনটা ভালো গেলেও
রাতে শোয়ার সময় প্রত্যেকটি দিন
চোখের পানি দিয়ে বালিশ ভেজাতো।
ও তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
আমি শান্ত্বনা দিয়ে বলতাম।
হয়তো রানা তোর কাছে একদিন না একদিন ফিরে আসবেই।
একদিন ও অফিস থেকে হেটে হেটেই বাসায়
ফিরছিলো।
হঠাৎ একটা প্রাইভেট কার ওকে
ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।লোকজন ছুটাছুটি করে ওকে রোমের এক হসপিটালে নেয়।
এর পর ২ সপ্তাহ কমায় ছিলো।
কিছুদিন আগে বিছানা থেকে
উঠে হুইল চেয়ারে বসে চলাচল
করতে পারছে।কিন্তু কথা বলতে পারছে না।
--কিন্তু, রোমের হসপিটাল থেকে এখানে কেনো?
--আসলে,ঐখানে একটু কোলোহল পরিবেশ
ডাক্তার ওকে নিয়ে এই হাসপাতালে আসতে বলেছিলো।
--আমরা ৪,৫ দিন আগে দুদিন আপনার
বাসায় গিয়েছিলাম, কিন্তু আপনাকে
পায়নি।
--আমি তো একমাস ধরে সাবরিনার কাছেই
আছি,বাসায় আর যাইনি।
ওর বাবা মা কেও কিছু বলে নি।এর
মধ্যে দুদিন ফোন দিয়েছিলো।সাবরিনার ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন দেই নি।
--ওকি আর কোনোদিন কথা বলতে
পারবে না আঙ্কেল?
--হুম,অবশ্যই পারবে।কথা বলতে পারবে
দাড়াতে পারবে সবই পারবে।আগের
মতো সে তার সব কিছুই করতে পারবে।
কিন্তু এর জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিটা
থাকতে হবে।
.
আমি সাবরিনার সামনে গিয়ে বসলাম।
সাবরিনা কাদছে।আমি ওর চোখের পানি
নিজের হাত দিয়ে মুছে দেই।
এতে ওর কান্না আরো বেড়ে যায়।
ওর ঠোটগুলো খালি কেপেই চলেছে।
হয়তো আমাকে অনেক কিছুই বলতে চায়।
***
এখন থেকে আমার নতুন জীবন যুদ্ধ শুরু।
সাবরিনাকে আমার আগের জীবনে
ফিরিয়ে নিয়ে আসতেই হবে।
যত কষ্টই করতে হোক নাকেনো আমি
ওকে আগের মতো করে সুস্থ করে
গড়ে তুলবোই।
........
জয় একাই হোটেলে ফিরে যায় আমি
হসপিটালে থেকে যাই।
সকালের খাবারটা আমি নিজের
হাতেই সাবরিনার মুখে তুলে দেই।
সে শুধু খাচ্ছে আর চোখের পানি ফেলছে।
আমি ওর চোখের পানি মুছে দিচ্ছি।
আমি ডাক্তারের কাছে গিয়ে সাবরিনার সব কন্ডিশন জেনে নেই।
ডাক্তার বলেছে ওকে যতো আনন্দে
আর নতুন ভালো পরিবেশে রাখা হবে ও ততই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
.
আমি ওর কাছে গিয়ে অনেক কথা বলি।
কিন্তু কিছুতেই কথা বলতে পারছে না।
--সাবরিনা,দেখো ডাক্তার বলেছে তুমি যত
নিজের ওপর আত্নবিশ্বাস রাখবে,তত
তাড়িতাড়ি তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।
সাবরিনা দাদু অনেক অসুস্থ, দাদু
তোমাকে দেখতে চায়।
প্লিস তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠো।
কিছু তো বলার চেষ্টা করো তুমি।
আমি ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম,
তুমি যদি আমার সাথে কথা না বলো,
তাহলে আমি চলে যাবো, আমি অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো।
কথাটা বলা শেষ হতে দেরি, সাবরিনা কষ্ট
করে মুখ ফুটে কিছু একটা বলার চেস্টা করলো। কিন্তু পারলো না।
আমি মনে মনে ভাবলাম সোজা
আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুলতো বাকা
করতেই হবে।
--দেখো...সাবরিনা আমি এসেছি ঠিকই,
কিন্তু তুমি কথা না বললে আমি,তোমাকে
ছেড়ে চলে যাবো।
--খুখুুুুুুুুুু......ন ক্ ককরে ফেলবো।
(অনেক কষ্টে কাদতে কাদতে বললো)
আনন্দে সাবরিনাকে জড়িয়ে ধরলাম।
তুমি পারবে সাবরিনা তুমি পারবেই।
বিকাল বেলা জয় এলো সাবরিনার সাথে
দেখা করতে।
আমি জয় আর সাবরিনার মামার সাথে
একটা প্লান করে নিলাম।
যদি সাবরিনা আমাকে সত্যিই ভালোবাসে
তাহলে আমি ওকে আমার ভালোবাসার
শক্তি দিয়ে হুইল চেয়ার থেকে উঠাবো এবং
মুখ দিয়ে কথা বের করাবই।
***
তারপরের দিন আমি একাই সাবরিনাকে নিয়ে বিকাল
বেলা পার্কে গেলাম ঘুরতে।
আমি বের হওয়ার আগে মামা আর জয়কে
ফোন করে সব জানিয়ে দেই।
.
আমি সাবরিনার হুইল চেয়ার ধরে হাটছি।
হঠাৎ এক
দল গুন্ডা এসে আমাকে মারতে থাকে।
সাবরিনা চেয়ারে বসা অবস্থায় পাগলের মতো করছে, আমি শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে আছি।
হঠাৎই দেখলাম সে চেয়ার থেকে উঠার চেস্টা করছে।
কিছুদূর নিয়েই আমাকে গুন্ডা গুলো ছুরি মেরেরে চলে যায়।
সাবরিনা আমার থেকে একটু দূরেই।
চেয়ার থেকে বারবার উঠার চেস্টা করছে।
আমি ওর দিকে তাকিয়েই ছিলাম।
হঠাৎ সে কিছু না ধরেই দাড়িয়ে গেলো।আমার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে
আসছে।
--রাাাাাা নননাাাাাা।
আরে সাবরিনা ডাকি দিলো নাকি।
আবার স্পষ্ট শুনতে পেলাম।
--রানা,রানা,রানা।
একধারে ডেকেই চলেছে।
সে আমার কাছে এসেই জড়িয়ে ধরলো।
--রানা,রানা,
আরে সাবরিনা তো কথা বলতে পারছে।
--রানা, তোমার কিচ্ছুই হবে না, আমি আছি।
প্লিস হেল্প,anybody help me pls..
.
হঠাৎ জয় আর সাবরিনার মামা দৌড়ে এলো।
--সাবরিনা তুই কথা বলতে পারিছিস, মা।
--হ্যা, মামা আগে রানাকে বাচাতে হবে।জয়
রানাকে ধরো প্লিস।ওকে কে বা কারা যেন চাকু মেরেছে।
জয় বেটা আর সাবরিনার মামা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরছে।
--কি,ব্যাপার জয়,মামা তোমরা এইভাবে হাসছো কেনো,ধরো ওকে তো বাচাতে হবে।
--হা হা হা........এই বেটা রানা অনেক হইছে ওঠ।
সাবরিনা আমার শরীরের রক্তের বদলে টমেটোর শোস লাগানো ঘ্রান টা বুঝে ফেললো।
--আরে শালা জয়,দিলিতো এত সুন্দর রোমান্সটা নস্ট করে।
সাবরিনা চোখ বড় বড় করে ফেললো রাগের মাথায়ঃ
--এতক্ষণ তোমরা অভিনয় করছিলে তারমানে,এইটা তো টমেটোর শোস।
কথা বলা শেষ হতেই আমার বুকে এলোপাতারি কিল মারতে মারতেই জড়িয়ে
ধরলো।
--এছাড়া কোনো, উপায় ছিলো না সাবরিনা
দেখো তুমি কথা বলতে পারছো,দাড়াতে পেরেছো।
সাবরিনা আমাকে ছেড়ে দিয়ে হঠাৎ যেনো
পরিবর্তন হয়ে গেলো।
--তুমি এখানে কেনো এসেছ রানা,তুমি তো আমাকে মুক্তি দিয়েছ ডিবোর্স দিয়ে।
--দেখো সাবরিনা, আমি আসলে ভুল করেছি।আমি বুঝতে পারিনি তোমার ভালোবাসা।
--না,রানা আমি তোমাকে ভালোবাসি না।(কাদতে কাদতে সেখান থেকে দৌড়ে চলে গেলো)।
--জয়, আমি এখন কি করবো?
--সালা, রানা তুই কি চেন্জ হবি না,ও তোর
ওপর অভিমান করে বসে আছে,চল বেটা
ওর রাগ ভাঙ্গাবি।
(১০ম পার্ট চলবে)

আমার বিয়ে-২
পর্বঃ১০
.
আমিও দেরি করলাম না।
দৌড়ে গেলাম পিছু পিছু ওর রাগ অভিমান
ভাঙ্গাতে।
সাবরিনা ওপাশ ফিরে তাকিয়ে আছে।
আমি গিয়ে ওর ঘারে হাত রাখতেই
ঝটকা দিয়ে হাত সরিয়ে
দিলো।
কি ঝটকা দিলো বাপরে বাপ মনে
হয় ৪৪০ ভোল্টের কারেন্ট শক।
--সাবরিনা শুনো,আমাকে মাপ করে
দাওনা প্লিস।
--না,যে ব্যক্তি কোনো মেয়ের ভালোবাসা
বুঝে না তারতো কোনো মাপ নেই।
--আসলে, প্রত্যেক মানুষেরই ভুল হয়,আমিও
সেই ভুলেই পা দিয়েছিলাম।
--তো,এখন কি করবে?আমি তোমাকে ভালোবাসি না।
--ও তাই ভালোবাসো না,ঠিকআছে আমিও
দেখি অন্যকোনো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিব।
বলেই সামনের দিকে পা বাড়াচ্ছিলাম।
সাবরিনা আমার হাত ধরে টান দিয়ে ওর
বুকের কাছে টেনে নিলো।
--সালা,রানা তুই আমাকে এইবার ভালো না
বাসলে আমি মরেই যাবো।
--তাই,এখুনি তো বল্লা ভালোবাসো না।
--ও,বললাম বলেই আমাকে ছেড়ে চলে
যাচ্ছিলা নাকি,ওকে যাও যাও আর আসবা
না(ধাক্কা দিয়ে)
--আরে আমিতো এমনি বলছিলাম পাগলি।
জানো ২ টা বছর আমি কেমন ছিলাম
তোমাকে ছাড়া।
--আমি শুধু তোমাকেই ভাবতাম প্রতিক্ষণে,আর ভাবতাম তুমি একদিন না একদিন ফিরে আসবেই আমার কাছে।
আমার ভালোবাসার টানে।
--হুম,সাবরিনা তাইতো তোমাকে নিতে ইতালিতে চলে এসেছি।অনেক
ভালোবাসি তোমাকে।I love you.
--I love you too.......
বলেই দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরলাম।
সাবরিনার চোখের পানি দিয়ে আমার কাধটা
ভিজে গেল।
আমার হাত দিয়ে ওর চোখ দুটো মুছে
দিয়ে ওর ঠোটে ভালোবাসা এক চুমু দিলাম
এসময় সাবরিনা তার মুখ তুলে নিয়ে বললো।
--রানা,আমাদের তো ডিবোর্স হয়ে গেছে।
সমাজ কি আমাদের মেনে নিবে।
--কিসের সমাজ,ভালোবাসার কাছে সমাজ
কিচ্ছুই না মোট কথা আমি তোমাকে ভালোবাসি,আর আমি তোমাকে আবার
বিয়ে করবো।
মা বাবা,দাদু তোমার অপেক্ষায় তারা বসে
আছে।
--ঠিকআছে,কিন্ত তুমি আবার আমার সাথে
আবার যদি কোনোরকম করো,আমি কিন্ত
মরে যাবো।
এইবার আমি কেদে দিয়েই বললামঃ
--সাবরিনা,মানুষ এক ভুল একবার করেই
তার ভুল শুধরে নেয়।
আমি তোমাকে আমার জীবন দিয়ে ভালোবাসবো।
বলেই আবার সাবরিনাকে জড়িয়ে ধরলাম।
এসময় জয়ের আগমন উনি দুইটা কাশি
দিয়ে দিলেন আমাদের ফিলিংসটা
নস্ট করে।
--আমি কি ভুল, সময়ে ঘরে প্রবেশ করলাম?
কেমন আছেন ভাবি।
--জ্বি, ভালো।এখন আমি পৃথিবীর সব চাইতে
বেশি ভালো।আমার ভালোবাসার মানুষটি
এখন আমার কাছে।
--আচ্ছা, ঠিকআছে তোরা থাক রানা,আমি
একটু বাইরে যাচ্ছি।
জয় ঘর থেকে বেনিয়ে গেলো।
--সাবরিনা,চলো আর দেরি করবো না,
দেশে ফিরে যাই।
--ঠিকআছে, কিন্তু আমার কিছু কাজ আছে
অফিসে সেরে তারপর যাবো।
--ওকে,তোতদিনে তুমি আগের মতো
সুস্থ হয়ে যাবে।
সাবরিনার মামা ঘরে আসলো।
--দেখলি,মা তোকে আমি বলেছিলাম না তোর ভালোবাসার মানূষ তোর কাছে ফিরে
আসবেই।তোর চোখের জল বৃথা হয়নি।
--হুম,মামা।আমি ফিরে পেয়েছি আমার ভালোবাসাকে।
--দোয়াকরি,তোরা আবার বিয়ে করে নিয়ে
সারাজীবন সুখে থাকবি।
--মামা,আমারা দেশে ফিরে যাবো পরের সপ্তাহে,তুমিও আমাদের সাথে যাবে।
--কিন্তু, আমার অফিস।
--ছুটি নিয়ে নেবে মামা।
--আচ্ছা ঠিকআছে।
এসময় ডাক্তার আসলো।
সাবরিনার এই পরিস্তিতি দেখে ডক্টর হতভম্ব।
ডাক্তার বলেছে।সাবরিনাকে আজকেই
আমরা ইচ্ছে করলে নিয়ে যেতেতে পারি।
অযথাই আর হসপিটালে থেকে লাভ নেই।
সাবরিনাকে নিয়ে তার মামার বাসায় গেলাম।
সেখানে আমরা সবাই একসাথে দুপুরের খাবার খেলাম।
সারা বিকেল সাবরিনার সাথেই গল্পতে কাটিয়ে দিলাম সন্ধা পর্যন্ত।
--সাবরিনা,আজকে হোটেলে ফিরে যাই কালকে আবার আসবো।
--আচ্ছা ঠিকআছে। সকালেই চলে আসবে কিন্তু।
--ওকে ভালো থেকো।
সাবরিনা আর ওর মামাকে বলে চলে আসলাম।
***
হাটতে হাটতে এগোচ্ছি ট্যাক্সি ধরার জন্য।
আমি মনেরর সুখে গুনগুন করে গান
গাইছিলাম।
--আরে রানা,এতদিন দেবদাস থেকে এখন দেখি পৃথিবীর সবচাইতে খুশি তুই।
--হুম জয় ঠিক কইছোস আমি আজকে সবচাইতে খুশি।
তোকে অনেক ধন্যবাদ দোস্ত।তোর জন্য কাজটা অনেক সুবিধা হয়েছে।
--ধুর বেটা রাখ তোর ধন্যবাদ।।
আরে তোর বাবা মা দাদু কে তো বলা হয়নি কিছুই।
--ও সিট,দাড়া এখুনি ফোন করে বলছি।
.
--হ্যালো,মা।
-- হুম,বল।
-- তোমাদের বউমাকে নিয়ে ৪ দিন পর দেশে ফিরছি।
--সত্যি, বাবা তাড়াতাড়ি আয়।ও এখন কোথায়
--ওর মামার বাসায়,আমরা হোটেলে ফিরছি।
--ঠিকআছে বাবা তাড়াতাড়ি আসিস।
--আচ্ছা দাদুর কন্ডিশন কেমন।
-- আগের চাইতে একটু ভালো।মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়।
--আচ্ছা,দাদু বাবা ওদের বলো আমরা আসছি।
--ঠিকআছে বলছি আমি।
.
মার সাথে কথা বলে হোটেলে চলে গেলাম।
সালার রাত আর ফুরোয় না।
শুধু ভাবছি কখন সকাল হবে।
রাতে ঠিকমতো ঘুমই হলো না।
অতঃপর উপেক্ষিত সরই সকাল চলে এলো।
জয় ঘুমিয়েই আছে।আমি ওকে বলে চলে
গেলাম সকাল সকালে।
এত সকালে কোনো ট্যাক্সি নেই
হটতে হাটতে একটা ট্যাক্সি পেয়ে গেলাম
সোজা চলে গেলাম সাবরিনার মামার
বাসায়।
সাবরিনা দেখি আজকে অনেক সেজেছে
সকাল সকাল।
আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
--হায়,গুডমর্নিং।
--গুডমর্নিং টু।
--সাবরিনা চলো কোথাও বের হই।কোনো এক নির্জন জায়গায় শুধু আমি আর তুমি
থাকবো।
--এখনই।
--হুম চলো।আমি একটা রিজাইন লেটার
লেখেছি।অফিসে দিয়ে চাকরিটা ছেড়ে দিব।
--ওকে চলো,কিন্ত এরপরে তো আর কোনো কাজ নেই তোমার না।
--মনে হয় নাই।
--তাহলে চলো আমরা আজকের বিকালের
ফ্লাইটে ঢাকা চলে যাই।
--আরে, আজকেই নাকি।
--হুম,আজকেই অনেক কষ্টে তোমাকে খুজে
পেয়েছি। আমি আর চাইনা তোমার কিছু হোক।আমি জয়কে ফোন করে বলছি
যেন ৪ টা টিকেট কাটে।মামাকে বলে দাও আজকে বিকালে বের হবো।
--ঠিকআছে। এখন চলো বের হই।
***
জয়কে ফোন করে বিমানের ৪ টা টিকেট কাটতে বলে দেই।
আর আমরা সাবরিনার অফিস হয়ে একটু
ঘুরতে বের হয়েছি প্রায় মাঝ দুপুরে।
শপিং মলে গিয়ে শপিং করলাম দুজনের।
আমি একজোড়া নুপুর কিনে ওর পায়ে পড়িয়ে দিলাম।
জয় ফোন দিয়ে বললো ৪ টায় ফ্লাইট।
বাইরে আর বেশি দেরি করা যাবে না।
সবকিছু রেডি করতে হবে।
সাবরিনা আর ওর মামা সবকিছু রেডি করে
আমরা যে হোটেলে থাকি সেখানে চলে এলো।
আমি আর জয় বাঙ্গালি সেই হোটেল কর্মীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম।
বাবাকে আর সাবরিনার বাবাকে ফোন
দিয়ে জানিয়ে দিলামযে আমরা আজকেই দেশে ফিরে যাচ্ছি।
তারপর ৪ টার ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে
উড়াল দিলাম।
আমি আর সাবরিনা পাশাপাশি বসেছি।
সাবরিনা আমার কাধে মাথা রেখে
ঘুমিয়ে গেছে।
এমনিতেই ও দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু
ঘুমের মুখে ওকে একেবারে এক নিষ্পাপ
অপ্সরীর মতো লাগছে।
ও ঘুমিয়েই আছে, বাংলাদেশে বিমান ল্যান্ড
করার আগে ওকে জাগিয়ে দিলাম।
--সাবরিনা আমরা চলে এসেছি ওঠ।
এয়্যারপোর্টে আমাদের রিসিভ করতে এসেছে আমার বাবা আর সাবরিনার বাবা।
মা আসেনি, মা দাদুর কাছে হসপিটালে আছে।
সাবরিনা ওর বাবাকে গিয়েই জড়িয়ে ধরলো।
আমি ওকে শান্ত্বনা দিয়ে সবাই মিলে দাদুর কাছে গেলাম হসপিটালে।
দাদু তো সাবরিনাকে দেখে পুরাই অবাক।
দেখেই কেদে দিলো।সাবরিনা গিয়ে দাদুকে
জড়িয়ে ধরলো।
দাদু বিছানা ছেড়ে উঠে পরলো।
আমি দাদুর কানের কাছে গিয়ে বললামঃ
--দাদু,আস্তে ধরো, নয়তো তোমার ছাতার a+r নামের কথা ফাস করে দিব।
--এই সময় ডিস্টার্ব করিস না তো রানা।
(ওররররেেে সালার মনে হয় আমি এই বুড়োর জন্য বউ নিয়ে এসেছি)
সাবরিনা মাকে সালাম করে নিলো।
মা ওকে কাছে পেয়েই বুকে টেনে নিলো।
আরে অনেকক্ষণ থেকে বাবা আর সাবরিনার বাবা কি গল্প করছে?
কিছুক্ষণ পর ওরা এসে বলে দিলো আগামী
শুক্রবার মানে দুদিন পরেই আমিদের বিয়ে।
এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
মনে হয় এক স্বপ্নের ঘোর থেকে ফিরে আসলাম বাস্তবে।
রাতেই আমি আর জয় আমাদের গাড়ি করে সাবরিনা ওর মামা আর বাবাকে ওদের বাসায় পৌছে দেই।
আমরা হসপিটালে ফিরে এসে তারপরের দিন সকালে বাসায় চলে আসি।
কালকেই বিয়ে।কিযে মজা।
আমি আর জয় প্রায় সবধরনের এরান্জসেন্ট করে ফেলেছি।
.
.
(১১ পর্ব চলবে)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ