āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2828 (3)

________আমার বিয়ে_________
লেখক: ShoheL Rana
__________পর্ব:-০৫____________
কারো চিৎকার পাত্তা না দিয়ে আমি আবার শপিং সেন্টারে এলাম। আগের ড্রেসটা পাওয়া যায়নি। নতুন করে আবার ড্রেস কিনতে হলো। তারপর বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে দেখলাম, ঘটক চাচা তখনও দাঁত খুুঁজতেছে, আর আমার দাদু দরজার সামনে একটা চেয়ারে বসে আছে। আমারই জন্য অপেক্ষা করতেছে মনে হয়।
আমি বাসায় ঢুকতেই দাদু উঠে দাঁড়াল। তারপর আমাকে চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল। যেন এই প্রথম আমাকে দেখতেছে। আমি দাদুর হাতে ছাতাটা ধরিয়ে দিয়ে বললাম:
--দাদু আমাকে চিনতে পারছনা? আমি তোমার নাতি রানা।"
দাদু আমার পেটে ছাতার গুঁতো দিয়ে বলল:
--তুই আমাকে কিছু না বলে ছাতা নিয়ে গেলি কেন?"
--কই? আমি কেন ছাতা নিয়ে যাব? ছাতাটাই তো আমার সাথে যেতে চাইল। বিশ্বাস না হলে ছাতাকে জিজ্ঞেস কর।" বলেই আমি ভেতরে চলে গেলাম। দাদু তাজ্জব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। হয়তো ভাবছে, ছাতাও কথা বলতে পারে?"
কিছুক্ষণ পর আমি ভেতর থেকে আবার আসলাম, ঘটক চাচার কষ্ট আর সহ্য হলোনা। তাকে দাঁতটা খুঁজে দিতে সাহায্য করলাম, অনেক্ষণ খোঁজার পর দাঁতটা খুঁজে পেলাম একটা পাতার নিচে। দাঁতটা পেয়ে ঘটকচাচার মুখে হাসি ফুটে উঠল। ঠিক জায়গায় দাঁতটা লাগিয়ে ঘটক চাচা বলল:
--রানা বাবাজি, তুমি আমাকে বাঁচালে আজ। দাঁতটা না পেলে আমি সত্যিই বাঁচতামনা। একটা সত্যি কথা বলি?
--হ্যা বলুন?"
ঘটক চাচা তখন আমার কানেকানে ফিসফিস করে বললেন:
--এই দাঁতটা আমার বাবা লাগায় দেইনি, এটা আমার সখি লাগায় দিছল ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে।
--ও, তাইতো বলি..... চাচা, আপনি কি জানেন আপনি কি জিনিস?"
--কি?
--আপনি আমার দাদুর মতো একটা আজব ক্যারেকটার। উনাকেও মনে হয় ছাতাটা তার কোন প্রেমিকা দিয়েছিল।"
আমার কথাটা শুনে ভেতর থেকে দাদু তেড়ে এল।
আমার কান ধরে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে গেল। দাদু রেগে বলল:
--ঐ তুই কি বললি?
--ঠিকই বলেছি, তোমার ছাতায় A+R লেখা দেখেছি আমি। বলো এটার মানে কি?"
দাদু তখন আমার মুখ চেপে ধরে বলল:
--এই আস্তে আস্তে। সবাই শুনতে পাবে। তোকে সব বলছি, দাঁড়া...." বলেই দাদু তার মুখটা আমার কানের কাছে নিয়ে এল। তখন ঘটক চাচা এসে তার কানটা দাদুর মুখের কাছে নিয়ে এল। দাদু ঘটকচাচাকে ঠেলে দিয়ে বলল:
--মকবুল, তুমি কিন্তু বেয়াদবি করতেছ। আমি আমার নাতিকে একটা গোপনীয় কথা বলতেছি।"
আমি তখন ঘটক চাচাকে বললাম:
--চাচা, আপনি একটু ঐদিকে যান, নইতো আপনার দাঁতের ইতিহাস সবাইকে বলে দেব।"
বাধ্য হয়ে ঘটকচাচা সরে গেল। দাদু আবার আমার কানের কাছে মুখ এনে বলল:
--কথাটা কাউকে বলিসনা। তোর দাদির সাথে বিয়ের আগে রোকসানার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। এক বৃষ্টির দিনে সে আমাকে ছাতাটা গিফট করে। ওখানে সে লিখে দিয়েছিল A+R..
--মানে আশরাফ+রোকসানা? দাদু, তলে তলে তাহলে এই কাহিনী?"
--এই গলা নিচু করে কথা বল, সবাই শুনতে পাবে।"
--না, আমি সবাইকে বলে দেব। যদি তা না চাও, মাঝেমাঝে আমাকে তোমার ছাতাটা দেবে, কেমন?"
--আচ্ছা, ঠিক আছে। দেব।"
আমি তখন একটা বিজয়ী হাসি দিয়ে চলে এলাম নিজের রুমে।
***
শুক্রবার! আমার বিয়ের দিন। বউ নিয়ে আসা হয়ছে বাসায়। রাত ১১ টার দিকে মেহমানরা ধীরে ধীরে চলে যেতে লাগল। তখন আমাকে সবাই বাসর করতে পাঠাল। আমি বাসর ঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিছুতেই ভেতরে ঢুকতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। একটু গুন্ডী মেয়ের সাথে কিছুতেই এক ঘরে থাকা সম্ভব না। আমাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমার এক বন্ধু এসে বলল:
--কি রে? এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?"
আমি হেসে বললাম:
--আগে কখনো বিয়ে করিনি তো তাই....
--আরে বেটা এটা কোন কথা? এই অভিজ্ঞতা মানুষের জীবনে প্রথমবারই আসে। যা, ভেতরে ঢুক......"
আমাকে সে ভেতরে ঢুকাই দিল.... আমি ভেতরে ঢুকে দরজা লক করে দিলাম। আমাকে দেখে আমার গুন্ডী বউ বাসরশয্যা থেকে নেম এল। আমার পায়ে সালাম করল। আমি কি করব বুঝতেছিনা। আমিও তাকে সালাম করতে চাইলাম। সে তাড়াতাড়ি করে আমাকে আটকিয়ে বলল:
--এমা, ছিঃ ছিঃ কি করছ তুমি?
--ও তাইতো? কি করছি আমি? ছিঃ ছিঃ...
--এসো দুইরাকাত নফল নামাজ পড়ব।"
এরপর আমরা দুইরাকাত নামাজ পড়লাম। এই গুন্ডী বউকে পেয়ে আমি খুশি না, তারপরও শোকরিয়ার নামাজ পড়তে হলো। সাবরিনা আমার হাত ধরে টেনে বসাল বেডে। তারপর ও নিচু হয়ে থাকল। দু'জনে চুপ থাকলাম অনেক্ষণ। তারপর সে জিজ্ঞেস করল:
--কি ব্যাপার, চুপ করে আছেন কেন?"
--ওহহ, সরি... কিছু বলা উচিত মনে হয় আমার। আচ্ছা, আপনার নাম কি?
--কেন? তুমি আমার নাম জাননা?
--হুমম... জানি, এমনিই জিজ্ঞেস করলাম।
--আর আমাকে আপনি আপনি করছ কেন?"
--ওহ, পরে ঠিক হয়ে যাবে।"
--হুমম ঠিক আছে। তুমি বেডের এই পাশে শুইবে নাকি ঐ পাশে শুইবে?"
আমি সোফা দেখিয়ে বললাম:
--আমি ওখানে শুইব...."
বউ আমার চমকে উঠে প্রশ্ন করল:
--কেন?"
--আসলে ঘুমের মধ্যে আমার থু-থু ফেলার অভ্যাস আছে।"
--এমা, এ কি রকম অভ্যাস? সবসময় এটা হয় নাকি?
--না, যখন খুব টেনশনে থাকি, তখন ঘুমালে ঘুমের মধ্যে থুথু ফেলি...."
--এখন আবার কিসের টেনশন?"
--নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি.... এটা একটা টেনশন না?" মনে মনে বললাম:
"তুমি নিজেই তো একটা টেনশন"
বউ আমার বুঝতে পারার ভান করে বলল:
--তাহলে ঠিক আছে, তুমি সোফায় থাক। বেডে শুইলে দেখা যাবে আমার গায়ে তুমি থুথু ফেলছ...."
আমি আর কিছু না বলে একটা বালিশ নিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়লাম। একটা গুন্ডী মেয়ের সাথে থাকার চেয়ে সোফায় থাকা অনেক আরামদায়ক।
(চলবে....)
.

________আমার বিয়ে_________
লেখক: ShoheL Rana
__________পর্ব:-০৬____________
সকালে বউ এর গুণগুণ গানের শব্দে ঘুম ভাঙল আমার। চোখ মেলতেই দেখি বউ আমার ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে আয়না দেখে দেখে মাথা আঁচড়াচ্ছে আর গুণগুণ করে গান গাচ্ছে। এতো আনন্দ কোত্থেকে আসল কে জানে। দাঁড়া ছোটাচ্ছি তোর আনন্দ। চোখের সামনে একটা তেলাপোকা ঘুরছিল, ওটাকে বামহাত দিয়ে ধরে ছুড়ে মারলাম বউ এর পিঠের উপর। তারপর আমি আবার চোখ বন্ধ করে ফেললাম। এমন ভান করলাম, যেন এখনও ঘুম ভাঙেনি আমার।
.
বেশিক্ষণ চোখ বন্ধ রাখতে হয়নি আমাকে। জোরে একটা চিৎকার করে সাবরিনা ঝাপিয়ে পড়ল আমার উপর। হায়! হায়! এ যেন খাল কেটে কুমির আনলাম আমি। সাবরিনার চিৎকার থামছেনা। সে আমাকে চেপে ধরে চিল্লাতে শুরু করল। আমি কিছুই না জানার ভান করে জিজ্ঞেস করলাম:
--কি হয়েছে? কি হয়েছে?"
সাবরিনা আরো জোরে চিৎকার করে উঠে বলল:
--তেলাপোকা....
--কোথায় তেলাপোকা?
--আমার পিঠে....."
আমি তখন সাবরিনার পিঠ থেকে তেলাপোকাটা বের করে ওর মুখের সামনে ধরলাম। ও শেষবারের মতো একটা জোরে চিৎকার করে উঠে আমার বুকে মুখ লুকালো। তারপর বলল:
--ওটাকে বাইরে ফেলে দাও....."
আমি তেলাপোকাটা জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে মারলাম। তারপর সাবরিনার মুখটা তুললাম আমার বুক থেকে। সে লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বলল:
--স্যরি......"
--ঠিক আছে, ঠিক আছে...... ক্ষতিটা তো আমারই হয়েছে। কতো মজার স্বপ্ন দেখছিলাম। সব শেষ করে দিলা......"
এমন ভান করলাম যেন ওর চিৎকারে আমার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে।
ওদিকে তার চিৎকার শুনে বাড়ির কর্তারা দরজায় আঘাত করতে লাগল। আমার মায়ের কণ্ঠ শুনা গেল:
--রানা, কি হয়েছে? দরজা খোল। মা সাবরিনা.....??"
আমি উঠে দরজা খুলে দিলাম। সাবরিনা আমার পেছনে মুখ লুকিয়েছিল। আমার বাবা জিজ্ঞেস করল:
--কি হয়েছে?
আমি বললাম:
--না বাবা, কিছু হয়নি...... তোমার সাহসী বউমা তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়েছে।"
আমার কথা শুনে সবাই তখন হেসে উঠল। আমার দাদু বগল থেকে ছাতাটা বের করে আমাকে গুঁতো মেরে বলল:
--সর তো, আমার দাদুভাইকে একটু দেখি....."
আমি সরে গেলাম সাবরিনার সামনে থেকে। সাবরিনা মুখ নিচু করে ছিল। দাদু তখন তার হাত ধরে তাকে বাইরে নিয়ে গেল। তাদের পিছু পিছু বাবা-মাও চলে গেল। আমি দরজা বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়লাম।
.
শুয়ে শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে লাগলাম। চোখে আর ঘুম ধরা দিলনা। কিছুক্ষণ পর দরজায় কারো কড়া নাড়ার শব্দ শুনে উঠে দরজা খুলে দিলাম। দেখলাম সাবরিনা চা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। দরজা খোলার পর ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।
আমি বললাম:
--বাহ! খুব লক্ষী বউ তুমি। দাও, চা টা আমাকে দাও....." বলেই সাবরিনার হাত থেকে চা টা নিতে চাইলাম। সে হাত সরিয়ে চায়ের কাপে এক চুমুক দিয়ে বলল:
--তোমার জন্য আনিনি এটা..... নিজেরটা নিজে নিয়ে এসো....."
তার কথা শুনে পুরোনো রাগগুলোও মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। তবে কিছুই বললাম না।
উল্টো সে আমাকে ঝাড়ি দিয়ে বলল:
--ঐ তুমি বাবা-মার সামনে এমন করে কথা বলছ কেন?"
--কেমন করে কথা বলেছি?"
--সাহসী মেয়ে তেলাপোকা দেখে ভয় পায়, এসব কি কথা? হ্যা?
--ঠিকই তো বললাম.....
--নিজে বুঝি খুব সাহসী? বউকে ভয় পেয়ে বেডে শুয়োনি রাতে, খুব সাহস তোমার।
--তোমার সাথে ঘুমালে এত আরাম করে ঘুমাতে পারতামনা....." বলেই। টুথব্রাশটা নিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে বের হলাম। বের হয়ে দেখি আমার জন্য চা নাস্তা রেডি। সাবরিনা এনে রেখেছে। তা দেখে তার উপর রাগটা কিছুটা কমে গেল। চা নাস্তা খেয়ে বের হওয়ার জন্য রেডি হলাম। যখন বের হব, তখন পেছন থেকে সাবরিনা বলল:
--দাঁড়াও, আমি আসছি....."
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম:
--তুমি কোথায় যাবে?"
--কেন? বিয়ের আগে কি কথা হয়েছিল মনে নেই?"
--কি কথা?
--আমি যখন চাইব, শপিং করতে নিয়ে যেতে হবে।"
--তাই বলে এখন? বিয়ের মাত্র একদিন হয়নি, আর তোমার চাহিদা শুরু হয়ে গেছে?"
--হুমমম......বিয়ে করছ কেন? এবার সব চাহিদা পূরণ কর......"
--বেশ! চলো তাহলে......"
অগত্যা দাজ্জাল বউকে নিয়ে বের হলাম শপিং করতে। না জানি কখন ফকির বানায় ছাড়ে আমাকে..... আল্লাহ মালুম।
(চলবে.......)
......

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ