গতকাল ফরিদদের বাড়ীতে আসছিলাম তার কাজিনের গায়ে হলুদে। তাদের বাড়ীতে ঢোকার সময়ই ফরিদ আমাকে বেশ জোরালো ভাবে নিষেধ করে দিলো,একটা মেয়ের দিকে যেন না তাকাই। তারপর বললো,ওটা একটা আপু। বুয়েটে পড়ে। গান ও করে,আমার কাছে গান আছে,দেখবি? আমি পাত্তা না দিয়ে ভেতরে চলে গেলাম।
সন্ধ্যায় একটা মেয়েকে দেখলাম। চাশমিশ। একবার দেখলেই ভালো লেগে যায়,এমন মেয়ে। আমার আন্দাজে বড়জোর এই মেয়ে নাইনে পড়ে। চোখাচোখি হয়না। আড়চোখেও কোনো ছেলের দিকে তাকায়না। তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তার পাশে বসলাম,জোরে গান চালালাম। লাভ হলোনা। সারাক্ষণ গেইমস নিয়ে পড়ে থাকলো। রাতে শাড়ী পড়ার পর তার বয়স যেন আরো দুবছর কমে গেলো! আমি ক্রাশিত হলাম। এই মেয়েকে হাত ছাড়া করা যাবেনা ভেবে সুন্দর দেখে একটা গোলাপ তার দিকে বাড়িয়ে দিলাম,এই প্রথম মেয়েটা আমার দিকে তাকালো। আহা! কত অসাধারণ সেই চাহনি! মেয়েটা কিছু বলার আগেই ফরিদ কোথা থেকে চিৎকার করে বললো,রোবন! উনি বুয়েটের স্টুডেন্ট।
ফরিদকে দেখলামনা। আমার মাথায় যেন বাজ পড়লো। কি বলে ডাকবো বুঝতেও পারছিলামনা। উনি বলে উঠলেন,আমাকে দিচ্ছো?
-জ্বী!
-কেনো দিচ্ছো?
-ইয়ে মানে,এহেম!
-বলো?
-আসলে গোলাপটা সুন্দর,আপনিও সুন্দর। সুন্দরের পাশাপাশি সুন্দর মানায়। তাই আপনাকে দিচ্ছি।
-আচ্ছা,নিলাম। তারপর?
-তারপর আর কি! আপনার গান শুনলাম। অসাধারণ গায়েন আপনি। এলবাম বের করছেননা কেনো? আচ্ছা আপনার নাম কি?
-খুব সুক্ষ্মভাবে প্রপোজ করতে এসে,টপিক বদলাচ্ছো? বাই দা ওয়ে,আমি তৃষা, তোমার নাম কি?
-জ্বী, রোবন। আর আপনি বুঝে ফেলারই কথা,শত হলেও বুয়েটিয়ান!
-যাইহোক,এগুলো কে বলেছে?
-ফরিদ।
-ফরিদটা কে?
-আমিও চিনিনা। আপু আমি আসি। আপনি অনেক সুন্দর,জোশ। 😍
-হাহাহা! আচ্ছা ভাইয়া, ভালো থাকো।
আমার আবেগে চোখে পানি চলে আসলো। :'( ক্যান যে ভুল করে আপু ডাকলাম! এখন ভাইয়া ডাক শুনতে হলো সদ্য ক্রাশের মুখ থেকে। :(
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ