āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍⧝ āϏেāĻĒ্āϟেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2842

(সেই মেয়েটা)
লেখক : জুবায়ের হাসান
দোস্ত আমার বিয়ে।
: হা হা হা। তাই নাকি। তোর মত পেত্নিকে কে বিয়ে করবে।
: দেখ আমি মোটেও ফাইজলামি করছি না।
: আচ্ছা ঠিক আছে। কবে বল।
: যে কোন সময় হয়ে যেতে পারে।
: তাই, তাহলে তো ভালই হয়। অনেকদিন বিয়ে খাই না। তোর বিয়েতে অনেক মজা করবো।
: কুত্তা থাক আমি গেলাম। আমার বিয়ের কথা শুনে খুব মজা পাচ্ছিস তাই না। যেদিন আমার বিয়ে হবে। ভার্সিটিতে আর আসবো না, সেদিন বুঝবি আমি কি ছিলাম ।
.
কথাটা শেষ করেই হনহন করে চলে গেল ইশা। সত্যিতো কখনো এটা ভাবিনি। ইশা যদি না থাকে তবে আমার কি হবে।
.
.
ইশা আর আমি হাই স্কুল থেকেই বন্ধু। আমি কোনদিনই গুড বয় ছিলাম না। কারণ পরাশুনা আমার ভালো লাগতো না। সারাদিন টইটই করে ঘুরতাম। আর ইশা ঠিক আমার বিপরীত ছিলো। ও আমাদের ক্লাশের ফাস্ট গার্ল ছিলো। তারপরো কেনো যে এই দুই বিপরীত মেরুর মানুষের বন্ধুত্ব হলো তা নিজে অনেক ভেবেও বের করতে পারি নাই।
.
স্কুল জীবন শেষ করে আমরা একি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু কলেজের শেষে ভার্সিটিতে ভর্তি হবার সময় ঘটলো সব চেয়ে বাজে ঘটনা। ইশা ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পাইলো। কিন্তু আমি পরাশুনা না করার কারনে ঢাকাতে চান্স পেলাম না। সেদিন প্রথম মনে হয়েছিল, আমি ইশাকে ছারা চলতে পাবো না। আর সেদিন অনেক কেদে ছিলাম আমি , কিন্তু হারামী ইশা আমায় শান্তনা না দিয়ে উল্টো আমায় আরো বড় বড় কথা শোনাচ্ছিলো।
.
ও নাকি ঢাকাতে ভর্তি হবে। সেখানে আমার থেকে অনেক ভালো ভালো বন্ধু পাবে। খুব খারাপ লাগছিলো ওর কথা গুলো। একটা পর্যায়ে ওকে রেখে বাসায় চলে আসছিলাম। এবং বাসায় এসে ফোনটা ভেঙ্গে ফেলে ছিলাম। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে যে এমন একটা সিনক্রিয়েটের সম্মুখীন হবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি।
.
সকাল ৬:২০ এ দরজায় খুব নক হচ্ছিলো। আম্মু কখনো এমনটা করে না। কারণ আম্মু জানে আমার ঘুমের ডিস্টার্ব হলে আমি খুব রাগ করি। তাই ভীষন রাগি একটা ভাব নিয়ে দরজা খুললাম। দরজা খুলতেই দেখি ইশা। ও আমার হাত ধরে টানতে টানতে রুমের ভেতর নিয়ে গেলো। এতক্ষন লক্ষ্য করিনি, এবার ভালো করে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ লাল।
.
: কিরে তোর চোখে কি হইছে।
: (গালের উপর একটা সশব্দে চড় পরলো)
: (আমি হালে হাত দিয়ে ওর দিকে অবাক হয়ে দারিয়ে আছি, কারণ এই ৬ বছরের বন্ধুত্বে এই প্রথম ও আমার গায়ে হাত তুললো।)
: তোর ফোন বন্ধ কেন কুত্তা।
: ফোনটা ভেঙ্গে গেছে।
: আমায় জানাসনি কেন। আন্টির ফোন ছিলো না।
: হুম, না মানে।
: তুই জানিস সারাটা রাত আমার উপর দিয়ে কি রকম ঝড় গেছে।
: মানে।
: তুই কি ভাবে ভাবলি তোকে ছেরে আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হবো। আর অন্য কারো সাথে বন্ধুত্ব করবো।
: তুই বললি কেন।
: ওটাতো তোকে রাগানোর জন্য বলছি। রাজশাহির পরীক্ষার এখনো ২৪ দিন বাকি আছে। এই ২৪ দিনের মধ্যে তোকে প্রি-পারেশন নিতে হবে। যদি রাজশাহীতেও না টিকিস তবে সত্যি সত্যি আমি তোকে ছেরে চলে যাবো।
.
এর পর আর কি করার। আমি বুঝেগেছিলাম সেদিনি, ইশাকে ছারা হাসান অচল। তাই আর রিক্স নেই নাই। রাজশাহিতে ভর্তি হলাম দুজন। সিরিয়াল অনুয়াযী ইশা অর্থনীতি সাবজেক্টস পেয়েছিল, আর আমি রাষ্টবিজ্ঞান । কিন্তু আমার সাথে থাকার জন্য ও মাইগ্রেশন করে রাষ্টবিজ্ঞান নিয়েছিলো।
.
মুখে যতই বলি না কেন আজকে ইশার বিয়ের কথা শুনে সেই ৪ বছর আগের বুকের কোনার চিনচিন ব্যথাটা আবার অনুভব করলাম।
.
ইশা না থাকলে আমার কি হবে। কে সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিবে। কে আমার এসাইনমেন্ট করে দিবে। কে সারাদিন আমায় ভালো ছেলে বানানোর বিথা চেষ্টা করবে। হাজার রাগ হওয়া সত্যেও কে বারবার আমায় পরতে বলবে, খেতে বলবে, আর রোগ হলে কে সময় মত ঔষুধ খাওয়ার জন্য ফোন দিবে।
.
না কিছু একটা করা দরকার। আমি মনে হয় ইশাকে ভালোবাসি। না মনে হয় না, আমি সত্যি ইশাকে ভালোবাসি। আর ওকে ছারা এক মুহুর্তেই আমি জিরো হয়ে যাব। ও একদিন ক্লাশে না আসলেই পুরো ক্লাশটা আমার কাছে যেন শূন্য মরুভূমিতে পরিনত হয়ে যাবে।
.
.
(পরের দিন সকাল বেলা,,,,,, ইবলিশ মাঠ, রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়।)
.
.
একা একা বসে আছি। মেজাজ প্রচুর খারাপ। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। কেমন যেনো ছটফটানির মাঝেই রাতটা কেটে গেছে। ইশা কে কয়েকটা কথা বলার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। আবার মনের মধ্যে একটা ভয়ও কাজ করছে।
.
সব সময় আমি ডাকলে ইশা আগেই চলে আসে। আর আমি দেরিতে আসি। ও পৌছানোর পর থেকে ফোন দেওয়া শুরু করে। আর আমি ততক্ষনে রেডি হয়ে হল থেকে বের হই। কিন্তু আজ হারামীটা এত দেরি করছে কেন বুঝতে পারছি না। খুব খারাপ লাগছে। অপেক্ষা জিনিসটা যে কত কষ্টের তা আজ হারে হারে টের পাচ্ছি।
.
.
: কিরে তোর কি হইছে। আজ এত সকালে ডাকলি কেন। তোরতো জমিদারি ঘুম ৯ টার আগে বেড থেকেই উঠিস না। আজ আবার জমিদার সাহেবের কি হলো?
: দেখ ইশা একদম মজা করবি না। মেজাজ কিন্তু প্রচুর গরম আছে।
: ওমা তাই। কই, তোর মেজাজ একটু বের কর। পানি ঢেলে ঠান্ডা করে দেই।
.
: আজ আমি ঝগড়া করতে চাচ্ছি না। কারণ তোর সাথে আমার ইম্পরটেন্ট কথা আছে।
: ওমা তাই,,,, বলে ফেল
: কথা গুলো তুই কি ভাবে নিবি আমি জানি না। কিন্তু কথা গুলো আমাকে বলতেই হবে। তুই প্লিজ আমাকে ভুল বুঝিস না।
: ওকে বলে ফেল।
: দেখ আমি কাল সারা রাত ঘুমাতে পারি নাই।
: কেন কেন,,,,, কোনো মহারানীর উপর ক্রাশ খাইছিস নাকি?
.
: মজা করবি না। তোর বিয়ের কথাটা শোনার পর থেকে কেমন যেনো লাগছে।
: তুই কি চাস আমি বিয়ে না করে সারা জীবন তোর সাথে এমন ঝগড়া করি?
: না তা চাই না।
: তাহলে?
: আমি তোকে বিয়ে করে আমার সাথে সারাজীবন ঝগড়া করার জন্য রাখতে চাই।
.
(দুজনেই চুপ। কিছুক্ষন পর)
.
: তুই এটা কি বললি হাসান?
: ইশা তোকে আমি অনেক ভালোবাসি। শুধু যে ভালোবাসি তা নয়। তোকে ছাড়া আমি এক মূহুর্তও চলতে পারবো না। তুই ছাড়া আমার জীবনটা ধুধু মরুভূমির মত হয়ে যাবে। তুই অন্য কারো হবি, আমার সাথে তোর আর দেখা হবে না, এটা আমি কোন দিনো মেনে নিতে পারবো না। তুই মিশে গেছিস আমার প্রতিটি মূহুর্তে প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে।
.
তোকে যদি শুধু ভালোবাসতাম, তবে আমি হয়ত তোকে না জানিয়েই থাকতাম। এবং তুই সুখে থাকবি ভেবে তোকে হাসি মুখে অন্যর হাতে তুলে দিতাম। কিন্তু তুই আমার শুধু ভালোবাসা নস তুই আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস প্রশ্বাস। ভালোবাসাকে ছারা বেচে থাকা গেলেও নিঃশ্বাস কে ছাড়া কেমনে বাচবো বল। জানি না তুই এটাকে কিভাবে নিবি। তবে আমি তোকে কখনো জোর করবো না। তোর সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত হবে।
.
.
.
মাথানিচু করে কথা গুলো এক নিশ্বাসে বলে ইশার দিকে উত্তরের জন্য তাকালাম। ইশার দুচোখ দিয়ে পানি পরছে। মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। ঠোট দুটো শুধু কাপছে।
.
: আমি ভেবে নিবো তুই আমিকে পছন্দ করিস না।
: (হাত দিয়ে আমার মুখটা চেপে ধরলো ইশা) আমাকে বিয়ে করবি?
: হুম (বলে মাথা নারালাম)
: খাওয়াবি কি?
: আমি যা খাই।
: রাখবি কই ?
.
: আমি যেখানে থাকি সেখানেই রাখবো।
: এসব আবেগের বয়স অনেক আগে পার করছি বুঝলি। এসব আবেগ হাইস্কুল জীবনে থাকে।
: তার মানে তুই আমাকে বিয়ে করবি না।
: সেটাতো বলিনি।
: তাহলে ?
.
: সামনের মাসে ফাইনাল পরীক্ষা। তোকে ৬ মাস সময় দিলাম। যেমন করেই হোক আমি এই ৬ মাস বাসায় ম্যানেজ করে নিবো। তুই পরীক্ষা দিয়ে একটা জব ম্যানেজ করবি। নাহলে কিন্তু আমি সত্যি সত্যি অন্যজনকে বিয়ে করে নিবো।
.
: সেটা পারবি,,,,,
: সময় হলেই বুঝবি,,,,, হুহ।
: তুই আমায় ভালোবাসিসতো।
: হুম সেই ক্লাশ ৮ থেকে। তাইতো তোকে কোন দিন ছাড়িনি এই আশায় যে তুই একদিন সব বুঝতে পারবি।
: তাহলে এতদিন বলিস নি কেন।
: আমার ইচ্ছা হয়নি তাই।
.
: তোকে খুব জরাই ধরতে ইচ্ছা করছে।
: ওমা gf হতে না হতেই শুরু হয়েগেলো। control yourself hasan.... আমরা কিন্তু এখনো বন্ধু,,,,, হিহিহি.......
: হারামী,,,,,, নে নে মজা নে,,, আমার এখন অনেক কাজ। থাক পড়তে গেলাম। বউ ৬ মাস সময় দিছে মানুষের মত মানুষ হবার।
: হিহিহি,,,,,, শোন না একটু বস প্রেম করি। নুতুন প্রেম বলে কথা।
.
: যা ভাগ এটা আবেগের বয়ষ নয়। এসব আবেগ হাইস্কুল জীবনে থাকে। হাতে সময় কম বিয়ের পর সব সুদে আসলে তুলে নিবো।
: হিহিহি,,,,,

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ