সন্ধ্যা সাত'টা
হিমু তার হলুদ পান্জাবী পরে বেরিয়ে পড়ল ঢাকার রাস্তায়...তার কাছে আছে ২টা পাঁচ টাকার কয়েন...খুব খিদে পেলেও এ মুহুর্তে রুপার বাসায় ফোন করাটা জরুরী...তার আগে মজনুর ভাতের হোটেলে একবার চক্কর দেওয়া দরকার...কিন্তু ভাত খাওয়ার মত টাকা তার পকেটে নেই...অনেকদিন হলো মাজেদা খালার বাসায় যাওয়া হয় না...এ মাসে খালু এখনো টাকা পাঠায় নি...সেদিন বাদল তার খোঁজ করতে মেসে এসেছিল,কিন্তু তাকে না পেয়ে একটা খামে কিছু লিখে রেখে গেছে...এখনও খামটা খোলা হয় নি!তাতে কি লেখা ছিল??
এসব নিয়ে ভাবছে না হিমু...মহাপুরুষরা অতশত ভাবে না...চিঠি পড়ার জন্য দরকার হয় জোৎনাস্নাত মাঝরাত...শহড়ের কোলাহল,ব্যাস্ততা যখন থেমে যায় তখন একা একা চিঠি পড়তে হয়...খুব নীরবে,অতি যতনে...ভাবতে ভাবতেই তরঙ্গিণী সুপার স্টোরে পৌছে গেল হিমু...৫টাকা হাতা ধরিয়ে ফোনের বোতাম চাপল হিমু...রিং হচ্ছে!
হ্যা,রুপাই ফোন ধরেছে।
-হ্যালো!
-হ্যা,আমি হিমু!
-কই ছিলে এতদিন?এখন কোথায়?"
-এতদিন যেখানে ছিলাম এখনও সেখানে...এ ত্রিভুবনে, খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে।
-আচ্ছা,বলো কেন ফোন করেছো?
-এমনি!
-এমনি কেউ ফোন করে?
-মহাপুরুষরা কোন কাজের জন্য অতশত ভাবে না,তাদের সময় অতি মূল্যবান...এরা এমনিতেই যা খুশি করে।এখন রাখলাম...
-এই না না...খাইছো?
-না,টাকা নায়!
-তো এখন কি না খেয়ে সারারাত কাটাবে?
-হয়তো একটু পানি খেয়ে নিতে পারি...তবে কি জানো,না খেয়ে কেউ মারা যায় না...বরং অধিক খেয়েই মরেছে এ জগতে তার রেকর্ড অনেক...তুমি পেটভড়ে খেলে হয়তো গভীর ঘুম ঘুমিয়ে যাবে...কিন্ত এ রাতের সৌন্দর্য,জোৎনা,আকাশ,চাঁদ সবকিছু তোমার অদেখাই থেকে যাবে।তারচেয়ে বরং খিদে পেটে জেগে জেগে এ দৃশ্য উপভোগ করায় শ্রেয়।
-হইছে,হইছে...আমি মকবুল চাচা'কে বলে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি...তুমি মেসের সামনেই থেকো!
হিমু হ্যা অথবা না কোনটা না বলেই ফোন কেটে দিলো...সে কি বুঝেছে আল্লাহ জানে...সে নিশ্চয়ই এখন ভীষন রেগেছে...রাগলে রুপাকে আরও মায়াবতী লাগে...!
মকবুল চাচার গাড়ির হেডলাইট জ্বলছে...রুপা এসে গেছে...নীল শাড়ি,কপালে নীল টিপ আর কাচের চুড়ি...আমাকে একপ্রকার টেনে হেচড়ে রুপা গাড়িতে তুলে নিল।
-আচ্ছা তুমি এমন কেন?
-হিমু চুপ!
একটা টিফিন হাতে ধরিয়ে রুপা তার চোখ গাড়ির বাহিরে রাখল...হয়তো কাঁদছে!রুপাকে কাঁদলেও মায়াবতী লাগে...সে কি তবে খুব কষ্ট পেয়েছে?তাতে তার কি?মহাপুরুষদের এত দূর্বল হলে চলে না...তারা হাসি কান্না মায়া মমতার ঊর্ধ্বে।
টিফিন বাটির পুরো পায়েশ খেয়ে নিল হিমু...একবারের জন্যও মেয়েটি খেয়েছি কি না জানতে চায়ল না।
খাওয়া শেষ করে হিমু জিজ্ঞেস করলো গাড়ি কোথায় যাচ্ছে?
রুপা পাশ না ফিরিয়েই জবাব দিলো,রমনা পার্ক!
হিমু মকবুল ড্রাইভারকে নির্দেশ দিলেন গাড়ি ঘুরিয়ে গাজিপুর নুহাশ পল্লীতে যাওয়ার জন্য...
এবার রুপা মুখ ফিরিয়ে জবাব দিলো...সেখানে কি আছে?
৩টি সুবিশাল লিচুগাছ,জামবাগান,শেফালীগাছ,অজস্র জোৎনা,মেঘ,ছায়া,কাঁচা মাটির ঘ্রাণ,পুকুরের পানিতে চাঁদের আলো,মায়াবতী রাত ও একজন মহাপুরুষ....কথাগুলো বলেই চোখটা বন্ধ করল হিমু!
রুপা এবার সড়ে আসল...কাচের চুড়ি ঝুনঝুনিয়ে বাজতেই হিমু চোখ খুলে রুপার দিকে তাকালো...দুজোড়া চোখ হয়তো তাদের মনের কথা বলছে...মকবুল ড্রাইভার বিরামহীনভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন...
.
প্রায় মধ্যরাতে গাড়ি গিয়ে নুহাশ পল্লীতে পৌছাইল...হিমু গাড়ি থেকে নেমে দেখল মুষলধারে বৃষ্টি...রুপাকে গাড়িতে বসিয়ে সে ছুটে গেল মহাপুরুষের কাছে...কি অপরুপ সৌন্দর্য,যেন এক খন্ড স্বর্গ ছুয়ে গেছে নুহাশ পল্লীর লিচুতলায়...লিচুতলার একপাশে ঘুমিয়ে আছে মহাপুরুষ...যেন শান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছেন,কোন কোলাহল নেই,হট্টগোল নেই আছে শুধু মেঘ ও জোৎনার মাখামাখি...সে জোৎনার আলোতে হিমুর সামনে ভেসে উঠল রুপা,মাজেদা খালা,বাদল,মজনু,মিসির আলী,বাকের ভাই,শুভ্রদের লম্বা লাইন...প্রত্যাকের হাতে হলুদ প্ল্যাকার্ডে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা-
-"হে মহাপুরুষ,ভালো থেকো"-
.
হুমায়ন স্যারের মৃত্যুবার্ষিকী'তে স্মরণমূলক ছোট্ট লেখা।
মহাপুরুষ//Niyamul Islam
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āĻেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2800
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧍:⧧⧧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ